নতুন রানি পেল ভুটান
মহা ধুমধামে গাঁটছড়া বাঁধলেন ভুটানি রাজা জিগমে খেসার নামগেইল ওয়াংচুক। কনে একেবারেই সাধারণ পরিবার থেকে আসা, তাঁর ছোট বেলার প্রেমিকা জেতসুন পেমা। গতকাল বৃহস্পতিবার ভুটানের পুরনো রাজধানী পুনাখার দেওয়া চেন পোই ফোদ্রাং দুর্গে (মহাসুখের প্রাসাদ) বৌদ্ধরীতি মেনে বিয়ের প্রধান আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। বিয়ে উপলক্ষে তিন দিনের জাতীয় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।লাল আলখেল্লা পরা বৌদ্ধ ভিক্ষুদের মন্ত্র উচ্চারণ, ভুটানি বাদ্য-বাজনার মধ্যে ৩১ বছর বয়সী সুদর্শন রাজা ওয়াংচুক তাঁর চেয়ে ১০ বছরের ছোট পেমার মাথায় মুকুট পরিয়ে দেন।
এর পরপরই হলুদ জ্যাকেট ও ঐতিহ্যবাহী স্কার্ট পরা পেমাকে 'ভুটান রাজতন্ত্রের রানি' হিসেবে ঘোষণা করা হয়। প্রধান ভিক্ষু জে খেনপো বিয়ের পুরো আনুষ্ঠানিকতা পরিচালনা করেন। বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ৩০০ আমন্ত্রিত অতিথি। তবে তাঁদের মধ্যে বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান বা কোনো সেলিব্রিটি ছিলেন না।
ফোচু ও মোচু নামের দুই খরস্রোতা নদীর মিলনস্থলে ১৭ শতকের এই দুর্গের বাইরে এ সময় রাজা-রানিকে এক ঝলক দেখতে হাজার হাজার ভুটানি সমবেত হয়। তীব্র শীত উপেক্ষা করে তারা ভোর ৫টা থেকে দুর্গের বাইরে জড়ো হতে থাকে। আর ভুটানের সাত লাখ জনসংখ্যার মধ্যে যারা দুর্গের সামনে হাজির হতে পারেনি, তাদের চোখ ছিল টেলিভিশনে। বিয়ের অনুষ্ঠান জাতীয় টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
বিয়ের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় গতকাল ভোর ৪টা থেকে। সে সময় প্রধান ভিক্ষু খেনপোর সঙ্গে বিশেষ প্রার্থনায় শামিল হন আরো ১০০ ভিক্ষু। ব্রিটেনের অঙ্ফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঠ নেওয়া ওয়াংচুক তাঁর প্রাসাদ থেকে বের হয়ে আসেন সকাল সাড়ে ৮টায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী জিগমে ওয়াই থিনলে ও ভুটানের রাজকীয় পুলিশপ্রধান। প্রাসাদ থেকে সরাসরি রাজা দুর্গে হাজির হন। কয়েক মিনিটের মধ্যে কনেও চলে আসেন। ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করা পেমা ভুটানে সুন্দরী হিসেবে বিশেষ পরিচিত। বর-কনের উপস্থিতির সময়টিতে বাদ্য-বাজনার পাশাপাশি চলছিল উচ্চকণ্ঠে মন্ত্রজপ। এরপর দুই ঘণ্টার নানা আনুষ্ঠানিকতার পর তাঁদের দুজনকে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। বিশেষভাবে সাজানো একটি কক্ষে এ রাজদম্পতি গণমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান। পরে দুর্গের পাশে একটি মাঠে বিয়ে উপলক্ষে আয়োজিত নাচ-গানের আসরে যোগ দেন তাঁরা। আজ শুক্রবার সকালে তাঁরা থিম্পুর উদ্দেশে যাত্রা করবেন। রাজধানী থিম্পু থেকে সড়কপথে পুনাখা আড়াই ঘণ্টার পথ।
অতিথিদের জন্য ঐতিহ্যবাহী ভুটানি ও ভারতীয় মধ্যাহ্ন ভোজের ব্যবস্থা করা হয়। তালিকায় ছিল ৫৪ রকম দেশীয় পদ। ভুটানের ২০টি উপত্যকা থেকে ৬০ জন পাচক বিয়ের রান্নার কাজে যোগ দেন।
ওয়াংচুকের বয়স যখন ১৭ তখন পেমার সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ হয় তাঁর। এখনো পড়াশোনা শেষ হয়নি পেমার। চারুকলা ও বাস্কেটবলে আগ্রহ রয়েছে তাঁর। বাবা পেশায় পাইলট।
ভুটানের ব্যাপক জনপ্রিয় রাজা ওয়াংচুক। তাঁর রাজত্বের দায়িত্ব নেন ২০০৮ সালের নভেম্বরে। ভুটানের পঞ্চম রাজা তিনি। ১০০ বছর ধরে তাঁদের পরিবারের রাজত্ব চলছে। এলভিস প্রিসলির মহাভক্ত এ রাজা পারিবারিক ঐতিহ্য থাকলেও বহু বিবাহে বিশ্বাসী নন। ভুটানে বহু বিবাহ বৈধ। তাঁর বাবা জিগমে সিংগে ওয়াংচুকও চারটি বিয়ে করেছেন। সূত্র : এএফপি, বিবিসি, পিটিআই।
ফোচু ও মোচু নামের দুই খরস্রোতা নদীর মিলনস্থলে ১৭ শতকের এই দুর্গের বাইরে এ সময় রাজা-রানিকে এক ঝলক দেখতে হাজার হাজার ভুটানি সমবেত হয়। তীব্র শীত উপেক্ষা করে তারা ভোর ৫টা থেকে দুর্গের বাইরে জড়ো হতে থাকে। আর ভুটানের সাত লাখ জনসংখ্যার মধ্যে যারা দুর্গের সামনে হাজির হতে পারেনি, তাদের চোখ ছিল টেলিভিশনে। বিয়ের অনুষ্ঠান জাতীয় টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
বিয়ের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় গতকাল ভোর ৪টা থেকে। সে সময় প্রধান ভিক্ষু খেনপোর সঙ্গে বিশেষ প্রার্থনায় শামিল হন আরো ১০০ ভিক্ষু। ব্রিটেনের অঙ্ফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঠ নেওয়া ওয়াংচুক তাঁর প্রাসাদ থেকে বের হয়ে আসেন সকাল সাড়ে ৮টায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী জিগমে ওয়াই থিনলে ও ভুটানের রাজকীয় পুলিশপ্রধান। প্রাসাদ থেকে সরাসরি রাজা দুর্গে হাজির হন। কয়েক মিনিটের মধ্যে কনেও চলে আসেন। ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করা পেমা ভুটানে সুন্দরী হিসেবে বিশেষ পরিচিত। বর-কনের উপস্থিতির সময়টিতে বাদ্য-বাজনার পাশাপাশি চলছিল উচ্চকণ্ঠে মন্ত্রজপ। এরপর দুই ঘণ্টার নানা আনুষ্ঠানিকতার পর তাঁদের দুজনকে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। বিশেষভাবে সাজানো একটি কক্ষে এ রাজদম্পতি গণমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান। পরে দুর্গের পাশে একটি মাঠে বিয়ে উপলক্ষে আয়োজিত নাচ-গানের আসরে যোগ দেন তাঁরা। আজ শুক্রবার সকালে তাঁরা থিম্পুর উদ্দেশে যাত্রা করবেন। রাজধানী থিম্পু থেকে সড়কপথে পুনাখা আড়াই ঘণ্টার পথ।
অতিথিদের জন্য ঐতিহ্যবাহী ভুটানি ও ভারতীয় মধ্যাহ্ন ভোজের ব্যবস্থা করা হয়। তালিকায় ছিল ৫৪ রকম দেশীয় পদ। ভুটানের ২০টি উপত্যকা থেকে ৬০ জন পাচক বিয়ের রান্নার কাজে যোগ দেন।
ওয়াংচুকের বয়স যখন ১৭ তখন পেমার সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ হয় তাঁর। এখনো পড়াশোনা শেষ হয়নি পেমার। চারুকলা ও বাস্কেটবলে আগ্রহ রয়েছে তাঁর। বাবা পেশায় পাইলট।
ভুটানের ব্যাপক জনপ্রিয় রাজা ওয়াংচুক। তাঁর রাজত্বের দায়িত্ব নেন ২০০৮ সালের নভেম্বরে। ভুটানের পঞ্চম রাজা তিনি। ১০০ বছর ধরে তাঁদের পরিবারের রাজত্ব চলছে। এলভিস প্রিসলির মহাভক্ত এ রাজা পারিবারিক ঐতিহ্য থাকলেও বহু বিবাহে বিশ্বাসী নন। ভুটানে বহু বিবাহ বৈধ। তাঁর বাবা জিগমে সিংগে ওয়াংচুকও চারটি বিয়ে করেছেন। সূত্র : এএফপি, বিবিসি, পিটিআই।
No comments