কাশ্মীর ইস্যুতে নাছোড় পাকিস্তান by লং শিংচুন
প্রয়োজন
হলে কাশ্মীর ইস্যুতে ‘শেষ পর্যন্ত লড়াই করতে’ পাকিস্তান প্রস্তুত।
পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর থেকে বুধবার দেয়া এক বক্তৃতায় এ কথা বলেছেন
প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। খান বলেন, “আমি যুদ্ধ চাই না, কিন্তু এটা এখন
স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, তারা (ভারত) আলোচনা চায় না”। পাকিস্তানের ৭৩তম
স্বাধীনতা দিবসটি বুধবার ‘কাশ্মীর সংহতি দিবস’ হিসেবে পালিত হয়েছে।
কাশ্মীরের জনগণের প্রতি সমর্থন জানাতেই এই দিবসটি পালিত হয়েছে।
৫ আগস্ট ভারত একতরফাভাবে অধিকৃত কাশ্মীরের বিশেষ স্বায়ত্তশাসনের মর্যাদা বাতিল করে এবং এর মাধ্যমে কাশ্মীরকে ভারতের কথিত অঞ্চলে পরিণত করা হয়। ভারতের পদক্ষেপের জবাবেই খান এ সব কথা বলেছেন এবং সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের বিরোধীতা ও ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সীমান্তে সঙ্ঘাত হয়েছে। এবং এতে অন্তত তিনজন পাকিস্তানী এবং পাঁচজন ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছে। এই ধরনের সঙ্ঘাত এড়ানো কঠিন, কিন্তু পাকিস্তান কোন বড় ধরনের যুদ্ধে জড়াবে না। সে কারণের পাকিস্তানের বর্তমান পদক্ষেপগুলো সবই রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক। সামরিক পদক্ষেপের এখানে কোন সুযোগ নেই।
পাকিস্তান পুরো কাশ্মীরকে নিজেদের করতে চায়, কিন্তু এই উচ্চাকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করাটা কঠিন। সে কারণে পাকিস্তান তাদের কথায় ও রাজনীতিতে একটা আপসহীন অবস্থান নিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা কোন পদক্ষেপ নেয়নি। পাকিস্তানী জনগণকে শান্ত রাখার জন্য খানকে শক্ত কথা বলতে হচ্ছে।
ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসনের স্ট্যাটাস বাতিলের বিষয়টি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা। ২০১৯ সালে ভারতের সাধারণ নির্বাচনের সময়, বিজেপি কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। মোদি প্রশাসনের সিদ্ধান্ত বিজেপি সমর্থকদের এবং সার্বিকভাবে ভারতীয় সমাজের ব্যাপক সমর্থন পাবে। এমনকি ভারতের প্রধান বিরোধী দল ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেসের মধ্যেও অনেকে মোদির পদক্ষেপকে সমর্থন করেন। এখন মোদি প্রশাসন যেহেতু তার প্রতিশ্রুতি রেখেছে, তাই এই সম্ভাবনা কম যে ভারত সেটা বাতিল করবে।
ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের ব্যাপারেই পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত এবং সেটার প্রভাব নিয়ন্ত্রণ রেখা পার হয়নি। তবে, কাশ্মীর বিবাদের যেহেতু এখনও মীমাংসা হয়নি, ভারতের একতরফা সিদ্ধান্ত তার দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এটা পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত করতে পারে। তাছাড়া, কাশ্মীরের অধিবাসীরা অধিকাংশই মুসলিম। ভারতের সিদ্ধান্ত কার্যকরের পর, বহু হিন্দু কাশ্মীরে প্রবেশ করতে পারে, যেটা স্থানীয় মুসলিমদের প্রতিরোধের মুখে পড়তে পারে এবং এ অঞ্চলে দীর্ঘমেয়াদি সহিংসতা উসকে দিতে পারে। অন্যান্য ইসলামী দেশগুলোর বিরোধীতার মুখেও পড়তে পারে এ সিদ্ধান্ত।
চীন-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারতের পদক্ষেপ চীন-ভারত সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখাকেও পরিবর্তন করবে না, বা চীনের সার্বভৌমত্বের উপরও প্রভাব ফেলবে না। কাশ্মীরের ব্যাপারে চীনের মনোভাব মূলত নিরপেক্ষ। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সশস্ত্র সঙ্ঘাত দেখতে চায় না চীন, এবং আমরা আশা করি যে, দুই দেশ শান্তিপূর্ণভাবে বিবাদের মীমাংসা করতে পারবে। এ ব্যাপারে ভারত সবসময় তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার বিরোধী। শেষ বিচারে একমাত্র ভারত ও পাকিস্তানই কেবল কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করতে পারে।
৫ আগস্ট ভারত একতরফাভাবে অধিকৃত কাশ্মীরের বিশেষ স্বায়ত্তশাসনের মর্যাদা বাতিল করে এবং এর মাধ্যমে কাশ্মীরকে ভারতের কথিত অঞ্চলে পরিণত করা হয়। ভারতের পদক্ষেপের জবাবেই খান এ সব কথা বলেছেন এবং সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের বিরোধীতা ও ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সীমান্তে সঙ্ঘাত হয়েছে। এবং এতে অন্তত তিনজন পাকিস্তানী এবং পাঁচজন ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছে। এই ধরনের সঙ্ঘাত এড়ানো কঠিন, কিন্তু পাকিস্তান কোন বড় ধরনের যুদ্ধে জড়াবে না। সে কারণের পাকিস্তানের বর্তমান পদক্ষেপগুলো সবই রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক। সামরিক পদক্ষেপের এখানে কোন সুযোগ নেই।
পাকিস্তান পুরো কাশ্মীরকে নিজেদের করতে চায়, কিন্তু এই উচ্চাকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করাটা কঠিন। সে কারণে পাকিস্তান তাদের কথায় ও রাজনীতিতে একটা আপসহীন অবস্থান নিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা কোন পদক্ষেপ নেয়নি। পাকিস্তানী জনগণকে শান্ত রাখার জন্য খানকে শক্ত কথা বলতে হচ্ছে।
ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসনের স্ট্যাটাস বাতিলের বিষয়টি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা। ২০১৯ সালে ভারতের সাধারণ নির্বাচনের সময়, বিজেপি কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। মোদি প্রশাসনের সিদ্ধান্ত বিজেপি সমর্থকদের এবং সার্বিকভাবে ভারতীয় সমাজের ব্যাপক সমর্থন পাবে। এমনকি ভারতের প্রধান বিরোধী দল ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেসের মধ্যেও অনেকে মোদির পদক্ষেপকে সমর্থন করেন। এখন মোদি প্রশাসন যেহেতু তার প্রতিশ্রুতি রেখেছে, তাই এই সম্ভাবনা কম যে ভারত সেটা বাতিল করবে।
ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের ব্যাপারেই পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত এবং সেটার প্রভাব নিয়ন্ত্রণ রেখা পার হয়নি। তবে, কাশ্মীর বিবাদের যেহেতু এখনও মীমাংসা হয়নি, ভারতের একতরফা সিদ্ধান্ত তার দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এটা পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত করতে পারে। তাছাড়া, কাশ্মীরের অধিবাসীরা অধিকাংশই মুসলিম। ভারতের সিদ্ধান্ত কার্যকরের পর, বহু হিন্দু কাশ্মীরে প্রবেশ করতে পারে, যেটা স্থানীয় মুসলিমদের প্রতিরোধের মুখে পড়তে পারে এবং এ অঞ্চলে দীর্ঘমেয়াদি সহিংসতা উসকে দিতে পারে। অন্যান্য ইসলামী দেশগুলোর বিরোধীতার মুখেও পড়তে পারে এ সিদ্ধান্ত।
চীন-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারতের পদক্ষেপ চীন-ভারত সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখাকেও পরিবর্তন করবে না, বা চীনের সার্বভৌমত্বের উপরও প্রভাব ফেলবে না। কাশ্মীরের ব্যাপারে চীনের মনোভাব মূলত নিরপেক্ষ। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সশস্ত্র সঙ্ঘাত দেখতে চায় না চীন, এবং আমরা আশা করি যে, দুই দেশ শান্তিপূর্ণভাবে বিবাদের মীমাংসা করতে পারবে। এ ব্যাপারে ভারত সবসময় তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার বিরোধী। শেষ বিচারে একমাত্র ভারত ও পাকিস্তানই কেবল কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করতে পারে।
No comments