প্রথম প্রান্তিকে রপ্তানি কমেছে by নাজমুল আলম শিশির
বিশ্বমন্দা কাটিয়ে দুই বছর ধরে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানির উচ্চ প্রবৃদ্ধি হচ্ছিল। তবে চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে এসে রপ্তানি আয়ে কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০১১-১২ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে রপ্তানি আয় কমে গেছে। তবে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় রপ্তানি আয় বেড়েছে। এ ছাড়া গত সেপ্টেম্বর মাসেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২২.৬৩ শতাংশ কম রপ্তানি হয়েছে।আশঙ্কার কথা হচ্ছে, বাংলাদেশের রপ্তানির অন্যতম প্রধান খাত পাট ও পাটজাত পণ্য এবং ওভেন গার্মেন্টস খাতেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম প্রবৃদ্ধি হয়েছে অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে। রপ্তানির আয় কমার জন্য সংশ্লিষ্টরা বিশ্ব অর্থনীতির সামগ্রিক অবস্থা এবং দেশের বিদ্যমান সমস্যাকে দায়ী করছেন।
বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ হিসাবে দেখা যায়, অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে অর্থাৎ জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর তিন মাসে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৬২৬ কোটি ৪৬ লাখ ইউএস ডলার। আর এ সময় রপ্তানি আয় হয়েছে ৬১৬ কোটি ৩৭ লাখ ডলার। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১.৬১ শতাংশ কম রপ্তানি আয় এসেছে।
গত ২০১০-১১ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি আয় হয়েছিল ৫০২ কোটি ৯০ লাখ ডলার। ফলে রপ্তানিতে গত বছরের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় চলতি বছরে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২২.৫৬ শতাংশ।
গত সেপ্টেম্বর মাসে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৮৭ কোটি ৯ লাখ ডলার। আর সেপ্টেম্বরে মোট রপ্তানির পরিমাণ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২২.৬৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৪৪ কোটি ৭৪ লাখ ডলারে। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হয়েছিল ১৪১ কোটি ৫১ লাখ ডলার। ফলে গত বছর থেকে এ বছর প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২.২৯ শতাংশ।
বাংলাদেশের রপ্তানি আয় কমে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে বাংলাদেশ এঙ্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সালাম মুর্শেদী কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আন্তর্জাতিক বাজার খারাপ যাচ্ছে। ইউরোপ এবং আমেরিকায় দরপতন হয়েছে। এসব দেশে বেকারত্ব বেড়ে গেছে। ফলে আমাদের রপ্তানি কিছুটা কমে গেছে। এ ছাড়া দেশের বিদ্যমান বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সমস্যার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আমাদের সক্ষমতাও কমে যাচ্ছে। আমরা যে হারে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সমস্যার সমাধান আশা করছিলাম, তা হয়নি। ফলে আমাদের উৎপাদন খরচও আগের থেকে বেড়ে গেছে। তাই আমরা আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছি।'
রপ্তানি আয় ধরে রাখার জন্য সরকারের প্রণোদনা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে এই ব্যবসায়ী নেতা বলেন, দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড রপ্তানি আয় ধরে রাখতে হলে ব্যবসায়ীদের সাহায্য বাড়াতে হবে।
ইপিবির তথ্যানুযায়ী, অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে বরাবরের মতো, নিটওয়্যার এবং ওভেন গার্মেন্টস খাতেই সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি এসেছে। এর মধ্যে নিটওয়্যার রপ্তানি আয় হয়েছে ২৫৭ কোটি ৯৫ লাখ ডলার। আর ওভেনে ২২৩ কোটি ৪৫ লাখ ডলার। অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে নিটওয়ার খাতের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২৫৫ কোটি ৩১ লাখ ডলার। ফলে রপ্তানির চেয়েও এই খাতে ১.০৩ শতাংশ বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আর গত বছরের থেকে নিটওয়্যার খাতের প্রবৃদ্ধির হার ১৮.২৬ শতাংশ। ওভেন খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৪.৮২ শতাংশ। তবে এই খাতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১.১২ শতাংশ কম রপ্তানি আয় হয়েছে।
গত ২০১০-১১ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি আয় হয়েছিল ৫০২ কোটি ৯০ লাখ ডলার। ফলে রপ্তানিতে গত বছরের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় চলতি বছরে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২২.৫৬ শতাংশ।
গত সেপ্টেম্বর মাসে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৮৭ কোটি ৯ লাখ ডলার। আর সেপ্টেম্বরে মোট রপ্তানির পরিমাণ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২২.৬৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৪৪ কোটি ৭৪ লাখ ডলারে। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হয়েছিল ১৪১ কোটি ৫১ লাখ ডলার। ফলে গত বছর থেকে এ বছর প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২.২৯ শতাংশ।
বাংলাদেশের রপ্তানি আয় কমে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে বাংলাদেশ এঙ্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সালাম মুর্শেদী কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আন্তর্জাতিক বাজার খারাপ যাচ্ছে। ইউরোপ এবং আমেরিকায় দরপতন হয়েছে। এসব দেশে বেকারত্ব বেড়ে গেছে। ফলে আমাদের রপ্তানি কিছুটা কমে গেছে। এ ছাড়া দেশের বিদ্যমান বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সমস্যার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আমাদের সক্ষমতাও কমে যাচ্ছে। আমরা যে হারে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সমস্যার সমাধান আশা করছিলাম, তা হয়নি। ফলে আমাদের উৎপাদন খরচও আগের থেকে বেড়ে গেছে। তাই আমরা আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছি।'
রপ্তানি আয় ধরে রাখার জন্য সরকারের প্রণোদনা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে এই ব্যবসায়ী নেতা বলেন, দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড রপ্তানি আয় ধরে রাখতে হলে ব্যবসায়ীদের সাহায্য বাড়াতে হবে।
ইপিবির তথ্যানুযায়ী, অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে বরাবরের মতো, নিটওয়্যার এবং ওভেন গার্মেন্টস খাতেই সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি এসেছে। এর মধ্যে নিটওয়্যার রপ্তানি আয় হয়েছে ২৫৭ কোটি ৯৫ লাখ ডলার। আর ওভেনে ২২৩ কোটি ৪৫ লাখ ডলার। অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে নিটওয়ার খাতের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২৫৫ কোটি ৩১ লাখ ডলার। ফলে রপ্তানির চেয়েও এই খাতে ১.০৩ শতাংশ বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আর গত বছরের থেকে নিটওয়্যার খাতের প্রবৃদ্ধির হার ১৮.২৬ শতাংশ। ওভেন খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৪.৮২ শতাংশ। তবে এই খাতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১.১২ শতাংশ কম রপ্তানি আয় হয়েছে।
No comments