কৃত্রিম পা লাগিয়ে বাড়ি ফিরল লিমন
র্যাবের গুলিতে পা হারানোর পর টানা সাড়ে ছয় মাস চিকিৎসা শেষে কৃত্রিম পা লাগিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার নিজের বাড়িতে পৌঁছেছে ঝালকাঠির কলেজছাত্র লিমন। তাকে বাড়ি ফিরতে দেখে এলাকাবাসী গতকাল আবেগে আপ্লুত হয়।ধানমণ্ডি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে গতকাল মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সহযোগিতায় একটি মাইক্রোবাসে করে রাজাপুরের গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসে লিমন ও তার মা হেনোয়ারা বেগম। এ সময় তাঁদের সঙ্গে ছিলেন মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের উপপরিচালক (তদন্ত) মোহাম্মদ টিপু সুলতান ও তদন্ত কর্মকর্তা অনির্বাণ সাহা।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের কর্মকর্তারা লিমনকে প্রথমে নিয়ে যান রাজাপুর থানায়। সেখানে গিয়ে লিমন ওসি তোফাজ্জেল হোসেনের কাছে তার ও পরিবারের নিরাপত্তা দাবি করে। এ সময় আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষ থেকে লিমনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ওসিকে একটি চিঠি দেওয়া হয়।
বেসরকারি সংস্থা সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট ডিজঅ্যাবিলিটির (সিডিডি) দেওয়া একটি কৃত্রিম পা লাগিয়ে বর্তমানে চলাফেরা করতে পারছে লিমন। হাঁটার গতিতে এখনো স্বাচ্ছন্দ্য না এলেও ক্র্যাচ ফেলতে পারায় লিমন কৃত্রিম পা নিয়ে মোটামুটি সন্তুষ্ট। রাজাপুর থেকে সাত কিলোমিটার দূরে ইঁদুর ব্রিজের সামনের রাস্তায় মাইক্রোবাস থেকে নামার পর তাকে ঘিরে আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়। আত্মীয়-পরিজন ও প্রতিবেশীরা ছুটে আসে। সেখান থেকে এক কিলোমিটার রাস্তা কৃত্রিম পায়ে সবার সঙ্গে হেঁটে বাড়িতে ফেরে লিমন।
লিমন জানিয়েছে, সে আবার পড়াশোনা শুরু করতে চায়। আর তার দুঃসময়ে পাশে দাঁড়ানোর জন্য গণমাধ্যম, মানবাধিকার সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সবার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। তার প্রার্থনা একটাই, আর কোনো নির্দোষ ব্যক্তির পরিণতি যেন তার মতো না হয়। প্রসঙ্গত, গত ২৩ মার্চ মাদকসেবী ও সন্ত্রাসীদের ধরতে গিয়ে লিমনকেই সন্ত্রাসী ভেবে তার পায়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে র্যাব। এ ঘটনায় সারা দেশে প্রতিবাদের ঝড় উঠলেও র্যাব কর্তৃপক্ষ লিমনকে সন্ত্রাসী বানানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালায়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও র্যাবের পক্ষে সাফাই গাইতে গিয়ে ব্যাপক সমালোচিত হন। পরে র্যাব তাদের অবস্থান থেকে কিছুটা সরে আসে।
আইন ও সালিশ কেন্দ্র লিমনকে অব্যাহত সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে এবং তার ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদন প্রকাশের দাবি করেছে। একই সঙ্গে লিমনের বিরুদ্ধে র্যাবের দায়ের করা দুটি মামলা প্রত্যাহারের দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি।
বেসরকারি সংস্থা সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট ডিজঅ্যাবিলিটির (সিডিডি) দেওয়া একটি কৃত্রিম পা লাগিয়ে বর্তমানে চলাফেরা করতে পারছে লিমন। হাঁটার গতিতে এখনো স্বাচ্ছন্দ্য না এলেও ক্র্যাচ ফেলতে পারায় লিমন কৃত্রিম পা নিয়ে মোটামুটি সন্তুষ্ট। রাজাপুর থেকে সাত কিলোমিটার দূরে ইঁদুর ব্রিজের সামনের রাস্তায় মাইক্রোবাস থেকে নামার পর তাকে ঘিরে আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়। আত্মীয়-পরিজন ও প্রতিবেশীরা ছুটে আসে। সেখান থেকে এক কিলোমিটার রাস্তা কৃত্রিম পায়ে সবার সঙ্গে হেঁটে বাড়িতে ফেরে লিমন।
লিমন জানিয়েছে, সে আবার পড়াশোনা শুরু করতে চায়। আর তার দুঃসময়ে পাশে দাঁড়ানোর জন্য গণমাধ্যম, মানবাধিকার সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সবার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। তার প্রার্থনা একটাই, আর কোনো নির্দোষ ব্যক্তির পরিণতি যেন তার মতো না হয়। প্রসঙ্গত, গত ২৩ মার্চ মাদকসেবী ও সন্ত্রাসীদের ধরতে গিয়ে লিমনকেই সন্ত্রাসী ভেবে তার পায়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে র্যাব। এ ঘটনায় সারা দেশে প্রতিবাদের ঝড় উঠলেও র্যাব কর্তৃপক্ষ লিমনকে সন্ত্রাসী বানানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালায়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও র্যাবের পক্ষে সাফাই গাইতে গিয়ে ব্যাপক সমালোচিত হন। পরে র্যাব তাদের অবস্থান থেকে কিছুটা সরে আসে।
আইন ও সালিশ কেন্দ্র লিমনকে অব্যাহত সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে এবং তার ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদন প্রকাশের দাবি করেছে। একই সঙ্গে লিমনের বিরুদ্ধে র্যাবের দায়ের করা দুটি মামলা প্রত্যাহারের দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি।
No comments