ইতিহাসের ৭ উজ্জ্বল নক্ষত্র by বৃত্বা রায় দীপা
১৯৫০ সালের ২৪ এপ্রিল রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের খাপড়া ওয়ার্ডে ঘটেছিল ইতিহাসের এক নৃশংসতম হত্যাকাণ্ড। এ দিনে অমানবিক কারাশ্রমের বিরুদ্ধে কারাবন্দি কমিউনিস্টরা বিদ্রোহ করেছিলেন। বিদ্রোহীদের কারাগারের একটি নির্দিষ্ট ঘরে আটকে গুলি চালানো হয়। রক্তস্রোতে ভেসে গিয়েছিল রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার।
শহীদ হয়েছিলেন সাত রাজবন্দি। খাপড়া ওয়ার্ড হত্যাকাণ্ড ব্রিটিশোত্তর পূর্ববাংলার প্রথম জেলহত্যা, যা সাম্প্রদায়িক অপরাষ্ট্র পাকিস্তানের ফ্যাসিস্ট চেহারা জনমানুষের সামনে খুলে দেয়, ভিত কাঁপিয়ে দেয় শাসকদেরও।
ব্রিটিশের চালু করা কারা-শাস্তির চর্চা তখনও প্রবলভাবে রয়ে গেছে কারাগারগুলোতে। খাবার কম দেওয়া, অমানুষিক শারীরিক শ্রম আদায় করে নেওয়া_ এসব ছিল কারাগারের নিয়মিত চিত্র। তার মধ্যে অন্যতম ছিল তেলের ঘানিতে পশুর পরিবর্তে কয়েদিদের ব্যবহার। এ ঘানিতে তখন প্রায় দেড় মণ ওজনের দীর্ঘ একটি লোহার রড ব্যবহার করা হতো। এটির ভারে প্রায় নুয়ে পড়তেন বন্দিরা। থামলেই প্রহরী পুলিশের চাবুক পড়ত পিঠে। এ যেন ক্রীতদাস প্রথার আরেক চিত্র। রাজশাহী জেলে কমিউনিস্টরাই প্রথম এ অমানবিক শাস্তির প্রতিবাদ করেন। দানা বাঁধতে শুরু করে আন্দোলন। কয়েদিদের দাবি-দাওয়া নিয়ে রাজশাহী কারাগারে কমিউনিস্ট নেতারা কারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বসতে চাইলে প্রথমত তারা আলোচনায় বসতেই রাজি হননি। পরে তারা রাজবন্দিদের সাধারণ কয়েদিদের সমস্যা নিয়ে আন্দোলনমুখী হতে দেখে বিচলিত হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে তৎকালীন আইজি প্রিজন মোহাম্মদ আমিরুদ্দিন আলোচনায় বসতে রাজি হন। জেলেই সভা করে ১২ জন প্রতিনিধিকে আলোচনার জন্য পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে ছিলেন অমূল্য লাহিড়ী, সীতাংশু মৈত্র, মনসুর হাবিব, আবদুল হক, বিজন সেন, হানিফ শেখ প্রমুখ। আলোচনার সূচনাতেই ধৈর্য হারান আইজি প্রিজন। তিনি উত্তপ্ত হয়ে জানতে চান, রাজবন্দিরা কেন কয়েদিদের স্বার্থ নিয়ে কথা বলতে চান? সত্যিই রাষ্ট্রের আজ্ঞাবহ, প্রভুপ্রিয় এবং জনবিচ্ছিন্ন এই সেবকের পক্ষে এ বিষয়টি বোঝা সম্ভব ছিল না। জনগণের দুর্দশা মোচনের জন্য কমিউনিস্টরাই জীবন বাজি রাখতে প্রস্তুত। উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে সে আলোচনার সমাপ্তি ঘটে। আইজি প্রিজন জেল থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় জেল সুপার মি. বিলকে নির্দেশ দিয়ে যান বন্দি কমিউনিস্টদের মধ্যে নেতাদের বিচ্ছিন্ন করে ১৪ নম্বর সেলে পাঠিয়ে দেওয়ার। এ নির্দেশের একমাত্র কারণ ছিল, একসঙ্গে মতবিনিময়ের সুযোগ বন্ধ করা। এখানে বলা দরকার, রাজশাহী জেলের ১৪ নম্বর সেলের বিশেষ পরিচিতি ছিল কুষ্ঠ ও যক্ষ্মা রোগীদের এবং ফাঁসির আসামিদের রাখার জায়গা হিসেবে। তাছাড়া জেলে কোনো বন্দি মারা গেলে সে লাশের পোস্টমর্টেম করা হতো এখানে।
১৯৫০ সালের ২৪ এপ্রিল, সোমবার। এ দিনটি ছিল জেল সুপার অ্যাডোয়ার্ড বিলের কারা পরিদর্শনের দিন। জেল সুপার বিল সরাসরি ঢুকে পড়েন খাপড়া ওয়ার্ডে। কমরেড আবদুল হকের সামনে গিয়ে উচ্চস্বরে বলেন, এ মুহূর্তে তোমরা কয়েকজন খাপড়া ছেড়ে চলে যাও। জেল সুপার চিৎকার করে খাপড়ার দরজা বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। উলেল্গখ্য, খাপড়া ওয়ার্ডের একটি মাত্র দরজা ও প্রায় ৫০টি জানালা ছিল। ৪০ জন সশস্ত্র সিপাহি ঘিরে ফেলে খাপড়া ওয়ার্ড। নিরস্ত্র রাজবন্দিরা থালা-বাটি, দোয়াত-ওষুধের শিশি ছুড়ে আক্রমণ আটকানোর চেষ্টা করতে থাকেন। প্রবল আঘাতে ধসে পড়ে সব প্রতিরোধ। বৃষ্টির মতো গুলি চালাতে চালাতে খাপড়ায় ঢুকে পড়ে আর্মড পুলিশ। রক্তে ভেসে যায় খাপড়া ওয়ার্ড। ঝরে পড়ে ছয়জন কমরেডের জীবন। অবিরাম গুলির পর শুরু হয় দফায় দফায় লাঠিচার্জ । তিন দফায় লাঠিচার্জের মধ্যে একবারের জন্য খাপড়ায় ঢোকেন বিল। কমরেড হককে খুঁজে বের করে হাতের হান্টার দিয়ে তার মাথায় তীব্র আঘাত করেন। মাথা ফেটে লুটিয়ে পড়েন হক। দুপুর ৩টায় গুরুতর আহত কমরেড মনসুর হাবিব, আবদুল হক, কম্পরাম সিং, প্রসাদ রায়, বাবর আলী, আমিনুল ইসলাম বাদশা, শ্যামাপদ সেন, সত্যেন সরকার, নন্দ সান্যাল, সদানন্দ ঘোষ, অনন্ত দেব, আবদুশ শহীদ, প্রিয়ব্রত দাস ও নুরুন্নবী চৌধুরীকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে মারা যান কমরেড কম্পরাম সিং। সদাহাস্যময় এ কৃষক নেতার সঙ্গে সবার সম্পর্ক ছিল বন্ধুর মতো। প্রায় অর্ধেক বয়সী কমরেড প্রসাদ রায় ছিলেন তার বিড়ির পার্টনার। হাসপাতালে দু'জনের বেডও ছিল পাশাপাশি। রাতের বেলা জীবনের শেষ বিড়িটিও খেয়েছিলেন ভাগ করে। অর্ধেক বিড়ি প্রসাদ রায়ের হাতে দিয়ে বলেছিলেন, কমরেড আমি মারা যাচ্ছি। আগুনটুকু দিয়ে গেলাম। জ্বেলে রেখো। তাকে নিয়ে শহীদের সংখ্যা হলো সাত। এই সাতজন হলেন_ বিজন সেন, হানিফ শেখ, দেলওয়ার হোসেন, আনোয়ার হোসেন, সুখেন ভট্টাচার্য, সুধীন ধর ও কম্পরাম সিং। ইতিহাসের উজ্জ্বল সাতটি নক্ষত্র। এক নির্ভীক লড়াইয়ের অগ্রপথিক, যারা সূচনা করে গেছেন মানুষ ও মৃত্তিকাকে ভালোবাসার এক অনন্য ইতিহাস। যে বয়সে মানুষ প্রেমে উন্মাতাল হয়, ঘর বাঁধে সেই বয়সে গণমানুষকে ভালোবেসে, গণমানুষের লড়াইকে ভালোবেসে ঘর ছেড়েছিলেন এই বিপল্গবীরা। অকাতরে দিয়েছেন প্রাণ। অবিচল ছিলেন আমৃত্যু আদর্শে। খাপড়া ওয়ার্ড বিপল্গবের সন্ধিক্ষণে, ইতিহাস বিনির্মাণের লগ্নে সবচেয়ে বড় হয়ে সামনে যে বিষয়টি আসে তা হলো আদর্শের প্রতি অবিচল আস্থা ও নিমগ্ন প্রেম, যা জীবনকে অতিক্রম করে যায়। তাই হয়েছে খাপড়ার লড়াইয়ে। আর তাই গণদাবির বিজয় ছিনিয়ে আনতে বিফল হয়নি বীরের এ রক্তস্রোত, আত্মদান। রদ করা হয়েছে অমানবিক কারা-শাস্তি। সংশোধিত হয়েছে জেলকোড। সর্বোপরি উত্তর প্রজন্মের কমরেডদের জন্য সৃষ্টি হয়েছে অনন্য উদাহরণ, যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে লাল পতাকা আর গণমানুষের লড়াইয়ের উত্তরাধিকার বহন করে নিয়ে যেতে শক্তি জোগাবে।
বৃত্বা রায় দীপা :কমরেড প্রসাদ রায়ের কন্যা চিত্রনির্মাতা ও সাবেক মহিলা সম্পাদিকা, রাকসু
b.roydipa@yahoo.com
ব্রিটিশের চালু করা কারা-শাস্তির চর্চা তখনও প্রবলভাবে রয়ে গেছে কারাগারগুলোতে। খাবার কম দেওয়া, অমানুষিক শারীরিক শ্রম আদায় করে নেওয়া_ এসব ছিল কারাগারের নিয়মিত চিত্র। তার মধ্যে অন্যতম ছিল তেলের ঘানিতে পশুর পরিবর্তে কয়েদিদের ব্যবহার। এ ঘানিতে তখন প্রায় দেড় মণ ওজনের দীর্ঘ একটি লোহার রড ব্যবহার করা হতো। এটির ভারে প্রায় নুয়ে পড়তেন বন্দিরা। থামলেই প্রহরী পুলিশের চাবুক পড়ত পিঠে। এ যেন ক্রীতদাস প্রথার আরেক চিত্র। রাজশাহী জেলে কমিউনিস্টরাই প্রথম এ অমানবিক শাস্তির প্রতিবাদ করেন। দানা বাঁধতে শুরু করে আন্দোলন। কয়েদিদের দাবি-দাওয়া নিয়ে রাজশাহী কারাগারে কমিউনিস্ট নেতারা কারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বসতে চাইলে প্রথমত তারা আলোচনায় বসতেই রাজি হননি। পরে তারা রাজবন্দিদের সাধারণ কয়েদিদের সমস্যা নিয়ে আন্দোলনমুখী হতে দেখে বিচলিত হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে তৎকালীন আইজি প্রিজন মোহাম্মদ আমিরুদ্দিন আলোচনায় বসতে রাজি হন। জেলেই সভা করে ১২ জন প্রতিনিধিকে আলোচনার জন্য পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে ছিলেন অমূল্য লাহিড়ী, সীতাংশু মৈত্র, মনসুর হাবিব, আবদুল হক, বিজন সেন, হানিফ শেখ প্রমুখ। আলোচনার সূচনাতেই ধৈর্য হারান আইজি প্রিজন। তিনি উত্তপ্ত হয়ে জানতে চান, রাজবন্দিরা কেন কয়েদিদের স্বার্থ নিয়ে কথা বলতে চান? সত্যিই রাষ্ট্রের আজ্ঞাবহ, প্রভুপ্রিয় এবং জনবিচ্ছিন্ন এই সেবকের পক্ষে এ বিষয়টি বোঝা সম্ভব ছিল না। জনগণের দুর্দশা মোচনের জন্য কমিউনিস্টরাই জীবন বাজি রাখতে প্রস্তুত। উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে সে আলোচনার সমাপ্তি ঘটে। আইজি প্রিজন জেল থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় জেল সুপার মি. বিলকে নির্দেশ দিয়ে যান বন্দি কমিউনিস্টদের মধ্যে নেতাদের বিচ্ছিন্ন করে ১৪ নম্বর সেলে পাঠিয়ে দেওয়ার। এ নির্দেশের একমাত্র কারণ ছিল, একসঙ্গে মতবিনিময়ের সুযোগ বন্ধ করা। এখানে বলা দরকার, রাজশাহী জেলের ১৪ নম্বর সেলের বিশেষ পরিচিতি ছিল কুষ্ঠ ও যক্ষ্মা রোগীদের এবং ফাঁসির আসামিদের রাখার জায়গা হিসেবে। তাছাড়া জেলে কোনো বন্দি মারা গেলে সে লাশের পোস্টমর্টেম করা হতো এখানে।
১৯৫০ সালের ২৪ এপ্রিল, সোমবার। এ দিনটি ছিল জেল সুপার অ্যাডোয়ার্ড বিলের কারা পরিদর্শনের দিন। জেল সুপার বিল সরাসরি ঢুকে পড়েন খাপড়া ওয়ার্ডে। কমরেড আবদুল হকের সামনে গিয়ে উচ্চস্বরে বলেন, এ মুহূর্তে তোমরা কয়েকজন খাপড়া ছেড়ে চলে যাও। জেল সুপার চিৎকার করে খাপড়ার দরজা বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। উলেল্গখ্য, খাপড়া ওয়ার্ডের একটি মাত্র দরজা ও প্রায় ৫০টি জানালা ছিল। ৪০ জন সশস্ত্র সিপাহি ঘিরে ফেলে খাপড়া ওয়ার্ড। নিরস্ত্র রাজবন্দিরা থালা-বাটি, দোয়াত-ওষুধের শিশি ছুড়ে আক্রমণ আটকানোর চেষ্টা করতে থাকেন। প্রবল আঘাতে ধসে পড়ে সব প্রতিরোধ। বৃষ্টির মতো গুলি চালাতে চালাতে খাপড়ায় ঢুকে পড়ে আর্মড পুলিশ। রক্তে ভেসে যায় খাপড়া ওয়ার্ড। ঝরে পড়ে ছয়জন কমরেডের জীবন। অবিরাম গুলির পর শুরু হয় দফায় দফায় লাঠিচার্জ । তিন দফায় লাঠিচার্জের মধ্যে একবারের জন্য খাপড়ায় ঢোকেন বিল। কমরেড হককে খুঁজে বের করে হাতের হান্টার দিয়ে তার মাথায় তীব্র আঘাত করেন। মাথা ফেটে লুটিয়ে পড়েন হক। দুপুর ৩টায় গুরুতর আহত কমরেড মনসুর হাবিব, আবদুল হক, কম্পরাম সিং, প্রসাদ রায়, বাবর আলী, আমিনুল ইসলাম বাদশা, শ্যামাপদ সেন, সত্যেন সরকার, নন্দ সান্যাল, সদানন্দ ঘোষ, অনন্ত দেব, আবদুশ শহীদ, প্রিয়ব্রত দাস ও নুরুন্নবী চৌধুরীকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে মারা যান কমরেড কম্পরাম সিং। সদাহাস্যময় এ কৃষক নেতার সঙ্গে সবার সম্পর্ক ছিল বন্ধুর মতো। প্রায় অর্ধেক বয়সী কমরেড প্রসাদ রায় ছিলেন তার বিড়ির পার্টনার। হাসপাতালে দু'জনের বেডও ছিল পাশাপাশি। রাতের বেলা জীবনের শেষ বিড়িটিও খেয়েছিলেন ভাগ করে। অর্ধেক বিড়ি প্রসাদ রায়ের হাতে দিয়ে বলেছিলেন, কমরেড আমি মারা যাচ্ছি। আগুনটুকু দিয়ে গেলাম। জ্বেলে রেখো। তাকে নিয়ে শহীদের সংখ্যা হলো সাত। এই সাতজন হলেন_ বিজন সেন, হানিফ শেখ, দেলওয়ার হোসেন, আনোয়ার হোসেন, সুখেন ভট্টাচার্য, সুধীন ধর ও কম্পরাম সিং। ইতিহাসের উজ্জ্বল সাতটি নক্ষত্র। এক নির্ভীক লড়াইয়ের অগ্রপথিক, যারা সূচনা করে গেছেন মানুষ ও মৃত্তিকাকে ভালোবাসার এক অনন্য ইতিহাস। যে বয়সে মানুষ প্রেমে উন্মাতাল হয়, ঘর বাঁধে সেই বয়সে গণমানুষকে ভালোবেসে, গণমানুষের লড়াইকে ভালোবেসে ঘর ছেড়েছিলেন এই বিপল্গবীরা। অকাতরে দিয়েছেন প্রাণ। অবিচল ছিলেন আমৃত্যু আদর্শে। খাপড়া ওয়ার্ড বিপল্গবের সন্ধিক্ষণে, ইতিহাস বিনির্মাণের লগ্নে সবচেয়ে বড় হয়ে সামনে যে বিষয়টি আসে তা হলো আদর্শের প্রতি অবিচল আস্থা ও নিমগ্ন প্রেম, যা জীবনকে অতিক্রম করে যায়। তাই হয়েছে খাপড়ার লড়াইয়ে। আর তাই গণদাবির বিজয় ছিনিয়ে আনতে বিফল হয়নি বীরের এ রক্তস্রোত, আত্মদান। রদ করা হয়েছে অমানবিক কারা-শাস্তি। সংশোধিত হয়েছে জেলকোড। সর্বোপরি উত্তর প্রজন্মের কমরেডদের জন্য সৃষ্টি হয়েছে অনন্য উদাহরণ, যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে লাল পতাকা আর গণমানুষের লড়াইয়ের উত্তরাধিকার বহন করে নিয়ে যেতে শক্তি জোগাবে।
বৃত্বা রায় দীপা :কমরেড প্রসাদ রায়ের কন্যা চিত্রনির্মাতা ও সাবেক মহিলা সম্পাদিকা, রাকসু
b.roydipa@yahoo.com
No comments