জনসচেতনতা সৃষ্টির বিকল্প নেই-বাঘের বনে ফেরা
লোকালয়ের আশপাশে কোথাও বন্য প্রাণী দেখা যাওয়া মানেই যেন প্রাণীটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলা, তা রয়েল বেঙ্গল টাইগার, শিয়াল বা মায়া হরিণ, যা-ই হোক না কেন। এবারই প্রথম ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটেছে সুন্দরবন অঞ্চলে। লোকালয়ে চলে আসা একটি বাঘকে জীবিত বনে ফেরত পাঠানো গেছে।
একেবারে অক্ষত অবস্থায় নয়, গ্রামবাসীর আঘাতে দুটি দাঁত হারাতে হয়েছে বাঘটিকে। তবে জীবিত অবস্থায় যে ফেরত পাঠানো গেছে, সেটাই এক বড় সুসংবাদ।
সচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা থাকলে যে ফল পাওয়া যায়, এর প্রমাণ সুন্দরবনের সাতক্ষীরা অঞ্চলে এই বাঘটিকে বনে ফেরত পাঠানোর ঘটনা। গত বছরের একটি পরিসংখ্যান দিলে বিষয়টি স্পষ্ট হবে। সে সময় সুন্দরবনের আশপাশের গ্রামবাসীর হাতে মারা গেছে তিনটি বাঘ। এ নিয়ে অনেক লেখালেখি হয়েছে, প্রাণিবিশেষজ্ঞ, বনবিশেষজ্ঞ ও পরিবেশবাদীরা বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন। এরই মধ্যে হয়ে গেছে আন্তর্জাতিক বাঘ সম্মেলন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই সম্মেলনে উপস্থিত থেকে বাঘ রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছেন। সবকিছু মিলে কিছুটা হলেও সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে বলে আমরা মনে করি।
সাতক্ষীরা অঞ্চলের শ্যামনগরে একটি বাঘ দেখা যাওয়ার পর বিষয়টি বাঘ উদ্ধারকারী দলের সদস্যদের না জানালে হয়তো ঘটনাটি ভিন্ন রকম হতো। বাংলাদেশের বন্য প্রাণী ট্রাস্ট, এর বাঘ উদ্ধারকারী দল ও বনকর্মীদের চেষ্টায় বাঘটিকে জীবিত অবস্থায় বনে ফেরত পাঠানোর ঘটনাটিকে আমরা তাই গুরুত্বের সঙ্গে নিতে চাই। এ ঘটনার পর গ্রামবাসীদের এটা আরও জোরালোভাবে বোঝানো সহজ হবে যে ভবিষ্যতে আবার যদি কোনো বাঘ লোকালয়ে ঢুকে পড়ে, তবে বাঘটিকে না মেরেও বনে ফেরত পাঠানো সম্ভব। বাঘ লোকালয়ে ঢুকে পড়লে সেটিকে আঘাত না করে কী করতে হবে, সে বিষয়গুলোতেও বনের আশপাশের গ্রামবাসীদের সচেতন করা যেতে পারে। ভারতীয় সুন্দরবন অঞ্চলে এ ধরনের সচেতনতা সৃষ্টির উদ্যোগ কাজে লেগেছে।
আমরা মনে করি, বন্য প্রাণী রক্ষা করতে হলে সচেতনতার বিকল্প নেই। শুধু সুন্দরবন নয়, দেশের অন্যান্য বনাঞ্চলের আশপাশের গ্রামবাসীর মধ্যেও সচেতনতা সৃষ্টির উদ্যোগ নিতে হবে। যে অঞ্চলে যে ধরনের প্রাণীর বাস, সেই প্রাণীগুলোর আচার-আচরণ সম্পর্কেও সচেতনতা সৃষ্টি করা প্রয়োজন। তাহলে লোকালয়ের আশপাশে বন্য প্রাণী দেখলেই পিটিয়ে মেরে ফেলার প্রবণতা কমে আসবে।
সচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা থাকলে যে ফল পাওয়া যায়, এর প্রমাণ সুন্দরবনের সাতক্ষীরা অঞ্চলে এই বাঘটিকে বনে ফেরত পাঠানোর ঘটনা। গত বছরের একটি পরিসংখ্যান দিলে বিষয়টি স্পষ্ট হবে। সে সময় সুন্দরবনের আশপাশের গ্রামবাসীর হাতে মারা গেছে তিনটি বাঘ। এ নিয়ে অনেক লেখালেখি হয়েছে, প্রাণিবিশেষজ্ঞ, বনবিশেষজ্ঞ ও পরিবেশবাদীরা বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন। এরই মধ্যে হয়ে গেছে আন্তর্জাতিক বাঘ সম্মেলন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই সম্মেলনে উপস্থিত থেকে বাঘ রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছেন। সবকিছু মিলে কিছুটা হলেও সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে বলে আমরা মনে করি।
সাতক্ষীরা অঞ্চলের শ্যামনগরে একটি বাঘ দেখা যাওয়ার পর বিষয়টি বাঘ উদ্ধারকারী দলের সদস্যদের না জানালে হয়তো ঘটনাটি ভিন্ন রকম হতো। বাংলাদেশের বন্য প্রাণী ট্রাস্ট, এর বাঘ উদ্ধারকারী দল ও বনকর্মীদের চেষ্টায় বাঘটিকে জীবিত অবস্থায় বনে ফেরত পাঠানোর ঘটনাটিকে আমরা তাই গুরুত্বের সঙ্গে নিতে চাই। এ ঘটনার পর গ্রামবাসীদের এটা আরও জোরালোভাবে বোঝানো সহজ হবে যে ভবিষ্যতে আবার যদি কোনো বাঘ লোকালয়ে ঢুকে পড়ে, তবে বাঘটিকে না মেরেও বনে ফেরত পাঠানো সম্ভব। বাঘ লোকালয়ে ঢুকে পড়লে সেটিকে আঘাত না করে কী করতে হবে, সে বিষয়গুলোতেও বনের আশপাশের গ্রামবাসীদের সচেতন করা যেতে পারে। ভারতীয় সুন্দরবন অঞ্চলে এ ধরনের সচেতনতা সৃষ্টির উদ্যোগ কাজে লেগেছে।
আমরা মনে করি, বন্য প্রাণী রক্ষা করতে হলে সচেতনতার বিকল্প নেই। শুধু সুন্দরবন নয়, দেশের অন্যান্য বনাঞ্চলের আশপাশের গ্রামবাসীর মধ্যেও সচেতনতা সৃষ্টির উদ্যোগ নিতে হবে। যে অঞ্চলে যে ধরনের প্রাণীর বাস, সেই প্রাণীগুলোর আচার-আচরণ সম্পর্কেও সচেতনতা সৃষ্টি করা প্রয়োজন। তাহলে লোকালয়ের আশপাশে বন্য প্রাণী দেখলেই পিটিয়ে মেরে ফেলার প্রবণতা কমে আসবে।
No comments