খালেদা দুর্নীতিবাজ ছেলেদের ক্ষমতায় বসাতে চান

খালেদা জিয়ার দুই দুর্নীতিবাজ ছেলেকে রক্ষা এবং রাজাকার ও দেশদ্রোহী জামায়াতি যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করাই বিরোধী দলের আন্দোলনের মূল লক্ষ্য বলে অভিযোগ করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।সন্ত্রাস-নাশকতা এবং মানুষ হত্যা করে অভিযুক্তদের রক্ষা করা যাবে না, বিএনপি-জামায়াত অপশক্তির অন্ধকারের দিনগুলোতে জাতি আর ফিরে যাবে না বলেও মন্তব্য করা হয়েছে দলটির পক্ষ থেকে। আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, খালেদা জিয়া নতুন প্রজন্মের নাম করে তাঁর দুর্নীতিবাজ দুই ছেলেকে ক্ষমতায় বসাতে চান।


গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের বক্তব্য তুলে ধরেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ। সিলেটের জনসভায় খালেদা জিয়ার বক্তব্যের জবাব দিতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ধর্ম নিয়ে কথা বলে খালেদা জিয়া সাম্প্রদায়িকতা উসকে দিয়েছেন অভিযোগ করে হানিফ বলেন, খালেদা জিয়ার বক্তব্যে মনে হয় তিনি ধর্মযাজকের সার্টিফিকেট পেতে চান।
নিজের ধর্মকর্ম পালনের মানসিকতা না থাকতে পারে, কিন্তু অন্যের ধর্মের প্রতি কটাক্ষ করতে পারেন না বিরোধীদলীয় নেতা_এ মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বলেন, কে কোন ধর্মের অনুসারী সেটা কি খালেদা জিয়ার কাছ থেকে সার্টিফিকেট নিয়ে বলতে হবে?
আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার ধর্মবিশ্বাস নিয়ে কটাক্ষ করায় বিরোধীদলীয় নেতার কঠোর সমালোচনা করেন হানিফ। তিনি বলেন, যাঁর দিন শুরু হয় দুপুর ১২টায়, যাঁর বাথরুমে নিষিদ্ধ পানীয়র বোতল পাওয়া যায়, তাঁর মুখে শেখ হাসিনার ধর্মবিশ্বাস নিয়ে কটাক্ষ শোভা পায় না।
ক্ষমতায় থাকার সময় খালেদা জিয়া ও তাঁর ছেলেদের বিভিন্ন দুর্নীতির খতিয়ান তুলে ধরে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার দুই ছেলে তাঁদের বাবার নামে অরফানেজ ট্রাস্ট করে এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে প্রাপ্ত টাকা আত্মসাৎ করেছেন। পরে খালেদা জিয়া জরিমানা দিয়ে কালো টাকা সাদা করেছিলেন।
হানিফ বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত দুর্নীতিবাজদের ক্ষমতায় বসিয়ে খালেদা জিয়া দেশে চোরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চান।
বিরোধী দলের সিলেট রোডমার্চের কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, খালেদা জিয়ার রোডমার্চ ছিল বিলাসবহুল গাড়ির প্রদর্শনী, যার মাধ্যমে জনজীবনে দুর্ভোগ সৃষ্টি করা হয়েছে।
রোডমার্চে খালেদা জিয়ার 'আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ হবে' বক্তব্যের সমালোচনা করে হানিফ বলেন, খালেদা জিয়ার এ বক্তব্যে প্রমাণিত হয়েছে, তিনি মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাস করেন না। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি নূ্যনতম শ্রদ্ধা থাকলে খালেদা জিয়া স্বাধীন দেশে বসবাস করে যুদ্ধ ঘোষণার হুমকি দিতেন না।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিএনপিকে সংঘাত, মিথ্যাচার এবং অগণতান্ত্রিক ও অশান্তির পথ পরিহার করে সংসদে এসে আলোচনার মাধ্যমে একটি স্বাধীন ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করে গণতন্ত্রের ধারাকে শক্তিশালী করার আহ্বান জাননো হয়।
আওয়ামী লীগ নেতা আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, আফজাল হোসেন, ফরিদুন্নাহার লাইলী, মৃণাল কান্তি দাশ, সুজিত রায় নন্দী, আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.