রাঙিয়ে তুলি শিশুর ভুবন by অনু চৌধুরী
ছোটবেলায় দেয়ালজুড়ে আঁকিবুঁকি করেনি এমন কাউকে কি খুঁজে পাওয়া যাবে? সম্ভবত না। কখনো রং পেন্সিল, কখনো ইটের টুকরো কখনোবা আচার খাওয়া হাতে ছোট্ট শিশুটি রাঙিয়ে তোলে তার দেয়াল। কখনো আবার সবুজ শ্যাওলা ধরা প্রাচীরেই ইট বা কাঠি দিয়ে খুঁচিয়ে এঁকে ফেলে ছবি। না হোক খরগোশ আঁকতে গিয়ে কুমির হলো। না হোক রবীন্দ্রনাথ আঁকতে গিয়ে পেঁচা। ছোটবেলার ছবিতে কি এত ভুল ধরতে আছে? ছবি তো ছবিই। সবসময়ই নির্ভুল। কারণ পেঁচা হোক আর বাঁদর হোক, ওটাতো মনের কথাটাই প্রকাশ করে।
চক দিয়ে সারা ঘরের মেঝেতে আঁকা, আইসক্রিমের কাঠি দিয়ে মাটিতে উল্টোপাল্টা নকশা করা, আচার খেয়ে সাদা দেয়ালে আল্পনা, এগুলো তো শিল্পীসত্তারই পরিচয়। শিশুমনের কল্পনা। হয়তো অর্থহীন, হয়তো দেয়াল নষ্ঠ। কিন্তু ভেবে দেখুন এই ছোট্ট আধো আধো শিশুটিই যখন পাবলো পিকাসো বা কাইয়ুম চৌধুরীর মতন কেউ হবে, তখন? আসুন না, ছোট শিশুটির ছোট জগৎটাকে আরো রঙিন করে তুলি। ছোট্ট শিশুটি দু'চোখ ভরে দেখে এই অদ্ভুত সুন্দর পৃথিবী। রঙিন পৃথিবী। চোখ মেলে দেখে আলোর খেলা। আর দেখতে দেখতেই নিজের অজানেস্নই তৈরি করে নিজের রঙিন জগৎ। হাতের কাছে যা পায় তাই দিয়েই চলছে তার আঁকিবুঁকি। পুরো পৃথিবীই যেন তার ক্যাম্পাস। তার ক্যানভাসটা আমরা ইচ্ছে করলেই রঙিন করে দিতে পারি। কয়েকটা রঙিন পেন্সিলই কিন্তু তার জগৎটিকেই পাল্কেল্ট দেবে। চলুন না দেখি রং হাতে সে কি করে? হয়তো গাছ থাকবে গোলাপি, কখনো সূর্য থাকবে নীল। কিছু চোখের দেখা রংগুলো যখন চেনা হয়ে যাবে, বোঝা হয়ে যাবে_ তখন গাছ হবে সবুজ, সূর্য লাল।
শিশুদের জন্য ছবি আঁকাটা যেন এক অবধারিত। আর এই নিদরাউশনাবলি যেন তারা পায় স্বয়ং ঈশ্বরের কাছ থেকে। কেউ তাকে বলে না, 'বাবা ছবি আঁকো।' একদিন হঠাৎ সবাই লক্ষ্য করে সে কিছু একটা আঁকছে বা লিখতে চেষ্ঠা করছে। তো শিশুর এই রঙিন জগৎটা কি চকের সাদা দাগ, কালির কালো রেখা আর ইস্টের ম্যাড়ম্যাড়া লাল হয়ে থাকবে?
এবার চলুন জানি রংয়ের খোঁজ। রং পেন্সিল, মোম রং বা অয়েল পেস্টাল, ওয়াটার কালার বিভিন্ন পদের রং পাবেন। ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে রং পেন্সিল বা অয়েল পেন্সিলই উপযোগী। ছবি আঁকতে আঁকতে হয়তো খাওয়া শুরু করে দেবে। তবুও শেখার জন্য পেন্সিলই পারফেক্ট। রং পেন্সিলের মধ্যে স্টেডলার বা ফেবার ক্যাট্রেল ছাড়াও অনেক নামিদামি, কম দামি রং পেন্সিল আছে। ফেবার ক্যাস্টেল ১২টার ছোট পেন্সিল ৬৫-৭০ টাকা, বড়টা ১২০-১৫০ টাকা। আবার ২৪টা রঙের পেন্সিলের দাম ৩০০ টাকা। স্টেডলারের ১২ কালারের পেন্সিলের দাম ১২০-১৩০ টাকা। সাধারণ মানের রং পেন্সিলের মধ্যে ১২ কালারের ছোট পেন্সিলের দাম ৩০ থেকে ৫০ টাকা। বড়গুলো ১০০-১৩০ টাকা। ২৪টা কালারের পেন্সিলের দাম ১৮০-২০০ টাকা।
এবার আসি অয়েল পেস্টালে। ১২, ১৮, ২৪ এবং ৩৬ কালারের অয়েল পেস্টালের দাম যথাক্রমে ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, ১৭০ থেকে ২০০ টাকা, ২৫০-২৭০ টাকা। আরো আছে ওয়াটার কালার। ১৬ কালারের ওয়াটার কালার বক্সের দাম ৪০ থেকে ৬০ টাকা। ২৫ কালারের বক্সের দাম ৮০-৯০ টাকা।
এবার জানা হয়ে গেল তো রংয়ের দামদর। খুব কি বেশি! তবে কেন আপনার শিশুটি বঞ্চিত থাকবে রংয়ের সঙ্র্শ থেকে। নিজের হাতে রং ধরুক। নিজের হাতেই থাকুক তার রঙিন ভুবনের ছবি। আমরা কেন বাধা দেব? বরং উৎসাহ দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাই তাকে। আজ বিকেলেই রাঙিয়ে দিন না আপনার সন্তানের ভুবনটাকে। জাগিয়ে তুলুন তার শিল্পীসত্তাকে। আর কাপড় নষ্ঠ? ও তো কোনো ব্যাপারই না। হাজারো পদের ওয়াশিং পাউডার আছে না!
শিশুদের জন্য ছবি আঁকাটা যেন এক অবধারিত। আর এই নিদরাউশনাবলি যেন তারা পায় স্বয়ং ঈশ্বরের কাছ থেকে। কেউ তাকে বলে না, 'বাবা ছবি আঁকো।' একদিন হঠাৎ সবাই লক্ষ্য করে সে কিছু একটা আঁকছে বা লিখতে চেষ্ঠা করছে। তো শিশুর এই রঙিন জগৎটা কি চকের সাদা দাগ, কালির কালো রেখা আর ইস্টের ম্যাড়ম্যাড়া লাল হয়ে থাকবে?
এবার চলুন জানি রংয়ের খোঁজ। রং পেন্সিল, মোম রং বা অয়েল পেস্টাল, ওয়াটার কালার বিভিন্ন পদের রং পাবেন। ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে রং পেন্সিল বা অয়েল পেন্সিলই উপযোগী। ছবি আঁকতে আঁকতে হয়তো খাওয়া শুরু করে দেবে। তবুও শেখার জন্য পেন্সিলই পারফেক্ট। রং পেন্সিলের মধ্যে স্টেডলার বা ফেবার ক্যাট্রেল ছাড়াও অনেক নামিদামি, কম দামি রং পেন্সিল আছে। ফেবার ক্যাস্টেল ১২টার ছোট পেন্সিল ৬৫-৭০ টাকা, বড়টা ১২০-১৫০ টাকা। আবার ২৪টা রঙের পেন্সিলের দাম ৩০০ টাকা। স্টেডলারের ১২ কালারের পেন্সিলের দাম ১২০-১৩০ টাকা। সাধারণ মানের রং পেন্সিলের মধ্যে ১২ কালারের ছোট পেন্সিলের দাম ৩০ থেকে ৫০ টাকা। বড়গুলো ১০০-১৩০ টাকা। ২৪টা কালারের পেন্সিলের দাম ১৮০-২০০ টাকা।
এবার আসি অয়েল পেস্টালে। ১২, ১৮, ২৪ এবং ৩৬ কালারের অয়েল পেস্টালের দাম যথাক্রমে ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, ১৭০ থেকে ২০০ টাকা, ২৫০-২৭০ টাকা। আরো আছে ওয়াটার কালার। ১৬ কালারের ওয়াটার কালার বক্সের দাম ৪০ থেকে ৬০ টাকা। ২৫ কালারের বক্সের দাম ৮০-৯০ টাকা।
এবার জানা হয়ে গেল তো রংয়ের দামদর। খুব কি বেশি! তবে কেন আপনার শিশুটি বঞ্চিত থাকবে রংয়ের সঙ্র্শ থেকে। নিজের হাতে রং ধরুক। নিজের হাতেই থাকুক তার রঙিন ভুবনের ছবি। আমরা কেন বাধা দেব? বরং উৎসাহ দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাই তাকে। আজ বিকেলেই রাঙিয়ে দিন না আপনার সন্তানের ভুবনটাকে। জাগিয়ে তুলুন তার শিল্পীসত্তাকে। আর কাপড় নষ্ঠ? ও তো কোনো ব্যাপারই না। হাজারো পদের ওয়াশিং পাউডার আছে না!
No comments