ব্যাংকের পোয়াবারো by মজুমদার বাবু

মানতকারীদের ঘাড়ে চেপে ব্যাংকিং খাতের মুনাফা বেড়েই চলেছে। গত বছর এ খাতের পরিচালন মুনাফা ছিল ১৭ হাজার ৭৩৮ কোটি ১৪ লাখ টাকা; চলতি বছর তা ১৮ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে, যা ব্যাংকগুলোর পরিশোধিত মূলধনের প্রায় সমান। অর্থাৎ ব্যাংক মালিকরা ব্যাংক স্থাপনের জন্য যে মূলধন জোগাচ্ছেন তা এক বছরের মুনাফা থেকেই ফেরত আসছে। এই বিপুল মুনাফার অন্যতম উৎস ঋণের উচ্চ সুদ।সাধারণ আমানতকারীদের অর্থ থেকেই বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগকারীদের উচ্চ সুদে ঋণ দিচ্ছে ব্যাংকগুলো। এতে বাড়ছে বিনিয়োগ ব্যয়। সামগ্রিকভাবে বাড়ছে উৎপাদন খরচ, ফলে মূল্যস্ফীতিও বেড়ে যাচ্ছে।


এসব কিছুর ধাক্কা শেষ পর্যন্ত গিয়ে পড়ছে সাধারণ আমানতকারীদের ওপরই। সঞ্চয়কারীরা ব্যাংক থেকে একদিকে যেমন কম সুদ পাচ্ছেন, তেমনি ব্যাংকঋণের উচ্চ সুদের কারণে পরোক্ষভাবে তাঁরাই আবার চূড়ান্তভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। মাঝখান থেকে লাভের গুড়ের সবটাই পাচ্ছে ব্যাংকগুলো।
দেশে ব্যাংকের সংখ্যা বাড়ানোর মূল উদ্দেশ্য ছিল আন্তব্যাংক প্রতিযোগিতায় আমানত ও ঋণের সুদের হারের পার্থক্য (স্প্রেড) কমিয়ে আনা। অথচ হয়েছে উল্টো_অর্থাৎ সুদের হারের পার্থক্য বাড়ছে। জুন প্রান্তিকের হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছর শেষে এই পার্থক্য বেড়ে দাঁড়াবে ৫ দশমিক ২৭ শতাংশে। এর ফলে বিনিয়োগ ব্যয়বহুল হচ্ছে এবং বাড়ছে পণ্যের উৎপাদন ব্যয় ও মূল্যস্ফীতি। আর সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে। অথচ তাঁদের সঞ্চয় করা টাকা তাঁদের মাঝেই চড়া সুদে বিনিয়োগ করে বিপুল মুনাফা করছেন ব্যাংক মালিকরা।
ব্যাংকগুলোর বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১০ সালে তাদের পরিচালন মুনাফা হয়েছে ১৭ হাজার ৭৩৮ কোটি ১৪ লাখ টাকা। ২০০৯ সালে এর পরিমাণ ছিল ১২ হাজার ৭৭ কোটি ২২ লাখ এবং ২০০৮ সালে ছিল ১০ হাজার ৪৪১ কোটি ৫১ লাখ টাকা। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ছয় মাসে ব্যাংকগুলোর মুনাফা হয়েছে ৯ হাজার কোটি ২৯ লাখ টাকা। এ হিসাবে বছর শেষে তা ১৮ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।
প্রতিবছরই ব্যাংকিং খাতের মুনাফা কয়েক হাজার কোটি টাকা করে বাড়ছে। অপরদিকে ২০০৮ সালে ব্যাংকিং খাতের ঋণ ও আমানতের সুদ হারের পার্থক্য ছিল ৪ দশমিক ৮৫ শতাংশ। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত পরিসংখ্যান পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, এবার তা বেড়ে দাঁড়াবে ৫ দশমিক ২৭ শতাংশে। অর্থাৎ মুনাফা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাংকগুলোর সুদের হারের পার্থক্য বাড়ছে।
গত বছর দেশের ব্যাংকিং খাতের উচ্চ মুনাফার ফলে ব্যাংকগুলোর রিটার্ন অন ইকুইটি (আরওই) ও রিটার্ন অন এসেট (আরওএ) বেড়ে দাঁড়ায় যথাক্রমে ২১ ও ১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। অর্থাৎ ব্যাংকের মূলধনের বিপরীতে মুনাফা হয়েছে ২১ শতাংশ এবং যাবতীয় সম্পদের বিপরীতে মুনাফা হয়েছে ১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। অথচ আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্যামেলস রেটিং অনুযায়ী একটি দেশের আর্থিক খাতের আরওই ৯ শতাংশ এবং আরওএ শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ স্বাভাবিক। এদিকে চলতি বছরের জুন প্রান্তিকে খেলাপি ঋণ কমে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ১৪ শতাংশে।
২০০৯ সালের ডিসেম্বরে এটি ছিল ৯ দশমিক ২১ শতাংশ। ফলে খেলাপি ঋণের বিপরীতে ব্যাংকগুলোর প্রভিশনও (মূলধন সংরক্ষণ) কমেছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাপ সত্ত্বেও ব্যাংকগুলো তাদের সুদের হারের পার্থক্য কমানোর উদ্যোগ নিচ্ছে না। ফলে অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ ও ব্যবস্থাপনা ব্যয় এখনো বেশ চড়া। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) গত বছরের এপ্রিলে প্রকাশিত গ্লোবাল ফিন্যানশিয়াল স্ট্যাবিলিটি রিপোর্ট (জিএফএসআর) অনুযায়ী, ভারতের আরওই কমে দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৩ শতাংশে। ২০০৯ সালে ছিল ১৩ দশমিক ৩ শতাংশ। তা সত্ত্বেও ভারতের ব্যাংকগুলোর আমানত ও ঋণের সুদের হারের পার্থক্য সাড়ে ৩ শতাংশ। এ কারণে বাংলাদেশের তুলনায় ভারতের অভ্যন্তরীণ শিল্প স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা ব্যয় অনেক কম।
জিএফআরএসের রিটার্ন অন এসেটের (আরওএ) পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১০ সালে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর রিটার্ন অন এসেট তথা সার্বিক সম্পদের তুলনায় মুনাফা হয়েছে ১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। ২০০৯ সালে ছিল ১ দশমিক ৩৯ শতাংশ। অর্থাৎ রিটার্ন অন এসেট বেড়েছে দশমিক ৩৯ শতাংশ। অপরদিকে ভারতের ব্যাংকগুলোর সার্বিক সম্পদের বিপরীতে মুনাফা ১ শতাংশ বেড়েছে। ২০০৯ সালেও তাদের আরওএ একই পরিমাণ ছিল। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী তা দশমিক ৯ শতাংশ হওয়া উচিত।
আরওই ও আরওএ-এর হিসাবে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো বেশ উচ্চ মুনাফা করছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ অর্ধবার্ষিক প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, ব্যাংকগুলোর উচ্চ মুনাফার নেপথ্যে রয়েছে উচ্চ সুদের হার। খেলাপি ঋণের বিপরীতে প্রভিশন কমে আসাও অতি মুনাফার অন্যতম কারণ। এই অস্বাভাবিক মুনাফা সত্ত্বেও ব্যাংকগুলো তাদের সুদের হারের পার্থক্য কমাতে রাজি নয়। এখনো ঋণ-আমানত সুদের হারের পার্থক্যের গড় ৫ দশমিক ২৭ শতাংশ। অথচ বাংলাদেশের চেয়ে কম মুনাফা করেও ভারতের ব্যাংকগুলোর ঋণ ও আমানতের সুদের হারের পার্থক্য সাড়ে ৩ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ত্রৈমাসিক (জুন, ২০১১) খেলাপি ঋণ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে খেলাপি ঋণ পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় এর হার ৭ দশমিক ১৪ শতাংশে নেমে এসেছে। ফলে ব্যাংকগুলোর ঋণের বিপরীতে প্রভিশনও রাখতে হচ্ছে কম। অবশ্য আগে যখন খেলাপি ঋণের হার দুই ডিজিটে ছিল, তখন এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর প্রভিশন কম রাখতে হতো। অপরদিকে ভারতের ব্যাংকগুলোকে গড়ে ৫২ দশমিক ১ শতাংশ প্রভিশন রাখতে হয়। এরপরও ভারতের ব্যাংকগুলোর সুদের হারের পার্থক্য বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর তুলনায় অনেক কম।
শুধু ভারতই নয়, উন্নত বিশ্বের যেকোনো দেশের তুলনায় বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর রিটার্ন অন ইকুইটি বেশি। পাকিস্তানের চেয়েও বেশি। জিএফএসআর (এপ্রিল, ২০১০) অনুযায়ী, অস্ট্রেলিয়ার আরওই ১১ দশমিক ৩ শতাংশ এবং আরওএ দশমিক ৬ শতাংশ। জাপানের আরওই এবং আরওএ যথাক্রমে ৪ দশমিক ৯ ও দশমিক ২ শতাংশ; সিঙ্গাপুরের ১১ দশমিক ১ ও ১ দশমিক ১ শতাংশ, যুক্তরাষ্ট্রের দশমিক ৯ ও দশমিক ১ শতাংশ, রাশিয়ার ৪ দশমিক ৯ ও দশমিক ৭ শতাংশ। চীনের আরওই জানা না গেলেও আরওএ ১ দশমিক ১ শতাংশ।
ব্যাংক বিশ্লেষকদের মতে, কোনো দেশের ব্যাংকিং খাতের অধিক মুনাফা কখনোই সুসংবাদ নয়। কারণ ব্যাংকের অধিক মুনাফার একটি দিক হচ্ছে_উচ্চ সুদের হার। উচ্চ সুদের হারের ফলে কোনো দেশের বিনিয়োগ ব্যয়বহুল হয়ে পড়ে। ব্যয়বহুল বিনিয়োগ নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। তাই অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ বাড়াতে হলে সুদের হারের পার্থক্য কমাতে হবে। পার্থক্য না কমিয়ে সুদের হার কমালে সাধারণ আমানতকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
বিভিন্ন সময়ে সুদের হার কমানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হলে তারা আমানতের সুদের হার কমিয়ে সুদের হারের পার্থক্য স্থির রাখে। এভাবে ব্যাংকগুলো তাদের পার্থক্য না কমিয়ে অতি মুনাফা ধরে রেখেছে। অধিকাংশ বেসরকারি ব্যাংক তাদের ঋণ বিতরণ সিলিং ২ শতাংশ কমিয়ে আমানতের বিপরীতে সুদ হারের সিলিং ৪ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে। ফলে ঋণ-আমানত সুদের হারের পার্থক্য কমার চেয়ে বরং বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক দুই গভর্নর ড. ফরাসউদ্দিন ও ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদও মনে করেন, দেশের ব্যাংকগুলোর সুদের হার ও পার্থক্য কমানো উচিত। ড. ফরাসউদ্দিন কালের কণ্ঠকে বলেন, কয়েক বছর ধরে পুঁজিবাজারকে ক্ষতিগ্রস্ত করে কিছু ব্যাংক উচ্চ মুনাফা করেছে। তারা মুনাফা করলেও সাধারণ মানুষ তথা আমানতকারী কিংবা ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এর কিছুই পাননি। মুনাফার প্রায় সবটুকুই ব্যাংক মালিকরা ডিভিডেন্ট হিসেবে নিয়ে গেছেন। ব্যাংক মালিকরা আমানতের সুদের হারের ওপর ক্যাপ আরোপ করলেও ঋণের সুদের হারের ওপর কোনো ক্যাপ আরোপ করতে রাজি নন। তাঁরা নিজেদের মুনাফা বাড়াতেই সচেষ্ট; সমাজ কিংবা বিনিয়োগকারীকে উচ্চ সুদের হাত থেকে নিস্তার দিতে রাজি নন।
অতি মুনাফার কারণ ব্যাংক ঋণের সুদের উচ্চ হার। দেশের ব্যাংকগুলোর মধ্যে স্বচ্ছ প্রতিযোগিতা নেই। স্বচ্ছ প্রতিযোগিতা না থাকায় ব্যাংকগুলো সুদে উচ্চ হার আরোপকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করে না। তাই আন্তব্যাংক প্রতিযোগিতা বাড়াতে নতুন আরো ব্যাংক আসা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন সাবেক এ গভর্নর। তিনি বলেন, 'আমি মনে করি, ব্যাংক বাড়লে প্রতিযোগিতায় সুদের হার কমার একটা সম্ভাবনা থাকে।'
এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ কিংবা বিটিএমএর নেতাদের দাবির মুখে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রভাবশালীদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ঋণের সুদের হারের ওপর সীমা আরোপ করে। অথচ মুক্তবাজার অর্থনীতির তত্ত্ব তা বলে না। আবার সাধারণ মানুষের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় যখন আসে, তখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুক্তবাজার অর্থনীতির দোহাই দিয়ে পিছু হটে। ড. ফরাসউদ্দিন বলেন, অবশ্যই কেন্দ্রীয় ব্যাংক সাধারণ মানুষের স্বার্থ বিবেচনায় সুদের হারের পার্থক্য যেন কমে আসে সে জন্য মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা কঠোর করতে পারে। তিনি বলেন, নিয়ন্ত্রণহীন মুক্তবাজার কাম্য নয়।
ব্যাংকগুলোর নিজেদের নিরাপদ মনে করার আরেকটি কারণ দেশের সাধারণ আমানতকারীদের বিনিয়োগের বিকল্প স্থান খুবই সামান্য। তাঁদের অবলম্বন হচ্ছে সঞ্চয়পত্র নতুবা শেয়ারবাজার (স্টক মার্কেট)। কিন্তু শেয়ারবাজার ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় তাঁরা সেখানে বিনিয়োগ করছেন না।
ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমাদের ব্যাংকগুলো এখন সুদের হার আরো কমাতে পারে। কারণ তাদের খেলাপি ঋণের বিপরীতে প্রভিশন কমেছে। সুদের হার ছাড়াও নন-ইন্টারেস্ট রেট আইটেমে তাদের মুনাফা ভালো হচ্ছে। ফলে এখন তারা সুদের হার কমানোর উদ্যোগ নিতেই পারে।'
তবে দেশের ব্যাংকগুলোর মুনাফা বাড়ার পাশাপাশি দক্ষতা বাড়ছে না বলে মনে করেন সাবেক এ গভর্নর। তিনি বলেন, 'ব্যাংকগুলো তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমেও পরিচালন-ব্যয় কমাতে পারে। এর সুফল হিসেবে তারা গ্রাহকদের সুদের হারে ছাড় দিতে পারে। অন্যদিকে আমাদের দেশের ব্যাংকগুলোকে উচ্চ হারে কর দিতে হয়। সরকার চাইলে এ ক্ষেত্রে ছাড় দিয়ে ঋণের সুদের হার কমাতে ব্যাংকগুলোকে উৎসাহিত করতে পারে।'
ড. সালেহ উদ্দিন বলেন, 'আমাদের জনগণের মধ্যেও সচেতনতার অভাব রয়েছে। প্রায়ই দেখা যায়, কোনো ব্যাংক আমানতের বিপরীতে সুদের হার বেশি দিলেও আমানতকারী আগের কম সুদ প্রদানকারী ব্যাংকেই তাঁর ডিপোজিট রাখছেন। তাই ব্যাংকগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করতে জনগণকেও সচেতন করে তুলতে হবে।'
বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষস্থানীয় এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, 'মুক্তবাজার অর্থনীতির এ সময়ে আমরা সুদের হারের পার্থক্য কমাতে ব্যাংকগুলোকে বাধ্য করতে পারি না।' আর প্রভাবশালীদের ঋণের বিষয়ে তিনি বলেন, 'এ দেশে সবই সম্ভব।'

No comments

Powered by Blogger.