ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে-শল্যচিকিৎ সায় ‘ভুল’
গত মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) জাহাঙ্গীর খান নামের এক ব্যক্তির পায়ে অস্ত্রোপচারের সময় মারাত্মক ভুল হয়েছে। তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আঘাত পেয়েছিলেন ডান পায়ে, কিন্তু একজন শল্যচিকিৎ সক অস্ত্রোপচার চালিয়েছেন তাঁর বাঁ পায়ে।
যে পা-টি দুর্ঘটনায় অক্ষত ছিল, হাসপাতালে এসে সেটি বিক্ষত হয়েছে। শল্যচিকিৎ সক অস্ত্রোপচার করে বাঁ পায়ে ঢুকিয়েছেন রড। রোগীর আত্মীয়স্বজন শল্যচিকিৎ সককে জানান, রোগীর সমস্যা বাঁ পায়ে নয়, ডান পায়ে। কিন্তু শল্যচিকিৎ সক প্রথমে তা কর্ণপাত করতে রাজি হননি। তিনি যে ভুল করেছেন, তা স্বীকারও করতে চাননি। কিন্তু স্বীকার না করে তো উপায় নেই। পরে ভুলটা ঠিক ধরা পড়েছে। তখন সুস্থ বাঁ পায়ে ঢোকানো রডটি খুলে ঢোকানো হয়েছে ভেঙে যাওয়া ডান পায়ে। রোগীর যন্ত্রণা-ধকলের কথা বলাই বাহুল্য, পরে সাতজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎ সককে আড়াই ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে জাহাঙ্গীর খানের পায়ে।
এই ‘ভুল’ চিকিৎ সার ঘটনা তদন্ত করার লক্ষ্যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যথারীতি গঠন করেছে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি। আমরা সেই কমিটির তদন্তের ফলাফল ও তার পরিপ্রেক্ষিতে কী প্রতিকারমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তা জানার অপেক্ষায় রইলাম।
এটি কোনো বিরল ঘটনা নয়। এই পঙ্গু হাসপাতালেই গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে একই ধরনের ভুল অস্ত্রোপচারের শিকার হয়েছিলেন কণিকা রহমান নামের এক নারী। অতীতে এমন ঘটনাও ঘটেছে, অস্ত্রোপচার করে অসুস্থ পা কেটে ফেলার বদলে ভুল করে কেটে ফেলে দেওয়া হয়ে সম্পূর্ণ সুস্থ পা। পাকস্থলীতে অস্ত্রোপচার শেষে ছুরি-কাঁচি বা গজ-ব্যান্ডেজ ভেতরে রেখেই পেট সেলাই করে দেওয়া হয়েছে—এমন ঘটনাও ঘটেছে অতীতে।
পেশাগত নৈতিকতা ও মানবিক বোধ থেকে রোগীর প্রতি চিকিৎ সকের যেটুকু মনোযোগ প্রত্যাশিত, তা নিশ্চিত করা গেলে এ ধরনের ভুল এড়ানো সম্ভব। ভুল চিকিৎ সার দায়ে চিকিৎ সকদের বিচার ও শাস্তির বিধান অনেক দেশের চিকিৎ সাব্যবস্থায় জবাবদিহি সৃষ্টিতে সহায়ক হয়েছে। আমাদের দেশে ভুল চিকিৎ সায় রোগীর মৃত্যু হলেও চিকিৎ সকের বিচার বা শাস্তির ঘটনা অত্যন্ত বিরল। এভাবে চলতে দেওয়া যায় না। পঙ্গু হাসপাতালের এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হোক।
এই ‘ভুল’ চিকিৎ সার ঘটনা তদন্ত করার লক্ষ্যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যথারীতি গঠন করেছে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি। আমরা সেই কমিটির তদন্তের ফলাফল ও তার পরিপ্রেক্ষিতে কী প্রতিকারমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তা জানার অপেক্ষায় রইলাম।
এটি কোনো বিরল ঘটনা নয়। এই পঙ্গু হাসপাতালেই গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে একই ধরনের ভুল অস্ত্রোপচারের শিকার হয়েছিলেন কণিকা রহমান নামের এক নারী। অতীতে এমন ঘটনাও ঘটেছে, অস্ত্রোপচার করে অসুস্থ পা কেটে ফেলার বদলে ভুল করে কেটে ফেলে দেওয়া হয়ে সম্পূর্ণ সুস্থ পা। পাকস্থলীতে অস্ত্রোপচার শেষে ছুরি-কাঁচি বা গজ-ব্যান্ডেজ ভেতরে রেখেই পেট সেলাই করে দেওয়া হয়েছে—এমন ঘটনাও ঘটেছে অতীতে।
পেশাগত নৈতিকতা ও মানবিক বোধ থেকে রোগীর প্রতি চিকিৎ সকের যেটুকু মনোযোগ প্রত্যাশিত, তা নিশ্চিত করা গেলে এ ধরনের ভুল এড়ানো সম্ভব। ভুল চিকিৎ সার দায়ে চিকিৎ সকদের বিচার ও শাস্তির বিধান অনেক দেশের চিকিৎ সাব্যবস্থায় জবাবদিহি সৃষ্টিতে সহায়ক হয়েছে। আমাদের দেশে ভুল চিকিৎ সায় রোগীর মৃত্যু হলেও চিকিৎ সকের বিচার বা শাস্তির ঘটনা অত্যন্ত বিরল। এভাবে চলতে দেওয়া যায় না। পঙ্গু হাসপাতালের এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হোক।
No comments