স্মরণ-ইতিহাসের আলোকে শহীদ শামসুজ্জোহা by তুহিন ওয়াদুদ
ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানে তিনটি মৃত্যু পাকিস্তানবিরোধী আন্দোলনে দেশের আপামর জনতাকে দৃঢ়ভাবে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। ১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি আসাদুজ্জামানকে, ১৫ ফেব্রুয়ারি সার্জেন্ট জহুরুল হককে এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি অধ্যাপক ড. শামসুজ্জোহাকে পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠী হত্যা করে। এ তিনটি হত্যাই ছিল পূর্বপরিকল্পিত এবং বাঙালির স্বাধিকার আদায়ের সংগ্রামকে স্তব্ধ করে দেওয়ার ঘৃণ্য প্রয়াস।
১৯৬৯ সালে শামসুজ্জোহা ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর। তাঁর জন্ম ১৯৩৪ সালের ৫ আগস্ট, পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলায়। ১৯৫৩ সালে রসায়ন বিভাগে বিএসসি অনার্স, ১৯৫৪ সালে এমএসসি, ১৯৫৭ সালে লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজ থেকে বিএসসি অনার্স এবং ১৯৬৪ সালে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৬১ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনার কাজে যোগ দেন। ১৯৬৬ সালে তিনি প্রাধ্যক্ষ নিযুক্ত হন এবং ১৯৬৮ সালে প্রক্টরের দায়িত্ব পান। শামসুজ্জোহা বাংলাদেশের ইতিহাসে অনিবার্য উচ্চারিত একটি নাম। তিনি একজন আদর্শ শিক্ষক ছিলেন।
১৯৫২ সালের পর থেকে স্বাধীনতা অর্জন করা পর্যন্ত তৎ কালীন পূর্ববঙ্গ, পূর্ব পাকিস্তান তথা বর্তমান বাংলাদেশ প্রতিদিন কোনো না কোনো আন্দোলনের ভেতর দিয়ে সময় অতিক্রম করেছে। ১৯৬৯ সালে পাকিস্তানের শোষণবিরোধী আন্দোলনে এ দেশের মানুষ ১৯৬৬-এর ছয় দফা ও ১১ দফার দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলে। ১৯৬৯ সালের শুরুতে ৪ জানুয়ারি ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ১১ দফা দাবির পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে। ৮ জানুয়ারি ১৯৬৯ বৃহৎ রাজনৈতিক সংগঠনসমূহ ডেমোক্রেটিক অ্যাকশন কমিটি সংক্ষেপে ‘ডাক’ গঠন করে।
আন্দোলনের অংশ হিসেবে ১৭ জানুয়ারি পল্টনে সমাবেশ ও মিছিলের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে তাদের আন্দোলন শুরু করে। ২০ জানুয়ারি পাকিস্তানি পুলিশের গুলিতে মিছিল করা অবস্থায় ছাত্র ইউনিয়নের নেতা আসাদুজ্জামান শহীদ হন। আসাদুজ্জামানের মৃত্যুতে আন্দোলন আরও বেগবান হয়ে ওঠে। ওই দিনই আন্দোলনকারীরা বিশাল শোকযাত্রা করে তিন দিনের শোক কর্মসূচি ঘোষণা করে। ২১ জানুয়ারি হরতাল, ২২ জানুয়ারি শোক দিবস এবং ২৩ জানুয়ারি মশাল মিছিল করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ২৩ জানুয়ারির কর্মসূচি শেষে ২৪ জানুয়ারি আবারও হরতাল ঘোষণা করা হয। ২৪ জানুয়ারি হরতালের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। এ দিনের হরতালে কয়েকজনের মৃত্যু হলে ২৫ জানুয়ারি আবারও হরতাল আহ্বান করে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। সেদিনও হরতালে সেনাবাহিনীর গুলিতে মানুষের মৃত্যু হয়। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন বেসামরিক কর্মকর্তাদের বিচারকাজ তখনো চলছিল। ‘জেলের তালা ভাঙব শেখ মুজিবকে আনব’—এই প্রত্যয়ও ছিল আন্দোলনকারীদের।
১ ফেব্রুয়ারি আইয়ুব খান তাঁর কঠোর নীতি থেকে সরে এসে আলোচনার প্রস্তাব দেন। বঙ্গবন্ধুকে প্যারোলে মুক্তি দিতে চাইলেও তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। ৬ ফেব্রুয়ারি আইয়ুব খান ঢাকায় এলে তাঁর বিরুদ্ধে নানা রকম প্রচারণা চলতে থাকে। আইয়ুব খান গেটের নাম পরিবর্তন করে আসাদ গেট করা হয়। ৯ ফেব্রুয়ারি ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ শপথ দিবস পালন করে। কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দীন আহমদ, মতিয়া চৌধুরী, রাশেদ খান মেননসহ অনেকে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। কিন্তু আইয়ুব খান অস্বীকৃতি জানান এবং ১২ ফেব্রুয়ারি চলে যান। ১৪ ফেব্রুয়ারি রাজনৈতিক জোট ‘ডাক’ হরতাল পালন করে। ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা সেনানিবাসে আগরতলা ষড়যন্ত্রমূলক মামলার অন্যতম আসামি সার্জেন্ট জহুরুল হককে মেরে ফেলা হয়। এই খবর প্রচারিত হতেই বারুদের মতো জনতা রাস্তায় বের হয়ে আসে। সেদিন ক্ষুব্ধ জনতা মন্ত্রীদের বাড়িসহ অনেক উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের বাসায় আগুন লাগিয়ে দেয়। উদ্ভূত পরিস্থিতি প্রাদেশিক সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। কেন্দ্রীয় সরকার সামরিক বাহিনীর মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। সান্ধ্যকালীন আইন জারি করে। সার্জেন্ট জহুরুল হকের মৃত্যুর খবরে সারা দেশে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে।
১৮ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল করার চেষ্টা করে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ভাষাসৈনিক শামসুজ্জোহা স্পষ্টতই দেখতে পান আন্দোলনকারী ছাত্ররা মিছিল বের করলে অনেক ছাত্রের জীবননাশের আশঙ্কা রয়েছে। তিনি নিজের জীবন বাজি রেখে ছাত্রদের সামনে গিয়ে দাঁড়ান। সামনেই ছিল সেনাসদস্যরা। শামসুজ্জোহা নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন সেনাসদস্যদের। কিন্তু সেনাসদস্যরা তাঁর সব কথা উপেক্ষা করে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে।
শামসুজ্জোহা বলেছিলেন যদি সেনাবাহিনী গুলি করে, তা হলে প্রথমে তাঁর সামনে তিনি নিজেই দাঁড়াবেন। তাঁর কথাই সত্যি হয়েছে। এই খবর ঢাকায় পৌঁছামাত্র ঢাকার রাজপথ আন্দোলনকারীরা প্রকম্পিত করে তোলে। পরবর্তী আন্দোলনের মাত্রা এতটাই দুর্দমনীয় ছিল যে, নিঃশর্তভাবে বঙ্গবন্ধুকে ছেড়ে দিতে পাকিস্তান সরকার বাধ্য হয় এবং জেল থেকে মুক্তি পেয়েই তিনি ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ১১ দফার সঙ্গে একমত পোষণ করেন। এভাবেই গণমানুষের স্বাধিকারের সংগ্রাম স্বাধীনতার দিকে ধাবিত হয়। ঊনসত্তরে আসাদুজ্জামান, সার্জেন্ট জহুরুল হক, শামসুজ্জোহা—এ তিনজনের মৃত্যুর শোক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়েছিল। আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি অকুতোভয় শিক্ষক শামসুজ্জোহার মৃত্যু দিবস। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবছর দিবসটিকে জোহা দিবস হিসেবে পালন করে। সব বিশ্ববিদ্যালয়ে এ দিবসটিকে জোহা দিবস হিসেবে পালন করা প্রয়োজন। মৃত্যু দিবসে তাঁর প্রতি নিবেদন করছি সশ্রদ্ধ অঞ্জলি।
তুহিন ওয়াদুদ: শিক্ষক, বাংলা বিভাগ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।
১৯৫২ সালের পর থেকে স্বাধীনতা অর্জন করা পর্যন্ত তৎ কালীন পূর্ববঙ্গ, পূর্ব পাকিস্তান তথা বর্তমান বাংলাদেশ প্রতিদিন কোনো না কোনো আন্দোলনের ভেতর দিয়ে সময় অতিক্রম করেছে। ১৯৬৯ সালে পাকিস্তানের শোষণবিরোধী আন্দোলনে এ দেশের মানুষ ১৯৬৬-এর ছয় দফা ও ১১ দফার দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলে। ১৯৬৯ সালের শুরুতে ৪ জানুয়ারি ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ১১ দফা দাবির পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে। ৮ জানুয়ারি ১৯৬৯ বৃহৎ রাজনৈতিক সংগঠনসমূহ ডেমোক্রেটিক অ্যাকশন কমিটি সংক্ষেপে ‘ডাক’ গঠন করে।
আন্দোলনের অংশ হিসেবে ১৭ জানুয়ারি পল্টনে সমাবেশ ও মিছিলের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে তাদের আন্দোলন শুরু করে। ২০ জানুয়ারি পাকিস্তানি পুলিশের গুলিতে মিছিল করা অবস্থায় ছাত্র ইউনিয়নের নেতা আসাদুজ্জামান শহীদ হন। আসাদুজ্জামানের মৃত্যুতে আন্দোলন আরও বেগবান হয়ে ওঠে। ওই দিনই আন্দোলনকারীরা বিশাল শোকযাত্রা করে তিন দিনের শোক কর্মসূচি ঘোষণা করে। ২১ জানুয়ারি হরতাল, ২২ জানুয়ারি শোক দিবস এবং ২৩ জানুয়ারি মশাল মিছিল করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ২৩ জানুয়ারির কর্মসূচি শেষে ২৪ জানুয়ারি আবারও হরতাল ঘোষণা করা হয। ২৪ জানুয়ারি হরতালের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। এ দিনের হরতালে কয়েকজনের মৃত্যু হলে ২৫ জানুয়ারি আবারও হরতাল আহ্বান করে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। সেদিনও হরতালে সেনাবাহিনীর গুলিতে মানুষের মৃত্যু হয়। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন বেসামরিক কর্মকর্তাদের বিচারকাজ তখনো চলছিল। ‘জেলের তালা ভাঙব শেখ মুজিবকে আনব’—এই প্রত্যয়ও ছিল আন্দোলনকারীদের।
১ ফেব্রুয়ারি আইয়ুব খান তাঁর কঠোর নীতি থেকে সরে এসে আলোচনার প্রস্তাব দেন। বঙ্গবন্ধুকে প্যারোলে মুক্তি দিতে চাইলেও তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। ৬ ফেব্রুয়ারি আইয়ুব খান ঢাকায় এলে তাঁর বিরুদ্ধে নানা রকম প্রচারণা চলতে থাকে। আইয়ুব খান গেটের নাম পরিবর্তন করে আসাদ গেট করা হয়। ৯ ফেব্রুয়ারি ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ শপথ দিবস পালন করে। কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দীন আহমদ, মতিয়া চৌধুরী, রাশেদ খান মেননসহ অনেকে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। কিন্তু আইয়ুব খান অস্বীকৃতি জানান এবং ১২ ফেব্রুয়ারি চলে যান। ১৪ ফেব্রুয়ারি রাজনৈতিক জোট ‘ডাক’ হরতাল পালন করে। ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা সেনানিবাসে আগরতলা ষড়যন্ত্রমূলক মামলার অন্যতম আসামি সার্জেন্ট জহুরুল হককে মেরে ফেলা হয়। এই খবর প্রচারিত হতেই বারুদের মতো জনতা রাস্তায় বের হয়ে আসে। সেদিন ক্ষুব্ধ জনতা মন্ত্রীদের বাড়িসহ অনেক উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের বাসায় আগুন লাগিয়ে দেয়। উদ্ভূত পরিস্থিতি প্রাদেশিক সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। কেন্দ্রীয় সরকার সামরিক বাহিনীর মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। সান্ধ্যকালীন আইন জারি করে। সার্জেন্ট জহুরুল হকের মৃত্যুর খবরে সারা দেশে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে।
১৮ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল করার চেষ্টা করে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ভাষাসৈনিক শামসুজ্জোহা স্পষ্টতই দেখতে পান আন্দোলনকারী ছাত্ররা মিছিল বের করলে অনেক ছাত্রের জীবননাশের আশঙ্কা রয়েছে। তিনি নিজের জীবন বাজি রেখে ছাত্রদের সামনে গিয়ে দাঁড়ান। সামনেই ছিল সেনাসদস্যরা। শামসুজ্জোহা নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন সেনাসদস্যদের। কিন্তু সেনাসদস্যরা তাঁর সব কথা উপেক্ষা করে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে।
শামসুজ্জোহা বলেছিলেন যদি সেনাবাহিনী গুলি করে, তা হলে প্রথমে তাঁর সামনে তিনি নিজেই দাঁড়াবেন। তাঁর কথাই সত্যি হয়েছে। এই খবর ঢাকায় পৌঁছামাত্র ঢাকার রাজপথ আন্দোলনকারীরা প্রকম্পিত করে তোলে। পরবর্তী আন্দোলনের মাত্রা এতটাই দুর্দমনীয় ছিল যে, নিঃশর্তভাবে বঙ্গবন্ধুকে ছেড়ে দিতে পাকিস্তান সরকার বাধ্য হয় এবং জেল থেকে মুক্তি পেয়েই তিনি ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ১১ দফার সঙ্গে একমত পোষণ করেন। এভাবেই গণমানুষের স্বাধিকারের সংগ্রাম স্বাধীনতার দিকে ধাবিত হয়। ঊনসত্তরে আসাদুজ্জামান, সার্জেন্ট জহুরুল হক, শামসুজ্জোহা—এ তিনজনের মৃত্যুর শোক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়েছিল। আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি অকুতোভয় শিক্ষক শামসুজ্জোহার মৃত্যু দিবস। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবছর দিবসটিকে জোহা দিবস হিসেবে পালন করে। সব বিশ্ববিদ্যালয়ে এ দিবসটিকে জোহা দিবস হিসেবে পালন করা প্রয়োজন। মৃত্যু দিবসে তাঁর প্রতি নিবেদন করছি সশ্রদ্ধ অঞ্জলি।
তুহিন ওয়াদুদ: শিক্ষক, বাংলা বিভাগ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।
No comments