অধিকার-সাংবিধানিক সংস্কার ও আদিবাসী পরিচয় by দেবাশীষ রায় ওয়াংঝা

অসাম্প্রদায়িকতার যাত্রায় আদিবাসী যাত্রী সুপ্রিম কোর্টের পঞ্চম সংশোধনীর রায়ের মাধ্যমে দেশটি নতুন যাত্রায় নেমে পড়েছে ধর্মনিরপেক্ষতার অন্বেষণে। বৈঠা ধরেছেন শেখ হাসিনা। দাঁড়ে রয়েছে সংসদীয় সংস্কার কমিটি। পাঁচজন আদিবাসী সাংসদও বৈঠা হাতে। প্রশ্ন হলো, দেশের আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর মানুষেরা সেই নৌকার যাত্রী হওয়ার সুযোগ পাবে কি না।


নৌকায় খানিকটা বসার বা দাঁড়ানোর স্থান পেলেও তারা কি তাদের নিজস্ব পোশাক, অলংকার ও অন্যান্য সাজে যেতে পারবে? অন্য কথায়, পুনর্গঠিত অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে আদিবাসীদের স্বকীয়তা, মর্যাদা ও অধিকারের যথাযথ স্থান হবে কি না। নাকি ১৯৬২ ও ১৯৭২-এর মতো সংবিধান প্রণয়নের তরী তাদের ফেলে রেখে আবারও যাত্রা করবে?

সংবিধান ও পরিকল্পনা
বাংলাদেশকে যদি আমরা একটি বাড়ির সঙ্গে তুলনা করি, তাহলে এ দেশের আদিবাসীদের অবস্থান এই বাড়ির মূল ঘরের বাইরে ছোট্ট কুঁড়েঘর অথবা বারান্দা। তাই বাংলাদেশের সংবিধানের সংস্কার ব্যতীত আদিবাসীদের স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা এবং নাগরিক হিসেবে প্রাপ্য মৌলিক অধিকারের বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর আমাদের সংবিধান প্রণয়নের আগে তৎকালীন গণপরিষদের সদস্য মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার বহুত্ববাদ ও সাংস্কৃতিক বহুমাত্রিকতার দাবি যদি গৃহীত হতো, তাহলে হয়তো আজ আর আদিবাসীদের নতুন করে সাংবিধানিক স্বীকৃতির প্রয়োজন হতো না। হয়তো বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয় সংজ্ঞায়িত করতেও এত ঝামেলা হতো না। নাগরিকদের রাষ্ট্রীয় পরিচয়ের বেলায় কৃত্রিমভাবে সৃষ্ট মুসলমান বনাম বাঙালির দ্বন্দ্বও হয়তো বেড়ে ওঠার সুযোগ পেত না।

বাংলাদেশের সংবিধান ও বৈষম্য দূরীকরণ
আগেই বলেছি, সাংবিধানিক সংস্কার ব্যতীত আদিবাসীর পরিচয়, স্বকীয়তা ও অধিকার সংরক্ষণ সম্ভব নয়। তাহলে প্রশ্ন ওঠে, বর্তমান সংবিধানে কি আদিবাসীদের অধিকার সুরক্ষিত না? এ প্রশ্নের সাদামাটা উত্তর হলো, ‘না’। ‘হ্যাঁ’ আপনি বলতে পারেন, কারণ সংবিধানে তো বর্তমানেও লেখা আছে ‘ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষভেদ বা জন্মস্থানের’ কারণে কোনো নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্র বৈষম্য করতে পারবে না। নির্মম বাস্তবতা বলে, বৈষম্যহীনভাবে যদি রাষ্ট্রের আচরণ থাকত, তাহলে কি সুপেয় জল ও চিকিৎসার অভাবে সদ্য সন্তানপ্রসবা আদিবাসী তরুণী মা ও শিশুর জীবন দিতে হতো? উদ্বাস্তু পাহাড়ি শিশুদের বন্য আলু খেয়ে ক্ষুধা নিবারণ করতে হতো? বৌদ্ধ মন্দির নির্মাণ করার জন্য সাধারণ প্রশাসন ও সামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাছে জমির দলিল দেখাতে হতো বা ভাবনা (Maditation) কেন্দ্রের জন্য কেন পাঁচ একর জমির বন্দোবস্ত লাগবে, তা কাগজে-কলমে প্রমাণ দিতে হতো? সম-অধিকার ও বৈষম্যহীনতাসংক্রান্ত বিধানাবলির যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হলে বর্তমান সংবিধানের সংশ্লিষ্ট বিধানসমূহ ঢেলে সাজাতে হবে, যাতে নীতিনির্ধারক ও প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তারা সহজেই বুঝতে পারেন যে ভিন্ন প্রেক্ষাপটে একই রকম পদক্ষেপের মাধ্যমে সর্বদা ন্যায্য ফল পাওয়া যায় না।

সমতা, বৈষম্যহীনতা ও অসাম্প্রদায়িকতা
বর্তমান সংবিধানের সম-অধিকারসংক্রান্ত বিধানাবলির যথাযথ বাস্তবায়ন না হওয়ার পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। একটি প্রধান কারণ হচ্ছে, ‘সমাজের অনগ্রসর’ অংশের মধ্যে কি আদিবাসীরা অন্তর্ভুক্ত কি না এই প্রশ্ন। অন্তর্ভুক্ত হলে রাষ্ট্র তাদের অগ্রগতির জন্য বিশেষ বিধান প্রণয়ন করতে পারবে এবং তা বৈষম্যবিরোধী বিধানের লঙ্ঘন হয়েছে মর্মে বিবেচিত হবে না। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, গেল ১২ ও ১৩ এপ্রিল হাইকোর্ট বিভাগ একটি রিট মামলায় ১৯৯৮ সালের পার্বত্য জেলা পরিষদ (সংশোধনী) আইনের কিছু বিধান সংবিধানবিরোধী ও বেআইনি মর্মে ঘোষণা দেন। অনুরূপভাবে পরিষদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে রাজাদের স্থায়ী বাসিন্দার সনদপত্র প্রদানের বিধানকেও বেআইনি ঘোষণা করেন। আঞ্চলিক পরিষদসংক্রান্ত পুরো আইনটিকেই অসাংবিধানিক মর্মে ঘোষণা দেন। কাজেই এসব বিশেষ বিধানসংক্রান্ত সংবিধানের অনুচ্ছেদসমূহে ‘আদিবাসী’ শব্দের সংযোজন হলে এই অস্পষ্টতার অবসান হবে।

আদিবাসী ও ‘অনগ্রসর’ নাগরিক
পার্বত্য চট্টগ্রামসংক্রান্ত ১৯৯৭ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি-উত্তর আঞ্চলিক পরিষদ ও পার্বত্য জেলা পরিষদের আইনের ভূমিকার অংশে পার্বত্য অঞ্চল এবং সংশ্লিষ্ট জেলাকে ‘অনগ্রসর উপজাতি-অধ্যুষিত এলাকা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এই উল্লেখ ও পাহাড়ি জনগোষ্ঠীসমূহের শিক্ষাগত দুরবস্থা, অনুন্নত যাতায়াতব্যবস্থা, বাজারজাতকরণের সমস্যা, পানীয় জল ও পয়োনিষ্কাশনের অব্যবস্থা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার অপ্রতুলতা, বিদ্যুতের অভাব ইত্যাদি দেখিয়েও বদীউজ্জমানের মামলায় হাইকোর্টের ‘অনগ্রসরতার’ অগ্নিপরীক্ষা পাস করতে পারল না আইনের সংশ্লিষ্ট বিধানসমূহ। এই রায়ের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ অবশ্যই করি, যেহেতু আঞ্চলিক পরিষদের আইনজীবীদের মধ্যে ব্যারিস্টার ড. কামাল হোসেন ও ব্যারিস্টার সারা হোসেনের সঙ্গে আমিও ছিলাম। কিন্তু আমার আপত্তি এই মুহূর্তে ‘অনগ্রসর’ শব্দ নিয়ে।
যেকোনো এলাকা অনগ্রসর হতে পারে, উন্নয়নের মাপকাঠিতে যেভাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ও জেলা পরিষদ আইনে লেখা আছে। তবে নাগরিকের অংশ কীভাবে অনগ্রসর হয়? ‘অনগ্রসর’ পার্বত্য চট্টগ্রামের জুমিয়া কৃষকের মেয়ে বা ছেলে যখন কোটায় ভর্তির পর পাস করে চিকিৎসক বা প্রকৌশলী হয়? তার আগে পরীক্ষার খাতায় নম্বর বণ্টনের সময় কি তাকে ‘কোটার’ জন্য অতিরিক্ত নম্বর দেওয়া হয়? কখনো না। পার্বত্য অঞ্চলের আদিবাসীরা ‘প্রান্তিক’ জনগোষ্ঠীর সদস্য হতে পারে, ‘সুযোগবঞ্চিত’ হতে পারে, ‘অধিকারবঞ্চিত’ তো বটেই, তবে কোনো যুক্তিতে তাদের ‘অনগ্রসর’ বলা যায় না।

ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে সাংবিধানিক বিধানাবলি ও বাংলাদেশের সংবিধান
ব্রিটিশ আমলে পার্বত্য চট্টগ্রামের তৎকালীন রাজাদের সঙ্গে পরামর্শ করে ভারতে শাসন আইন ১৯১৫ ও ১৯১৯ এবং ভারত শাসন আইন ১৯৩৫-এ পার্বত্য অঞ্চলের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা (যথাক্রমে ‘Backward Tracts’ I ‘Excluded Area’) রেখে দেওয়া হয়েছিল। পাকিস্তানে ১৯৫৬ সালের সংবিধানে Excluded Area-এর মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখা হয়, তবে ১৯৬২ সালের সংবিধানে এর মর্যাদা ‘Tribal Area’-মর্যাদায় রূপান্তরিত করা হয়। ইতিহাসের নির্মম পরিহাস যে পাকিস্তান আমলে যখন পার্বত্য অঞ্চলে গণতন্ত্রের নামে ভোটাধিকার প্রদান করা হয়, তার পরই Tribal Area-এর মর্যাদা তুলে দেওয়া হয়। এর পরপরই ঢাকার হাইকোর্ট মোস্তফা আনসারীর রিট মামলায় পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশনে বহিরাগত বহিষ্কারসংক্রান্ত বিধান, Rule 51-কে সংবিধানবিরোধী ও বেআইনি মর্মে ঘোষণা দেন। এতে পার্বত্য অঞ্চলে অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাঙালি অভিবাসনের সূচনা হয়।
১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের সংবিধানে ময়মনসিংহের শ্রীবর্দী, নালিতাবাড়ী, হালুয়াঘাট, ফুলপুর, দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা ‘Partially Excluded Area’ হিসেবে স্বীকৃত ছিল। কবে এবং কীভাবে এই অঞ্চলের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়া হয়, তা আমার জানা নেই। ষাটের দশক থেকে তৎকালীন প্রাদেশিক সরকারের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় এই অঞ্চলে অন্যান্য অঞ্চল থেকে অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাঙালি অভিবাসনের সুযোগ করে দেওয়া হয়। বর্তমান সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন হালুয়াঘাট থেকে অনেকবার নির্বাচিত হয়েছেন। তবে ভবিষ্যতে তাঁর মতো অন্য কোনো গারো (মান্দি) বা অন্য আদিবাসী সমতল অঞ্চল থেকে নির্বাচিত হতে পারবেন তার আশা ক্ষীণ, যদি না আদিবাসীদের জন্য সংসদে বিশেষ আসনের ব্যবস্থা করা হয়। খাগড়াছড়ি জেলা থেকে বিগত দুই দশকে দুবার বাঙালি সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। তাই পার্বত্য এলাকার রাজনৈতিক নেতারা ও নাগরিক সমাজের নেতারা পার্বত্য চট্টগ্রামের সংসদীয় আসনসহ বিশেষসংখ্যক আদিবাসী সংসদীয় আসন সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছেন। কিছুটা ভারতের মতো ও নিউজিল্যান্ডের মাওরি আদিবাসীদের জন্য সাধারণ সংসদীয় আসন অথবা মাওরি সংরক্ষিত আসনে তাদের পছন্দ অনুসারে ভোট দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে।

আদিবাসী ও অ-আদিবাসী
সাংবিধানিকভাবে আদিবাসীদের পরিচয়কে স্বীকৃতি দেওয়া হলে তাদের জাতিগোষ্ঠীর স্বকীয়তা রেখে বাংলাদেশের উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় আদিবাসীরা সম্পৃক্ত হতে পারবে। আদিবাসী স্বীকৃতির মাধ্যমে বাঙালি জনগোষ্ঠী যে আদিবাসী-অধ্যুষিত এলাকায় দ্বিতীয় বা তৃতীয় শ্রেণীর নাগরিকে পরিণত হবে, তা বিশ্বাস করা অবাস্তব। যথাযথ স্বীকৃতি পেলে আদিবাসীরা বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় পরিবারের পূর্ণ সদস্যপদ পাবে মাত্র এবং একটা মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে কথা বলার সুযোগ পাবে।
আদিতে থাকা ছাড়াও আদিবাসীদের আদিবাসী পরিচয়ের আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য বা সূচক রয়েছে, যা আন্তর্জাতিক বিভিন্ন চুক্তি, সনদ ও প্রতিবেদনে স্বীকৃত। এর মধ্যে হলো (১) তাদের প্রান্তিক অবস্থান, (২) প্রথাগত আইন অনুসরণ করে সনাতনী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও বিরোধ নিষ্পত্তি করা, (৩) প্রাচীন আবাসভূমির সঙ্গে সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক ও আত্মিক সম্পর্ক থাকা, (৪) নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি ও কৃষ্টি থাকা।
তবে অধিকারের দৃষ্টিতে আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিচয় আধুনিক রাষ্ট্র গঠন ও উন্নয়নের প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রের প্রশাসনিক কাঠামো নির্ধারণ, সংবিধান ও প্রাকৃতিক সম্পদের মালিকানাসংক্রান্ত আইন ও বিধান রচনায় তাদের অসম্পৃক্ততা।

আদিবাসী অধিকার সংরক্ষণে অন্যান্য সাংবিধানিক রক্ষাকবচ
আদিবাসীদের পরিচয় যথাযথভাবে স্বীকৃতি প্রদান ছাড়াও আদিবাসীদের স্বকীয়তা ও অধিকার রক্ষায় সংবিধানে অন্যান্য সম্পূরক বিধান সংযোজনের প্রয়োজন রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সম-অধিকার বিধানে আদিবাসীদের প্রত্যক্ষ উল্লেখ (যা আগে বলেছি), সংবিধানসহ অন্যান্য আইন সংস্কারের প্রক্রিয়ায় আদিবাসীদের যথাযথভাবে সম্পৃক্ত করা, সংসদে ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে আদিবাসীদের জন্য বিশেষ সংরক্ষিত আসন রাখা এবং আদিবাসীদের অধিকার রক্ষা করে সেসব আইন সাংবিধানিকভাবে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা— যথা—পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন ১৯০০, পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন ১৮৮৯ (১৯৯৮-এর সংশোধনীসহ), পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আইন ১৯৯৮।

সাংবিধানিক সংস্কার ও বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বহুমাত্রিকতা
আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিলে দেশের বহুমাত্রিক সংস্কৃতি ও বহুত্ববাদ প্রতিষ্ঠায় দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তা না হলে পঞ্চম সংশোধনীর রায় কার্যকর করতে গিয়ে অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গড়া যাবে না।
রাষ্ট্রকে জাতিনিরপেক্ষ, ভাষানিরপেক্ষ, শ্রেণীনিরপেক্ষ ও লিঙ্গনিরপেক্ষ হতে হবে। আমাদের দেশের ইতিহাসে অসাম্প্রদায়িক শাসক ছিলেন, কবি ছিলেন, গায়ক ও গায়িকা ছিলেন, শিল্পী ছিলেন। স্মরণ করি পাল রাজা, সেন রাজা, মুসলমান সুলতান ও নবাব, লালন ফকির, হাসন রাজা, নজরুল ইসলাম ও শামসুর রাহমানকে। তাঁদের উত্তরসূরি হয়ে আমরাও জাতি হিসেবে তাঁদের দর্শন ও নীতি অনুসরণ করলে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা হবে এবং বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের সম্মান ও গৌরব বাড়বে।
দেবাশীষ রায় ওয়াংঝা: চাকমা সার্কেলপ্রধান ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী।

No comments

Powered by Blogger.