বিলাসী বাসভূমে by মাশুক মশহুর
আমাদের এই পৃথিবী নামক গ্রহের মানুষ প্রতিদিনই একটু একটু করে এগোচ্ছে প্রযুক্তির চাকায় ভর করে। সেই সঙ্গে বেড়ে যাচ্ছে তার চাহিদা। এই চাহিদা শুধু সাধারণ জীবনযাপনের নয়, এই চাহিদা অসাধারণ কিছু করার, কিছু বলার আর সবার চেয়ে সব কিছুতেই এগিয়ে থাকার। এসব কিছুর মাঝেই মানুষ হয়ে ওঠে বিলাসী। সুন্দর বাসস্থান নির্মাণ মানুষের বিলাসিতারই একটা অংশ। আমাদের দেশে তো বটেই, উন্নত বিশেষ খবও বাসস্থান-বিলাসী মানুষের সংখ্যা অনেক।
আর তাদের কথা মাথায় রেখেই শিকাগো শহরে গড়ে তোলা হয়েছে 'মিলেনিয়াম পার্ক' নামের এক দারুণ ফ্যাশনেবল আবাসিক এলাকা, যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং উন্নত এক পৌর স্থাপনা। মিশিগান অ্যাভিনিউ ঘিরে ২৪ একর জায়গার ওপর নির্মিত এ মিলেনিয়াম পার্ক আদি গ্র্যান্ট পার্কেরই উন্নত সংস্করণ। শিকাগো শহরের উচ্চাকাঙ্ক্ষী মেয়র রিচার্ড এম ডালে প্রথম এর পরিকল্পনা করেন। আর এর নকশা তৈরি করেন ড্যানিয়েল বার্নহ্যাম নামে এক ভদ্রলোক। এর পুরো পরিকল্পনাটা করা হয়েছে মূলত ১৯০৯ সালের 'ভবিষ্যতের শিকাগো' পরিকল্পনারই অংশ হিসেবে। মিলেনিয়াম পার্কের মূল পরিকল্পনার কাজে হাত দেওয়া হয় ১৯৯৭ সালের অক্টোবর মাসে। কাজ শুরু হয় ঠিক তার এক বছর পর এবং চূড়ান্ত নির্মাণ কাজ শেষ হয় ২০০৪ সালে (যদিও ২০০০ সালে উবোধনের কথা ছিল)। আর আজকের এই দিনে তিন দিনব্যাপী জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এর উবোধন করা হয়। উবোধনী সেই উৎসবে অংশ নিয়েছিল কমপক্ষে তিন লাখ মানুষ।
উত্তরাধুনিক স্থাপত্যকলায় পরিপূর্ণ মিলেনিয়াম পার্ক যেন এক স্বপম্নময় রাজ্য। দিনের বেলা এ যেমন রূপসী রাতের ঝলমলে আলোয়, তেমনি যেন হয়ে ওঠে রাজরূপসী। এখানে আবাসিক এলাকার পাশাপাশি আছে নাচ এবং গানের জন্য থিয়েটার হল, আছে আইস স্টে্কটিংয়ের আয়োজন আর মনমাতানো সাজানো-গোছানো গাছের সারি। শৈল্কিপ্পকতায় অনন্য অত্যাধুনিক তিনটি স্থাপত্য এর সৌন্দর্য বাড়িয়েছে বহুগুণ। এর প্রথমটি হচ্ছে ক্লাউড গেট, দ্বিতীয়টি ক্রাউন ফাউনটেইন এবং তৃতীয়টি জে প্রিজকার প্যাভিলিয়ন।
স্থপতি ফদ্ধাঙ্ক গেরির হাতের ছোঁয়ায় গড়ে উঠেছে জে প্রিজকার প্যাভিলিয়ন। এটি বিশাল আকারের এক ব্যান্ড শেল, যার মোট আসন সংখ্যা ১১ হাজার। দূর থেকে এটিকে দেখে মনে হয় যেন ফুটে আছে এক বিশাল ফুল। অথবা মেলে আছে এক নান্দনিক পাল। এখানে নিয়মিত বসে ক্লাসিকাল, রক, পপ গানের জমকালো আসর।
শিকাগোর ক্রাউন পরিবারের সম্মানার্থে নির্মিত হয়েছে ক্রাউন কাউনটেইন। স্বচ্ছ কাচ এবং ব্নক ইটের তৈরি ৫০ ফুট টাওয়ার সজ্জিত এ ঝরনা সতি্যই মনোহর। এখানে লাগানো আছে উচ্চ প্রযুক্তির ভিডিও স্ক্রিন। যেখানে নির্দিষ্ঠ সময় পরপর ভেসে ওঠে আমেরিকার বিখ্যাত এবং ঐতিহাসিক ব্যক্তিদের মুখ।
আছে বিশাল পার্কিং সেঙ্স এবং পার্কিং সেঙ্সের ছাদে গড়ে তোলা হয়েছে 'লুরি গাডরাউন', যা বিশেষ খবর সবচেয়ে বড় ছাদ বাগান বলে পরিচিত। ছাদে হলেও এটি অভ্যন্তরীণ বাগান। কেননা দু'পাশে বিশাল ঢাকনি ্টারা একে ঢেকে ফেলা যায়। বাগানে কুয়াশা এবং রহস্যময়তা সৃষ্টির জন্য আছে আলাদা ব্যবস্থা, যা যে কোনো ভ্রমণকারীর জন্য এক চমৎকার অভিজ্ঞতার বিষয়।
উত্তরাধুনিক স্থাপত্যকলায় পরিপূর্ণ মিলেনিয়াম পার্ক যেন এক স্বপম্নময় রাজ্য। দিনের বেলা এ যেমন রূপসী রাতের ঝলমলে আলোয়, তেমনি যেন হয়ে ওঠে রাজরূপসী। এখানে আবাসিক এলাকার পাশাপাশি আছে নাচ এবং গানের জন্য থিয়েটার হল, আছে আইস স্টে্কটিংয়ের আয়োজন আর মনমাতানো সাজানো-গোছানো গাছের সারি। শৈল্কিপ্পকতায় অনন্য অত্যাধুনিক তিনটি স্থাপত্য এর সৌন্দর্য বাড়িয়েছে বহুগুণ। এর প্রথমটি হচ্ছে ক্লাউড গেট, দ্বিতীয়টি ক্রাউন ফাউনটেইন এবং তৃতীয়টি জে প্রিজকার প্যাভিলিয়ন।
স্থপতি ফদ্ধাঙ্ক গেরির হাতের ছোঁয়ায় গড়ে উঠেছে জে প্রিজকার প্যাভিলিয়ন। এটি বিশাল আকারের এক ব্যান্ড শেল, যার মোট আসন সংখ্যা ১১ হাজার। দূর থেকে এটিকে দেখে মনে হয় যেন ফুটে আছে এক বিশাল ফুল। অথবা মেলে আছে এক নান্দনিক পাল। এখানে নিয়মিত বসে ক্লাসিকাল, রক, পপ গানের জমকালো আসর।
শিকাগোর ক্রাউন পরিবারের সম্মানার্থে নির্মিত হয়েছে ক্রাউন কাউনটেইন। স্বচ্ছ কাচ এবং ব্নক ইটের তৈরি ৫০ ফুট টাওয়ার সজ্জিত এ ঝরনা সতি্যই মনোহর। এখানে লাগানো আছে উচ্চ প্রযুক্তির ভিডিও স্ক্রিন। যেখানে নির্দিষ্ঠ সময় পরপর ভেসে ওঠে আমেরিকার বিখ্যাত এবং ঐতিহাসিক ব্যক্তিদের মুখ।
আছে বিশাল পার্কিং সেঙ্স এবং পার্কিং সেঙ্সের ছাদে গড়ে তোলা হয়েছে 'লুরি গাডরাউন', যা বিশেষ খবর সবচেয়ে বড় ছাদ বাগান বলে পরিচিত। ছাদে হলেও এটি অভ্যন্তরীণ বাগান। কেননা দু'পাশে বিশাল ঢাকনি ্টারা একে ঢেকে ফেলা যায়। বাগানে কুয়াশা এবং রহস্যময়তা সৃষ্টির জন্য আছে আলাদা ব্যবস্থা, যা যে কোনো ভ্রমণকারীর জন্য এক চমৎকার অভিজ্ঞতার বিষয়।
No comments