বিড়াল ইঁদুর ধরে কি না সেটাই বিষয়-রেলের অতিরিক্ত দায়িত্ব পেলেন ওবায়দুল কাদের
সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বিদায়ের পর রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত দায়িত্ব পেয়েছেন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল বুধবার সরকারি কার্যবিধিমালা ১৯৯৬ অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে এই দায়িত্ব দিয়েছেন। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
ওবায়দুল কাদের অতিরিক্ত দায়িত্ব নিয়েই বেলা দেড়টার দিকে রেল ভবনে যান। তিনি রেলের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিড়ালটি কালো কি ধলা, সেটি প্রশ্ন নয়, বিড়ালটি ইঁদুর ধরে কি না, সেটাই বিষয়।’
সহকারী একান্ত সচিবের (এপিএস) অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনায় রেল মন্ত্রণালয় থেকে সুরঞ্জিতের পদত্যাগের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ওই ঘটনার স্বচ্ছ তদন্তের স্বার্থেই মন্ত্রী সরে গেছেন অথবা প্রধানমন্ত্রী সরে যেতে বলেছেন। হয়তো উনি থাকলে তদন্তের বিষয়ে সন্দেহ থাকত। আমার মনে হয়, তিনি নৈতিক অবস্থান থেকেই সরে গেছেন। এখন সুষ্ঠু তদন্তে কোনো বাধা নেই। তবে তদন্তে প্রমাণিত হওয়ার আগে কাউকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলা যাবে না।’ এ ছাড়া রেলের ‘নিয়োগ-বাণিজ্য’ সম্পর্কে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নিয়োগে অনিয়ম হলে আমি এই চেয়ারে বসে তা হতে দেব না। প্রয়োজনে নতুন করে পরীক্ষা নেব। নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকব।’
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার আগে ওবায়দুল কাদের রেল ভবনে মন্ত্রীর কক্ষে বসে কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি আপনাদের কাছে পারসেন্টেজ চাই না। আমি অনিয়ম করি না। অনিয়ম সহ্য করব না। রেলকে লোকসান থেকে লাভের ধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে। অনিয়ম থেকে নিয়মে আনতে হবে। দিনের ফাইল দিনেই সই করতে হবে।’ তিনি বলেন, রেলমন্ত্রীর এই দায়িত্ব সাময়িক। রেলের সময়সূচি ও টিকিটিং-ব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তন আসার কথা উল্লেখ করে বিদায়ী রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
৯ এপ্রিল মধ্যরাতে এপিএস ওমর ফারুকের গাড়িতে ৭০ লাখ টাকা পাওয়ার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ১৬ এপ্রিল রেলমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। পরে গত মঙ্গলবার তাঁকে অব্যাহতি দিয়ে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী করা হয়।
সহকারী একান্ত সচিবের (এপিএস) অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনায় রেল মন্ত্রণালয় থেকে সুরঞ্জিতের পদত্যাগের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ওই ঘটনার স্বচ্ছ তদন্তের স্বার্থেই মন্ত্রী সরে গেছেন অথবা প্রধানমন্ত্রী সরে যেতে বলেছেন। হয়তো উনি থাকলে তদন্তের বিষয়ে সন্দেহ থাকত। আমার মনে হয়, তিনি নৈতিক অবস্থান থেকেই সরে গেছেন। এখন সুষ্ঠু তদন্তে কোনো বাধা নেই। তবে তদন্তে প্রমাণিত হওয়ার আগে কাউকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলা যাবে না।’ এ ছাড়া রেলের ‘নিয়োগ-বাণিজ্য’ সম্পর্কে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নিয়োগে অনিয়ম হলে আমি এই চেয়ারে বসে তা হতে দেব না। প্রয়োজনে নতুন করে পরীক্ষা নেব। নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকব।’
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার আগে ওবায়দুল কাদের রেল ভবনে মন্ত্রীর কক্ষে বসে কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি আপনাদের কাছে পারসেন্টেজ চাই না। আমি অনিয়ম করি না। অনিয়ম সহ্য করব না। রেলকে লোকসান থেকে লাভের ধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে। অনিয়ম থেকে নিয়মে আনতে হবে। দিনের ফাইল দিনেই সই করতে হবে।’ তিনি বলেন, রেলমন্ত্রীর এই দায়িত্ব সাময়িক। রেলের সময়সূচি ও টিকিটিং-ব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তন আসার কথা উল্লেখ করে বিদায়ী রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
৯ এপ্রিল মধ্যরাতে এপিএস ওমর ফারুকের গাড়িতে ৭০ লাখ টাকা পাওয়ার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ১৬ এপ্রিল রেলমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। পরে গত মঙ্গলবার তাঁকে অব্যাহতি দিয়ে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী করা হয়।
No comments