যৌন কেলেঙ্কারি: জামালপুরের ডিসি ওএসডি, সেই নারী লাপাত্তা
নারী
অফিস সহায়কের সঙ্গে আপত্তিকর ভিডিও প্রকাশের ঘটনায় জামালপুরের জেলা
প্রশাসক (ডিসি) আহমেদ কবীরকে ওএসডি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর তিনি নীরবে
জামালপুর ছেড়েছেন। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গতকাল জানিয়েছেন
আহমেদ কবীরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি
হবে। তার শুদ্ধাচার সনদ কেড়ে নেয়া হবে। এদিকে এ ঘটনায় সারা দেশের মাঠ
প্রশাসনেও তোলপাড় চলছে। স্থানীয়ভাবে ঘটনায় জড়িত নারী কর্মচারীর কঠোর শাস্তি
দাবি করেছেন অনেকে। ঘটনা প্রকাশের পর থেকে ওই নারী লাপাত্তা।
এদিকে নতুন করে জামালপুরের ডিসির দায়িত্ব পেয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রীর একান্ত সচিব (উপ-সচিব) মোহাম্মদ এনামুল হক।
গতকাল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ওএসডি এবং নতুন নিয়োগ সংক্রান্ত আলাদা আলাদা আদেশ জারি করা হয়েছে। এদিকে ওএসডি উপ-সচিব আহমেদ কবীরের সঙ্গে নারী অফিস সহায়কের আপত্তিকর ভিডিও প্রকাশের ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। তদন্ত কমিটিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব (জেলা ও মাঠ প্রশাসন অধিশাখা) মুশফিকুর রহমানকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ১০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি, ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনারের একজন প্রতিনিধি, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) একজন প্রতিনিধি। সদস্যরা কেউ উপসচিব পদমর্যাদার নিচে হতে পারবেন না। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন শৃঙ্খলা অধিশাখার উপসচিব সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। কমিটি গঠন সংক্রান্ত আদেশে কমিটিকে প্রকাশিত ভিডিওটির সঠিকতা যাচাই করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। এছাড়া কমিটি প্রয়োজনে সরেজমিন পরিদর্শন করবে এবং ভিডিওটি যাচাইয়ের বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত নেবেন। কমিটিতে প্রতিবেদনে সুস্পষ্ট মতামত দিতে হবে বলেও আদেশে উল্লেখ করা হয়। এদিকে গতকাল দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, তদন্ত করে সাবেক এ ডিসি ও নারী সহকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আহমেদ কবীরকে এর আগে শুদ্ধাচার পদক দেয়া হয়েছিল। সেটি ফিরিয়ে নেব। যাতে এ ধরনের কাজ ভবিষ্যতে অন্য কেউ না করতে পারে। আগামীতে ডিসি নিয়োগের ক্ষেত্রে নৈতিকতা বিবেচনা করে নিয়োগ দেয়া হবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তদন্ত কমিটি প্রসঙ্গে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, কমিটি ভালোভাবে তদন্ত করে, বুঝে, কী ঘটেছে সেখানে, কতটুকু অনৈতিকতা সেখানে হয়েছে- সবকিছু বিচার-বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদন দেবে। সেটির ভিত্তিতে আমরা এক্সামপ্লিয়ারি একটা প্রিম্যাটিক মেজার্স নেব। তিনি বলেন, জামালপুরের ডিসি অনৈতিক কাজ করেছেন। প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হযেছে। অধিকতর তদন্তের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাশাপাশি যে নারীর নাম এসেছে তাকেও তদন্তের আওতায় আনা হবে। এ ক্ষেত্রে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে তদন্ত কমিটি করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, জেলায় একজন ডিসি অনুকরণীয় ব্যক্তি। তার কাছ থেকে এ রকম অনৈতিক কর্মকাণ্ড কাম্য নয়। তার বিরুদ্ধে তদন্তের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, অবশ্যই উদাহরণ সৃষ্টি করার মতো শাস্তি তার হবে। আমাদের চাকরির বিধানে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ রয়েছে। সেটিই হবে।
আশা করছি আমরা দ্রুত একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারব। সমপ্রতি জামালপুরের ডিসির একটি আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটিতে ডিসি আহমেদ কবীরের সঙ্গে তার অফিসের এক নারীকর্মীকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখা যায়। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে খন্দকার সোহেল আহমেদ নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে জেলা প্রশাসকের আপত্তিকর ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। যদিও বিষয়টি অস্বীকার করে ঘটনাটি ‘সাজানো’ বলে দাবি করেন ডিসি আহমেদ কবীর।
এদিকে নতুন করে জামালপুরের ডিসির দায়িত্ব পেয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রীর একান্ত সচিব (উপ-সচিব) মোহাম্মদ এনামুল হক।
গতকাল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ওএসডি এবং নতুন নিয়োগ সংক্রান্ত আলাদা আলাদা আদেশ জারি করা হয়েছে। এদিকে ওএসডি উপ-সচিব আহমেদ কবীরের সঙ্গে নারী অফিস সহায়কের আপত্তিকর ভিডিও প্রকাশের ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। তদন্ত কমিটিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব (জেলা ও মাঠ প্রশাসন অধিশাখা) মুশফিকুর রহমানকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ১০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি, ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনারের একজন প্রতিনিধি, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) একজন প্রতিনিধি। সদস্যরা কেউ উপসচিব পদমর্যাদার নিচে হতে পারবেন না। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন শৃঙ্খলা অধিশাখার উপসচিব সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। কমিটি গঠন সংক্রান্ত আদেশে কমিটিকে প্রকাশিত ভিডিওটির সঠিকতা যাচাই করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। এছাড়া কমিটি প্রয়োজনে সরেজমিন পরিদর্শন করবে এবং ভিডিওটি যাচাইয়ের বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত নেবেন। কমিটিতে প্রতিবেদনে সুস্পষ্ট মতামত দিতে হবে বলেও আদেশে উল্লেখ করা হয়। এদিকে গতকাল দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, তদন্ত করে সাবেক এ ডিসি ও নারী সহকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আহমেদ কবীরকে এর আগে শুদ্ধাচার পদক দেয়া হয়েছিল। সেটি ফিরিয়ে নেব। যাতে এ ধরনের কাজ ভবিষ্যতে অন্য কেউ না করতে পারে। আগামীতে ডিসি নিয়োগের ক্ষেত্রে নৈতিকতা বিবেচনা করে নিয়োগ দেয়া হবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তদন্ত কমিটি প্রসঙ্গে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, কমিটি ভালোভাবে তদন্ত করে, বুঝে, কী ঘটেছে সেখানে, কতটুকু অনৈতিকতা সেখানে হয়েছে- সবকিছু বিচার-বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদন দেবে। সেটির ভিত্তিতে আমরা এক্সামপ্লিয়ারি একটা প্রিম্যাটিক মেজার্স নেব। তিনি বলেন, জামালপুরের ডিসি অনৈতিক কাজ করেছেন। প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হযেছে। অধিকতর তদন্তের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাশাপাশি যে নারীর নাম এসেছে তাকেও তদন্তের আওতায় আনা হবে। এ ক্ষেত্রে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে তদন্ত কমিটি করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, জেলায় একজন ডিসি অনুকরণীয় ব্যক্তি। তার কাছ থেকে এ রকম অনৈতিক কর্মকাণ্ড কাম্য নয়। তার বিরুদ্ধে তদন্তের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, অবশ্যই উদাহরণ সৃষ্টি করার মতো শাস্তি তার হবে। আমাদের চাকরির বিধানে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ রয়েছে। সেটিই হবে।
আশা করছি আমরা দ্রুত একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারব। সমপ্রতি জামালপুরের ডিসির একটি আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটিতে ডিসি আহমেদ কবীরের সঙ্গে তার অফিসের এক নারীকর্মীকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখা যায়। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে খন্দকার সোহেল আহমেদ নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে জেলা প্রশাসকের আপত্তিকর ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। যদিও বিষয়টি অস্বীকার করে ঘটনাটি ‘সাজানো’ বলে দাবি করেন ডিসি আহমেদ কবীর।
No comments