মানচিনি ক্ষমা চাইলে তেভেজও চাইবেন
ক্ষমা চাইতে রাজি কার্লোস তেভেজ! ম্যানচেস্টার সিটির কোচ রবার্তো মানচিনির সঙ্গে বিবাদ মিটিয়ে নিতেও প্রস্তুত এ আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। কিন্তু সে জন্য তাঁরও একটা দাবি আছে_তা হলো, আগে ক্ষমা চাইতে হবে মানচিনিকেও!
দুই সপ্তাহ আগে মিউনিখের অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে বদলি হিসেবে মাঠে নামতে অস্বীকার করার অভিযোগ তেভেজের বিরুদ্ধে, যদিও তিনি বরাবরই অস্বীকার করে এসেছেন সে অভিযোগ। কিন্তু মানচিনি আর তাঁর ক্লাব নিজেদের দাবিতে অনড়। এরই মধ্যে এ অভিযোগে দুই সপ্তাহের নিষেধাজ্ঞা ভোগ করতে হয়েছে তাঁকে, ক্লাবের পক্ষ থেকে আরো চার সপ্তাহের নিষেধাজ্ঞার ব্যবস্থা নেওয়ার সম্ভাবনা আছে।
দুই সপ্তাহ আগে মিউনিখের অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে বদলি হিসেবে মাঠে নামতে অস্বীকার করার অভিযোগ তেভেজের বিরুদ্ধে, যদিও তিনি বরাবরই অস্বীকার করে এসেছেন সে অভিযোগ। কিন্তু মানচিনি আর তাঁর ক্লাব নিজেদের দাবিতে অনড়। এরই মধ্যে এ অভিযোগে দুই সপ্তাহের নিষেধাজ্ঞা ভোগ করতে হয়েছে তাঁকে, ক্লাবের পক্ষ থেকে আরো চার সপ্তাহের নিষেধাজ্ঞার ব্যবস্থা নেওয়ার সম্ভাবনা আছে।
গত দুই সপ্তাহের তদন্তকালীন নিষেধাজ্ঞার সময় পুরো বেতন পেয়েছেন তিনি, তবে এবার তাঁর বেতন কেটে নেওয়া হবে। তার আগে অবশ্য ক্লাবের ডিসিপ্লিনারি কমিটির সামনে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাবেন তিনি। এ নিয়ে বুধবার লন্ডনে ফিরে ক্লাব কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন তেভেজ। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন, মিউনিখের ওই ম্যাচের দিন কোচের নির্দেশ অনুসারে ওয়ার্মআপ করতে রাজি না হওয়ার 'ভুল' স্বীকার করতে তিনি প্রস্তুত আছেন। তবে সে সঙ্গে তিনি আবারও দাবি করেছেন, তিনি কোনোক্রমেই মাঠে নামতে অস্বীকার করেননি, বরং কোচই পরে তাঁকে ওয়ার্মআপ করতে নিষেধ করে বসে থাকতে বলেছেন। আর তারপর ম্যাচশেষে সংবাদ সম্মেলনে তাঁর সম্পর্কে অসত্য অভিযোগ উত্থাপন করে তাঁর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন। তাই তেভেজ ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত, যদি মানচিনি আগে ক্ষমা চান।
ম্যান সিটি কর্তৃপক্ষ অবশ্য নিশ্চিত, তেভেজের বিরুদ্ধে চুক্তিভঙ্গের অভিযোগ প্রমাণ করতে পারবেন তাঁরা। পেশাদার ফুটবলের নিয়ম অনুসারে কোনো খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হলে এমন অভিযোগ প্রমাণ করা জরুরি। আর দুই সপ্তাহের যে শাস্তি তারা এরই মধ্যে দিয়েছে তেভেজকে, সেটা আরো বাড়াতে হলে প্রফেশনাল ফুটবলারস অ্যাসোসিয়েশন ও ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হবে। ক্লাব কর্মকতারা নাকি এরই মধ্যে যোগাযোগ রাখছেন পিএফএ এবং ইপিএল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। তেভেজকে আরো শাস্তি দেওয়া হলে তাদের অনুমোদন নিয়েই দেওয়া হবে। তবে তার আগে ক্লাবের ডিসিপ্লিনারি কমিটির সামনে মুখোমুখি করা হবে তেভেজ ও মানচিনিকে। আগামী সপ্তাহের কোনো একদিনে হতে পারে সেটা।
তেভেজ অবশ্য জানিয়েছেন, সম্ভাব্য যেকোনো ধরনের শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করবেন তিনি। সে আপিলের প্রথম ধাপটা হবে ক্লাব বোর্ডের কাছে, সেখানে ব্যর্থ হলে ইপিএলের আর্বিট্রেশন বোর্ডের দ্বারস্থ হতে পারবেন তিনি।
তবে আপিল করে শাস্তি থেকে হয়তো মুক্তি পাবেন, কিন্তু মানচিনির সঙ্গে যে মানসিক দূরত্ব তৈরি হয়েছে, সেটা কি আর কমবে কোনো দিন! মানচিনি এরই মধ্যে বলে দিয়েছেন দলের একাদশে তেভেজ চিরদিনের জন্য অবাঞ্ছিত হয়ে গেছেন। কাগজে-কলমে সে রকম কোনো নির্দেশনা জারি করা হয়নি আইনগত দিক বিবেচনা করে_যদিও তাঁকে অনুশীলন করতে বলা হয়েছে রিজার্ভ দলের সঙ্গে। আপিল করে এ অপমান থেকে হয়তো মুক্তি পেতে পারেন তেভেজ, কিন্তু ম্যান সিটির জার্সি গায়ে আর কোনো দিন তাঁর খেলা হবে কি না সত্যিই অনিশ্চিত। পেশাদার ফুটবলে কোচের কথাই যে শেষ কথা! ওয়েবসাইট
ম্যান সিটি কর্তৃপক্ষ অবশ্য নিশ্চিত, তেভেজের বিরুদ্ধে চুক্তিভঙ্গের অভিযোগ প্রমাণ করতে পারবেন তাঁরা। পেশাদার ফুটবলের নিয়ম অনুসারে কোনো খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হলে এমন অভিযোগ প্রমাণ করা জরুরি। আর দুই সপ্তাহের যে শাস্তি তারা এরই মধ্যে দিয়েছে তেভেজকে, সেটা আরো বাড়াতে হলে প্রফেশনাল ফুটবলারস অ্যাসোসিয়েশন ও ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হবে। ক্লাব কর্মকতারা নাকি এরই মধ্যে যোগাযোগ রাখছেন পিএফএ এবং ইপিএল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। তেভেজকে আরো শাস্তি দেওয়া হলে তাদের অনুমোদন নিয়েই দেওয়া হবে। তবে তার আগে ক্লাবের ডিসিপ্লিনারি কমিটির সামনে মুখোমুখি করা হবে তেভেজ ও মানচিনিকে। আগামী সপ্তাহের কোনো একদিনে হতে পারে সেটা।
তেভেজ অবশ্য জানিয়েছেন, সম্ভাব্য যেকোনো ধরনের শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করবেন তিনি। সে আপিলের প্রথম ধাপটা হবে ক্লাব বোর্ডের কাছে, সেখানে ব্যর্থ হলে ইপিএলের আর্বিট্রেশন বোর্ডের দ্বারস্থ হতে পারবেন তিনি।
তবে আপিল করে শাস্তি থেকে হয়তো মুক্তি পাবেন, কিন্তু মানচিনির সঙ্গে যে মানসিক দূরত্ব তৈরি হয়েছে, সেটা কি আর কমবে কোনো দিন! মানচিনি এরই মধ্যে বলে দিয়েছেন দলের একাদশে তেভেজ চিরদিনের জন্য অবাঞ্ছিত হয়ে গেছেন। কাগজে-কলমে সে রকম কোনো নির্দেশনা জারি করা হয়নি আইনগত দিক বিবেচনা করে_যদিও তাঁকে অনুশীলন করতে বলা হয়েছে রিজার্ভ দলের সঙ্গে। আপিল করে এ অপমান থেকে হয়তো মুক্তি পেতে পারেন তেভেজ, কিন্তু ম্যান সিটির জার্সি গায়ে আর কোনো দিন তাঁর খেলা হবে কি না সত্যিই অনিশ্চিত। পেশাদার ফুটবলে কোচের কথাই যে শেষ কথা! ওয়েবসাইট
No comments