ট্রাম্প কি আফগানিস্তানে ১৮ বছরের নিস্ফল যুদ্ধ শেষ করতে পারবেন?
আফগানিস্তানে
যুক্তরাষ্ট্রের জড়ানোর বিষয়টি একটা বড় ধরনের ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে।
আমরা যাতে ভুলে না যায় যে, আল কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে তার গুহা
থেকে বের করে আনার কথা বলে বুশ প্রশাসন আফগানিস্তানে সামরিক অভিযান
চালিয়েছিল। সেটা অর্জিত হয়েছিল যদিও লাদেন পাকিস্তানে পালিয়ে যান এবং
সেখানেই লুকিয়ে থাকেন যেখানে ২০১১ সালে মার্কিন নৌ সেনারা অভিযান চালিয়ে
তাকে হত্যা করে।
তালেবানরা ৯/১১ এর ঘটনার সাথে জড়িত ছিল না। তারা বিন লাদেনকে আশ্রয় দিয়েছিল মাত্র। তাদেরকে বলা হয়েছিল যে, বিন লাদেনকে তাদের হাতে তুলে না দিলে এর পরিণতি ভোগ করতে হবে তাদের। অন্যদিকে, যে সব আফগান তালেবান শাসনের অধীনে কষ্টে ছিল, তাদেরকে মুক্তি ও গণতন্ত্রের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা পেয়েছে ১৮ বছরের সন্ত্রাস, ধ্বংসযজ্ঞ এবং রক্তপাত। মার্কিন নেতৃত্বাধিন বাহিনীর বিমান হামলা আর সন্ত্রাসীদের বোমা হামলার মাঝখানে পড়ে গেছে তারা। জাতিসংঘের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসেই প্রায় ১৪০০ আফগান নাগরিক নিহত হয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেকই মারা গেছে আফগান বিমান বাহিনী ও তাদের মিত্রদের বিমান হামলায়।
তবে, ট্রাম্প প্রশাসন তালেবানদের সাথে একটা শান্তি চুক্তিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন এবং শর্ত হিসেবে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন, যেটাকে ব্যর্থতা স্বীকার করে নেয়া ছাড়া আর কিছুই বলা যাবে না। বহু আফগানি আতঙ্কিত হয়ে আছেন যে তাদেরকে আবার নেকড়ের মুখে ফেলে দেয়া হচ্ছে।
দোহাতে শান্তি আলোচনার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত মার্কিন দূত জালমাই খলিলজাদ বলেছেন যে, আফগানিস্তানের মাটিকে ব্যবহার করে কোন সন্ত্রাসী গ্রুপ যাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে কোন আক্রমণ চালাতে না পারে, সেটা নিশ্চিত করার জন্য তালেবানরা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তাতে তিনি সন্তুষ্ট।
আলোচনার জন্য তালেবানদের শর্তঃ
তালেবানদেরকে বলা হচ্ছে যাতে আফগান সরকারের কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনায় যাওয়ার আগেই তারা অস্ত্রবিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। কিন্তু এ বিষয়টি কিছুটা জটিল। সপ্তাহ খানিক আগে তালেবানদের কাতার অফিসের একজন মুখপাত্র আফগান সরকারের সাথে আলোচনার বিষয়টি নাকচ করে দিয়ে বলেছেন যে, বিদেশী সেনা প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত তাদের সাথে কোন আলোচনা হবে না।
জর্জ ডাব্লিউ বুশ যে জঞ্জাল তৈরি করেছিলেন, সেখান থেকে এখন বেরিয়ে আসতে চাচ্ছে হোয়াইট হাউজ। সমস্যা হলো এখন ২০০১ সাল নয়, যখন তালেবানরা পরাজিত হয়েছিল। তারা আর আগের মতো অবদমিত শক্তি নয় বরং এমন শক্তি যাদের স্বীকৃতি দিতে হবে। জোট বাহিনী সরে যাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পাদিত চুক্তি তারা বাস্তবায়ন করবে কি না, সে ব্যাপারে কি তাদেরকে বিশ্বাস করা যায়? একমাত্র কোন বোকাই এটা বিশ্বাস করতে পারে।
ট্রাম্প কোন বোকা নন। তিনি সারহীন বিষয়ে বিনিয়োগ কমিয়ে আনতে চান এবং বিশ্বাস করেন যে, সেনাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে পারলে নির্বাচনে জিততে সেটা সাহায্য করবে। সে কারণে তিনি মূলত আফগানদের তাদের নিজেদের উপর ছেড়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তালেবানরা বেপরোয়া চরমপন্থী এবং আল কায়েদা ও দায়েশের আদর্শ ধারণ করে তারা। তারা বাজারের মতো জনবহুল জায়গায় বোমা বিস্ফোরণ করে নারী শিশুসহ অগণিত আফগানদের হত্যা করেছে। এমনকি গত মাসে যখন শান্তি আলোচনা চলছে, তখনও কাবুলে গাড়ি বোমার বিস্ফোরণ ঘটনায় তালেবানরা এবং এতে অনেকে নিহত এবং শতাধিক আহত হয়।
তালেবানরা ৯/১১ এর ঘটনার সাথে জড়িত ছিল না। তারা বিন লাদেনকে আশ্রয় দিয়েছিল মাত্র। তাদেরকে বলা হয়েছিল যে, বিন লাদেনকে তাদের হাতে তুলে না দিলে এর পরিণতি ভোগ করতে হবে তাদের। অন্যদিকে, যে সব আফগান তালেবান শাসনের অধীনে কষ্টে ছিল, তাদেরকে মুক্তি ও গণতন্ত্রের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা পেয়েছে ১৮ বছরের সন্ত্রাস, ধ্বংসযজ্ঞ এবং রক্তপাত। মার্কিন নেতৃত্বাধিন বাহিনীর বিমান হামলা আর সন্ত্রাসীদের বোমা হামলার মাঝখানে পড়ে গেছে তারা। জাতিসংঘের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসেই প্রায় ১৪০০ আফগান নাগরিক নিহত হয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেকই মারা গেছে আফগান বিমান বাহিনী ও তাদের মিত্রদের বিমান হামলায়।
তবে, ট্রাম্প প্রশাসন তালেবানদের সাথে একটা শান্তি চুক্তিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন এবং শর্ত হিসেবে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন, যেটাকে ব্যর্থতা স্বীকার করে নেয়া ছাড়া আর কিছুই বলা যাবে না। বহু আফগানি আতঙ্কিত হয়ে আছেন যে তাদেরকে আবার নেকড়ের মুখে ফেলে দেয়া হচ্ছে।
দোহাতে শান্তি আলোচনার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত মার্কিন দূত জালমাই খলিলজাদ বলেছেন যে, আফগানিস্তানের মাটিকে ব্যবহার করে কোন সন্ত্রাসী গ্রুপ যাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে কোন আক্রমণ চালাতে না পারে, সেটা নিশ্চিত করার জন্য তালেবানরা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তাতে তিনি সন্তুষ্ট।
আলোচনার জন্য তালেবানদের শর্তঃ
তালেবানদেরকে বলা হচ্ছে যাতে আফগান সরকারের কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনায় যাওয়ার আগেই তারা অস্ত্রবিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। কিন্তু এ বিষয়টি কিছুটা জটিল। সপ্তাহ খানিক আগে তালেবানদের কাতার অফিসের একজন মুখপাত্র আফগান সরকারের সাথে আলোচনার বিষয়টি নাকচ করে দিয়ে বলেছেন যে, বিদেশী সেনা প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত তাদের সাথে কোন আলোচনা হবে না।
জর্জ ডাব্লিউ বুশ যে জঞ্জাল তৈরি করেছিলেন, সেখান থেকে এখন বেরিয়ে আসতে চাচ্ছে হোয়াইট হাউজ। সমস্যা হলো এখন ২০০১ সাল নয়, যখন তালেবানরা পরাজিত হয়েছিল। তারা আর আগের মতো অবদমিত শক্তি নয় বরং এমন শক্তি যাদের স্বীকৃতি দিতে হবে। জোট বাহিনী সরে যাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পাদিত চুক্তি তারা বাস্তবায়ন করবে কি না, সে ব্যাপারে কি তাদেরকে বিশ্বাস করা যায়? একমাত্র কোন বোকাই এটা বিশ্বাস করতে পারে।
ট্রাম্প কোন বোকা নন। তিনি সারহীন বিষয়ে বিনিয়োগ কমিয়ে আনতে চান এবং বিশ্বাস করেন যে, সেনাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে পারলে নির্বাচনে জিততে সেটা সাহায্য করবে। সে কারণে তিনি মূলত আফগানদের তাদের নিজেদের উপর ছেড়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তালেবানরা বেপরোয়া চরমপন্থী এবং আল কায়েদা ও দায়েশের আদর্শ ধারণ করে তারা। তারা বাজারের মতো জনবহুল জায়গায় বোমা বিস্ফোরণ করে নারী শিশুসহ অগণিত আফগানদের হত্যা করেছে। এমনকি গত মাসে যখন শান্তি আলোচনা চলছে, তখনও কাবুলে গাড়ি বোমার বিস্ফোরণ ঘটনায় তালেবানরা এবং এতে অনেকে নিহত এবং শতাধিক আহত হয়।
>>>গালফ নিউজ
No comments