ধর্ম-ইসলামে মাতৃভাষা চর্চার গুরুত্ব by মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান
ইসলামে মাতৃভাষা চর্চার প্রতি যথেষ্ট গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। মাতৃভাষা মানে মায়ের ভাষা। মানবশিশু দুনিয়াতে ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর তার মা-বাবা, আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীর কাছ থেকে যে ভাষা শোনে এবং তাদের সঙ্গে যে ভাষায় কথা বলে তা-ই তার মাতৃভাষা। পৃথিবীতে অসংখ্য মাতৃভাষা প্রচলিত আছে।
জগতের সব মানুষই কথা বলে মনের ভাব প্রকাশ করে। সবার ভাষা কিন্তু এক নয়। জাতিগোষ্ঠী ও মানচিত্রভেদে একেকজন একেক ভাষায় কথা বলে। পৃথিবীতে প্রায় ছয় হাজারের অধিক ভাষার অস্তিত্ব রয়েছে। বিচিত্র এসব ভাষায় বিভিন্ন জাতি-ধর্ম-বর্ণ ও অঞ্চলের মানুষ কথা বলে। এ ভাষাগুলোই প্রত্যেক জনগোষ্ঠীর জন্য তাদের মাতৃভাষা। এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর তাঁর নিদর্শনাবলির মধ্যে রয়েছে মহাকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টি এবং তোমাদের ভাষা ও বর্ণের বৈচিত্র্য। নিশ্চয়ই জ্ঞানীদের জন্য এতে রয়েছে নিদর্শন।’ (সূরা আর-রূম, আয়াত-২২)
আল্লাহ তাআলা মানবজাতিকে সৎপথ প্রদর্শনের জন্য যুগে যুগে অসংখ্য নবী-রাসূল প্রেরণ করেছেন। তাঁদের ওপর যেসব আসমানি কিতাব অবতীর্ণ হয়েছিল তার ভাষা ছিল ওই সব নবী-রাসূলের স্বজাতির মাতৃভাষা। আম্বিয়ায়ে কিরাম ও তাঁদের ওপর প্রেরিত ঐশীগ্রন্থ মাতৃভাষায় অবতীর্ণ না হলে সেটা জাতি বুঝতে পারত না। ফলে মানুষ সেই নবীর ভাষা না বোঝার দরুন বিভ্রান্তিতে নিপতিত হতো। এমনিভাবে প্রত্যেক জাতিগোষ্ঠীর মাতৃভাষার প্রতি ইসলাম বিশেষ সম্মান প্রদর্শন করেছে। কারণ মাতৃভাষার সঙ্গে প্রত্যেক জনগোষ্ঠীর সভ্যতা ও সংস্কৃতি জড়িত থাকে। তাই ইসলামে মাতৃভাষার গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘আমি প্রত্যেক রাসূলকেই তার স্বজাতির ভাষাভাষী করে পাঠিয়েছি তাদের কাছে পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করার জন্য...।’ (সূরা ইবরাহীম, আয়াত-৪)
হজরত ঈসা (আ.)-এর জাতির মাতৃভাষা ছিল সুরিয়ানি, এ ভাষায় তাঁর প্রতি ইঞ্জিল অবতীর্ণ হয়। হজরত মূসা (আ.)-এর সম্প্রদায়ের ভাষা ছিল ইবরানি, এ ভাষায় তাওরাত নাজিল হয়। হজরত দাউদ (আ.)-এর গোত্রের ভাষা ছিল ইউনানি, তাই যাবুর ইউনানি বা আরামাইক ভাষায় অবতীর্ণ হয়। বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর উম্মতের ভাষা ছিল আরবি, তাই মহাগ্রন্থ আল-কোরআন তাঁর মাতৃভাষা আরবিতে নাজিল হয়। তদানীন্তন আরবদেশে ভাষা ও সাহিত্যে কার কতটুকু দক্ষতা তা নির্ণয়ের জন্য কাব্য-প্রতিযোগিতা চলত। নবী করিম (সা.)-এর ওপর অবতীর্ণ ঐশীগ্রন্থের ভাষার প্রাঞ্জলতা দেখে সমকালীন কবি-সাহিত্যিকেরা হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলেন। তখন আরবদের মাতৃভাষায় অবতীর্ণ আল-কোরআনের ভাষার লালিত্য ও নৈপুণ্য দেখে দলে দলে লোকেরা ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে এসে প্রশান্তি লাভ করে।
রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর মাতৃভাষা যেহেতু আরবি ছিল, তাই মুসলমানদের অনুসৃত ধর্মগ্রন্থ পবিত্র কোরআন শরিফকে আল্লাহ তাআলা ঐশ্বর্যমণ্ডিত করে প্রেরণ করেছেন। যাতে সহজেই বিপথগামী লোকেরা তাওহিদ বা একত্ববাদ স্বীকার করে ইসলামি জীবনব্যবস্থা গ্রহণ করে। মহানবী (সা.) আরবের সম্ভ্রান্ত কুরাইশ গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন। আরবি ছিল তাঁর স্বজাতির ভাষা। মাতৃভাষায় তাঁর দক্ষতাও ছিল অপরিসীম। তিনি ছিলেন ভাষা ও সাহিত্যে সর্বাধিক নৈপুণ্যের অধিকারী, আরবের সবচেয়ে সুন্দর ও বিশুদ্ধভাষী। বাল্যকালেও তিনি বিশুদ্ধ মাতৃভাষায় কথা বলতেন। তাঁর বাচনভঙ্গি, মাতৃভাষায় বিশুদ্ধতা এবং উচ্চারণে সুস্পষ্টতা ছিল নবীচরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। যাঁরা তাঁর কাছে বসে থাকতেন, তাঁরা তাঁর কথাগুলো শুনে মুখস্থ করতে পারতেন, লিখে নিতে পারতেন, হাদিস সেভাবে সংরক্ষিত হয়েছে। তিনি বলেছেন, অন্যরা শুনেছেন, মুখস্থ করেছেন এবং লিখেছেন। তাঁর মুখনিঃসৃত বাণী এমনভাবে উচ্চারিত হতো বা বলা হতো যাতে অন্যেরা তা লিখে নিতে পারতেন। তিনি দ্রুত বাক্য বলতেন না। তাঁর কথা বলার ধরন এমন সুস্পষ্ট ছিল যে প্রতিটি বাক্য নয়, যেন প্রতিটি অক্ষর সবাই সহজে বুঝতে পারেন। এভাবে মহানবী (সা.) তাঁর মাতৃভাষা শুদ্ধভাবে বলতেন এবং সুস্পষ্টভাবে উচ্চারণ করতেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে যে নবী করিম (সা.) ঘোষণা করেছেন, ‘আমি সবচেয়ে বিশুদ্ধ আরবি ভাষাভাষী।’
ইসলামের দৃষ্টিতে মাতৃভাষা চর্চা বা বিশুদ্ধভাবে কথা বলা রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর অনুপম সুন্নাত। যেসব গুণ মানুষের ব্যক্তিত্বকে অর্থবহ করে তোলে তার মধ্যে বিশুদ্ধ ভাষণ ও সুস্পষ্ট উচ্চারণ অন্যতম। শ্রোতাদের ওপর বক্তব্যের প্রভাব অনস্বীকার্য। জনগণকে মাতৃভাষায় বিশুদ্ধ ও সুন্দর উচ্চারণে বোঝানো দরকার। নেতৃত্বের একটা বিশেষ গুণ হলো সুন্দরভাবে বক্তব্য দেওয়ার দক্ষতা। ভাষার ওপর দখল থাকলে শ্রোতার ওপর বক্তব্যের প্রভাব অনেক বেশি হয়।
দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি সর্বপ্রকার জ্ঞান-গরিমা, ইসলামি সাহিত্য-সংস্কৃতি এবং ধর্মীয় অনুশাসনের ব্যাপক প্রচার, প্রসার ও পরিচিতি মাতৃভাষা চর্চার ওপর নির্ভরশীল। যে বিধিবিধান বা ধর্মীয় অনুশাসন মানবজাতিকে আল্লাহর পথে, সত্য ও ন্যায়ের পথে এগিয়ে নেয় এবং জীবনকে ঐশীজ্ঞানের আলোকে আলোকিত করে, সেই বিশাল জ্ঞানভান্ডার পবিত্র কোরআন ও হাদিসসহ অন্য বহু মূল্যবান ধর্মীয় গ্রন্থ মাতৃভাষা বাংলায় অনুবাদ হওয়ায় আজ আমরা জ্ঞানের নবদিগন্তে এগিয়ে চলেছি। পরস্পরের সঙ্গে ভাবের আদান-প্রদান করা, সৎকাজ করা এবং অন্যায় থেকে বিরত থাকা বা বাধা প্রদান করা, ধর্মের বিধিবিধান প্রতিপালন করা, আন্তধর্মীয় সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা কেবল মাতৃভাষার মাধ্যমেই সম্ভব। ইসলামের দৃষ্টিতে, মাতৃভাষা মানবজাতির জন্য আল্লাহর দেওয়া সুমহান নিয়ামত। তাই সৃষ্টিকর্তার পরম কৃতজ্ঞতাস্বরূপ বিশুদ্ধ মাতৃভাষা চর্চায় নৈপুণ্য আনয়ন ও বিশেষ দক্ষতা অর্জনে অত্যন্ত সচেষ্ট হতে হবে।
ড. মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান: শিক্ষক, দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়; পরিচালক, ইনস্টিটিউট অব হযরত মুহাম্মদ (সা.)।
dr.munimkhan@yahoo.com
আল্লাহ তাআলা মানবজাতিকে সৎপথ প্রদর্শনের জন্য যুগে যুগে অসংখ্য নবী-রাসূল প্রেরণ করেছেন। তাঁদের ওপর যেসব আসমানি কিতাব অবতীর্ণ হয়েছিল তার ভাষা ছিল ওই সব নবী-রাসূলের স্বজাতির মাতৃভাষা। আম্বিয়ায়ে কিরাম ও তাঁদের ওপর প্রেরিত ঐশীগ্রন্থ মাতৃভাষায় অবতীর্ণ না হলে সেটা জাতি বুঝতে পারত না। ফলে মানুষ সেই নবীর ভাষা না বোঝার দরুন বিভ্রান্তিতে নিপতিত হতো। এমনিভাবে প্রত্যেক জাতিগোষ্ঠীর মাতৃভাষার প্রতি ইসলাম বিশেষ সম্মান প্রদর্শন করেছে। কারণ মাতৃভাষার সঙ্গে প্রত্যেক জনগোষ্ঠীর সভ্যতা ও সংস্কৃতি জড়িত থাকে। তাই ইসলামে মাতৃভাষার গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘আমি প্রত্যেক রাসূলকেই তার স্বজাতির ভাষাভাষী করে পাঠিয়েছি তাদের কাছে পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করার জন্য...।’ (সূরা ইবরাহীম, আয়াত-৪)
হজরত ঈসা (আ.)-এর জাতির মাতৃভাষা ছিল সুরিয়ানি, এ ভাষায় তাঁর প্রতি ইঞ্জিল অবতীর্ণ হয়। হজরত মূসা (আ.)-এর সম্প্রদায়ের ভাষা ছিল ইবরানি, এ ভাষায় তাওরাত নাজিল হয়। হজরত দাউদ (আ.)-এর গোত্রের ভাষা ছিল ইউনানি, তাই যাবুর ইউনানি বা আরামাইক ভাষায় অবতীর্ণ হয়। বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর উম্মতের ভাষা ছিল আরবি, তাই মহাগ্রন্থ আল-কোরআন তাঁর মাতৃভাষা আরবিতে নাজিল হয়। তদানীন্তন আরবদেশে ভাষা ও সাহিত্যে কার কতটুকু দক্ষতা তা নির্ণয়ের জন্য কাব্য-প্রতিযোগিতা চলত। নবী করিম (সা.)-এর ওপর অবতীর্ণ ঐশীগ্রন্থের ভাষার প্রাঞ্জলতা দেখে সমকালীন কবি-সাহিত্যিকেরা হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলেন। তখন আরবদের মাতৃভাষায় অবতীর্ণ আল-কোরআনের ভাষার লালিত্য ও নৈপুণ্য দেখে দলে দলে লোকেরা ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে এসে প্রশান্তি লাভ করে।
রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর মাতৃভাষা যেহেতু আরবি ছিল, তাই মুসলমানদের অনুসৃত ধর্মগ্রন্থ পবিত্র কোরআন শরিফকে আল্লাহ তাআলা ঐশ্বর্যমণ্ডিত করে প্রেরণ করেছেন। যাতে সহজেই বিপথগামী লোকেরা তাওহিদ বা একত্ববাদ স্বীকার করে ইসলামি জীবনব্যবস্থা গ্রহণ করে। মহানবী (সা.) আরবের সম্ভ্রান্ত কুরাইশ গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন। আরবি ছিল তাঁর স্বজাতির ভাষা। মাতৃভাষায় তাঁর দক্ষতাও ছিল অপরিসীম। তিনি ছিলেন ভাষা ও সাহিত্যে সর্বাধিক নৈপুণ্যের অধিকারী, আরবের সবচেয়ে সুন্দর ও বিশুদ্ধভাষী। বাল্যকালেও তিনি বিশুদ্ধ মাতৃভাষায় কথা বলতেন। তাঁর বাচনভঙ্গি, মাতৃভাষায় বিশুদ্ধতা এবং উচ্চারণে সুস্পষ্টতা ছিল নবীচরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। যাঁরা তাঁর কাছে বসে থাকতেন, তাঁরা তাঁর কথাগুলো শুনে মুখস্থ করতে পারতেন, লিখে নিতে পারতেন, হাদিস সেভাবে সংরক্ষিত হয়েছে। তিনি বলেছেন, অন্যরা শুনেছেন, মুখস্থ করেছেন এবং লিখেছেন। তাঁর মুখনিঃসৃত বাণী এমনভাবে উচ্চারিত হতো বা বলা হতো যাতে অন্যেরা তা লিখে নিতে পারতেন। তিনি দ্রুত বাক্য বলতেন না। তাঁর কথা বলার ধরন এমন সুস্পষ্ট ছিল যে প্রতিটি বাক্য নয়, যেন প্রতিটি অক্ষর সবাই সহজে বুঝতে পারেন। এভাবে মহানবী (সা.) তাঁর মাতৃভাষা শুদ্ধভাবে বলতেন এবং সুস্পষ্টভাবে উচ্চারণ করতেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে যে নবী করিম (সা.) ঘোষণা করেছেন, ‘আমি সবচেয়ে বিশুদ্ধ আরবি ভাষাভাষী।’
ইসলামের দৃষ্টিতে মাতৃভাষা চর্চা বা বিশুদ্ধভাবে কথা বলা রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর অনুপম সুন্নাত। যেসব গুণ মানুষের ব্যক্তিত্বকে অর্থবহ করে তোলে তার মধ্যে বিশুদ্ধ ভাষণ ও সুস্পষ্ট উচ্চারণ অন্যতম। শ্রোতাদের ওপর বক্তব্যের প্রভাব অনস্বীকার্য। জনগণকে মাতৃভাষায় বিশুদ্ধ ও সুন্দর উচ্চারণে বোঝানো দরকার। নেতৃত্বের একটা বিশেষ গুণ হলো সুন্দরভাবে বক্তব্য দেওয়ার দক্ষতা। ভাষার ওপর দখল থাকলে শ্রোতার ওপর বক্তব্যের প্রভাব অনেক বেশি হয়।
দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি সর্বপ্রকার জ্ঞান-গরিমা, ইসলামি সাহিত্য-সংস্কৃতি এবং ধর্মীয় অনুশাসনের ব্যাপক প্রচার, প্রসার ও পরিচিতি মাতৃভাষা চর্চার ওপর নির্ভরশীল। যে বিধিবিধান বা ধর্মীয় অনুশাসন মানবজাতিকে আল্লাহর পথে, সত্য ও ন্যায়ের পথে এগিয়ে নেয় এবং জীবনকে ঐশীজ্ঞানের আলোকে আলোকিত করে, সেই বিশাল জ্ঞানভান্ডার পবিত্র কোরআন ও হাদিসসহ অন্য বহু মূল্যবান ধর্মীয় গ্রন্থ মাতৃভাষা বাংলায় অনুবাদ হওয়ায় আজ আমরা জ্ঞানের নবদিগন্তে এগিয়ে চলেছি। পরস্পরের সঙ্গে ভাবের আদান-প্রদান করা, সৎকাজ করা এবং অন্যায় থেকে বিরত থাকা বা বাধা প্রদান করা, ধর্মের বিধিবিধান প্রতিপালন করা, আন্তধর্মীয় সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা কেবল মাতৃভাষার মাধ্যমেই সম্ভব। ইসলামের দৃষ্টিতে, মাতৃভাষা মানবজাতির জন্য আল্লাহর দেওয়া সুমহান নিয়ামত। তাই সৃষ্টিকর্তার পরম কৃতজ্ঞতাস্বরূপ বিশুদ্ধ মাতৃভাষা চর্চায় নৈপুণ্য আনয়ন ও বিশেষ দক্ষতা অর্জনে অত্যন্ত সচেষ্ট হতে হবে।
ড. মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান: শিক্ষক, দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়; পরিচালক, ইনস্টিটিউট অব হযরত মুহাম্মদ (সা.)।
dr.munimkhan@yahoo.com
No comments