১০ দিনের মধ্যে সাঙ্গুর ৪ নম্বর কূপে গ্যাসের পরিমাণ জানা যাবে

দেশের একমাত্র সাগরকেন্দ্রিক গ্যাসক্ষেত্র সাঙ্গুর ৪ নম্বর কূপের খননকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত দুই হাজার ১০০ মিটার খনন করা হয়েছে। দুই হাজার ৮০০ মিটার পর্যন্ত খনন করা গেলে গ্যাসের অবস্থান ও পরিমাণ সম্পর্কে জানা যাবে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে সেই লক্ষ্যে পেঁৗছা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সান্তোস সাঙ্গু গ্যাস লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট এ বি এ সিরাজুদ্দৌলা।চট্টগ্রামে সীতাকুণ্ডের সান্তোস সাঙ্গু গ্যাস লিমিটেডের ট্রান্সমিশন সেন্টারে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে সান্তোসের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানান।


সংবাদ সম্মেলনে এ বি এ সিরাজুদ্দৌলা আরো বলেন, বঙ্গোপসাগরের ১৬ নম্বর ব্লকে নতুন করে তিনটি কূপ খননের কাজ শুরু করেছে সান্তোস। এত দিন সাঙ্গু গ্যাসক্ষেত্রটির পরিচালনার দায়িত্ব কেয়ার্ন এনার্জি বাংলাদেশ পালন করলেও সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ান গ্যাস অনুসন্ধান কম্পানি সান্তোস লিমিটেড এর দায়িত্ব নিয়েছে।এরপর নতুন করে তারা কূপ খননের কাজ শুরু করে। এই তিনটি কূপ খনন করতে কম্পানিটি প্রায় ৯৬৫ কোটি টাকা খরচ করছে বলে তিনি জানান। গ্যাস পাওয়া গেলে তৃতীয় কোনো পক্ষের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে গ্যাসের মূল্য নির্ধারণ করা হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারি প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে জানান এ বি এ সিরাজুদ্দৌলা।
সান্তোস সাঙ্গু গ্যাসক্ষেত্রের সিনিয়র ড্রিলিং ইঞ্জিনিয়ার হাসনাইন ইব্রাহিম জানান, এই কূপ থেকে গ্যাস পাওয়ার বিষয়টি আগামী ১০ দিনের মধ্যে নিশ্চিত হওয়া গেলেও বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলন করতে প্রায় তিন হাজার ৬০০ মিটার কূপ খনন করতে হবে। কূপ খননের কাজ ডিসেম্বর নাগাদ শেষ করা যাবে বলে তিনি জানান।
্লসংবাদ সম্মলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সান্তোস সাঙ্গু গ্যাস লিমিটেডের কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির ও হামিদা ভিরানি।
সান্তোসের কর্মকর্তারা আরো জানান, বর্তমান সাঙ্গু গ্যাসক্ষেত্র থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ সাঙ্গুতে কূপ খনন চলছে। এরপর নভেম্বরের শেষ নাগাদ সাঙ্গু-১১ এবং জানুয়ারি থেকে উত্তর-পূর্ব সাঙ্গুতে খনন করা হবে। তবে প্রথম কূপ দক্ষিণ সাঙ্গুতে (৪ নম্বর কূপ) গ্যাস পাওয়া গেলেও প্লাটফরম এবং পাইপলাইন না থাকায় সেটি থেকে গ্যাস সরবরাহে সময় লাগবে। তবে সাঙ্গু-১১-তে বর্তমান প্লাটফরমের ওপর রিগ বসিয়ে ড্রিল করা হবে। তাই এই কূপ থেকে গ্যাস পাওয়া গেলে সেখান থেকে আগামী মার্চ নাগাদ গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে। তিন শিফটে কূপ খননের কাজে চার শতাধিক দেশি-বিদেশি শ্রমিক কাজ করছেন বলে কর্মকর্তারা জানান।

No comments

Powered by Blogger.