বন্য প্রাণী হত্যা ও পাচারের জালটাকেই ধ্বংস করতে হবে-বাঘ-ঘাতকেরা
সুন্দরবনে বাঘ প্রায় নেই, কিন্তু ঢাকায় বাঘের চামড়া বিক্রি হয়। চোরাকারবারিদের কাছে বাঘের জীবনের মূল্য না থাকলেও বাঘের চামড়া, মাথা, হাড় প্রভৃতির মূল্য তারা বোঝে। সুন্দরবনের রাজকীয় বঙ্গশার্দূল অতি ধুরন্ধর ও প্রতাপশালী প্রাণী। তাকে ঘায়েল করা পেশাদার শিকারি ছাড়া সম্ভব নয়।
এ ধরনের শিকারির অভাব নেই, তাদের পৃষ্ঠপোষকেরাও ক্ষমতাবান এবং বাঘের ব্যবসা তাদের জন্য লোভনীয়। সম্প্রতি বাগেরহাটে এ রকম এক শিকারি তিনটি বাঘের চামড়া, চারটি মাথা, ৩১ কেজি হাড়সহ ধরা পড়েছে।
সম্প্রতি বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইন সংস্কার করা হয়েছে। এ আইনে ইচ্ছাকৃত বা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে বাঘ হত্যা কিংবা এর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রির জন্য পরিবহনের সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে ১২ বছরের কারাদণ্ড অথবা ৩০ লাখ থেকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা। দণ্ড যতই গুরুতর হোক, শাস্তির ভয়ে পেশাদার অপরাধীরা বিরত হয় না। বাগেরহাটে ধরা পড়া বাঘ শিকারির কাহিনিটিও রোমাঞ্চকর। দেড় মাস বনের মধ্যে থেকে কৌশলে তারা চারটি বাঘ শিকার করেছে। তাদের সঙ্গে বনদস্যু চক্রের যোগসাজশও রয়েছে। তাদের বন্য প্রাণীর ব্যবসা ঢাকা পর্যন্ত প্রসারিত। অনুমান করা যায়, চক্রটি ঢাকায়ই শেষ হয়নি, এদের নেটওয়ার্ক বিদেশেও আছে এবং বিদেশিরাই এসব পণ্যের প্রধান ক্রেতা।
বন বিভাগকে ধন্যবাদ যে তারা কয়েকজন বাঘ হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে। কিন্তু চোরাচালানের পুরো নেটওয়ার্কটি ধরা না গেলে বাঘ নিধন থামবে না। বন বিভাগের পক্ষে সম্ভব নয় সমগ্র সুন্দরবন পাহারা দেওয়া। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে বাঘ হত্যা ও পাচার চক্রের হোতাদের ধরা অসম্ভব নয়। অনেক ক্ষেত্রে বন বিভাগের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাও অর্থের বিনিময়ে এসব চক্রের অংশ হয়ে যান। বন মন্ত্রণালয়কে তাই বন বিভাগ শুদ্ধ করতে হবে। পাশাপাশি বনজীবী জনগোষ্ঠী, যারা বনকে মা মনে করে, তাদেরও বন ও বন্য প্রাণী রক্ষা কার্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। দুনিয়ার অনেক দেশেই এই পদ্ধতি কার্যকর হয়েছে।
সম্প্রতি বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইন সংস্কার করা হয়েছে। এ আইনে ইচ্ছাকৃত বা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে বাঘ হত্যা কিংবা এর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রির জন্য পরিবহনের সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে ১২ বছরের কারাদণ্ড অথবা ৩০ লাখ থেকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা। দণ্ড যতই গুরুতর হোক, শাস্তির ভয়ে পেশাদার অপরাধীরা বিরত হয় না। বাগেরহাটে ধরা পড়া বাঘ শিকারির কাহিনিটিও রোমাঞ্চকর। দেড় মাস বনের মধ্যে থেকে কৌশলে তারা চারটি বাঘ শিকার করেছে। তাদের সঙ্গে বনদস্যু চক্রের যোগসাজশও রয়েছে। তাদের বন্য প্রাণীর ব্যবসা ঢাকা পর্যন্ত প্রসারিত। অনুমান করা যায়, চক্রটি ঢাকায়ই শেষ হয়নি, এদের নেটওয়ার্ক বিদেশেও আছে এবং বিদেশিরাই এসব পণ্যের প্রধান ক্রেতা।
বন বিভাগকে ধন্যবাদ যে তারা কয়েকজন বাঘ হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে। কিন্তু চোরাচালানের পুরো নেটওয়ার্কটি ধরা না গেলে বাঘ নিধন থামবে না। বন বিভাগের পক্ষে সম্ভব নয় সমগ্র সুন্দরবন পাহারা দেওয়া। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে বাঘ হত্যা ও পাচার চক্রের হোতাদের ধরা অসম্ভব নয়। অনেক ক্ষেত্রে বন বিভাগের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাও অর্থের বিনিময়ে এসব চক্রের অংশ হয়ে যান। বন মন্ত্রণালয়কে তাই বন বিভাগ শুদ্ধ করতে হবে। পাশাপাশি বনজীবী জনগোষ্ঠী, যারা বনকে মা মনে করে, তাদেরও বন ও বন্য প্রাণী রক্ষা কার্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। দুনিয়ার অনেক দেশেই এই পদ্ধতি কার্যকর হয়েছে।
No comments