খোলা হাওয়া-ভবিষ্যতে কোন ভাষায় গাওয়া হবে একুশের গান? by সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম

১৯৫২ সালে বাংলা ভাষা যে হুমকির মুখে ছিল, তার মূলে ছিল উপনিবেশী শাসন, যা ছিল সংখ্যাগুরুর ওপর চাপিয়ে দেওয়া সংখ্যালঘুর শাসন। তার বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল বাংলা ভাষাভাষী বেশির ভাগ মানুষ। বাংলা ভাষাভাষী কিছু মানুষ অবশ্য সেই শাসনের পক্ষে ছিল, যেহেতু তারা ছিল সুবিধাভোগী অথবা চরিত্রগতভাবে ক্ষমতার পদলেহী।


এদের কেউ কেউ বঙ্গেতে জন্মেও বঙ্গবাণীর প্রতি হিংসা পোষণ করেছে, তাদের জন্ম নির্ণয় করা তাই আবদুল হাকিমের মতো আমাদের পক্ষেও দুরূহ। তারা রোমান হরফে, আরবি হরফে বাংলা লেখার প্রচলনের চেষ্টা করেছে। তারা বাংলা ভাষায় প্রচুর আরবি-ফার্সি শব্দ ঢুকিয়ে এর ইসলামীকরণ সম্পন্ন করতে চেয়েছে। কিন্তু একটি ভাষার শক্তি যেকোনো মুহূর্তে এর ব্যবহারকারীদের মোট শক্তির সমান। ফলে বাংলা ভাষার বিরুদ্ধবাদীরা পরাস্ত হয়েছে, যেহেতু তারা সংখ্যায় বিস্তর ছিল না।
পেছন ফিরে এই কথাটি এখন বলা যায়, উপনিবেশী হুমকি ছিল বলেই বাংলা ভাষা ব্যবহারকারীদের শক্তির একটি ব্যাপক সমাবেশ ঘটেছিল। শত্রু চিহ্নিত ছিল, তাই শত্রুর বিরুদ্ধে সমগ্রের ওই শক্তি নিয়ে আমরা প্রতিরোধ গড়তে পেরেছিলাম এবং একবার যখন মাতৃভাষার শক্তিতে নিজেদের অবস্থানগত দুর্বলতাটুকু আমরা কাটিয়ে উঠতে পারলাম, ভাষার সঙ্গে সম্পর্কিত প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমরা নতুন নির্মাণ তুলতে থাকলাম। আর ভাষার সঙ্গে সম্পর্ক নেই, জীবনের এ রকম কোনো উদ্যোগ-ক্ষেত্র কি আছে? ভাষার সঙ্গে শুধু শিক্ষা অথবা সাহিত্য অথবা সংস্কৃতিরই অঙ্গাঙ্গি সম্পর্ক, তা তো নয়; ভাষার সঙ্গে সংযোগ আছে অর্থনীতির, রাজনীতির, নীতিদর্শনের অথবা লোকবীক্ষণের। ভাষার কাঠামোটি চেতনার অনেক গভীরে স্থাপিত, এতে বিনিয়োগ আছে ঐতিহ্যের, আবেগের, নন্দনচিন্তার। ভাষা যত বিকশিত হয়, এর দার্ঢ্য আর গভীরতা বাড়ে; যত এর মূলটি মাটির গভীরে ছড়ায় এবং এর ডালপালা পল্লবিত হয় সমকালের আলো হাওয়ায়, তত শক্তিশালী হয় এর প্রকাশ। পঞ্চাশ-ষাটের দশকটি সাহিত্য, চিত্রকলা, দর্শন ও শিক্ষার জন্য ছিল অত্যন্ত অনুকূল। এই আনুকূল্য কারও দান ছিল না, অথবা এটি কোনো কাকতালীয় ঘটনাসম্পাতেরও ফল ছিল না। এটি ছিল বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের ফসল—এর সরাসরি অভিঘাত।
৬০ বছর আগে কেমন ছিল আমাদের ভাষা-প্রতিবেশ? এক কথায় প্রতিকূল। সংগ্রামমুখর। একদিকে রাষ্ট্রের বৈরিতা, অন্যদিকে নাগরিক সমাজের এক অংশের চোরাগোপ্তা হামলা এবং ভাষার প্রশ্নে একটি উল্লেখযোগ্য অংশের নিষ্ক্রিয়তা এবং এসবের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ। কিন্তু কেমন ছিল আমাদের ভাষাচিন্তা? এ প্রশ্নের উত্তর একটি শব্দে বা বাক্যে দেওয়া যাবে না, যেহেতু এই চিন্তার একদিকে ছিল সক্রিয়তা, ভাষাকে তার নিজ মর্যাদায় প্রতিষ্ঠা করার প্রতিজ্ঞা ও প্রত্যয় এবং সেই লক্ষ্যে কর্মোদ্যোগ—আরেকদিকে ছিল নতুন শক্তিতে জেগে ওঠা ভাষার ক্রিয়াশীলতার অঞ্চলগুলোর সঙ্গে অন্তরেরও বুদ্ধির সংযোগ শক্তিশালী করা। সে জন্যই সাহিত্য, সংগীত, চলচ্চিত্র, চিত্রকলায় এমন কলরব করে জেগে ওঠা। স্বাধীনতা লাভ পর্যন্ত ১৮টি বছর ছিল নিরন্তর অর্জনের; সংগ্রামের সাফল্যের টুপিতে একের পর এক পালক বসানোর।
পৃথিবীতে একটি দেশই আছে, যার সংবিধান বাংলায় লেখা;
পৃথিবীতে একটি দেশই আছে, যার জাতীয় সংগীত বাংলায় লেখা;
পৃথিবীতে একটি দেশই আছে, যার সরকারি কাজকর্ম হয় বাংলা ভাষায়।
এই ভাষাটি ব্যবহারকারীদের সংখ্যা বিবেচনায় পৃথিবীতে ষষ্ঠ।

২.
কেমন ছিল আমাদের ভাষা-প্রতিবেশ, আজ থেকে ৪০ বছর আগে? প্রতিকূল নিশ্চয় নয়, কিন্তু খুব কি অনুকূল ছিল? এই প্রতিবেশে সক্রিয়তা ছিল, কিন্তু তত দিনে তাতে আগের প্রাবল্যে কিছুটা ভাটা পড়েছে। বাংলা ভাষার কোনো শত্রু বাংলাদেশে নেই, এ রকম তৃপ্তি থেকে আমরা কিছুটা হাল ছেড়ে দিয়েছিলাম, শত্রু নেই, কাজেই পাহারার প্রয়োজন নেই, জেগে থাকার প্রয়োজন নেই। উর্দু বিদায় হয়েছিল। এবার ইংরেজিকে বিদেয় করে দিয়ে আমরা শত্রুমুক্তির স্বস্তি পেয়েছিলাম। কিন্তু আমরা বুঝিনি, ভাষার শত্রু অশিক্ষা, যেহেতু অশিক্ষা ভাষাকে শুধু মৌখিক ব্যবহারে সীমিত রাখে এর সবগুলো রূপের সঙ্গে ব্যবহারকারীদের পরিচিত হতে দেয় না, সাহিত্য-দর্শন-সংস্কৃতি ইত্যাদি ক্ষেত্রে এর কালজয়ী নির্মাণগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগটা দেয় না। ভাষার শত্রু দারিদ্র্য, যা ভাষা ব্যবহারকারীদের প্রতিভা ও মেধা ব্যবহারের সব সুযোগ থেকে—যা ভাষাকেই বারবার শক্তিশালী করে—তাদের বঞ্চিত করে। শত্রু সাম্প্রদায়িকতা, যা মনকে, মানুষকে সংকীর্ণ করে তার ভাষাকেও ম্লান করে। এসব নিয়ে আমরা ভাবিনি, অথচ এদের বিস্তার ঘটছিল।
কেমন ছিল আমাদের ভাষাচিন্তা স্বাধীন বাংলাদেশের শুরুর বছরগুলোতে? স্ববিরোধিতায় ভরা। বাংলা ভাষার প্রতি আমাদের ভালোবাসা প্রবলই ছিল, কিন্তু এর বিকাশে আমরা শক্তি নিয়োগ করিনি, সম্পদের বিনিয়োগ করিনি। শিক্ষাব্যবস্থায় বাংলা উপেক্ষিত হয়েছে। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর যেসব সামরিক ছদ্মবেশী সামরিক শাসক ক্ষমতায় এসেছেন, তাঁরা সাম্প্রদায়িকতাকে বাড়তে দিয়েছেন, সংস্কৃতির বিরুদ্ধে শক্তিকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করেছেন। পাকিস্তানি উপনিবেশের কিছু চিন্তা ও মনোবৃত্তির প্রত্যাবর্তনে তাঁরা সহায়তা করেছেন। এগুলো ভাষাকে দুর্বল করেছে, এর বিকাশ রুদ্ধ করেছে। আশির দশকে এসে বাংলা ভাষার প্রতি এক নতুন হুমকি সৃষ্টি হলো এবং তা এল দৃশ্যমাধ্যমের অঞ্চল থেকে। দৃশ্যমাধ্যম পড়াবান্ধব নয়, ভাষাবান্ধবও নয়—বরং ভাষাকে নিজের প্রয়োজনে নিজের নানা সূত্রের অধীনে ন্যস্ত করতে তা সচেষ্ট থাকে। দৃশ্যমাধ্যম পড়ার সংস্কৃতিকে নিরুৎসাহিত করে। এবং শিক্ষিত-শিক্ষাহীননির্বিশেষে সবার কাছে সহজে পৌঁছানোর জন্য একটি উপায় খোঁজে। যত দিন দৃশ্যমাধ্যম সীমাবদ্ধ ছিল সরকারি টিভি ও সিনেমাতে (এবং বিলবোর্ডসহ আরও দু-এক ক্ষেত্রে), তত দিন এর বাণিজ্যিকীকরণ হয়নি, ফলে এর বাণিজ্যিক প্রকল্পটিও সুপ্ত ছিল। নব্বইয়ের দশকে এসে দৃশ্যমাধ্যম পরিব্যাপ্ত হলে, বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও ইন্টারনেটের আগমন ঘটল। তখনই এর আসল দাপট শুরু হলো।
আশির দশকজুড়ে তাও একটা প্রতিরোধ ছিল, ভাষার শত্রু-মিত্রের ব্যাপারে দ্বিধাও তেমন ছিল না। ভাষার সক্রিয়তার অঞ্চলগুলোতেও কর্মোদ্যোগ থেমে থাকেনি। কিন্তু নব্বইতে এসে দেখা গেল, ভাষার বিকৃতি ঘটছে: মিডিয়া একটি নিজস্ব ভাষা তৈরি করেছে, যার গভীরতা নেই কিন্তু আকর্ষণ আছে, যেহেতু চটজলদি ব্যবহারে তা কার্যকর। দৃশ্যমাধ্যমের স্পর্শের বাইরে যে বিশাল দরিদ্র জনগোষ্ঠী, তারা নিজেদের অঞ্চলের ভাষাই ব্যবহার করেছেন, যাতে শক্তি আছে, ঐতিহ্য আছে, অহংকারও আছে। কিন্তু মিডিয়ার ভাষার প্রভাবে যাঁরা পড়েছেন, তাঁদের অনেকেই মাতৃভাষার অন্য কোনো রূপ খুঁজতে যেতে অনীহা বোধ করেন। তরুণেরা ঝুঁকছে এই ভাষার প্রতি, যেহেতু এটি ‘স্মার্ট’ ও প্রতিষ্ঠানবিরোধী। তাতেও আপত্তি ছিল না, যদি বাংলা ভাষার অন্য রূপগুলো খুঁজে নেওয়ার পক্ষে এটি কোনো বাধা হয়ে না দাঁড়াত। কিন্তু বলা হচ্ছে, মিডিয়ার জগাখিচুড়ি ভাষায় আগামীতে লেখা হবে সাহিত্য, প্রবন্ধ, বিজ্ঞানের অভিসন্দর্ভ। তা হলে এই ভাষায়ই কি হবে আগামীর বাংলা ভাষা?

৩.
ভাষা আন্দোলনের প্রায় ৬০ বছর পর আমাদের ভাষা-প্রতিবেশটা কী রকম, এ প্রশ্নের সহজ উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়। তবে অনুকূল যে নয় তা বলা যাবে। আমরা মাতৃভাষার দাবি প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে বাংলাকেই একমাত্র ভাষা বলে ধরে নিয়েছিলাম। অথচ নিজ দেশে বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর মাতৃভাষাকে আমরা বিলুপ্ত হতে দিয়েছি। বলা যায়, বিলুপ্ত হওয়ার পথ ত্বরান্বিত করেছি। গত ৪০ বছরে এই স্ববিরোধী বিষয়টি আমাদের ভাষা-প্রতিবেশকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। বাংলা ভাষার প্রতি আমাদের আবেগ এখন ফেব্রুয়ারিকেন্দ্রিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইংরেজি এখন প্রবল দাপটে বাংলার অঞ্চলে ঢুকে পড়েছে। না, ইংরেজি শিখে আমরা সেই দক্ষতার সঙ্গে ভাষাটিকে ব্যবহার করছি না, যেমন ভারতীয়রা করছে; আমরা বরং অসংখ্য ইংরেজি শব্দ ঢুকিয়ে বাংলা ভাষাকে একটি জগাখিচুড়ি ভাষায় পরিণত করছি। ইংরেজি শব্দ বাংলাতে প্রচুর আছে এবং ভবিষ্যতেও প্রচুর ঢুকবে তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু তা যদি হতো বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং প্রতিদিনের জীবনযাপনের প্রায়োগিক নানা ক্ষেত্রের শব্দাবলি এবং তাদের প্রবেশের পেছনে থাকত নির্বিকল্প অপরিহার্যতা, তা হলে সমস্যা ছিল না (এবং তা শুধু ইংরেজি কেন, অন্যান্য ভাষার ক্ষেত্রেও হতে পারে); কিন্তু এখন এমন সব ইংরেজি শব্দের প্রাবল্য বাংলা ভাষায়, যেগুলোর মধুর এবং ব্যবহারযোগ্য বিকল্প শব্দ বাংলায় রয়েছে। এখন টিভিতে যেকোনো টক শো শুনুন, দেখুন কী পরিমাণ ইংরেজি শব্দ নির্বিঘ্নে চলে আসছে বাংলায়, যেগুলোর স্বাস্থ্যবান ও সুন্দর প্রতিশব্দ বাংলায় আছে। এ কী আলস্য, নাকি হীনম্মন্যতা? সবিনয়ে জিজ্ঞেস করি, কোনো ইংরেজি ভাষাভাষী কেউ কি তার ভাষায় ‘অনিবার্যতার’ ধুয়া তুলে অকারণ অন্য ভাষার শব্দ ব্যবহার করে? বাক্য অসমাপ্ত রেখে কোনো বয়ান শেষ করে?
জগতে সব সময় আমরাই কেন হীনম্মন্যতার পরাকাষ্ঠা দেখাব? যেমন দেখাত পাকিস্তান আমলে রোমান হরফ-আরবি হরফবাদীরা? আমরা একসময় ছিলাম ব্রিটিশ ও পাকিস্তানি উপনিবেশের নিচে, এখন আছি বিশ্বায়নের নতুন উপনিবেশের নিচে।
আমাদের সময়ে ভাষাচিন্তাটাও তাই জটিল। যাঁরা মিডিয়ার ভাষার প্রবক্তা, তাঁরা বলেন, ভাষার পরিবর্তন হবেই। সে কথা আমরাও মানি; মানি শুধু না, ভাষার পরিবর্তনকে সানন্দে গ্রহণ করি। কিন্তু বিশ্বায়নের উপনিবেশী শক্তি যখন সস্তা একটি বিকৃত ভাষা তৈরি করে এর প্রধান প্রচারমাধ্যমে (অর্থাৎ দৃশ্যমাধ্যমে) তা ছড়িয়ে পণ্যের প্রসার ঘটায়, তখন ওই ভাষা নিয়ে শঙ্কিত হতেই হয়। তরুণেরা ব্যবহার করছে বলেই তার দাবি দাঁড়িয়ে গেল? অনেক তরুণ মাদকও তো ব্যবহার করছে, তা হলে তারও দাবি তৈরি হয়ে যায়? এ নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে, হওয়া উচিত। আমার নিজের কথা হলো, এই ভাষা নাটকে থাকতে পারে, একটি নতুন আঞ্চলিক ভাষা হিসেবে তার নিজের অঞ্চলে থাকতে পারে। কিন্তু তাই বলে বাংলা ভাষার আঞ্চলিক ভাষাগুলোকে এই নতুন ‘আঞ্চলিক’ ভাষা দিয়ে তাড়িয়ে দিতে হবে? আমাদের সাহিত্য ও দর্শনের প্রমিত ভাষাকে ‘প্রাতিষ্ঠানিক’ এবং ‘শক্তিকেন্দ্রের ভাষা’ বলে বাতিল করে দিতে হবে? আর একটি কথা: টেলিভিশন এবং বড় অর্থে দৃশ্যমাধ্যমের, উৎপত্তি যে পশ্চিমে, তার প্রধান দুই দেশ ইংল্যান্ড ও আমেরিকার মানুষজনের ভাষা তো এই ষাট-সত্তর বছরে জগাখিচুড়ি হয়ে যায়নি; যদিও তারা টিভি শুধু দেখছে না, উদ্ভাবনও করেছে। তারা তো তাদের আঞ্চলিক এবং প্রমিত ভাষাগুলো ধরে রেখেছে এখনো। তা হলে আমরাই শুধু ভাষা বদলে ফেলব কেন?
তার কারণ কি ওই দুই শ বছরের বেশি উপনিবেশী শাসন? ভাষা নিয়ে গর্বের অভাব, নাকি আমাদের হীনম্মন্যতা?
তা হলে ভবিষ্যতে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’ গানটি কি আমরা মিডিয়ার ভাষায় গাইব?
সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম: কথাসাহিত্যিক। অধ্যাপক, ইংরেজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

No comments

Powered by Blogger.