ওয়াশিংটন ক্ষমা চাইতে বাধ্য হবে - আলী আকবর : ইরানের ‘মাহান’ এয়ারলাইন্সের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূতকে কথিত হত্যা-প্রচেষ্টার অভিযোগে ইরানের একটি বেসরকারি এয়ারলাইন্সের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়াশিংটন। মার্কিন কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, যে ব্যক্তি সৌদি রাষ্ট্রদূতকে হত্যা করতে চেয়েছিল, সে ইরানের মাহান এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে করে সেদেশে গিয়েছিল। মার্কিন বিচার বিভাগ দাবি করছে, ইরান মেক্সিকোর একজন সন্দেহভাজন মাদক চোরাকারবারির সহযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত আদেল আল জুবাইরকে হত্যা করতে চেয়েছিল।
কিন্তু তেহরান ওই অভিযোগ সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, মার্কিন কর্মকর্তাদের অর্থলিপ্সা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে যে গণপ্রতিবাদ চলছে, তা থেকে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে দেয়ার জন্যই ইরানের বিরুদ্ধে ওই ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হয়েছে। জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মাদ খাযাই যুক্তরাষ্ট্রের এ ভিত্তিহীন প্রচারণার বিরুদ্ধে জাতিসংঘের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এদিকে ইরানের বিরুদ্ধে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত-হত্যা ষড়যন্ত্রের অভিযোগ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে তুলতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে গত বুধবার এক পশ্চিমা কূটনীতিক এ কথা জানিয়েছেন। আল-জাজিরা টেলিভিশনের অনলাইনে এ খবর প্রকাশ করা হয়েছে। ওই কূটনীতিক জানান, এ অভিযোগ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আলোচিত হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব ও অন্য মিত্ররা নিরাপত্তা পরিষদে এ অভিযোগ তোলার বিষয়ে আলোচনা করছে। হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সৌদি বাদশা আবদুল্লাহর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছেন। উভয় নেতা এ ষড়যন্ত্রকে আন্তর্জাতিক রীতিনীতি ও আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেন। এদিকে গতকালই ইরানের মাহান এয়ারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। পাশিপাশি বিশ্বব্যাপী মার্কিন নাগরিকের ওপর সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার নাগরিকদের ভ্রমণের ওপর এক সতকর্তা জারি করেছে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী আকবর সালেহি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এ অপরিপকস্ফ ছেলেখেলা ধোপে টিকবে না এবং শেষ পর্যন্ত ওয়াশিংটন তেহরানের কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হবে। ইরানের পার্লামেন্ট স্পিকার আলি লারিজানিও বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তেহরানের বিরুদ্ধে কৌশলহীন এক ছেলেখেলা শুরু করেছে। তিনি বলেন, সস্তা কথা ও গণমাধ্যমের ব্যাপক কাভারেজ নিয়ে মার্কিন সরকার নিজের অভ্যন্তরীণ সমস্যা ঢাকার চেষ্টা করছে। তিনি ওয়াশিংটনের এ অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়ে বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে ইরানের স্বাভাবিক সম্পর্ক রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে সমস্যা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে বলেও মন্তব্য করেন আলি লারিজানি। অন্যদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন বুধবার বলেন, ইরানকে কীভাবে আরও বেশি কোণঠাসা করা যায়, সে লক্ষ্যে তিনি ওয়াশিংটনের বন্ধুরাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করবেন।
ওয়াশিংটনে সৌদি রাষ্ট্রদূত হত্যাচেষ্টা নস্যাতের ঘোষণার একদিন পর যুক্তরাষ্ট্র এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল। বিনিয়োগের সাহায্যে মার্কিন ভূখণ্ডে রাষ্ট্রদূতকে হত্যার চক্রান্ত করা হচ্ছিল। এ হত্যাচেষ্টার সঙ্গে ইরানের বিপ্লবী রক্ষী বাহিনীর এলিট বাহিনী কুদস বাহিনী জড়িত ছিল বলে যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করেছে। হোয়াইট হাউস প্রেস সেক্রেটারি জে কার্নি সাংবাদিকদের বলেন, এই হত্যাচেষ্টায় কুদস বাহিনীর সিনিয়র পর্যায়ের সদস্যরা জড়িত ছিল না, তা পরিষ্কার। মঙ্গলবার এই চক্রান্তের সঙ্গে কথিত জড়িত ৫ ব্যক্তির বিরুদ্ধেও যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। সর্বশেষ নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ঘোষণা করে অর্থ বিভাগের কর্মকর্তা ডেভিড কোহেন এক বিবৃতিতে বলেন, মাহান এয়ারলাইন্সের সঙ্গে ইসলামী বিপ্লবী রক্ষী বাহিনী কুদস বাহিনীর (আইআরজিসি-কিউএফ) ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। এই এয়ারলাইন্স গোপনে হামলাকারী অস্ত্রশস্ত্র ও তহবিল ফ্লাইটের মাধ্যমে পাচার করে থাকে। এদিকে ইরানে সরকারি গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, তেহরানে সুইস রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। ইরানে সুইস রাষ্ট্রদূত মার্কিন স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করেন। মার্কিন অভিযোগের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিবাদ জানাতেই সুইস রাষ্ট্রদূতকে তলব করা। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ওয়েবসাইটে এ কথা বলা হয়।
এদিকে ইরানের বিরুদ্ধে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত-হত্যা ষড়যন্ত্রের অভিযোগ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে তুলতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে গত বুধবার এক পশ্চিমা কূটনীতিক এ কথা জানিয়েছেন। আল-জাজিরা টেলিভিশনের অনলাইনে এ খবর প্রকাশ করা হয়েছে। ওই কূটনীতিক জানান, এ অভিযোগ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আলোচিত হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব ও অন্য মিত্ররা নিরাপত্তা পরিষদে এ অভিযোগ তোলার বিষয়ে আলোচনা করছে। হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সৌদি বাদশা আবদুল্লাহর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছেন। উভয় নেতা এ ষড়যন্ত্রকে আন্তর্জাতিক রীতিনীতি ও আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেন। এদিকে গতকালই ইরানের মাহান এয়ারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। পাশিপাশি বিশ্বব্যাপী মার্কিন নাগরিকের ওপর সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার নাগরিকদের ভ্রমণের ওপর এক সতকর্তা জারি করেছে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী আকবর সালেহি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এ অপরিপকস্ফ ছেলেখেলা ধোপে টিকবে না এবং শেষ পর্যন্ত ওয়াশিংটন তেহরানের কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হবে। ইরানের পার্লামেন্ট স্পিকার আলি লারিজানিও বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তেহরানের বিরুদ্ধে কৌশলহীন এক ছেলেখেলা শুরু করেছে। তিনি বলেন, সস্তা কথা ও গণমাধ্যমের ব্যাপক কাভারেজ নিয়ে মার্কিন সরকার নিজের অভ্যন্তরীণ সমস্যা ঢাকার চেষ্টা করছে। তিনি ওয়াশিংটনের এ অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়ে বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে ইরানের স্বাভাবিক সম্পর্ক রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে সমস্যা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে বলেও মন্তব্য করেন আলি লারিজানি। অন্যদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন বুধবার বলেন, ইরানকে কীভাবে আরও বেশি কোণঠাসা করা যায়, সে লক্ষ্যে তিনি ওয়াশিংটনের বন্ধুরাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করবেন।
ওয়াশিংটনে সৌদি রাষ্ট্রদূত হত্যাচেষ্টা নস্যাতের ঘোষণার একদিন পর যুক্তরাষ্ট্র এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল। বিনিয়োগের সাহায্যে মার্কিন ভূখণ্ডে রাষ্ট্রদূতকে হত্যার চক্রান্ত করা হচ্ছিল। এ হত্যাচেষ্টার সঙ্গে ইরানের বিপ্লবী রক্ষী বাহিনীর এলিট বাহিনী কুদস বাহিনী জড়িত ছিল বলে যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করেছে। হোয়াইট হাউস প্রেস সেক্রেটারি জে কার্নি সাংবাদিকদের বলেন, এই হত্যাচেষ্টায় কুদস বাহিনীর সিনিয়র পর্যায়ের সদস্যরা জড়িত ছিল না, তা পরিষ্কার। মঙ্গলবার এই চক্রান্তের সঙ্গে কথিত জড়িত ৫ ব্যক্তির বিরুদ্ধেও যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। সর্বশেষ নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ঘোষণা করে অর্থ বিভাগের কর্মকর্তা ডেভিড কোহেন এক বিবৃতিতে বলেন, মাহান এয়ারলাইন্সের সঙ্গে ইসলামী বিপ্লবী রক্ষী বাহিনী কুদস বাহিনীর (আইআরজিসি-কিউএফ) ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। এই এয়ারলাইন্স গোপনে হামলাকারী অস্ত্রশস্ত্র ও তহবিল ফ্লাইটের মাধ্যমে পাচার করে থাকে। এদিকে ইরানে সরকারি গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, তেহরানে সুইস রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। ইরানে সুইস রাষ্ট্রদূত মার্কিন স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করেন। মার্কিন অভিযোগের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিবাদ জানাতেই সুইস রাষ্ট্রদূতকে তলব করা। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ওয়েবসাইটে এ কথা বলা হয়।
No comments