ইরানকে শায়েস্তা করার আহবান যুক্তরাষ্ট্রের
সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতকে হত্যার ষড়যন্ত্রকে 'মারাত্মক উসকানি' বলে অভিহিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ঘটনায় ইরানের বিরুদ্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক মহলের কাছে আহ্বান জানিয়েছে তারা। তবে ইরান অভিযোগ করেছে, বানোয়াট এ অভিযোগের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র 'যুদ্ধে প্ররোচনা' দিচ্ছে। 'যুক্তরাষ্ট্রের ফাঁদে পা না দিতে' সৌদি আরবের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তারা।যুক্তরাষ্ট্র গত মঙ্গলবার অভিযোগ করে, ওয়াশিংটনে নিয়োজিত সৌদি রাষ্ট্রদূত আদেল আল জুবেইরকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল ইরান। মেঙ্েিকার একটি মাদক চক্রের সাহায্য নিয়ে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা করে তারা।
যুক্তরাষ্ট্র ও আর্জেন্টিনার ইসরায়েলি দূতাবাসেও হামলার পরিকল্পনা হয়েছিল বলে দাবি করেন মার্কিন কর্মকর্তারা। এ ঘটনায় হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকাসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগে দুই ইরানি নাগরিককে অভিযুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্র। এদের মধ্যে একজনকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুবরাজ সৌদ আল ফয়সাল গতকাল বৃহস্পতিবার মন্তব্য করেন, ইরান 'হত্যা ও বিশৃঙ্খলার মাধ্যমে' বিশ্বে প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করছে। ফয়সাল বলেন, 'আমরা এ ধরনের চাপের কাছে মাথানত করব না এবং আমাদের বিরুদ্ধে যেকোনো পদক্ষেপের জন্য তাদের জবাবদিহি করতে হবে।'
তবে ইরান সব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের দাবি, ওয়ালস্ট্রিটবিরোধী আন্দোলন ঘিরে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা অর্থনৈতিক বিপর্যয়কে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতেই যুক্তরাষ্ট্র এ অভিযোগ সাজিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ বিশ্বাস না করতে গতকাল সৌদি আরবের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইরান। আমেরিকা ও ইউরোপবিষয়ক ইরানি উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আলি আহানি গতকাল বলেন, 'ফাঁদে পা না দিতে সৌদি আরবের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি আমি। কারণ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সম্পর্কে বিশৃঙ্খলা তৈরি হলে শুধু যুক্তরাষ্ট্র ও ইহুদি শাসকরাই লাভবান হবে। আমরা আশা করব সৌদি আরব এ ষড়যন্ত্রের তাৎপর্য বোঝার চেষ্টা করবে।'
'সৌদি রাষ্ট্রদূত হত্যা ষড়যন্ত্রে'র পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে সৌদি বাদশাহ আবদুল্লাহর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন আবারো ইরানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ নেওয়ার যে আহ্বান জানান, ফ্রান্স ও ব্রিটেন তার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। তবে জাতিসংঘে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভিতালি চুরকিন ঘটনাটিকে 'কিছুটা উদ্ভট' অভিহিত করেছেন। পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলোর সংগঠন জিসিসি বলেছে, সৌদি রাষ্ট্রদূত হত্যার অভিযোগ ইরানের সঙ্গে আরব দেশগুলোর সম্পর্কের জন্য 'মারাত্মকভাবে ক্ষতিকর' হতে পারে।
এদিকে সৌদি রাষ্ট্রদূত হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে ইরানের বাণিজ্যিক এয়ারলাইন 'মাহান এয়ারের' ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রে ওই এয়ারলাইনের সব সম্পত্তি জব্দ করা হয়েছে এবং মার্কিন নাগরিকদের এ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে লেনদেন না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত ১১ অক্টোবর থেকে আগামী ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে মার্কিন নাগরিকদের চলাচলের ওপর সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। সূত্র : এএফপি।
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুবরাজ সৌদ আল ফয়সাল গতকাল বৃহস্পতিবার মন্তব্য করেন, ইরান 'হত্যা ও বিশৃঙ্খলার মাধ্যমে' বিশ্বে প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করছে। ফয়সাল বলেন, 'আমরা এ ধরনের চাপের কাছে মাথানত করব না এবং আমাদের বিরুদ্ধে যেকোনো পদক্ষেপের জন্য তাদের জবাবদিহি করতে হবে।'
তবে ইরান সব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের দাবি, ওয়ালস্ট্রিটবিরোধী আন্দোলন ঘিরে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা অর্থনৈতিক বিপর্যয়কে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতেই যুক্তরাষ্ট্র এ অভিযোগ সাজিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ বিশ্বাস না করতে গতকাল সৌদি আরবের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইরান। আমেরিকা ও ইউরোপবিষয়ক ইরানি উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আলি আহানি গতকাল বলেন, 'ফাঁদে পা না দিতে সৌদি আরবের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি আমি। কারণ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সম্পর্কে বিশৃঙ্খলা তৈরি হলে শুধু যুক্তরাষ্ট্র ও ইহুদি শাসকরাই লাভবান হবে। আমরা আশা করব সৌদি আরব এ ষড়যন্ত্রের তাৎপর্য বোঝার চেষ্টা করবে।'
'সৌদি রাষ্ট্রদূত হত্যা ষড়যন্ত্রে'র পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে সৌদি বাদশাহ আবদুল্লাহর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন আবারো ইরানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ নেওয়ার যে আহ্বান জানান, ফ্রান্স ও ব্রিটেন তার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। তবে জাতিসংঘে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভিতালি চুরকিন ঘটনাটিকে 'কিছুটা উদ্ভট' অভিহিত করেছেন। পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলোর সংগঠন জিসিসি বলেছে, সৌদি রাষ্ট্রদূত হত্যার অভিযোগ ইরানের সঙ্গে আরব দেশগুলোর সম্পর্কের জন্য 'মারাত্মকভাবে ক্ষতিকর' হতে পারে।
এদিকে সৌদি রাষ্ট্রদূত হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে ইরানের বাণিজ্যিক এয়ারলাইন 'মাহান এয়ারের' ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রে ওই এয়ারলাইনের সব সম্পত্তি জব্দ করা হয়েছে এবং মার্কিন নাগরিকদের এ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে লেনদেন না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত ১১ অক্টোবর থেকে আগামী ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে মার্কিন নাগরিকদের চলাচলের ওপর সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। সূত্র : এএফপি।
No comments