ময়মনসিংহে খালেদার জনসভা ২৭ অক্টোবর by মোশাররফ বাবলু
রাজশাহী বিভাগের রোডমার্চ কর্মসূচিতে কিছু কাটছাঁট করেছে বিএনপি। ঢাকা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ অভিমুখে রোডমার্চ করার পরের দিন ২০ অক্টোবর নাটোরে যে জনসভা হওয়ার কথা ছিল তা বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে ময়মনসিংহ জেলায় ২৫ অক্টোবরের জনসভার তারিখ পরিবর্তন করে ২৭ অক্টোবর করা হয়েছে। বিএনপি নেতারা বলেছেন, ডিগ্রি পরীক্ষার কারণে শেষ মুহূর্তে কর্মসূচিতে কিছু বদল আনা হয়।রোডমার্চ সফল করতে দলের সিনিয়র নেতারা চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বগুড়া, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইলসহ যেসব জেলা দিয়ে রোডমার্চে যাবে সেই সব জেলার নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ রোডমার্চ কর্মসূচি সমন্বয়কারীর প্রধান দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতা অগ্রবর্তী টিম হিসেবে কাজ করছেন।
নজরুল ইসলাম খান কালের কণ্ঠকে জানান, ডিগ্রি পরীক্ষা শুরু হওয়ার কারণে ২০ অক্টোবরের রোডমার্চ ও নাটোরের জনসভা বাতিল করা হয়েছে। তিনি বলেন, আগামী ২০ অক্টোবর রোডমার্চের শেষ দিন নাটোরের পূর্বনির্ধারিত জনসভা হবে না। ওই দিন সারা দেশে ডিগ্রি পরীক্ষা শুরু হবে।
অন্যদিকে ময়মনসিংহ জেলায় অনুষ্ঠেয় ২৭ অক্টোবরের জনসভায় ব্যাপক লোকজনের সমাগম ঘটাতে ময়মনসিংহ জেলার আশপাশের জেলা-উপজেলা নেতাদের নিয়ে বৈঠক করছেন বিএনপি নেতারা। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে গতকাল বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহ জেলা সফর করেন দলের কয়েকজন সিনিয়র নেতা। যোগাযোগ করা হলে মির্জা আব্বাস কালের কণ্ঠকে বলেন, '২৫ অক্টোবর ময়মনসিংহ জেলায় জনসভা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই দিন ডিগ্রি স্নাতক পরীক্ষা এবং পরের দিন শ্যামাপূজা থাকায় ২৭ অক্টোবর ময়মনসিংহে জনসভা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই জনসভায় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বক্তব্য দেবেন।'
গতকাল দুপুরে নাটোরের জেলা পরিষদ মিলনায়তনে রোডমার্চের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। আগামী ১৮ অক্টোবর ঢাকা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ অভিমুভে রোডমার্চ কর্মসূচির প্রথম দিন টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ হয়ে বগুড়ায় জনসভায় বক্তব্য দেবেন খালেদা জিয়া। জনসভা শেষে বগুড়ায় রাত যাপন করবেন তিনি। পরের দিন ১৯ অক্টোবর বগুড়া থেকে নওগাঁ হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ অভিমুখে রোডমার্চের নেতৃত্ব দেবেন তিনি। বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় জনসভায় বক্তব্য দেবেন তিনি। তবে সিলেট অভিমুখে রোডমার্চ যেভাবে জনগণ সফল করেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও বগুড়ায় রোডমার্চ কর্মসূচিও একইভাবে সফল হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন নজরুল ইসলাম খান।
সাবেক প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান, সাবেক সংসদ কাজী গোলাম মোর্শেদ, সংসদ সদস্য মোজাম্মেল হক, নাটোর জেলা বিএনপির সভাপতি রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ স্থানীয় নেতারা অগ্রবর্তী টিম হিসেবে কাজ করছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে রাতে রাজশাহী সার্কিট হাউসে গিয়ে রাতে অবস্থান করার কথা ছিল খালেদা জিয়ার। কিন্তু রাজশাহী জেলা ও মহানগর বিএনপির মধ্যকার দ্বন্দ্বের কারণে শেষ পর্যন্ত নাটোরের জনসভা ও বানেশ্বর নামক স্থানে পথসভা বাতিল করা হয়েছে বলে সূত্র জানায়।
এদিকে ময়মনসিংহ জেলায় অনুষ্ঠেয় জনসভা সফল করতেও ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি। জনসভা সফল করে তুলতে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, ময়মনসিংহ, জামালপুর, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা ও শেরপুর জেলা ও শহর শাখা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও শ্রমিক দলসহ অঙ্গ সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা দিনরাত কাজ করছেন।
গতকাল ময়মনসিংহ শহরের চরপাড়ায় আল বারাকা কনভেনশন সেন্টারে ২৭ অক্টোবর ময়মনসিংহে খালেদা জিয়ার জনসভার প্রস্তুতিমূলক সভা হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মির্জা আব্বাস। সভায় সভাপতিত্ব করেন ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি এ কে এম মোশাররফ হোসেন। সভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক ওয়াহাব আকন্দ। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক শিক্ষামন্ত্রী এম ওসমান ফারুক, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ব্যারিস্টার হায়দার আলী, এম এ হালিম, জনসভা প্রস্তুতি কমিটির সদস্যসচিব ফজলুল হক মিলন, ঢাকা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম প্রমুখ।
মির্জা আব্বাস গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, ঢাকা থেকে সিলেট অভিমুখে রোডমার্চ কর্মসূচিতে লাখো মানুষ যোগ দেয়। সিলেট আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। ময়মনসিংহ জেলা শহরের জনসভায়ও লাখো মানুষের ভিড় হবে বলে তিনি আশা করেন। তিনি বলেন, 'দেশের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরার জন্য পর্যায়ক্রমে খালেদা জিয়া সারা দেশ সফর করবেন। তাঁর কর্মসূচিতে জনসমুদ্রই বলে দিচ্ছে দেশের মানুষ এ জালিম সরকারের ওপর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।'
সিরাজগঞ্জে পথসভার অনুমতি মেলেনি
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, আগামী ১৮ অক্টোবর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোডমার্চ উপলক্ষে সিরাজগঞ্জে নির্ধারিত হাটিকুমরুলে পথসভার অনুমতি দেয়নি জেলা প্রশাসন। কেন্দ্রীয় বিএনপির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওই দিন দুপুরে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকার এলজিইডি মার্কেট মাঠে এ পথসভার আয়োজন করা হয়েছিল। ওই পথসভায় খালেদা জিয়ার সংক্ষিপ্ত ভাষণ দেওয়ার কর্মসূচি নির্ধারিত হয়েছিল।
সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট মোকাদ্দেস আলী জানান, খালেদা জিয়ার নির্ধারিত ওই পথসভার অনুমতি চেয়ে তিনি সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসনের কাছে ১২ অক্টোবর আবেদন করেছিলেন। কিন্তু জেলা প্রশাসন নির্ধারিত ওই পথসভার অনুমতি দেয়নি। ইতিমধ্যেই গতকাল জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ গোলাম রব্বানী স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি জেলা বিএনপির কাছে পাঠানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, উত্তরবঙ্গের ব্যস্ততম এ সড়ক অল্প সময়ের জন্য বন্ধ থাকলে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হতে পারে, যাতে চলাচলকারী যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে রোডমার্চে অংশগ্রহণকারীদের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোকাদ্দেস আলী তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানান, জেলা প্রশাসন সরকারি চাপে পড়েই এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
নজরুল ইসলাম খান কালের কণ্ঠকে জানান, ডিগ্রি পরীক্ষা শুরু হওয়ার কারণে ২০ অক্টোবরের রোডমার্চ ও নাটোরের জনসভা বাতিল করা হয়েছে। তিনি বলেন, আগামী ২০ অক্টোবর রোডমার্চের শেষ দিন নাটোরের পূর্বনির্ধারিত জনসভা হবে না। ওই দিন সারা দেশে ডিগ্রি পরীক্ষা শুরু হবে।
অন্যদিকে ময়মনসিংহ জেলায় অনুষ্ঠেয় ২৭ অক্টোবরের জনসভায় ব্যাপক লোকজনের সমাগম ঘটাতে ময়মনসিংহ জেলার আশপাশের জেলা-উপজেলা নেতাদের নিয়ে বৈঠক করছেন বিএনপি নেতারা। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে গতকাল বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহ জেলা সফর করেন দলের কয়েকজন সিনিয়র নেতা। যোগাযোগ করা হলে মির্জা আব্বাস কালের কণ্ঠকে বলেন, '২৫ অক্টোবর ময়মনসিংহ জেলায় জনসভা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই দিন ডিগ্রি স্নাতক পরীক্ষা এবং পরের দিন শ্যামাপূজা থাকায় ২৭ অক্টোবর ময়মনসিংহে জনসভা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই জনসভায় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বক্তব্য দেবেন।'
গতকাল দুপুরে নাটোরের জেলা পরিষদ মিলনায়তনে রোডমার্চের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। আগামী ১৮ অক্টোবর ঢাকা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ অভিমুভে রোডমার্চ কর্মসূচির প্রথম দিন টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ হয়ে বগুড়ায় জনসভায় বক্তব্য দেবেন খালেদা জিয়া। জনসভা শেষে বগুড়ায় রাত যাপন করবেন তিনি। পরের দিন ১৯ অক্টোবর বগুড়া থেকে নওগাঁ হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ অভিমুখে রোডমার্চের নেতৃত্ব দেবেন তিনি। বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় জনসভায় বক্তব্য দেবেন তিনি। তবে সিলেট অভিমুখে রোডমার্চ যেভাবে জনগণ সফল করেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও বগুড়ায় রোডমার্চ কর্মসূচিও একইভাবে সফল হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন নজরুল ইসলাম খান।
সাবেক প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান, সাবেক সংসদ কাজী গোলাম মোর্শেদ, সংসদ সদস্য মোজাম্মেল হক, নাটোর জেলা বিএনপির সভাপতি রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ স্থানীয় নেতারা অগ্রবর্তী টিম হিসেবে কাজ করছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে রাতে রাজশাহী সার্কিট হাউসে গিয়ে রাতে অবস্থান করার কথা ছিল খালেদা জিয়ার। কিন্তু রাজশাহী জেলা ও মহানগর বিএনপির মধ্যকার দ্বন্দ্বের কারণে শেষ পর্যন্ত নাটোরের জনসভা ও বানেশ্বর নামক স্থানে পথসভা বাতিল করা হয়েছে বলে সূত্র জানায়।
এদিকে ময়মনসিংহ জেলায় অনুষ্ঠেয় জনসভা সফল করতেও ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি। জনসভা সফল করে তুলতে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, ময়মনসিংহ, জামালপুর, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা ও শেরপুর জেলা ও শহর শাখা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও শ্রমিক দলসহ অঙ্গ সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা দিনরাত কাজ করছেন।
গতকাল ময়মনসিংহ শহরের চরপাড়ায় আল বারাকা কনভেনশন সেন্টারে ২৭ অক্টোবর ময়মনসিংহে খালেদা জিয়ার জনসভার প্রস্তুতিমূলক সভা হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মির্জা আব্বাস। সভায় সভাপতিত্ব করেন ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি এ কে এম মোশাররফ হোসেন। সভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক ওয়াহাব আকন্দ। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক শিক্ষামন্ত্রী এম ওসমান ফারুক, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ব্যারিস্টার হায়দার আলী, এম এ হালিম, জনসভা প্রস্তুতি কমিটির সদস্যসচিব ফজলুল হক মিলন, ঢাকা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম প্রমুখ।
মির্জা আব্বাস গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, ঢাকা থেকে সিলেট অভিমুখে রোডমার্চ কর্মসূচিতে লাখো মানুষ যোগ দেয়। সিলেট আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। ময়মনসিংহ জেলা শহরের জনসভায়ও লাখো মানুষের ভিড় হবে বলে তিনি আশা করেন। তিনি বলেন, 'দেশের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরার জন্য পর্যায়ক্রমে খালেদা জিয়া সারা দেশ সফর করবেন। তাঁর কর্মসূচিতে জনসমুদ্রই বলে দিচ্ছে দেশের মানুষ এ জালিম সরকারের ওপর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।'
সিরাজগঞ্জে পথসভার অনুমতি মেলেনি
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, আগামী ১৮ অক্টোবর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোডমার্চ উপলক্ষে সিরাজগঞ্জে নির্ধারিত হাটিকুমরুলে পথসভার অনুমতি দেয়নি জেলা প্রশাসন। কেন্দ্রীয় বিএনপির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওই দিন দুপুরে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকার এলজিইডি মার্কেট মাঠে এ পথসভার আয়োজন করা হয়েছিল। ওই পথসভায় খালেদা জিয়ার সংক্ষিপ্ত ভাষণ দেওয়ার কর্মসূচি নির্ধারিত হয়েছিল।
সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট মোকাদ্দেস আলী জানান, খালেদা জিয়ার নির্ধারিত ওই পথসভার অনুমতি চেয়ে তিনি সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসনের কাছে ১২ অক্টোবর আবেদন করেছিলেন। কিন্তু জেলা প্রশাসন নির্ধারিত ওই পথসভার অনুমতি দেয়নি। ইতিমধ্যেই গতকাল জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ গোলাম রব্বানী স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি জেলা বিএনপির কাছে পাঠানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, উত্তরবঙ্গের ব্যস্ততম এ সড়ক অল্প সময়ের জন্য বন্ধ থাকলে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হতে পারে, যাতে চলাচলকারী যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে রোডমার্চে অংশগ্রহণকারীদের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোকাদ্দেস আলী তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানান, জেলা প্রশাসন সরকারি চাপে পড়েই এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
No comments