আমদানি বাড়ায় কমছে দাম by সুনীল দাস,
বাগেরহাটে সুপারি বাজারে ব্যাপক হারে ধস নেমেছে। চলতি বছর প্রচুর বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে সুপারির উৎপাদন অনেক কম হয়েছে। এর ওপর বাজারে দাম কমে যাওয়ায় চাষিরা ব্যাপক লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছেন। কয়েক দিনে ভালো মানের এক কুড়ি (২৫৫টি) পাকা সুপারির দাম ৮০০ থেকে কমে মাত্র ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য সব গ্রেডের সুপারির দামও অর্ধেকের বেশি কমে গেছে। বাগেরহাটের সাইনবোর্ড, সিঅ্যান্ডবি বাজার, ফকিরহাট, ফয়লাহাট, সদর মাজারসহ বিভিন্ন বাজারে ঘুরে বিক্রেতা ও চাষিদের কাছ থেকে সুপারির মূল্যহ্রাসের এ অবস্থা জানা গেছে।
বাজারে সুপারির দাম হঠাৎ কমে যাওয়ায় বাগেরহাটের ১০ হাজার সুপারিচাষি ১০০ কোটি টাকা ক্ষতির শিকার হয়েছেন। ব্যবসায়ীরা জানান, সম্প্রতি ভারত ও মিয়ানমার থেকে বিদেশি সুপারি আমদানির কারণে দেশীয় সুপারির দাম কমে গেছে। জেলার সুপারিচাষিরা বিদেশ থেকে আমদানি বন্ধ করে দেশীয় চাষিদের বাঁচানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর বাগেরহাট জেলায় পাঁচ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে সুপারির চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ফকিরহাট, মোল্লাহাট, সদর, কচুয়া, চিতলমারী, মোরেলগঞ্জ ও রামপাল উপজেলায় সুপারির বেশি চাষ হয়েছে। তবে সুপারির পুষ্ট হওয়ার সময় আগস্ট ও সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকে অবিরাম বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন এলাকায় সুপারি বাগানগুলোয় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। সে কারণে সুপারির ফলন তুলনামূলক এ বছর অনেক কম হয়েছে। অন্যান্য বছর জেলায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার টন সুপারি উৎপাদন হলেও চলতি বছর উৎপাদন প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। বাগেরহাট সদরের উৎকুল গ্রামের সুপারিচাষি মাসুদুল হক, কররী গ্রামের লিয়াকত আলী, মোসলেম উদ্দিন, সিঅ্যান্ড বাজার এলাকার দেবাশীষ দাস, হিমাংশু দাসসহ অনেকে জানান, চলতি বছর ব্যাপক জলাবদ্ধতার কারণে সুপারি যেমন পুষ্ট হয়নি, তেমনি উৎপাদনও অনেক কম হয়েছে। তবে সুপারি উৎপাদনের প্রথম দিকে বাজারে দাম ভালো থাকায় চাষিরা বেশ খুশি ছিলেন। কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যে সুপারির বাজার একেবারেই পড়ে গেছে। দুই সপ্তাহ আগে পাকা ভালো মানের এ গ্রেডের এক কুড়ি সুপারির দাম ছিল ৭-৮০০ টাকা। বর্তমানে সেই একই মানের এক কুড়ি সুপারি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৩০০ টাকা। একইভাবে বি, সি ও ডি গ্রেডের সুপারির দামও অর্ধেকে নেমে গেছে। এ ছাড়া কাঁচা সুপারি বর্তমানে ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই অবস্থায় চাষিদের উৎপাদন খরচও উঠছে না। যার ফলে জেলার সুপারি চাষিরা প্রায় ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। চাষিরা জানান, বর্তমানে পিক সিজনে বাজারে সুপারির যে দাম, তাতে তাঁদের চাষ, আহরণ ও পরিচর্যা করে যে খরচ হয়, তাও উঠছে না। তাঁরা এখন সুপারি নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন। না পারছেন ঘরে সংরক্ষণ করে রাখতে, আবার বাজারে দাম অনেক কম হওয়ায় তাঁদের লোকসান দিয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে চুলকাঠি, বাধাল ও সাইনবোর্ড বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, সম্প্রতি ভারত ও মিয়ানমার থেকে সুপারি আমদানি হওয়ায় দেশীয় সুপারির দাম কমে গেছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে দেশের সুপারি চাষিরা চরম ক্ষতির শিকার হবে, যা ভবিষ্যতে সুপারির চাষ ও উৎপাদনে বিরূপ প্রভাব পড়বে। এ অবস্থার নিরসনে বাগেরহাট জেলা সুপারি চাষি সমিতির নেতারা বিদেশ থেকে সুপারি আমদানি বন্ধ করে দেশের সুপারিচাষিদের বাঁচাতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর বাগেরহাট জেলায় পাঁচ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে সুপারির চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ফকিরহাট, মোল্লাহাট, সদর, কচুয়া, চিতলমারী, মোরেলগঞ্জ ও রামপাল উপজেলায় সুপারির বেশি চাষ হয়েছে। তবে সুপারির পুষ্ট হওয়ার সময় আগস্ট ও সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকে অবিরাম বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন এলাকায় সুপারি বাগানগুলোয় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। সে কারণে সুপারির ফলন তুলনামূলক এ বছর অনেক কম হয়েছে। অন্যান্য বছর জেলায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার টন সুপারি উৎপাদন হলেও চলতি বছর উৎপাদন প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। বাগেরহাট সদরের উৎকুল গ্রামের সুপারিচাষি মাসুদুল হক, কররী গ্রামের লিয়াকত আলী, মোসলেম উদ্দিন, সিঅ্যান্ড বাজার এলাকার দেবাশীষ দাস, হিমাংশু দাসসহ অনেকে জানান, চলতি বছর ব্যাপক জলাবদ্ধতার কারণে সুপারি যেমন পুষ্ট হয়নি, তেমনি উৎপাদনও অনেক কম হয়েছে। তবে সুপারি উৎপাদনের প্রথম দিকে বাজারে দাম ভালো থাকায় চাষিরা বেশ খুশি ছিলেন। কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যে সুপারির বাজার একেবারেই পড়ে গেছে। দুই সপ্তাহ আগে পাকা ভালো মানের এ গ্রেডের এক কুড়ি সুপারির দাম ছিল ৭-৮০০ টাকা। বর্তমানে সেই একই মানের এক কুড়ি সুপারি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৩০০ টাকা। একইভাবে বি, সি ও ডি গ্রেডের সুপারির দামও অর্ধেকে নেমে গেছে। এ ছাড়া কাঁচা সুপারি বর্তমানে ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই অবস্থায় চাষিদের উৎপাদন খরচও উঠছে না। যার ফলে জেলার সুপারি চাষিরা প্রায় ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। চাষিরা জানান, বর্তমানে পিক সিজনে বাজারে সুপারির যে দাম, তাতে তাঁদের চাষ, আহরণ ও পরিচর্যা করে যে খরচ হয়, তাও উঠছে না। তাঁরা এখন সুপারি নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন। না পারছেন ঘরে সংরক্ষণ করে রাখতে, আবার বাজারে দাম অনেক কম হওয়ায় তাঁদের লোকসান দিয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে চুলকাঠি, বাধাল ও সাইনবোর্ড বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, সম্প্রতি ভারত ও মিয়ানমার থেকে সুপারি আমদানি হওয়ায় দেশীয় সুপারির দাম কমে গেছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে দেশের সুপারি চাষিরা চরম ক্ষতির শিকার হবে, যা ভবিষ্যতে সুপারির চাষ ও উৎপাদনে বিরূপ প্রভাব পড়বে। এ অবস্থার নিরসনে বাগেরহাট জেলা সুপারি চাষি সমিতির নেতারা বিদেশ থেকে সুপারি আমদানি বন্ধ করে দেশের সুপারিচাষিদের বাঁচাতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
No comments