শ্রদ্ধাঞ্জলি-শিল্পী হাশেম খান by মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান
হাশেম খানের ছবি সাধারণ মানুষের মন ছুঁয়ে যায়। বিশেষ করে পাঠ্যপুস্তকে তাঁর ছবি দীর্ঘদিন ধরে সংযোজিত হওয়ার কারণে গ্রামগঞ্জ সব মানুষের কাছে তিনি অধিক জনপ্রিয়। তাঁর ছবিতে বাংলার চিরন্তন দৃশ্য সর্বাধিক প্রতিফলিত হয়।
শিশু-কিশোরদের ছবি দেখাই শুধু নয়, পড়াতেও সক্ষম একজন শিল্পী। নাম তাঁর হাশেম খান।
শিশু-কিশোরদের ছবি দেখাই শুধু নয়, পড়াতেও সক্ষম একজন শিল্পী। নাম তাঁর হাশেম খান।
মননে যাঁর মুক্তিযুদ্ধ, চেতনায় স্বাধীনতা। বাংলার অফুরন্ত সাংস্কৃতিক ভাণ্ডারকে পুঁজি করে তিনি আঁকেন। আঁকতে আঁকতে যেন শিল্পের সঙ্গে একাকার হয়ে যান। হাশেম খান সম্পর্কে সহজ উচ্চারণ হতে পারে এটাই।
হাশেম খানের জন্ম ১৯৪১ সালে চাঁদপুর জেলায়। গভর্নমেন্ট ইনস্টিটিউট অব আর্টস থেকে ১৯৬১ সালে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। সিরামিকে রিসার্চ স্কলার হন গভর্নমেন্ট ইনস্টিটিউট অব আর্টসে। জাপানেও শিক্ষা লাভ করেন।
তাঁর উল্লেখযোগ্য একক চিত্র প্রদর্শনী হয় ১৯৮৯ সালে জাপানের টোকিওতে। বিষয় ছিল অলংকরণ। এ ছাড়া ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী, ২০০০ সালে জাতীয় জাদুঘর, ২০০২ সালে শিল্পাঙ্গন গ্যালারি, ২০০৫ সালে বেঙ্গল গ্যালারি অব ফাইন আর্টস, ঢাকায় তাঁর চিত্র প্রদর্শনী হয়।
প্রাপ্তিও তাঁর কম নয়। একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কারের মতো রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ স্বীকৃতি পেয়েছেন তিনি।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ তৈরির জন্য যে ডিজাইন প্রতিযোগিতা হয়, সেখানে জুরি বোর্ডে ছিলেন তিনি। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীতে ন্যাশনাল আর্ট গ্যালারি, ন্যাশনাল থিয়েটার ও ন্যাশনাল মিউজিক সেন্টার নির্মাণের জন্য তিন সদস্যবিশিষ্ট স্টিয়ারিং কমিটিরও সদস্য ছিলেন তিনি।
বাংলা একাডেমীর জীবন সদস্য, এশিয়াটিক সোসাইটির সদস্য, বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতির সদস্য, কচিকাঁচার মেলার উপদেষ্টা (১৯৭০-২০০০), ঢাকা নগর জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, বঙ্গবন্ধু জাদুঘর ও কনকর্ড হেরিটেজ মিউজিয়ামের সদস্য তিনি।
শিল্প সম্পর্কিত অনেক বইয়ের রচয়িতা তিনি। লিখেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গ্রন্থ। শিশুতোষ গ্রন্থগুলোও তাঁকে পাঠক সমাদৃত করেছে।
মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান
হাশেম খানের জন্ম ১৯৪১ সালে চাঁদপুর জেলায়। গভর্নমেন্ট ইনস্টিটিউট অব আর্টস থেকে ১৯৬১ সালে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। সিরামিকে রিসার্চ স্কলার হন গভর্নমেন্ট ইনস্টিটিউট অব আর্টসে। জাপানেও শিক্ষা লাভ করেন।
তাঁর উল্লেখযোগ্য একক চিত্র প্রদর্শনী হয় ১৯৮৯ সালে জাপানের টোকিওতে। বিষয় ছিল অলংকরণ। এ ছাড়া ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী, ২০০০ সালে জাতীয় জাদুঘর, ২০০২ সালে শিল্পাঙ্গন গ্যালারি, ২০০৫ সালে বেঙ্গল গ্যালারি অব ফাইন আর্টস, ঢাকায় তাঁর চিত্র প্রদর্শনী হয়।
প্রাপ্তিও তাঁর কম নয়। একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কারের মতো রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ স্বীকৃতি পেয়েছেন তিনি।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ তৈরির জন্য যে ডিজাইন প্রতিযোগিতা হয়, সেখানে জুরি বোর্ডে ছিলেন তিনি। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীতে ন্যাশনাল আর্ট গ্যালারি, ন্যাশনাল থিয়েটার ও ন্যাশনাল মিউজিক সেন্টার নির্মাণের জন্য তিন সদস্যবিশিষ্ট স্টিয়ারিং কমিটিরও সদস্য ছিলেন তিনি।
বাংলা একাডেমীর জীবন সদস্য, এশিয়াটিক সোসাইটির সদস্য, বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতির সদস্য, কচিকাঁচার মেলার উপদেষ্টা (১৯৭০-২০০০), ঢাকা নগর জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, বঙ্গবন্ধু জাদুঘর ও কনকর্ড হেরিটেজ মিউজিয়ামের সদস্য তিনি।
শিল্প সম্পর্কিত অনেক বইয়ের রচয়িতা তিনি। লিখেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গ্রন্থ। শিশুতোষ গ্রন্থগুলোও তাঁকে পাঠক সমাদৃত করেছে।
মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান
No comments