৪০ রানের হারে প্রাপ্তি ২৫৮ by সাইদুজ্জামান
৩১৩ রান তাড়া করেও ম্যাচ জেতার অতীত আছে বাংলাদেশের। তবে সেই ম্যাচের প্রতিপক্ষ ছিল জিম্বাবুয়ে। গতকালের প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ; যে দল বৃষ্টির মতো শর্ট বোলিং করতে জানে। অতীতের সেই ম্যাচটি হয়েছিল বুলাওয়ের ব্যাটিং স্বর্গে। কাল সফরকারীদের ছুড়ে দেওয়া ২৯৯ রানের টার্গেট বাংলাদেশ তাড়া করতে নেমেছিল মিরপুরের উইকেটে, যে উইকেটের গতি-প্রকৃতি বুঝে এত বড় রান তাড়া করা কঠিন। সেই কঠিন কাজটি না পারলেও হারের ব্যবধান কমিয়েছে বাংলাদেশ। এক বছর আগেও যে হারের আগে 'লড়াকু' শব্দটা জুড়ে দেওয়া হতো, সময়ের বিবর্তনে এখন হার হারই। তবে এ হারেও একটা প্রাপ্তি আছে।
যদি প্রাপ্ত এ অনুপ্রেরণার ছাপ পরের ম্যাচে রাখতে পারেন ব্যাটসম্যানরা। যেদিন হয়, সেদিন সবই ঠিকঠাক হয় বাংলাদেশের।কাল যে উইকেটে খেলা হলো, সেটি বাছাই করা ঠিক হয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। মিরপুরের ৬ নম্বর উইকেটে খেলা সবশেষ ম্যাচে ৩৬১ রান করেছিল অস্ট্রেলিয়া। ধীরগতির উইকেটে অনভ্যস্ত ক্যারিবীয়দের কিনা সে উইকেটই দেওয়া হলো! কে জানে, হয়তো নিজেদের ব্যাটিং দুর্বলতার কথা ভেবে এই উইকেট বেছে নিয়েছে বাংলাদেশ দলই। কারণ উইকেট বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত নেন না, নির্দেশ পালন করেন মাঠকর্মীরা। সেই উইকেটে ক্যারিবীয়দের রানের এভারেস্ট গড়ে ফেলাটা বাংলাদেশ দলের ভাবনায় থাকার কথা নয়।
বড় রান তাড়া করতে তামিম ইকবালের সঙ্গে নাঈম ইসলামকে পাঠানোও ম্যাচ পরিকল্পনায় ছিল না। কিন্তু ক্যারিবীয় ইনিংসের শেষদিকে ক্র্যাম্প নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় নিয়মিত ওপেনার ইমরুল কায়েসকে। নিয়মের গ্যাঁড়াকলে পড়ে তাই তাঁর অভ্যস্ত পজিশনে ব্যাটিং করা হয়নি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নতুন ভূমিকায় নেমে নাঈম ইসলাম খারাপ করেননি। দলের ইনিংসে হওয়া দুটি ফিফটির একটি তাঁর। কিন্তু সেটি করতে গিয়ে বিস্তর বলও নষ্ট করেছেন নাঈম। ৮২ বলে ৫২-তে পেঁৗছানোর পর রানের গতি বাড়াতে গিয়ে আউট হন তিনি। অবশ্য নাঈমের আগেই এমন ম্যাচে যাঁর ব্যাট সাফল্যের চাবিকাঠি, সেই তামিম ফিরে যান সাজঘরে। দেবেন্দ্র বিশুর করা প্রথম বলটাই জায়গা বানিয়ে কাট করতে গিয়ে কট বিহাইন্ড হন এই ওপেনার।
নাঈম বিদায় নেওয়ার সময় একদিকে রান রেটের চাপ, এর ওপর ব্যাটিং পাওয়ার প্লে'র দায়বদ্ধতা থেকেই কিনা উইকেট বুঝে ওঠার আগেই রবি রামপালের বাউন্সারে ব্যাট চালাতে গিয়ে কট বিহাইন্ড হন মোহাম্মদ আশরাফুল। পরের ওভারে বিদায় নেন ইমরুল কায়েসও। তবে স্যামুয়েলসকে স্লগ সুইপে ছক্কা মেরে কিছুটা আশার আলো জাগিয়েছিলেন টোয়েন্টি টোয়েন্টির নায়ক মুশফিক। কিন্তু ক্যারিবীয় ওই অফস্পিনারের পরের ওভারে একই চেষ্টা করতে গিয়ে আউট হন তিনিও। আশার মৃত্যু ততক্ষণে হয়ে গেছে। তবু ৫৫ রানের ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে সাকিব আল হাসান এবং অলক কাপালি যেভাবে ব্যাট করেছেন, তাতে জন্ম নতুন একটি আফসোসের। আহা, যদি ওপরের ব্যাটসম্যানরাও বল নষ্ট না করে সিঙ্গেলস নিয়ে হলেও রানের চাকা সচল রাখতেন, তাহলে ইনিংসের শেষদিকে এসে অসম্ভব রানের বোঝা বইতে হতো না বাংলাদেশের লোয়ার মিডল অর্ডারকে। ২২তম ওয়ানডে ফিফটি করা সাকিবের ব্যাটে ম্যাচ জেতানোর সম্ভাবনা ছিল। দুঃসময়ে ছয় ওভারে ২৪ রান দেওয়া অলকের ব্যাটও আস্থার প্রতীক হয়ে উঠছিল। কিন্তু রান রেটের বোঝা কমাতে গিয়ে তিনিও শিকার রামপালের বুক উচ্চতার বলে। শুধু অজেয় থেকে যান সাকিব। সঙ্গে হার লেপ্টে থাকায় ৫০ ওভার শেষে ক্যারিবীয়দের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মাথা নিচু করেই মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে।
ব্যাটিংয়ে অনভিজ্ঞতার কথা অস্বীকার করে না ক্যারিবীয়রাও। তবু তো বড় দল। ক্রিকেটের দীর্ঘ সংস্কৃতি আছে। তাই নতুন পরিবেশে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতাও যে বেশি, সেটি গতকাল দেখিয়ে দিয়েছেন সিমন্স-স্যামুয়েলসরা। উইকেট না পড়ে শট খেলার ঝুঁকির মাত্রা টোয়েন্টি টোয়েন্টি ম্যাচেই জানা হয়ে গেছে। তাই কোনো তাড়াহুড়া নেই। লেন্ডল সিমন্স তবু বাজে বল পেলে উইকেটের মতিগতির তোয়াক্কা করেননি। কিন্তু তাঁর উদ্বোধনী সঙ্গী অ্যাড্রিয়ান বারাথ যেন টেস্ট খেলতে নেমেছিলেন! তবে কে জানে, প্রচণ্ড গরমে পায়ের পেশিতে টান পড়ায় অবসর নিয়ে চলে না গেলে হয়তো পরে বারাথও বল নষ্ট করার ক্ষতি পুষিয়ে নিতেন; যেমনটা নিয়েছেন সিমন্স। ৫৩ বলের ফিফটিকে প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরিতে নিয়ে গিয়ে পরে আউট হয়েছেন ক্যারিবীয় এ ওপেনার; যে ইনিংসে চারটি চারের সঙ্গে আছে দুটি ছক্কা। সিমন্সের সে ছক্কাগুলো আবদুর রাজ্জাকের ওভারেই।
যাঁকে ঘিরে টোয়েন্টি টোয়েন্টির মতো ওয়ানডে সাফল্যেরও ফাঁদ পেতেছিল বাংলাদেশ, সেই রাজ্জাকের বল আরেকবার উড়ে গিয়ে পড়ে সীমানার বাইরে। এ শটটা এ সিরিজে যাঁকে মনে করা হচ্ছে বাংলাদেশের ত্রাস, সেই মারলন স্যামুয়েলসের। তাতে ৯ ওভারে উইকেটহীন রাজ্জাকের ইকোনমি রেটটাই সবচেয়ে খারাপ, ৭.১১। উইকেটহীন তো বটেই। অবশ্য বারাথ আহত হয়ে চলে যাওয়ার পর সিমন্স এবং স্যামুয়েলস জুটি যেভাবে এগুচ্ছিল, তাতে ক্যারিবীয় ইনিংস উইকেটহীন থেকে যাওয়ার সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছিল। সে জুটি ভাঙে ৪২তম ওভারে গিয়ে। রুবেল হোসেনের বল ফাইন লেগের মাথার ওপর দিয়ে পাঠাতে গিয়ে অলক কাপালীর ক্যাচে পরিণত হন সেঞ্চুরিয়ান সিমন্স। ১৫০ রানের জুটি ভাঙা ওভারে আরেকটি সাফল্য পায় বাংলাদেশ। তবে ৭৮ বলে ৭১ রান করে স্যামুয়েলসের আউট হওয়া নিয়ে খুব বেশি উচ্ছ্বাস দেখা যায়নি মুশফিকুর রহিমদের মাঝে। ততক্ষণে যে মিরপুরে জেতার সম্ভাব্য অঙ্ক পেরিয়ে যাওয়ার পথে ওয়েস্ট ইন্ডিজ!
না, ক্যারিবীয় ব্যাটিংয়ের এ প্রতাপে যে বাংলাদেশি বোলাররা 'অনুপ্রেরণা' জুগিয়েছেন, তেমনটি নয়। তবে এক দিনের ব্যবধানে সফরকারীদের ব্যাটিংয়ে আকস্মিক এ উন্নতির দুটি কারণ আছে। প্রথমত ক্যারিবীয়রা দ্রুত শিখে নিয়েছে; যেমনটা প্রথম ওয়ানডের আগের দিন বলেছিলেন কিয়েরন পোলার্ড, 'কখন শট খেলতে হবে আর কখন হবে না, সেটা আমাদের বুঝতে হবে।' দ্বিতীয়ত টোয়েন্টি টোয়েন্টির উইকেটে বল পড়ে ঝিমিয়ে পড়ছিল। সে তুলনায় কাল ৬ নম্বর উইকেটে বল ব্যাটে আসার পথে কোথাও 'জিরিয়ে' নেয়নি! তবে ক্যারিবীয় ইনিংসে শেষ ঝড়ের জন্য তৃতীয় কারণ হিসেবে নিজের নাম বলতেও পারেন পোলার্ড। ধীরগতির উইকেটে অতটা বিধ্বংসী নন এ অলরাউন্ডার। স্পিনের বিরুদ্ধেও রয়েছে দুর্বলতা। কিসের কি! সাকিবকে অনায়াসে লং অনের ওপর দিয়ে ছক্কা মারা পোলার্ডের ঝড় থামে ২৫ বলে তিন ছক্কায় ৪১ রান করে। ততক্ষণে চার উইকেটে ২৯৮ রানের পাহাড় চূড়ায় চড়ে বসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ; যে চূড়ায় চড়া আর পতাকা ওড়াতে পারেনি বাংলাদেশ।
বড় রান তাড়া করতে তামিম ইকবালের সঙ্গে নাঈম ইসলামকে পাঠানোও ম্যাচ পরিকল্পনায় ছিল না। কিন্তু ক্যারিবীয় ইনিংসের শেষদিকে ক্র্যাম্প নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় নিয়মিত ওপেনার ইমরুল কায়েসকে। নিয়মের গ্যাঁড়াকলে পড়ে তাই তাঁর অভ্যস্ত পজিশনে ব্যাটিং করা হয়নি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নতুন ভূমিকায় নেমে নাঈম ইসলাম খারাপ করেননি। দলের ইনিংসে হওয়া দুটি ফিফটির একটি তাঁর। কিন্তু সেটি করতে গিয়ে বিস্তর বলও নষ্ট করেছেন নাঈম। ৮২ বলে ৫২-তে পেঁৗছানোর পর রানের গতি বাড়াতে গিয়ে আউট হন তিনি। অবশ্য নাঈমের আগেই এমন ম্যাচে যাঁর ব্যাট সাফল্যের চাবিকাঠি, সেই তামিম ফিরে যান সাজঘরে। দেবেন্দ্র বিশুর করা প্রথম বলটাই জায়গা বানিয়ে কাট করতে গিয়ে কট বিহাইন্ড হন এই ওপেনার।
নাঈম বিদায় নেওয়ার সময় একদিকে রান রেটের চাপ, এর ওপর ব্যাটিং পাওয়ার প্লে'র দায়বদ্ধতা থেকেই কিনা উইকেট বুঝে ওঠার আগেই রবি রামপালের বাউন্সারে ব্যাট চালাতে গিয়ে কট বিহাইন্ড হন মোহাম্মদ আশরাফুল। পরের ওভারে বিদায় নেন ইমরুল কায়েসও। তবে স্যামুয়েলসকে স্লগ সুইপে ছক্কা মেরে কিছুটা আশার আলো জাগিয়েছিলেন টোয়েন্টি টোয়েন্টির নায়ক মুশফিক। কিন্তু ক্যারিবীয় ওই অফস্পিনারের পরের ওভারে একই চেষ্টা করতে গিয়ে আউট হন তিনিও। আশার মৃত্যু ততক্ষণে হয়ে গেছে। তবু ৫৫ রানের ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে সাকিব আল হাসান এবং অলক কাপালি যেভাবে ব্যাট করেছেন, তাতে জন্ম নতুন একটি আফসোসের। আহা, যদি ওপরের ব্যাটসম্যানরাও বল নষ্ট না করে সিঙ্গেলস নিয়ে হলেও রানের চাকা সচল রাখতেন, তাহলে ইনিংসের শেষদিকে এসে অসম্ভব রানের বোঝা বইতে হতো না বাংলাদেশের লোয়ার মিডল অর্ডারকে। ২২তম ওয়ানডে ফিফটি করা সাকিবের ব্যাটে ম্যাচ জেতানোর সম্ভাবনা ছিল। দুঃসময়ে ছয় ওভারে ২৪ রান দেওয়া অলকের ব্যাটও আস্থার প্রতীক হয়ে উঠছিল। কিন্তু রান রেটের বোঝা কমাতে গিয়ে তিনিও শিকার রামপালের বুক উচ্চতার বলে। শুধু অজেয় থেকে যান সাকিব। সঙ্গে হার লেপ্টে থাকায় ৫০ ওভার শেষে ক্যারিবীয়দের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মাথা নিচু করেই মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে।
ব্যাটিংয়ে অনভিজ্ঞতার কথা অস্বীকার করে না ক্যারিবীয়রাও। তবু তো বড় দল। ক্রিকেটের দীর্ঘ সংস্কৃতি আছে। তাই নতুন পরিবেশে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতাও যে বেশি, সেটি গতকাল দেখিয়ে দিয়েছেন সিমন্স-স্যামুয়েলসরা। উইকেট না পড়ে শট খেলার ঝুঁকির মাত্রা টোয়েন্টি টোয়েন্টি ম্যাচেই জানা হয়ে গেছে। তাই কোনো তাড়াহুড়া নেই। লেন্ডল সিমন্স তবু বাজে বল পেলে উইকেটের মতিগতির তোয়াক্কা করেননি। কিন্তু তাঁর উদ্বোধনী সঙ্গী অ্যাড্রিয়ান বারাথ যেন টেস্ট খেলতে নেমেছিলেন! তবে কে জানে, প্রচণ্ড গরমে পায়ের পেশিতে টান পড়ায় অবসর নিয়ে চলে না গেলে হয়তো পরে বারাথও বল নষ্ট করার ক্ষতি পুষিয়ে নিতেন; যেমনটা নিয়েছেন সিমন্স। ৫৩ বলের ফিফটিকে প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরিতে নিয়ে গিয়ে পরে আউট হয়েছেন ক্যারিবীয় এ ওপেনার; যে ইনিংসে চারটি চারের সঙ্গে আছে দুটি ছক্কা। সিমন্সের সে ছক্কাগুলো আবদুর রাজ্জাকের ওভারেই।
যাঁকে ঘিরে টোয়েন্টি টোয়েন্টির মতো ওয়ানডে সাফল্যেরও ফাঁদ পেতেছিল বাংলাদেশ, সেই রাজ্জাকের বল আরেকবার উড়ে গিয়ে পড়ে সীমানার বাইরে। এ শটটা এ সিরিজে যাঁকে মনে করা হচ্ছে বাংলাদেশের ত্রাস, সেই মারলন স্যামুয়েলসের। তাতে ৯ ওভারে উইকেটহীন রাজ্জাকের ইকোনমি রেটটাই সবচেয়ে খারাপ, ৭.১১। উইকেটহীন তো বটেই। অবশ্য বারাথ আহত হয়ে চলে যাওয়ার পর সিমন্স এবং স্যামুয়েলস জুটি যেভাবে এগুচ্ছিল, তাতে ক্যারিবীয় ইনিংস উইকেটহীন থেকে যাওয়ার সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছিল। সে জুটি ভাঙে ৪২তম ওভারে গিয়ে। রুবেল হোসেনের বল ফাইন লেগের মাথার ওপর দিয়ে পাঠাতে গিয়ে অলক কাপালীর ক্যাচে পরিণত হন সেঞ্চুরিয়ান সিমন্স। ১৫০ রানের জুটি ভাঙা ওভারে আরেকটি সাফল্য পায় বাংলাদেশ। তবে ৭৮ বলে ৭১ রান করে স্যামুয়েলসের আউট হওয়া নিয়ে খুব বেশি উচ্ছ্বাস দেখা যায়নি মুশফিকুর রহিমদের মাঝে। ততক্ষণে যে মিরপুরে জেতার সম্ভাব্য অঙ্ক পেরিয়ে যাওয়ার পথে ওয়েস্ট ইন্ডিজ!
না, ক্যারিবীয় ব্যাটিংয়ের এ প্রতাপে যে বাংলাদেশি বোলাররা 'অনুপ্রেরণা' জুগিয়েছেন, তেমনটি নয়। তবে এক দিনের ব্যবধানে সফরকারীদের ব্যাটিংয়ে আকস্মিক এ উন্নতির দুটি কারণ আছে। প্রথমত ক্যারিবীয়রা দ্রুত শিখে নিয়েছে; যেমনটা প্রথম ওয়ানডের আগের দিন বলেছিলেন কিয়েরন পোলার্ড, 'কখন শট খেলতে হবে আর কখন হবে না, সেটা আমাদের বুঝতে হবে।' দ্বিতীয়ত টোয়েন্টি টোয়েন্টির উইকেটে বল পড়ে ঝিমিয়ে পড়ছিল। সে তুলনায় কাল ৬ নম্বর উইকেটে বল ব্যাটে আসার পথে কোথাও 'জিরিয়ে' নেয়নি! তবে ক্যারিবীয় ইনিংসে শেষ ঝড়ের জন্য তৃতীয় কারণ হিসেবে নিজের নাম বলতেও পারেন পোলার্ড। ধীরগতির উইকেটে অতটা বিধ্বংসী নন এ অলরাউন্ডার। স্পিনের বিরুদ্ধেও রয়েছে দুর্বলতা। কিসের কি! সাকিবকে অনায়াসে লং অনের ওপর দিয়ে ছক্কা মারা পোলার্ডের ঝড় থামে ২৫ বলে তিন ছক্কায় ৪১ রান করে। ততক্ষণে চার উইকেটে ২৯৮ রানের পাহাড় চূড়ায় চড়ে বসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ; যে চূড়ায় চড়া আর পতাকা ওড়াতে পারেনি বাংলাদেশ।
No comments