রাখাইনে নির্যাতন অব্যাহত, কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের আহ্বান
রাখাইনে
এখনও মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতন অব্যাহত আছে। এ অবস্থায় রোহিঙ্গা
সঙ্কট সমাধানে কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য মিয়ানমার সরকারের
প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বলা হয়েছে, ওই সুপারিশে মিয়ানমার ও
রাখাইনের সব মানুষের জন্য উত্তম সমাধানের পথ রয়েছে। একই সঙ্গে উপযুক্ত
পরিবেশ সৃষ্টিতে মিয়ানমার সরকারকে উৎসাহিত করতে আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর
সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র অব্যাহতভাবে কাজ করছে, যাতে শরণার্থীরা তাদের মূল
বাসস্থানে অথবা তাদের পছন্দমতো স্থানে স্বেচ্ছায়, নিরাপদে, মর্যাদার সঙ্গে
টেকসইভাবে ফিরে যেতে পারেন। ২৪ শে আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের অফিস থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়।
এতে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশের উদারতার প্রশংসা করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, দুই বছর আগে মিয়ানমারের নিরাপত্তারক্ষীরা নারী, পুরুষ ও শিশুদের বিরুদ্ধে নৃশংসতা চালায়। রাখাইনের উত্তরাঞ্চলে নিরাপত্তারক্ষীদের পোস্টে উগ্রপন্থিদের হামলার জবাবে ভয়াবহভাবে বৈষম্যমুলকভাবে অভিযান শুরু করে তারা।
এতে কমপক্ষে ৭ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। মিয়ানমারের ওই নৃশংসতাকে অভিহিত করা হয়েছে জাতি নিধন হিসেবে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, গত ৭০ বছরের বেশি সময়ে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী শুধু রাখাইন রাজ্যেই মানবাধিকার লঙ্ঘন করেনি। জবাবদিহিতা না থাকায় এবং সেনাবাহিনীর ওপর বেসামরিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে এখনও রাখাইন রাজ্যে নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে সেনারা। একই সঙ্গে নির্যাতন চালাচ্ছে কাচিন, শান রাজ্যে ও মিয়ানমারের অন্যান্য স্থানে। আমরা এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানাই মানবাধিকারের প্রতি সম্মান দেখাতে। নিরবচ্ছিন্ন প্রবেশের মানবিক অনুমোদন দিতে হবে। শান্তির লক্ষ্যে যুক্ত থাকতে হবে রাজনৈতিক সংলাপে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, রাখাইন সঙ্কটে মানবিক সহায়তায় শীর্ষস্থানীয় অংশীদার যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৭ সালের আগস্টে সহিংসতা শুরুর পর থেকে এ খাতে যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ৫৪ কোটি ২০ লাখ ডলার দিয়েছে। মানবিক সহায়তায় অন্যদের যুক্ত হতে আহ্বান জানাই আমরা। নির্যাতনে যারা প্রাণ হারিয়েছেন এবং নির্যাতনের ফলে কমপক্ষে ১০ লাখ শরণার্থী, যারা বাংলাদেশে আশ্রয় পেয়েছেন- তাদের সবার প্রতি আমাদের সহানুভূতি। মিয়ানমার চেষ্টা করছে শক্তিশালী, শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ একটি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য। কিন্তু এক্ষেত্রে ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা একটি অত্যাবশ্যকীয় বিষয়। একই সঙ্গে মিয়ানমারে ন্যায়বিচার ও স্বেচ্ছায় রোহিঙ্গাদের ফেরত যাওয়ার পরিবেশ সৃষ্টিতে অন্যদের প্রতি আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্র।
এতে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশের উদারতার প্রশংসা করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, দুই বছর আগে মিয়ানমারের নিরাপত্তারক্ষীরা নারী, পুরুষ ও শিশুদের বিরুদ্ধে নৃশংসতা চালায়। রাখাইনের উত্তরাঞ্চলে নিরাপত্তারক্ষীদের পোস্টে উগ্রপন্থিদের হামলার জবাবে ভয়াবহভাবে বৈষম্যমুলকভাবে অভিযান শুরু করে তারা।
এতে কমপক্ষে ৭ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। মিয়ানমারের ওই নৃশংসতাকে অভিহিত করা হয়েছে জাতি নিধন হিসেবে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, গত ৭০ বছরের বেশি সময়ে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী শুধু রাখাইন রাজ্যেই মানবাধিকার লঙ্ঘন করেনি। জবাবদিহিতা না থাকায় এবং সেনাবাহিনীর ওপর বেসামরিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে এখনও রাখাইন রাজ্যে নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে সেনারা। একই সঙ্গে নির্যাতন চালাচ্ছে কাচিন, শান রাজ্যে ও মিয়ানমারের অন্যান্য স্থানে। আমরা এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানাই মানবাধিকারের প্রতি সম্মান দেখাতে। নিরবচ্ছিন্ন প্রবেশের মানবিক অনুমোদন দিতে হবে। শান্তির লক্ষ্যে যুক্ত থাকতে হবে রাজনৈতিক সংলাপে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, রাখাইন সঙ্কটে মানবিক সহায়তায় শীর্ষস্থানীয় অংশীদার যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৭ সালের আগস্টে সহিংসতা শুরুর পর থেকে এ খাতে যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ৫৪ কোটি ২০ লাখ ডলার দিয়েছে। মানবিক সহায়তায় অন্যদের যুক্ত হতে আহ্বান জানাই আমরা। নির্যাতনে যারা প্রাণ হারিয়েছেন এবং নির্যাতনের ফলে কমপক্ষে ১০ লাখ শরণার্থী, যারা বাংলাদেশে আশ্রয় পেয়েছেন- তাদের সবার প্রতি আমাদের সহানুভূতি। মিয়ানমার চেষ্টা করছে শক্তিশালী, শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ একটি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য। কিন্তু এক্ষেত্রে ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা একটি অত্যাবশ্যকীয় বিষয়। একই সঙ্গে মিয়ানমারে ন্যায়বিচার ও স্বেচ্ছায় রোহিঙ্গাদের ফেরত যাওয়ার পরিবেশ সৃষ্টিতে অন্যদের প্রতি আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্র।
No comments