টনি ব্লেয়ারের রাজনৈতিক প্রতিভার সব খ্যাতি আস্পলান by এম আবদুল হাফিজ
টনি ব্লেয়ার ক্ষমতা গ্রহণের ক'মাস আগে বরেণ্য ব্রিটিশ ইতিহাসবিদ পিটার হেনেসি লিখেছিলেন যে, সহজাত প্রবৃত্তিপ্রসূত কর্তৃত্ববাদী প্রধানমন্ত্রিত্ব সাধারণত বিয়োগান্ত পরিণতি লাভ করে_ যেমনটি ১৯৫৭ সালে এন্থনি ইডেন ও ১৯৯০ সালে মার্গারেট থ্যাচারের বেলায় ঘটেছিল। শুধু প্রধানমন্ত্রিত্বের জোরেই উদ্দেশ্য হাসিলের প্রবণতা না দেয় সুশাসন, না পায় স্থায়িত্ব, না থাকে তাতে অবসর জীবনের পরিতৃপ্ত রোমন্থন। এর এক যুগ পর তার সদ্য প্রকাশিত গ্রন্থ 'দ্য প্রাইম মিনিস্টার'-এ এমন প্রধানমন্ত্রিত্বের বৈশিষ্ঠ্যগুলো তুলে ধরতে গিয়ে প্রফেসর হেনেসি ব্লেয়ারের বিয়োগান্ত পতনের চিত্র তুলে ধরেছেন।
তার কথায়, 'এ সময়ের সবচেয়ে সংসাধনক্ষম রাজনীতিক রাজনৈতিক মঞ্চ ছাড়লেন কতকটা অবজ্ঞা ও অবহেলায়।' গত ক'বছর ধরে ব্লেয়ার মাত্রাতিরিক্তভাবে আবিষ্ঠ হয়ে পড়েছিলেন তার রাজনৈতিক উত্তরাধিকার নিয়ে, কীভাবে ভবিষ্যৎ ইতিহাসে তার মূল্যায়ন হবে বা ইতিহাসের ওপর তিনি কী প্রভাব রাখতে পারবেন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে। কিন্তু বাস্তবতা তো হলো এই যে, ইতিহাসে যা শেষ পর্যন্ত থেকে যায়, সেটা সংসাধন নয়, অর্জন। সেটাই ইতিহাসে একজনের স্থান নির্ধারণ করে। তার লিগ্যাসিকে একটা অবয়ব দেয়। কিন্তু ্বে্নয়ার বিশ্বাস করতেন সংসাধনে, অর্জনে নয়। ্বে্নয়ার ব্রিটেনের ইতিহাসে সম্ভবত সবচেয়ে মিডিয়াবান্দব ও মিডিয়া ্বে্নয়ারবান্দব ছিল। তা সত্ত্বেও কোনো সংগঠিতভাবে ্বে্নয়ারের উত্তরাধিকার তৈরি হয়নি। কোনো কিছুর সারবত্তা নয়, বরং অলীক গল্প ফাঁদাই ্বে্নয়ার সরকারের কাছে বেশি পছন্দনীয় ছিল।
ব্লেয়য়ারের রাজনৈতিক জীবনের শুরু ১৯৮৩ সালে, যখন মাত্র ৩০ বছর বয়সে তিনি প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হন। তিনি খ্যাতির শীষরাউ উঠে আসেন আরো ১১ বছর পর যখন তিনি লেবার পার্টিরর নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। তিনি দলের পুনঃ সংজ্ঞায়ন, দর্শন নির্ধারণ এবং লেবারদের ঐতিহ্যগত নীতিমালা পরির্বতনে এককেন্দ্রীয় ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। তবে দলের পুনর্বিন্যাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল দলের সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতিতে মতাদর্শগত পরির্বতন আনয়ন। লেবার পার্টিরর নেতৃত্বে থেকেও তিনি মুক্তবাজার অর্থনীতি ও বিশ্বায়নে ঝুঁকে পড়েছিলেন। তিনি তার লেবার পার্টিরকে এক ঝটকায় বাম থেকে মধ্যপন্থি দলে রূপান্তরিত করে তার দলের নামকরণ করেন 'নিউ লেবার'।
১৯৯৭ সালে ব্লেয়ার একুশ শতকের উপযোগী নেতা হিসেবে নিজেকে তার দেশবাসীর সামনে উপস্থাপিত করেন এবং যে লেবার পার্টির ১৮ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে সেই হতাশা নিমজ্জিত দলকে নেতৃত্ব দিয়ে ঐতিহাসিক বিজয়ের স্বাদ পাইয়ে দেন। মাত্র ৪৩ বছর বয়সে ্বে্নয়ার ছিলেন শতাব্দীকালের কনিষ্ঠতম প্রধানমন্ত্রী। তিনি পার্টিরকে পরপর তিনটি নির্বাচনে বিজয়ী করেন। কোনো লেবার দলীয় প্রধানমন্ত্রীর এটি ছিল ব্রিটিশ ইতিহাসে সর্বকালের রেকর্ড। তার সর্বশেষ মেয়াদে ্বে্নয়ারই ছিলেন ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী, যাকে পুলিশ 'ক্যাশ ফর অনার' কেলেঙ্কারির জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল।
সৌভাগ্যক্রমে ব্লেয়ার তার পূর্বর্বতী টোরি সরকারের কাছ থেকে একটি সদুঢ় অর্থনৈতিক ভিত পেয়েছিলেন। ফলে তিনি যুদ্ধ-উত্তরকালে ব্রিটেনে সবচেয়ে এবং সদুীর্ঘ সমৃদ্ধি তার জাতিকে উপহার দিতে পেরেছিলেন। যদিও অনেকেই এ কৃতিত্ব তার রাজনৈতিক সুহূদ অর্থমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউনকে দেওয়ার পক্ষপাতী। ব্লেয়ার অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা ছাড়াও শিক্ষা ও স্বাস্থ্যয খাতে ব্যাপক সংস্কারের সূত্রপাত করেছিলেন। কিন্তু তার সে পদক্ষেপগুলো বিলল্ফে্ব গৃহীত হওয়ায় সে ক্ষেত্রে কোনো উল্লেখযোগ্য ফল লাভে সক্ষম হননি তিনি।
তবে জলবায়ু পরির্বতন প্রশ্নে কিয়োটো প্রটোকল বাস্তবায়নে বিগত জি-৮ শীর্ষ বৈঠকে ব্লেয়ার অন্তত বুশের চেয়ে অনেক বেশি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেছিলেন এবং তারই প্রচেষ্ঠায় বুশসহ বিশ্ব নেতারা অনেকটাই নমনীয়তা দেখিয়েছেন মানবজাতির ভবিষ্যতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ঠ এ ইসু্তে।
তার প্রথম মেয়াদের প্রথম সপ্তাহেই তিনি ব্যাংক অব ইংল্যান্ডকে প্রচুর স্বায়ত্তশাসন দিয়েছিলেন ব্যাংকের ইচ্ছামতো সুদের হার নির্ধারণে। তবে তার একযুগকাল শাসনামলের সবচেয়ে বড় অর্জন স্কটল্যান্ড ও ওয়েলসের জন্য ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডে শান্তি স্থাপন। অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ব্লেয়ার প্রধানমন্ত্রিত্বের একযুগকে থ্যাচারিজমেরই একটি প্রলল্ফি্বত অংশ ভাবা হয়। তিনি বেশ ব্যাপকভাবে তার ক্ষমতা পুরো সময়জুড়ে 'টোরি ব্লেয়ার' বা 'ম্যাগিস'বয়রূপেই পরিচিত ছিলেন। পুরনো লেবারপন্থিরা তাকে 'কনজারভেটিভ'ই ভাবত যিনি তাদের মতে লেবার পার্টিরকে ছিনতাই করেছিলেন নিউ লেবারের মনভোলানো বুলি আওড়িয়ে।
যখন সত্তরের দশকের কনজারভেটিভ প্রধানমন্ত্রী অ্যাডওয়ার্ড হিথ ২০০৫ সালে মৃত্যুবরণ করেন, ্বে্নয়ার হাউস অব কমন্সে তার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে গিয়ে হাস্যরসের উদ্রেক করেছিলেন এই বলে যে, হিথের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতের সময় হিথকে নাকি তাকে (ব্লেয়ারকে) তার বাচনশৈলী এবং আচরণে লেবার এমপি বলে মনেই হয়নি। আসলে ্বে্নয়ার একাধিক কারণে প্রবলভাবে জনপ্রিয়, যিনি বাম ও ডানের জনপ্রিয় ধারণাগুলোকে নিজের মধ্যে প্রতিস্থাপন করে তা তার নির্বাচন কৌশলে প্রয়োগ করতে পারতেন। ক্ষমতার বাইরে আঠার বছর অপেক্ষা করে লেবার দলের যখন ধৈর্যচু্যতি ঘটার অবস্থা এবং তাদের এমন একজন কান্ডারি প্রয়োজন, যিনি তাদের বিজয়ের স্বাদ এনে দিতে পারবেন তখন অর্থাৎ ১৯৯৪ সালে একজন মোহনীয় অনন্য পুরুষ ্বে্নয়ারই তাদের জন্য ত্রাতা হিসেবে আবিভর্ূত হন।
্বে্নয়ারের মতো সে সময়কার প্রবাদতুল্য নেতাও কোনো প্রাতিষ্ঠানিক নিয়ন্ত্রণ মানেননি। তার পরিবতরাউ এমন জননন্দিত নেতারা সরাসরি জনসংযোগের উষষ্ণতায় ডুবে থাকতে চান। তাদের স্বতঃসম্ফূর্ত সমর্থনের ওপরই নির্ভরশীল হয়ে থাকেন। কোনো কর্তৃত্ব তা কোনো দল বা প্রতিষ্ঠানেরই হোক তা গ্রাহ্য করা তাদের ধাঁতে নেই। সতি্যকার অর্থে জননন্দিত ্বে্নয়ারও এই বৈশিষ্ঠ্যগুলোর যথেষ্ঠই প্রতিফলন ঘটিয়েছিলেন তার শাসনশৈলীতে।
গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে ব্লেয়ার কখনো পার্লামেন্ট, কেবিনেট বা পার্টির ফোরামের তোয়াক্কা করেননি। যদিও কোনো কোনো দলীয় সমাবেশে তিনি সুচিন্তিত নীতিনির্ধারণী ভাষণ দিয়েছেন, তা কোনোভাবেই নিয়মের নিগড়ে আবদ্ধ ছিল না। তার শক্তি বা প্রেরণার উৎসই ছিল জনগণ। নির্বাচনী খেলায় তার জিতার ক্ষমতা, যা তিনি উপভোগ করতেন। কিন্তু জনগণের সঙ্গে তার এই সেতুবন্দ একটি স্থানেই ব্যর্থ হয়। তিনি ইরাক যুদ্ধের যথার্থতা নিয়ে তার জনগণের অবিশ্বাস কখনোই ভাঙতে পারেননি। ইরাক অভিযানের পরিণতি নগ্নভাবে তুলে ধরেছে জনগণের মধ্যে তার প্রতি বিশ্বাসে এক বিশাল ফাটল। ইরাকে বিধ্বংসী যুদ্ধে সবসময় তাকে তার লেমেসিসের মতো তাড়া করে ফেরে।
ব্লেয়য়ারের রাজনৈতিক জীবনের শুরু ১৯৮৩ সালে, যখন মাত্র ৩০ বছর বয়সে তিনি প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হন। তিনি খ্যাতির শীষরাউ উঠে আসেন আরো ১১ বছর পর যখন তিনি লেবার পার্টিরর নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। তিনি দলের পুনঃ সংজ্ঞায়ন, দর্শন নির্ধারণ এবং লেবারদের ঐতিহ্যগত নীতিমালা পরির্বতনে এককেন্দ্রীয় ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। তবে দলের পুনর্বিন্যাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল দলের সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতিতে মতাদর্শগত পরির্বতন আনয়ন। লেবার পার্টিরর নেতৃত্বে থেকেও তিনি মুক্তবাজার অর্থনীতি ও বিশ্বায়নে ঝুঁকে পড়েছিলেন। তিনি তার লেবার পার্টিরকে এক ঝটকায় বাম থেকে মধ্যপন্থি দলে রূপান্তরিত করে তার দলের নামকরণ করেন 'নিউ লেবার'।
১৯৯৭ সালে ব্লেয়ার একুশ শতকের উপযোগী নেতা হিসেবে নিজেকে তার দেশবাসীর সামনে উপস্থাপিত করেন এবং যে লেবার পার্টির ১৮ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে সেই হতাশা নিমজ্জিত দলকে নেতৃত্ব দিয়ে ঐতিহাসিক বিজয়ের স্বাদ পাইয়ে দেন। মাত্র ৪৩ বছর বয়সে ্বে্নয়ার ছিলেন শতাব্দীকালের কনিষ্ঠতম প্রধানমন্ত্রী। তিনি পার্টিরকে পরপর তিনটি নির্বাচনে বিজয়ী করেন। কোনো লেবার দলীয় প্রধানমন্ত্রীর এটি ছিল ব্রিটিশ ইতিহাসে সর্বকালের রেকর্ড। তার সর্বশেষ মেয়াদে ্বে্নয়ারই ছিলেন ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী, যাকে পুলিশ 'ক্যাশ ফর অনার' কেলেঙ্কারির জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল।
সৌভাগ্যক্রমে ব্লেয়ার তার পূর্বর্বতী টোরি সরকারের কাছ থেকে একটি সদুঢ় অর্থনৈতিক ভিত পেয়েছিলেন। ফলে তিনি যুদ্ধ-উত্তরকালে ব্রিটেনে সবচেয়ে এবং সদুীর্ঘ সমৃদ্ধি তার জাতিকে উপহার দিতে পেরেছিলেন। যদিও অনেকেই এ কৃতিত্ব তার রাজনৈতিক সুহূদ অর্থমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউনকে দেওয়ার পক্ষপাতী। ব্লেয়ার অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা ছাড়াও শিক্ষা ও স্বাস্থ্যয খাতে ব্যাপক সংস্কারের সূত্রপাত করেছিলেন। কিন্তু তার সে পদক্ষেপগুলো বিলল্ফে্ব গৃহীত হওয়ায় সে ক্ষেত্রে কোনো উল্লেখযোগ্য ফল লাভে সক্ষম হননি তিনি।
তবে জলবায়ু পরির্বতন প্রশ্নে কিয়োটো প্রটোকল বাস্তবায়নে বিগত জি-৮ শীর্ষ বৈঠকে ব্লেয়ার অন্তত বুশের চেয়ে অনেক বেশি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেছিলেন এবং তারই প্রচেষ্ঠায় বুশসহ বিশ্ব নেতারা অনেকটাই নমনীয়তা দেখিয়েছেন মানবজাতির ভবিষ্যতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ঠ এ ইসু্তে।
তার প্রথম মেয়াদের প্রথম সপ্তাহেই তিনি ব্যাংক অব ইংল্যান্ডকে প্রচুর স্বায়ত্তশাসন দিয়েছিলেন ব্যাংকের ইচ্ছামতো সুদের হার নির্ধারণে। তবে তার একযুগকাল শাসনামলের সবচেয়ে বড় অর্জন স্কটল্যান্ড ও ওয়েলসের জন্য ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডে শান্তি স্থাপন। অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ব্লেয়ার প্রধানমন্ত্রিত্বের একযুগকে থ্যাচারিজমেরই একটি প্রলল্ফি্বত অংশ ভাবা হয়। তিনি বেশ ব্যাপকভাবে তার ক্ষমতা পুরো সময়জুড়ে 'টোরি ব্লেয়ার' বা 'ম্যাগিস'বয়রূপেই পরিচিত ছিলেন। পুরনো লেবারপন্থিরা তাকে 'কনজারভেটিভ'ই ভাবত যিনি তাদের মতে লেবার পার্টিরকে ছিনতাই করেছিলেন নিউ লেবারের মনভোলানো বুলি আওড়িয়ে।
যখন সত্তরের দশকের কনজারভেটিভ প্রধানমন্ত্রী অ্যাডওয়ার্ড হিথ ২০০৫ সালে মৃত্যুবরণ করেন, ্বে্নয়ার হাউস অব কমন্সে তার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে গিয়ে হাস্যরসের উদ্রেক করেছিলেন এই বলে যে, হিথের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতের সময় হিথকে নাকি তাকে (ব্লেয়ারকে) তার বাচনশৈলী এবং আচরণে লেবার এমপি বলে মনেই হয়নি। আসলে ্বে্নয়ার একাধিক কারণে প্রবলভাবে জনপ্রিয়, যিনি বাম ও ডানের জনপ্রিয় ধারণাগুলোকে নিজের মধ্যে প্রতিস্থাপন করে তা তার নির্বাচন কৌশলে প্রয়োগ করতে পারতেন। ক্ষমতার বাইরে আঠার বছর অপেক্ষা করে লেবার দলের যখন ধৈর্যচু্যতি ঘটার অবস্থা এবং তাদের এমন একজন কান্ডারি প্রয়োজন, যিনি তাদের বিজয়ের স্বাদ এনে দিতে পারবেন তখন অর্থাৎ ১৯৯৪ সালে একজন মোহনীয় অনন্য পুরুষ ্বে্নয়ারই তাদের জন্য ত্রাতা হিসেবে আবিভর্ূত হন।
্বে্নয়ারের মতো সে সময়কার প্রবাদতুল্য নেতাও কোনো প্রাতিষ্ঠানিক নিয়ন্ত্রণ মানেননি। তার পরিবতরাউ এমন জননন্দিত নেতারা সরাসরি জনসংযোগের উষষ্ণতায় ডুবে থাকতে চান। তাদের স্বতঃসম্ফূর্ত সমর্থনের ওপরই নির্ভরশীল হয়ে থাকেন। কোনো কর্তৃত্ব তা কোনো দল বা প্রতিষ্ঠানেরই হোক তা গ্রাহ্য করা তাদের ধাঁতে নেই। সতি্যকার অর্থে জননন্দিত ্বে্নয়ারও এই বৈশিষ্ঠ্যগুলোর যথেষ্ঠই প্রতিফলন ঘটিয়েছিলেন তার শাসনশৈলীতে।
গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে ব্লেয়ার কখনো পার্লামেন্ট, কেবিনেট বা পার্টির ফোরামের তোয়াক্কা করেননি। যদিও কোনো কোনো দলীয় সমাবেশে তিনি সুচিন্তিত নীতিনির্ধারণী ভাষণ দিয়েছেন, তা কোনোভাবেই নিয়মের নিগড়ে আবদ্ধ ছিল না। তার শক্তি বা প্রেরণার উৎসই ছিল জনগণ। নির্বাচনী খেলায় তার জিতার ক্ষমতা, যা তিনি উপভোগ করতেন। কিন্তু জনগণের সঙ্গে তার এই সেতুবন্দ একটি স্থানেই ব্যর্থ হয়। তিনি ইরাক যুদ্ধের যথার্থতা নিয়ে তার জনগণের অবিশ্বাস কখনোই ভাঙতে পারেননি। ইরাক অভিযানের পরিণতি নগ্নভাবে তুলে ধরেছে জনগণের মধ্যে তার প্রতি বিশ্বাসে এক বিশাল ফাটল। ইরাকে বিধ্বংসী যুদ্ধে সবসময় তাকে তার লেমেসিসের মতো তাড়া করে ফেরে।
No comments