উইকেটকে দুষলেন হতাশ মুশফিক
লেন্ডল সিমন্স যেন বনে গেলেন বাংলাদেশের বিচারক। হলেন বিব্রত। সর্বশেষ ১০ ওয়ানডেতে যাঁর সাতটি ফিফটি এবং এক সেঞ্চুরি, তিনি কি ক্রিস গেইলের অভাব ভুলিয়ে দিতে পারছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে? প্রশ্নটার সামনে পড়ে ক্রিজের ডাকাবুকো সিমন্স যেন বিব্রত হলেন ভীষণভাবে। প্রশ্নটা ঠেলে দিলেন পাশে বসে থাকা মিডিয়া ম্যানেজারের দিকে।বাংলাদেশের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমকে অবশ্য বিব্রত হতে হয়নি কোনো প্রশ্নে। মাঠে দলের পারফরম্যান্সও যে তেমন ছিল না। অভিন্ন মাঠে অভিন্ন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে সর্বশেষ ওয়ানডেতে ৫৮ রানের দুঃস্বপ্ন আছে যেখানে, সেখানে ২৫৮ তো সম্মানজনক স্কোর।
বাংলাদেশ অধিনায়কের দাবি, ৪০ রানের ব্যবধান ঘুচিয়ে এই ম্যাচ জিততেও পারত স্বাগতিক দল। শুধু বেশ কিছু 'যদি-কিন্তু' মিলে গেলেই হতো।মুশফিকের সবচেয়ে বড় হতাশা উইকেটের আচরণে। মিরপুরের ২২ গজের চৌকো আয়তক্ষেত্র যে কাল প্রত্যাশিত করেনি! 'টোয়েন্টি টোয়েন্টি ম্যাচেও এ উইকেটে থেকে অনেক টার্ন পেয়েছিল আমাদের স্পিনাররা। আজ তেমন কিছুই হয়নি। একজন স্পিনারের সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে টার্ন। সেটি না পাওয়া গেলে হতাশ হওয়াই স্বাভাবিক'_বলেছেন মুশফিক। পাশাপাশি ক্যারিবিয়ানদের ব্যাটিংয়েরও প্রশংসা করেছেন তিনি, 'ওরা পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলেছে। সে কৃতিত্ব ওদের দিতেই হবে।'
পরিকল্পিত ব্যাটিং করে ৩০০ ছুঁই ছুঁই স্কোর করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এত বড় রান তাড়া করায় তামিম ইকবালের ঝোড়ো শুরুর প্রয়োজন ছিল বেশি করে। সেটি পারেননি তিনি। ৩৮ বলে ২১ রান বরং তাঁর সঙ্গে বেমানান। সতীর্থকে অবশ্য তার পরও ডিফেন্ড করেছেন মুশফিক, '২৯৯ তাড়া করার সময় কিভাবে ব্যাটিং করতে হয়, তামিম সেটি জানে। ওকে বলার কিছু নেই। আসলে ওর অনেক বল সরাসরি ফিল্ডারের কাছে চলে গিয়েছিল। ওগুলো বাউন্ডারি হলে অন্যরকম হতে পারত। আমার মনে হয়, তামিমের ভুল ছিল সেট হওয়ার পর ওভাবে আউট হয়ে যাওয়া।' তার পরও ওই রান তাড়া করাটা অসম্ভব ছিল না বলে মুশফিকের দাবি, 'অনেক আগে থেকেই আমাদের সমস্যা, ২০-৩০ বা ফিফটি করে আউট হয়ে যাই। এ রকম ভালো উইকেটে সেট হলে বড় রান করা উচিত। নাঈম বা ইমরুল যদি বড় রান করত, তাহলে ওদের স্কোরের কাছাকাছি যেত পারতাম আমরা। তাদের একজন সেঞ্চুরি করলে এমনকি জিততেও পারতাম।'
নাঈম বা ইমরুল পারেননি। পেরেছেন সিমন্স। যাঁর আগের ৯টি ওয়ানডে ইনিংস ৫১, ৫১, ৭৬, ৭৭*, ৬, ৫৩, ৪৫, ৬৭ ও ২ রানের। সেঞ্চুরিটা হই হই করেও হচ্ছিল না। কাল সেই অধরা সেঞ্চুরি পাওয়ায় দারুণ উল্লসিত সিমন্স, 'আমি ভারত-পাকিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়েও পারিনি। এটি তাই আমার জন্য বিশেষ ইনিংস। আমার মা ও মেয়েকে এটি উৎসর্গ করছি।' ভারতে চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলাটি যে তাঁকে সাহায্য করেছেন, সেটিও স্বীকার করেছেন সিমন্স, 'আমি উপমহাদেশের উইকেটের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়েছিলাম। জানতাম যে বাংলাদেশে অনেক স্পিনারের মুখোমুখি হতে হবে। আর আজ উইকেটও ছিল দারুণ। বল খুব ভালোভাবে ব্যাটে এসেছে।'
টোয়েন্টি টোয়েন্টি জিতেছে বাংলাদেশ। প্রথম ওয়ানডে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সে হিসেবে এটি এখনো সমতায়, মুশফিকুর রহিম যথার্থই বলেছেন, 'আমাদের কন্ডিশনে জিততে হলে ওদের সেরা ক্রিকেট খেলতে হবে। জিততে হলে আমাদেরও তাই। আশা করি ভুল শুধরে সামনের ম্যাচ থেকে ভালো খেলব।'
এই আশাতেই এখন সওয়ার বাংলাদেশ!
পরিকল্পিত ব্যাটিং করে ৩০০ ছুঁই ছুঁই স্কোর করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এত বড় রান তাড়া করায় তামিম ইকবালের ঝোড়ো শুরুর প্রয়োজন ছিল বেশি করে। সেটি পারেননি তিনি। ৩৮ বলে ২১ রান বরং তাঁর সঙ্গে বেমানান। সতীর্থকে অবশ্য তার পরও ডিফেন্ড করেছেন মুশফিক, '২৯৯ তাড়া করার সময় কিভাবে ব্যাটিং করতে হয়, তামিম সেটি জানে। ওকে বলার কিছু নেই। আসলে ওর অনেক বল সরাসরি ফিল্ডারের কাছে চলে গিয়েছিল। ওগুলো বাউন্ডারি হলে অন্যরকম হতে পারত। আমার মনে হয়, তামিমের ভুল ছিল সেট হওয়ার পর ওভাবে আউট হয়ে যাওয়া।' তার পরও ওই রান তাড়া করাটা অসম্ভব ছিল না বলে মুশফিকের দাবি, 'অনেক আগে থেকেই আমাদের সমস্যা, ২০-৩০ বা ফিফটি করে আউট হয়ে যাই। এ রকম ভালো উইকেটে সেট হলে বড় রান করা উচিত। নাঈম বা ইমরুল যদি বড় রান করত, তাহলে ওদের স্কোরের কাছাকাছি যেত পারতাম আমরা। তাদের একজন সেঞ্চুরি করলে এমনকি জিততেও পারতাম।'
নাঈম বা ইমরুল পারেননি। পেরেছেন সিমন্স। যাঁর আগের ৯টি ওয়ানডে ইনিংস ৫১, ৫১, ৭৬, ৭৭*, ৬, ৫৩, ৪৫, ৬৭ ও ২ রানের। সেঞ্চুরিটা হই হই করেও হচ্ছিল না। কাল সেই অধরা সেঞ্চুরি পাওয়ায় দারুণ উল্লসিত সিমন্স, 'আমি ভারত-পাকিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়েও পারিনি। এটি তাই আমার জন্য বিশেষ ইনিংস। আমার মা ও মেয়েকে এটি উৎসর্গ করছি।' ভারতে চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলাটি যে তাঁকে সাহায্য করেছেন, সেটিও স্বীকার করেছেন সিমন্স, 'আমি উপমহাদেশের উইকেটের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়েছিলাম। জানতাম যে বাংলাদেশে অনেক স্পিনারের মুখোমুখি হতে হবে। আর আজ উইকেটও ছিল দারুণ। বল খুব ভালোভাবে ব্যাটে এসেছে।'
টোয়েন্টি টোয়েন্টি জিতেছে বাংলাদেশ। প্রথম ওয়ানডে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সে হিসেবে এটি এখনো সমতায়, মুশফিকুর রহিম যথার্থই বলেছেন, 'আমাদের কন্ডিশনে জিততে হলে ওদের সেরা ক্রিকেট খেলতে হবে। জিততে হলে আমাদেরও তাই। আশা করি ভুল শুধরে সামনের ম্যাচ থেকে ভালো খেলব।'
এই আশাতেই এখন সওয়ার বাংলাদেশ!
No comments