পুরনো কারারক্ষী ব্যারাক ভবনে বিচার হবে

১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচারকাজ পরিচালনার জন্য ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডে কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটকসংলগ্ন পুরনো কারারক্ষী ব্যারাক ভবনে আদালত বসবে। এ বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার এসআরও জারি করা হয়েছে আইন মন্ত্রণালয় থেকে। দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল আইনে দেওয়া ক্ষমতাবলে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে এসআরওতে উল্লেখ করা হয়েছে। এদিকে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক মামলায় পুলিশের সাবেক আইজি খোদা বক্স নিজেকে নির্দোষ দাবি করে মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেছেন আদালতে।
আদালত প্রতিবেদক জানান, গতকাল ঢাকার ১ নম্বর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে খোদা বক্স এ আবেদন করেন।


আবেদনের ওপর গতকাল আংশিক শুনানি হয়েছে। এরপর ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নুর উদ্দিন আগামী ১৭ অক্টোবর পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করেন।
খোদা বক্সের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী এম এ রশীদ। শুনানিতে তিনি বলেন, খোদা বক্স ঘটনার সময় ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি ছিলেন। তিনি এ ঘটনার কোনো কিছুর সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। তা ছাড়া প্রথমবার দাখিল করা অভযোগপত্রে তাঁকে আসামি করা হয়নি। ঘটনার সাত বছর পর সম্পূরক অভিযোগপত্রে তাঁকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে জড়িত করা হয়েছে।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় উদ্ভূত বিস্ফোরক ও হত্যা মামলায় সম্পূরক অভিযোগপত্রভুক্ত তারেক রহমানসহ ৫২ আসামির অব্যাহতির আবেদনের ওপর গতকাল শুনানির দিন ধার্য ছিল।
গতকাল এই মামলার প্রথম ও সম্পূরক অভিযোগপত্রের কারাবন্দি ৩২ আসামিকে কড়া নিরাপত্তায় আদালতে হাজির করা হয়। এ জন্য আদালতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। মামলার জামিনে থাকা একমাত্র আসামি আরিফুল ইসলাম আরিফ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
প্রথম চার্জশিটভুক্ত ২২ আসামির মধ্যে ১৪ জন কারাগারে এবং আটজন পলাতক রয়েছেন। এ ছাড়া বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ এমপি, জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, মেজর জেনারেল (অব.) এ টি এম আমিন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুর রহিম, লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম জোয়ার্দার (বরখাস্ত), আশরাফুল হুদা, শহুদুল হক, খোদা বক্সসহ ৩০ জনকে আসামি করে হত্যা ও বিস্ফোরকের পৃথক দুই মামলায় সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয় গত ৩ জুলাই।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের জনসভায় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। তিনি আহত হয়ে প্রাণে বেঁচে গেলেও বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের সহধর্মিণী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত এবং বহু নেতা-কর্মী আহত হন।

No comments

Powered by Blogger.