নেহরু-এডউইনা প্রেমকথা
ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ও শেষ ব্রিটিশ ভাইসরয় লর্ড মাউন্টব্যাটেনের স্ত্রী এডউইনার মধ্যে গভীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ কথা সঙ্ষ্ঠ করে জানিয়ে দিলেন মাউন্টব্যাটেন কন্যা পামেলা মাউন্টব্যাটেন। পামেলা নেহরুকে মামু বলে ডাকতেন। পামেলা পারিবারিক সংগ্রহে থাকা ডায়েরির তথ্য নিয়ে 'ইন্ডিয়া রিমেমবার্ড : এ পারসোনাল অ্যাকাউন্ট অব দ্য মাউন্টব্যাটেনস ডিউরিং দ্য ট্রান্সফার অব পাওয়ার' নামে একটি বই লিখেছেন।
বইয়ের 'এ সেঙ্শাল রিলেশনশিপ' শিরোনামের একটি অধ্যায়ে পামেলা লিখেছেন তার মা ও মামু নেহরু সম্পর্কে। পামেলার কথায়, মায়ের অনেক প্রেমিক ছিল। বাবা এ ব্যাপারে অবহিত ছিলেন। তবে প্রথমে তার হূদয়ে ক্ষরণ হয়েছিল; কিন্তু নেহরুর ব্যাপারটি ছিল ভিন্ন। মাউন্টব্যাটেন তার বড় বোনের কাছে ১৯৪৮ সালের জুনে নেহরু ও এডউইনার সম্পর্ক নিয়ে একটি চিঠি লেখেন। বইটিতে চিঠিটির উদ্ধৃতিও দিয়েছেন পামেলা।
চিঠিতে মাউন্টব্যাটেন লিখেছেন, 'এডউইনা ও নেহরু কাছাকাছি থাকলে খুবই উৎফুল্ক্ন থাকে। তারা খুবই শালীনভাবে পরসঙ্রের আবেগ প্রকাশ করে। আমি আর পামেলা দু'জনই আন্তরিকভাবে, কৌশলে তাদের সাহায্য করতাম।' পামেলার ভাষায়, 'মা পরে আরো চমৎকার মানুষ হয়ে উঠেছিল আর আমরা হয়ে উঠলাম একটি সুখী পরিবার।'
নেহরু চমৎকার ইংরেজি লিখতে ও বলতে পারতেন। এডউইনাকে ১৯৫৭ সালের মার্চে নেহরুর লেখা একটি চিঠির প্রসঙ্গ টেনেছেন পামেলা। নেহরু লিখেছেন, 'হঠাৎ আমি অনুভব করছি (সম্ভবত তুমিও) আমাদের মধ্যে গভীর একটি সম্পর্ক জন্মেছে। এটি অপ্রতিরোধ্য। আমি এ ব্যাপারে সতর্ক ছিলাম না। আমরা অনেক ঘনিষ্ঠভাবে কথা বলেছি। আমরা নির্ভয়ে বা বিব্রত না হয়ে পরসঙ্রের চোখের দিকে তাকিয়েছি।'
১৯৪৭ সালে লর্ড মাউন্টব্যাটেনের সঙ্গে এডউইনা যখন ভারতে এলেন, তখন তার বয়স ৪৪ বছর। পরর্বতী ১৫ মাস ভারতে থেকে প্রত্যক্ষ করলেন দুটি দেশের জন্ম।
পামেলা বলেছেন, নেহরু ও এডউইনার মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণ নেহরু ছিলেন স্ত্রীহীন এবং তার কন্যা ইন্দিরা গান্দী তখন বিবাহিত। স্বাভাবিকভাবেই নেহরু ছিলেন নিঃসঙ্গ। তবে এডউইনা ও নেহরুর মধ্যে ছিল নিষ্কাম প্রেম। এ প্রেমের সঙ্গে শরীরের কোনো সম্পর্ক ছিল না। আমৃত্যু এ সম্পর্ক টিকে ছিল। দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া।
চিঠিতে মাউন্টব্যাটেন লিখেছেন, 'এডউইনা ও নেহরু কাছাকাছি থাকলে খুবই উৎফুল্ক্ন থাকে। তারা খুবই শালীনভাবে পরসঙ্রের আবেগ প্রকাশ করে। আমি আর পামেলা দু'জনই আন্তরিকভাবে, কৌশলে তাদের সাহায্য করতাম।' পামেলার ভাষায়, 'মা পরে আরো চমৎকার মানুষ হয়ে উঠেছিল আর আমরা হয়ে উঠলাম একটি সুখী পরিবার।'
নেহরু চমৎকার ইংরেজি লিখতে ও বলতে পারতেন। এডউইনাকে ১৯৫৭ সালের মার্চে নেহরুর লেখা একটি চিঠির প্রসঙ্গ টেনেছেন পামেলা। নেহরু লিখেছেন, 'হঠাৎ আমি অনুভব করছি (সম্ভবত তুমিও) আমাদের মধ্যে গভীর একটি সম্পর্ক জন্মেছে। এটি অপ্রতিরোধ্য। আমি এ ব্যাপারে সতর্ক ছিলাম না। আমরা অনেক ঘনিষ্ঠভাবে কথা বলেছি। আমরা নির্ভয়ে বা বিব্রত না হয়ে পরসঙ্রের চোখের দিকে তাকিয়েছি।'
১৯৪৭ সালে লর্ড মাউন্টব্যাটেনের সঙ্গে এডউইনা যখন ভারতে এলেন, তখন তার বয়স ৪৪ বছর। পরর্বতী ১৫ মাস ভারতে থেকে প্রত্যক্ষ করলেন দুটি দেশের জন্ম।
পামেলা বলেছেন, নেহরু ও এডউইনার মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণ নেহরু ছিলেন স্ত্রীহীন এবং তার কন্যা ইন্দিরা গান্দী তখন বিবাহিত। স্বাভাবিকভাবেই নেহরু ছিলেন নিঃসঙ্গ। তবে এডউইনা ও নেহরুর মধ্যে ছিল নিষ্কাম প্রেম। এ প্রেমের সঙ্গে শরীরের কোনো সম্পর্ক ছিল না। আমৃত্যু এ সম্পর্ক টিকে ছিল। দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া।
No comments