হঠাৎ থেমে গেল উচ্ছেদ অভিযান
পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটায় বেড়িবাঁধের বাইরে সমুদ্রসৈকতের জমি দখলকারীদের উচ্ছেদ অভিযান গতকাল বৃহস্পতিবার শুরু হতে না হতেই থেমে গেছে। প্রশাসনের খাতায় দখলদার হিসেবে চিহ্নিত একটি পক্ষ গতকাল হাইকোর্টে এ বিষয়ে রিট আবেদন করায় উচ্ছেদ অভিযানের বিষয়ে সাময়িক স্থগিতাদেশ দেন আদালত। বিষয়টি মুঠোফোনে অবহিত হওয়ার পর জেলা প্রশাসন উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ রেখে ফিরে গেছে।গতকাল সকালে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত থেকে দখলদারদের উচ্ছেদে অভিযান শুরুর প্রস্তুতি নেয় জেলা প্রশাসন। আনা হয় বুলডোজার। এ অভিযান উপলক্ষে শতাধিক র্যাব ও পুলিশ সদস্যকে মোতায়েন করা হয় সমুদ্রসৈকতে।
তাঁরা সকালে ঘটনাস্থলে পেঁৗছেই ভাসমান কিছু দোকান উচ্ছেদ করেন। কিন্তু দুপুর ১২টার দিকেই বন্ধ হয়ে যায় উচ্ছেদ অভিযান। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অভিযুক্ত দখলদাররা হাইকোর্টে উচ্ছেদ অভিযানের বিরুদ্ধে রিট করেছে। রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আংশিক উচ্ছেদের পর অভিযান বন্ধ হয়ে যায়।
জানা গেছে, কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতের বেড়িবাঁধের বাইরের জমি দখলসংক্রান্ত বিষয়ে গত ২ জুন একটি জাতীয় দৈনিকে সরেজমিন প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে দুজন আইনজীবী বিষয়টি নিয়ে ওই দিন বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি গোবিন্দচন্দ্র ঠাকুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদন করেন।
রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বিশেষ কমিটি গঠনের মাধ্যমে সৈকতের সীমানা নির্ধারণ করার ব্যাপারে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে সমুদ্রসৈকতের বেড়িবাঁধের বাইরে নতুন করে যেন জায়গা দখল ও স্থাপনা নির্মিত না হয়, সে জন্য পাহারার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পটুয়াখালী পুলিশ সুপার ও কলাপাড়া থানার ওসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া দখল থেকে সৈকত এলাকা রক্ষা করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। এমনকি হাইকোর্টেও ওই নির্দেশনা বাস্তবায়নে অগ্রগতি প্রতিবেদন সাত দিনের মধ্যে দাখিল করতে বলা হয়।
হাইকোর্টের আদেশের কপি গত ৭ সেপ্টেম্বর পেঁৗছার পর জেলা প্রশাসন সময় প্রার্থনা করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের ১৮ অক্টোবরের মধ্যে সৈকতের সীমানা চিহ্নিত করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। তখন জেলা প্রশাসন কুয়াকাটা সম্পূর্ণ দখলমুক্ত করতে সীমানা চিহ্নিতকরণের কার্যক্রম শুরু করে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. শাহ আলম সরদারের নেতৃত্বে ১১ সেপ্টেম্বর থেকে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা সৈকত এলাকা পরিদর্শন করেন।
চলতি বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর কমিটি সৈকতের সীমানা চিহ্নিত করে ম্যাপ তৈরি করে। ম্যাপ ঘেঁটে দেখা গেছে, সৈকতের পূর্ব দিকে আন্ধারমানিক নদের মোহনা লেম্বু চর থেকে পশ্চিমে গঙ্গামতী হয়ে কাউয়ার চর পর্যন্ত দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার সমুদ্রসৈকতজুড়ে ২২৫টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করা হয়েছে। এমনকি সাত দিনের মধ্যে সেগুলো সরিয়ে নেওয়ার জন্য ২৯ সেপ্টেম্বর দখলদারদের নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু নির্ধারিত সাত দিনের সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও তারা সৈকতের অবৈধ স্থাপনা পুরোপুরি সরিয়ে নেয়নি।
স্থানীয় লোকজন জানায়, উচ্ছেদের খবর শুনে দখলদাররা তাদের স্থাপনার মধ্যে থাকা মালামাল সরিয়ে ফেলে। উচ্ছেদ অভিযান শেষ হওয়ার পর আবার ভবনগুলোতে মালামাল নিয়ে আসা হয়। গতকাল কথিত উচ্ছেদ হওয়া অধিকাংশ ভবনে আবার মালামাল ফিরিয়ে আনা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সি কুইন, হোটেল ডেলটা হাউজিং, সি প্যালেস হোটেলের মালিকপক্ষ জানায়, মালামালগুলো বাইরে থাকলে নষ্ট হবে। তাই সাময়িক সময়ের জন্য সেগুলো ভেতরে রাখা হচ্ছে।
পটুয়াখালীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে সমুদ্রসৈকতে ৯ অক্টোবর ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ভাসমান দোকানিদের নিজ উদ্যোগে তাদের দোকানপাট ও মালামাল সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন।
ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুল ইসলামের সাংবাদিকদের জানান, ইতিমধ্যেই চিহ্নিত ২২৫টি অবৈধ স্থাপনার অধিকাংশ স্থাপনা নিজ উদ্যোগে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। গতকাল বেশ কয়েকটি স্থাপনা উচ্ছেদ করেছেন। তাঁদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে ১৮-২০টি স্থাপনার মালিক হাইকোর্টে রিট করেছেন। তাই সেগুলো উচ্ছেদ করা যাচ্ছে না।
উচ্ছেদের নোটিশ পেয়েছেন সি প্যালেস হোটেলের আলমগীর হাওলাদার, সি কুইন হোটেলের জাহাঙ্গীর মোল্লা, খান আইচ প্লান্টের আ. রহিম খান, সানরাইজ হোটেলের শাহজালাল মিয়া ও মা মণি স্টুডিওর মালিক জাহাঙ্গীর হাওলাদার। তাঁরা মুঠোফোনে জানান, নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গতকাল তাঁরা হাইকোর্টে রিট করেছেন। হাইকোর্ট উচ্ছেদ অভিযান সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি তাঁরা মুঠোফোনে জেলা প্রশাসককে জানিয়েছেন। প্রশাসন এ কারণে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ রেখেছে।
এ ব্যাপারে পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক গোলাম মো. হাসিবুল আলম সাংবাদিকদের জানান, কুয়াকাটা সৈকত এলাকা থেকে সাত দিনের মধ্যে নিজেদের উদ্যোগে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল
জানা গেছে, কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতের বেড়িবাঁধের বাইরের জমি দখলসংক্রান্ত বিষয়ে গত ২ জুন একটি জাতীয় দৈনিকে সরেজমিন প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে দুজন আইনজীবী বিষয়টি নিয়ে ওই দিন বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি গোবিন্দচন্দ্র ঠাকুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদন করেন।
রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বিশেষ কমিটি গঠনের মাধ্যমে সৈকতের সীমানা নির্ধারণ করার ব্যাপারে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে সমুদ্রসৈকতের বেড়িবাঁধের বাইরে নতুন করে যেন জায়গা দখল ও স্থাপনা নির্মিত না হয়, সে জন্য পাহারার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পটুয়াখালী পুলিশ সুপার ও কলাপাড়া থানার ওসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া দখল থেকে সৈকত এলাকা রক্ষা করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। এমনকি হাইকোর্টেও ওই নির্দেশনা বাস্তবায়নে অগ্রগতি প্রতিবেদন সাত দিনের মধ্যে দাখিল করতে বলা হয়।
হাইকোর্টের আদেশের কপি গত ৭ সেপ্টেম্বর পেঁৗছার পর জেলা প্রশাসন সময় প্রার্থনা করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের ১৮ অক্টোবরের মধ্যে সৈকতের সীমানা চিহ্নিত করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। তখন জেলা প্রশাসন কুয়াকাটা সম্পূর্ণ দখলমুক্ত করতে সীমানা চিহ্নিতকরণের কার্যক্রম শুরু করে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. শাহ আলম সরদারের নেতৃত্বে ১১ সেপ্টেম্বর থেকে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা সৈকত এলাকা পরিদর্শন করেন।
চলতি বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর কমিটি সৈকতের সীমানা চিহ্নিত করে ম্যাপ তৈরি করে। ম্যাপ ঘেঁটে দেখা গেছে, সৈকতের পূর্ব দিকে আন্ধারমানিক নদের মোহনা লেম্বু চর থেকে পশ্চিমে গঙ্গামতী হয়ে কাউয়ার চর পর্যন্ত দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার সমুদ্রসৈকতজুড়ে ২২৫টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করা হয়েছে। এমনকি সাত দিনের মধ্যে সেগুলো সরিয়ে নেওয়ার জন্য ২৯ সেপ্টেম্বর দখলদারদের নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু নির্ধারিত সাত দিনের সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও তারা সৈকতের অবৈধ স্থাপনা পুরোপুরি সরিয়ে নেয়নি।
স্থানীয় লোকজন জানায়, উচ্ছেদের খবর শুনে দখলদাররা তাদের স্থাপনার মধ্যে থাকা মালামাল সরিয়ে ফেলে। উচ্ছেদ অভিযান শেষ হওয়ার পর আবার ভবনগুলোতে মালামাল নিয়ে আসা হয়। গতকাল কথিত উচ্ছেদ হওয়া অধিকাংশ ভবনে আবার মালামাল ফিরিয়ে আনা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সি কুইন, হোটেল ডেলটা হাউজিং, সি প্যালেস হোটেলের মালিকপক্ষ জানায়, মালামালগুলো বাইরে থাকলে নষ্ট হবে। তাই সাময়িক সময়ের জন্য সেগুলো ভেতরে রাখা হচ্ছে।
পটুয়াখালীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে সমুদ্রসৈকতে ৯ অক্টোবর ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ভাসমান দোকানিদের নিজ উদ্যোগে তাদের দোকানপাট ও মালামাল সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন।
ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুল ইসলামের সাংবাদিকদের জানান, ইতিমধ্যেই চিহ্নিত ২২৫টি অবৈধ স্থাপনার অধিকাংশ স্থাপনা নিজ উদ্যোগে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। গতকাল বেশ কয়েকটি স্থাপনা উচ্ছেদ করেছেন। তাঁদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে ১৮-২০টি স্থাপনার মালিক হাইকোর্টে রিট করেছেন। তাই সেগুলো উচ্ছেদ করা যাচ্ছে না।
উচ্ছেদের নোটিশ পেয়েছেন সি প্যালেস হোটেলের আলমগীর হাওলাদার, সি কুইন হোটেলের জাহাঙ্গীর মোল্লা, খান আইচ প্লান্টের আ. রহিম খান, সানরাইজ হোটেলের শাহজালাল মিয়া ও মা মণি স্টুডিওর মালিক জাহাঙ্গীর হাওলাদার। তাঁরা মুঠোফোনে জানান, নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গতকাল তাঁরা হাইকোর্টে রিট করেছেন। হাইকোর্ট উচ্ছেদ অভিযান সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি তাঁরা মুঠোফোনে জেলা প্রশাসককে জানিয়েছেন। প্রশাসন এ কারণে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ রেখেছে।
এ ব্যাপারে পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক গোলাম মো. হাসিবুল আলম সাংবাদিকদের জানান, কুয়াকাটা সৈকত এলাকা থেকে সাত দিনের মধ্যে নিজেদের উদ্যোগে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল
No comments