হাইকোর্টের নির্দেশ উপেক্ষা করে কলেজ শিক্ষককে বরখাস্ত

টুয়াখালীর কলাপাড়া মহিলা কলেজের ইংরেজি বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক মো. আবুল কালাম আজাদকে হাইকোর্টের নির্দেশ উপেক্ষা করে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কলেজ পরিচালনা পর্ষদ। অত্যন্ত গোপনে চলতি বছরের ৮ অক্টোবর কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গতকাল সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি তাঁকে জানানো হয়।এ নিয়ে সম্প্রতি কলাপাড়ায় বরখাস্তকৃত শিক্ষকের সংখ্যা সাতজনে দাঁড়িয়েছে। এর আগে মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজের ছয়জন শিক্ষককে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।


কলাপাড়ার মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস কলেজ, কলাপাড়া মহিলা কলেজ ও ধানখালী ডিগ্রি কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুবুর রহমান। ইতিমধ্যে তাঁর নির্দেশে বিএনপি সমর্থিত ১৬ জন শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে।এ ব্যাপারে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মাহবুবুর রহমান মুঠোফোনে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বিষয়টি আদালত আর কলেজের ব্যাপার। এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশের কোনো সুযোগ নেই।'
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ অভিযোগ করেন, তাঁর কলেজের বেতন-ভাতা চলতি বছরের জুন থেকে বেআইনিভাবে আটকে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া তাঁকে চাকরি থেকে অব্যাহতির নিমিত্তে একাধিকবার কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এমনকি শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর প্রদানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে গত ২৩ আগস্ট তিনি হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন। পিটিশন নং-৬৩৫৫/১১। তিনি জানান, দায়েরকৃত রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও কাজী রেজাউল হক সমন্বিত বেঞ্চ গত ১৮ সেপ্টেম্বর কলেজ কর্তৃপক্ষকে তিন সপ্তাহের মধ্যে জবাব দেওয়ার জন্য রুল জারি করেন। একই আদেশে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও কলেজের অধ্যক্ষকে তিন সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.