শাহজাহান চৌধুরী গ্রেপ্তার হওয়ায় দুই উপজেলায় মানুষের স্বস্তি
জামায়াতের সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরীর গ্রেপ্তার হওয়ার খবরে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলার মানুষ স্বস্তি প্রকাশ করেছে। এ দুটি উপজেলার সাধারণ মানুষের কাছে তিনি ছিলেন মূর্তিমান আতঙ্ক। বর্তমানে তাঁর বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় করা ছয়টি মামলা বিচারাধীন। দুদকের একটি মামলায় ১০ বছরের সাজা হলেও উচ্চ আদালতের নির্দেশে রায় স্থগিত রয়েছে।গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর হাইকোর্ট এলাকা থেকে শাহজাহান চৌধুরীকে আটকের পর চট্টগ্রামে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
সাতকানিয়া থানা সূত্রে জানা যায়, হত্যা, অর্থ আত্মসাৎ, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধে শাহজাহান চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাতকানিয়াসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় বিভিন্ন সময়ে ৩২টি মামলা করে ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ। গত বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময় সংসদ সদস্য হিসেবে প্রভাব খাটিয়ে ৩২ মামলার মধ্যে ২৬টি রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রত্যাহার করিয়ে নেন। দুদকের একটি মামলায় তাঁর ১০ বছরের সাজা হলেও উচ্চ আদালতের নির্দেশে তা বর্তমানে স্থগিত রয়েছে। সম্প্রতি মুরাদপুরের ভাঙচুরের মামলাসহ বর্তমানে হত্যা, চাঁদাবাজিসহ মোট ছয়টি মামলা বিচারাধীন।
সাতকানিয়া থানার ওসি মো. খালেদ হোসেন গতকাল বিকেলে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'সাতকানিয়া থানায় শাহজাহান চৌধুরীর বিরুদ্ধে হত্যা, মারামারি, দুদকের মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। বিগত সময়ে অনেক মামলা প্রত্যাহার হয়েছে শুনেছি। কয়টি মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে তা এই মুহূর্তে নির্দিষ্ট করে বলতে পারছি না। যেসব মামলা সচল রয়েছে সেগুলো বিচারাধীন।'
নগরীর পাঁচলাইশ থানার ওসি ঈসমাইল হোসেন বলেন, 'মুরাদপুরের ভাঙচুরের মামলায় জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরীকে ঢাকায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুই-এক দিনের মধ্যে তাঁকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হবে। এ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।'
এদিকে শাহজাহান চৌধুরীর গ্রেপ্তারের খবর শুনে স্বস্তি প্রকাশ করে সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহান গতকাল বলেন, 'সন্ত্রাসীদের লালনপালনসহ এলাকার প্রতিটি খুনখারাবির সঙ্গে শাহজাহান চৌধুরী কোনো না কোনোভাবে জড়িত। জোট সরকারের আমলে সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার মানুষ তাঁকে নিয়ে আতঙ্কে থাকত। মুক্তিযোদ্ধা নুরুল কবিরসহ আরো অনেককে হত্যার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সাতকানিয়ার মানুষ তদন্ত সাপেক্ষে তাঁর সব অপকর্মের বিচার চায়। জোট সরকারের সময় রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রত্যাহারকৃত ২৬টি মামলা আবার চালু করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।'
সাতকানিয়া থানার ওসি মো. খালেদ হোসেন গতকাল বিকেলে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'সাতকানিয়া থানায় শাহজাহান চৌধুরীর বিরুদ্ধে হত্যা, মারামারি, দুদকের মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। বিগত সময়ে অনেক মামলা প্রত্যাহার হয়েছে শুনেছি। কয়টি মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে তা এই মুহূর্তে নির্দিষ্ট করে বলতে পারছি না। যেসব মামলা সচল রয়েছে সেগুলো বিচারাধীন।'
নগরীর পাঁচলাইশ থানার ওসি ঈসমাইল হোসেন বলেন, 'মুরাদপুরের ভাঙচুরের মামলায় জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরীকে ঢাকায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুই-এক দিনের মধ্যে তাঁকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হবে। এ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।'
এদিকে শাহজাহান চৌধুরীর গ্রেপ্তারের খবর শুনে স্বস্তি প্রকাশ করে সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহান গতকাল বলেন, 'সন্ত্রাসীদের লালনপালনসহ এলাকার প্রতিটি খুনখারাবির সঙ্গে শাহজাহান চৌধুরী কোনো না কোনোভাবে জড়িত। জোট সরকারের আমলে সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার মানুষ তাঁকে নিয়ে আতঙ্কে থাকত। মুক্তিযোদ্ধা নুরুল কবিরসহ আরো অনেককে হত্যার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সাতকানিয়ার মানুষ তদন্ত সাপেক্ষে তাঁর সব অপকর্মের বিচার চায়। জোট সরকারের সময় রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রত্যাহারকৃত ২৬টি মামলা আবার চালু করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।'
No comments