পুঁজিবাদ বিরোধী বিক্ষোভ: প্রথম দিনেই উত্তাপ ছড়াচ্ছে জি-৭ সম্মেলন by অনিম আরাফাত
শিল্পোন্নত
দেশগুলোর সংগঠন জি-সেভেন সম্মেলন উপলক্ষে ফ্রান্সে জড়ো হয়েছেন বিশ্ব
নেতারা। ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড টাস্ক একে আখ্যায়িত
করেছেন একতা ও সংহতির এক কঠিন পরীক্ষা হিসেবে। ইতিমধ্যে ৩ দিনের এ আয়োজনে
অংশ নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জার্মানি, জাপান, ইতালি, বৃটেন ও
স্বাগতিক ফ্রান্সের নেতারা। এ নিয়ে সমগ্র বিশ্ব এখন তাকিয়ে আছে এই
সম্মেলনের দিকে। সম্মেলনে সবথেকে প্রাধান্য পাচ্ছে জলবায়ু ইস্যু, আমাজনে
আগুন ও বাণিজ্য যুদ্ধ। সম্মেলন নিয়ে যেমন আছে আশাবাদ তেমনি আছে সংহতির পথে
ব্যর্থ হওয়ার শঙ্কাও।
শনিবার ফ্রান্সের সমুদ্র তীরবর্তী শহর বিয়ারিতজে শুরু হয় জি-সেভেন সম্মেলন। বলা হচ্ছে এটি ইতিহাসের সবথেকে বেশি মতভিন্নতা নিয়ে শুরু হওয়া জি-৭ এর শীর্ষ সম্মেলন। এ সম্মেলন যখন চলছে তখন বিশ্ব রাজনীতি উত্তপ্ত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের বাণিজ্য যুদ্ধ, ব্রেক্সিট, ইরান-যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনা এবং আমাজন বনে আগুন নিয়ে।
এরইমধ্যে এসব ইস্যুতে উত্তাপ ছড়াতে শুরু করেছে এবারের সম্মেলন।
সম্মেলন শুরুর পূর্বে বিশ্ব নেতাদের প্রতি সংহতির আহ্বান জানিয়েছেন ডনাল্ড টাস্ক। তিনি বলেন, দিন দিন আমাদের এক ভাষায় কথা বলা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের এখন আমাদের একতা প্রয়োজন। এটিই রাজনৈতিক একতায় পৌঁছানোর জন্য বিশ্বের সর্বশেষ সুযোগ। ফ্রেঞ্চ প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন বলেন, তিনি চান জি সেভেনভুক্ত দেশগুলো গণতন্ত্র, লিঙ্গ সমতা, শিক্ষা ও পরিবেশের ওপর জোর দিক। একইসঙ্গে তিনি এসব ইস্যুতে চাপ প্রয়োগ করতে এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার নেতাদের তাদের সঙ্গে যোগ দেয়ার আহ্বান জানান।
ডয়েচে ভেলে জানিয়েছে, এর আগে ফ্রান্সে জি-সেভেন সম্মেলনে যোগ দিতে বিমানে ওঠার ঠিক আগেই ফ্রান্সকে রীতিমতো হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প? মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের ওপর ডিজিটাল কর বসানোর পালটা প্রতিক্রিয়ায় ফরাসি ওয়াইনের ওপর নতুন কর বসানোর হুমকি দিয়েছেন তিনি। তবে ডনাল্ড টাস্ক এর দ্রুত পাল্টা জবাবে বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার ‘হুমকি বাস্তবায়ন করল্থে ইইউ একই ধরনের পাল্টা জবাব দিতে প্রস্তুত।
শনিবার বিকালে স্ত্রী মেলানিয়াকে নিয়ে ফ্রান্সে পৌঁছান ডনাল্ড ট্রাম্প। পৌঁছানোর পর তার জন্য অঘোষিত ভূরিভোজের আয়োজন করেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোন। এতে দুই ঘণ্টাব্যাপী আলোচনা করেন দুই নেতা। এরপর সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, এখন পর্যন্ত সব ঠিক আছে। এ সপ্তাহে আমরা এ নিয়ে অনেক আলোচনা করবো এবং এটিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবো।
এ ছাড়া, লাতিন আমেরিকায় জ্বলতে থাকা পৃথিবীর ফুসফুস্থ খ্যাত আমাজনে আগুন নিয়ে ব্রাজিল সরকারকে হুমকি দিয়েছেন ম্যাক্রোন। তিনি বলেন, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট বলসোনারো আমাজন নিয়ে কার্যকরি পদক্ষেপ না নিলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে থাকা দেশটির চুক্তি বাতিল করা হবে। আগুন থামাতে ও পুনরায় সেখানে বনায়নে ফ্রান্স শুধু আহ্বানই জানাবে না অন্যান্য দেশকে সঙ্গে নিয়ে সর্বশক্তি প্রয়োগ করবে। তার এই আহ্বানকে সমর্থন জানিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলও। এক ভিডিও বার্তায় জার্মান চ্যান্সেলর জানিয়েছেন, আমরা সব ধরনের সহায়তার চেষ্টা করবো, স্পষ্ট বার্তা জানাবো যে রেইনফরেস্টটিকে বাঁচাতে সাধ্যের সবকিছুই করতে হবে।
বিশ্ব রাজনীতিতে এখন সবথেকে আলোচিত ইস্যু চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য যুদ্ধ। এর প্রভাব পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতিতেও। ফলে জি-সেভেন সম্মেলনে এ বিষয়টি প্রাধান্য পাচ্ছে। তবে এশিয়ার যেসব নেতারা জি-সেভেন সম্মেলনে যোগ দেয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছেন তার মধ্যে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিয়ের নাম নেই। শনিবার চীন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন করারোপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। একইসঙ্গে একে যুক্তরাষ্ট্রের ভুল পদক্ষেপ আখ্যা দিয়ে এর জবাব দেয়ার হুমকি দিয়েছে দেশটি। প্রথমবারের মতো জি-সেভেন সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন বৃটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ফ্রান্সে এসে তিনি জানিয়েছেন, বাণিজ্য যুদ্ধ, ব্রেক্সিট হবে এ সম্মেলনের সবথেকে আলোচিত ইস্যু।
পুঁজিবাদ বিরোধী বিক্ষোভ
বরাবরের মতো এবারো জি-সেভেন সম্মেলনকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে ফ্রান্সে। বিয়ারিতজের পার্শ্ববর্তী শহর হেন্দায়িতে প্রায় ১০ হাজার বিক্ষোভকারী রাস্তায় নেমে এসেছেন। এতে যোগ দিচ্ছেন জি-সেভেন বিরোধিতাকারীরা। বিক্ষোভ থেকে তারা বিভিন্ন ইস্যুতে ব্যর্থতার জন্য বিশ্ব নেতাদের দায় মাথায় নেয়ার দাবি জানিয়েছেন। এরমধ্যে রয়েছে সমকামীদের অধিকার, ফিলিস্তিনিদের অধিকার, জলবায়ু পরিবর্তন রোধ, বিশ্বায়নের প্রভাব ও স্পেনের কাছে বাস্কের স্বাধীনতা ইস্যুতে বিশ্ব নেতাদের ব্যর্থতা।
এ আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন ফ্রান্সের বিখ্যাত ইয়েলো ভেস্ট আন্দোলনের নেতারাও। হলুদ ভেস্ট পরে আসা একজন জানিয়েছেন, এখানে বিশ্বের প্রধান পুঁজিবাদী নেতারা আছেন। আমরা তাদেরকে দেখিয়ে দিতে চাই তাদের বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ চলছে। ধনীরা আরো ধনী হচ্ছে কিন্তু গরিবদের জন্য কিছু নেই। আমরা দেখছি আমাজন জ্বলছে, মেরুতে বরফ গলছে। এই নেতাদের আমাদের কথা শুনতে হবে।
আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে ফ্রান্সের অন্য শহরগুলোতেও। দেশটির বেয়োনি শহরে পুঁজিবাদ বিরোধী প্রায় ৪০০ বিক্ষোভকারীর ওপর জল কামান ও টিয়ার গ্যাস ছুড়েছে পুলিশ। শনিবার বিকালে বিক্ষুব্ধদের পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে দেখা যায়। তবে অন্য শহরগুলোতে আন্দোলন ছিল বেশ শান্তিপূর্ণ। সম্মেলনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে অতিরিক্ত ১৩ হাজার পুলিশ অফিসারকে দায়িত্ব দিয়েছে ফ্রান্স।
শনিবার ফ্রান্সের সমুদ্র তীরবর্তী শহর বিয়ারিতজে শুরু হয় জি-সেভেন সম্মেলন। বলা হচ্ছে এটি ইতিহাসের সবথেকে বেশি মতভিন্নতা নিয়ে শুরু হওয়া জি-৭ এর শীর্ষ সম্মেলন। এ সম্মেলন যখন চলছে তখন বিশ্ব রাজনীতি উত্তপ্ত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের বাণিজ্য যুদ্ধ, ব্রেক্সিট, ইরান-যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনা এবং আমাজন বনে আগুন নিয়ে।
এরইমধ্যে এসব ইস্যুতে উত্তাপ ছড়াতে শুরু করেছে এবারের সম্মেলন।
সম্মেলন শুরুর পূর্বে বিশ্ব নেতাদের প্রতি সংহতির আহ্বান জানিয়েছেন ডনাল্ড টাস্ক। তিনি বলেন, দিন দিন আমাদের এক ভাষায় কথা বলা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের এখন আমাদের একতা প্রয়োজন। এটিই রাজনৈতিক একতায় পৌঁছানোর জন্য বিশ্বের সর্বশেষ সুযোগ। ফ্রেঞ্চ প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন বলেন, তিনি চান জি সেভেনভুক্ত দেশগুলো গণতন্ত্র, লিঙ্গ সমতা, শিক্ষা ও পরিবেশের ওপর জোর দিক। একইসঙ্গে তিনি এসব ইস্যুতে চাপ প্রয়োগ করতে এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার নেতাদের তাদের সঙ্গে যোগ দেয়ার আহ্বান জানান।
ডয়েচে ভেলে জানিয়েছে, এর আগে ফ্রান্সে জি-সেভেন সম্মেলনে যোগ দিতে বিমানে ওঠার ঠিক আগেই ফ্রান্সকে রীতিমতো হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প? মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের ওপর ডিজিটাল কর বসানোর পালটা প্রতিক্রিয়ায় ফরাসি ওয়াইনের ওপর নতুন কর বসানোর হুমকি দিয়েছেন তিনি। তবে ডনাল্ড টাস্ক এর দ্রুত পাল্টা জবাবে বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার ‘হুমকি বাস্তবায়ন করল্থে ইইউ একই ধরনের পাল্টা জবাব দিতে প্রস্তুত।
শনিবার বিকালে স্ত্রী মেলানিয়াকে নিয়ে ফ্রান্সে পৌঁছান ডনাল্ড ট্রাম্প। পৌঁছানোর পর তার জন্য অঘোষিত ভূরিভোজের আয়োজন করেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোন। এতে দুই ঘণ্টাব্যাপী আলোচনা করেন দুই নেতা। এরপর সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, এখন পর্যন্ত সব ঠিক আছে। এ সপ্তাহে আমরা এ নিয়ে অনেক আলোচনা করবো এবং এটিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবো।
এ ছাড়া, লাতিন আমেরিকায় জ্বলতে থাকা পৃথিবীর ফুসফুস্থ খ্যাত আমাজনে আগুন নিয়ে ব্রাজিল সরকারকে হুমকি দিয়েছেন ম্যাক্রোন। তিনি বলেন, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট বলসোনারো আমাজন নিয়ে কার্যকরি পদক্ষেপ না নিলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে থাকা দেশটির চুক্তি বাতিল করা হবে। আগুন থামাতে ও পুনরায় সেখানে বনায়নে ফ্রান্স শুধু আহ্বানই জানাবে না অন্যান্য দেশকে সঙ্গে নিয়ে সর্বশক্তি প্রয়োগ করবে। তার এই আহ্বানকে সমর্থন জানিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলও। এক ভিডিও বার্তায় জার্মান চ্যান্সেলর জানিয়েছেন, আমরা সব ধরনের সহায়তার চেষ্টা করবো, স্পষ্ট বার্তা জানাবো যে রেইনফরেস্টটিকে বাঁচাতে সাধ্যের সবকিছুই করতে হবে।
বিশ্ব রাজনীতিতে এখন সবথেকে আলোচিত ইস্যু চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য যুদ্ধ। এর প্রভাব পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতিতেও। ফলে জি-সেভেন সম্মেলনে এ বিষয়টি প্রাধান্য পাচ্ছে। তবে এশিয়ার যেসব নেতারা জি-সেভেন সম্মেলনে যোগ দেয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছেন তার মধ্যে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিয়ের নাম নেই। শনিবার চীন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন করারোপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। একইসঙ্গে একে যুক্তরাষ্ট্রের ভুল পদক্ষেপ আখ্যা দিয়ে এর জবাব দেয়ার হুমকি দিয়েছে দেশটি। প্রথমবারের মতো জি-সেভেন সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন বৃটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ফ্রান্সে এসে তিনি জানিয়েছেন, বাণিজ্য যুদ্ধ, ব্রেক্সিট হবে এ সম্মেলনের সবথেকে আলোচিত ইস্যু।
পুঁজিবাদ বিরোধী বিক্ষোভ
বরাবরের মতো এবারো জি-সেভেন সম্মেলনকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে ফ্রান্সে। বিয়ারিতজের পার্শ্ববর্তী শহর হেন্দায়িতে প্রায় ১০ হাজার বিক্ষোভকারী রাস্তায় নেমে এসেছেন। এতে যোগ দিচ্ছেন জি-সেভেন বিরোধিতাকারীরা। বিক্ষোভ থেকে তারা বিভিন্ন ইস্যুতে ব্যর্থতার জন্য বিশ্ব নেতাদের দায় মাথায় নেয়ার দাবি জানিয়েছেন। এরমধ্যে রয়েছে সমকামীদের অধিকার, ফিলিস্তিনিদের অধিকার, জলবায়ু পরিবর্তন রোধ, বিশ্বায়নের প্রভাব ও স্পেনের কাছে বাস্কের স্বাধীনতা ইস্যুতে বিশ্ব নেতাদের ব্যর্থতা।
এ আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন ফ্রান্সের বিখ্যাত ইয়েলো ভেস্ট আন্দোলনের নেতারাও। হলুদ ভেস্ট পরে আসা একজন জানিয়েছেন, এখানে বিশ্বের প্রধান পুঁজিবাদী নেতারা আছেন। আমরা তাদেরকে দেখিয়ে দিতে চাই তাদের বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ চলছে। ধনীরা আরো ধনী হচ্ছে কিন্তু গরিবদের জন্য কিছু নেই। আমরা দেখছি আমাজন জ্বলছে, মেরুতে বরফ গলছে। এই নেতাদের আমাদের কথা শুনতে হবে।
আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে ফ্রান্সের অন্য শহরগুলোতেও। দেশটির বেয়োনি শহরে পুঁজিবাদ বিরোধী প্রায় ৪০০ বিক্ষোভকারীর ওপর জল কামান ও টিয়ার গ্যাস ছুড়েছে পুলিশ। শনিবার বিকালে বিক্ষুব্ধদের পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে দেখা যায়। তবে অন্য শহরগুলোতে আন্দোলন ছিল বেশ শান্তিপূর্ণ। সম্মেলনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে অতিরিক্ত ১৩ হাজার পুলিশ অফিসারকে দায়িত্ব দিয়েছে ফ্রান্স।
No comments