সামরিক বাহিনীর তদন্ত : আফগানিস্তানে মার্কিন ভুলে কপ্টার বিধ্বস্ত হয়নি

ফগানিস্তানে চিনুক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ৩০ মার্কিন সেনা নিহত হওয়ার ঘটনায় মার্কিন পক্ষের কারও কোনো দোষ ছিল না। মার্কিন সামরিক বাহিনীর এক তদন্তে এমনটি জানা গেছে। গত ৬ অগাস্টের ওই হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনা আফগানিস্তানে গত এক দশকের সেনা অভিযানে মার্কিন পক্ষের সবচেয়ে বড় সামরিক বিপর্যয়।ওই ঘটনায় বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারে থাকা মার্কিন সেনাদের সবাই নিহত হয়। বুধবার পাওয়া তদন্ত প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপে বলা হয়, তদন্তকারী দল নিশ্চিত হয়েছে, তালেবানের রকেটচালিত গ্রেনেডের আঘাতেই কপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়।


গ্রেনেড হেলিকপ্টারের একটি ঘূর্ণায়মান ব্লেডকে আঘাত করে বিস্ফোরিত হলে ভারসাম্য হারিয়ে কপ্টারটি ভূমিতে পড়ে বিস্ফোরিত হয়।হেলিকপ্টারে থাকা আট আফগানসহ সব মার্কিন সেনার মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় নিহত মার্কিন সেনারা সবাই ছিল মার্কিন সেনাবাহিনীর অভিজাত ‘নেভি সিল’ বাহিনীর সদস্য। এ বাহিনীর সদস্যরাই মে মাসে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে আল কায়দার প্রতিষ্ঠাতা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে এক গোপন অভিযানে হত্যা করে। তদন্তের আগে ধারণা করা হয়েছিল, মার্কিন বাহিনীকে ফাঁদে ফেলেছিল তালেবান। কিন্তু তদন্তে এর কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
প্রতিবেদনে তদন্ত দলের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জেফরি কোল্ট লিখেছেন, ‘হেলিকপ্টারে হামলার ঘটনাটি কোনো পূর্ব পরিকল্পিত চোরগুপ্তা হামলা ছিল না।
সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে যৌথবাহিনী বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালাচ্ছিল। বিমান হামলার কারণে বিদ্রোহীরা অত্যন্ত সতর্কাবস্থায় ছিল। তাই সুযোগ পাওয়া মাত্রই তা ব্যবহার করতে পেরেছে।’
অভিযানটি সঠিক ছিল বলে মত প্রকাশ করে তদন্ত দল। ওই সময় কপ্টারেও কোনো যান্ত্রিক সমস্যা ছিল না বলেও তারা নিশ্চিত হয়েছে। এই তদন্তের ফলে ওই ঘটনায় কারও কোনো শাস্তি হবে না বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান।

No comments

Powered by Blogger.