বিরোধী নেতার পদ নিয়ে জাপায় চাপান-উতোর by হাফিজ মুহাম্মদ
জাতীয়
পার্টি। সংক্ষেপে জাপা। সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এর
প্রতিষ্ঠাতা। এরশাদ শক্ত হাতেই চালিয়েছেন দল। ক্ষণে ক্ষণে মত পরিবর্তনের
ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন তিনি। এজন্য জীবদ্দশায় কম কথা শুনতে হয়নি তাকে।
কিন্তু এখন? এরশাদবিহীন রাজনীতিতে পার্টি কেমন চলছে? এরশাদের মৃত্যুর পর
দুটি পদ শূন্য হয়। একটি দলীয় প্রধানের পদ।
অন্যটি সংসদের বিরোধীদলীয় নেতার পদ। এছাড়া রংপুরের এরশাদের আসনও শূন্য হয়। এরমধ্যে পার্টির চেয়ারম্যান পদে এরশাদের সহোদর ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের চেয়ারম্যান হন। এক সংবাদ সম্মেলনে পার্টির মহাসচিব সাংবাদিকদের ডেকে চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদেরের নাম ঘোষণা করেন। পার্টির চেয়ারম্যান তিনি হলেও এখনো শূন্য রয়েছে সংসদে বিরোধীদলীয় নেতার পদ। রংপুরে এরশাদের শূন্য আসনে কে প্রার্থী হবেন এ নিয়েও আলোচনা চলছে বেশ কয়েকজন প্রার্থীকে নিয়ে। তদের বেশিরভাগ রংপুরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এরই মধ্যে জিএম কাদেরের চেয়ারম্যান পদ নিয়ে খোদ পার্টির মধ্যেই দেখা দেয় প্রশ্ন। পার্টির অনেক সিনিয়র নেতা প্রশ্ন তুলেন। সমালোচনাও করেন অনেকে। স্বয়ং রওশন এরশাদসহ পার্টির ১০ প্রেসিডিয়াম সদস্য জিএম কাদেরের চেয়ারম্যান পদ নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিবৃতি দেন। তারা বলেন, তিনি যথাযথ নিয়মানুযায়ী পার্টির চেয়ারম্যান হননি।
তাকে নিয়ে ফোরামে কোনো আলোচনাও হয়নি। তিনি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবেই গণ্য হবেন। তখন এ বিবৃতি নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলে জিএম কাদের বলেন, এটা কারা করেছে আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি নিয়ে দলে দুটি ধারা তৈরি হয়। একটি রওশন এরশাদপন্থী । অন্যটি জিএম কাদের পন্থী। পার্টির অনেক সিনিয়র নেতাকর্মীকে রওশনের পক্ষ নিতে দেখা যায়। এরমধ্যে পার্টির প্রেসিডিয়াম ও সংসদ সদস্যদের বৈঠকও তারা বয়কট করেন। অনুপস্থিত দেখা যায় পার্টি অফিসেও। এরই মধ্যে অধিক সময় গড়িয়ে গেছে। পার্টির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নেতাকর্মীরা জিএম কাদের ও রওশনকে নিয়ে আলোচনা করলেও কিছুটা আড়ালে পড়ে সংসদে বিরোধী দলের প্রধান শূন্য পদ নিয়ে আলোচনা। সর্বশেষ ঈদের পরে এরশাদের চল্লিশা নিয়ে বৈঠকে বসে জাপার প্রেসিডিয়াম ও সংসদ সদস্যরা। গত শনিবারের এ বৈঠকে কয়েকজন প্রেসিডিয়াম সদস্য জিএম কাদেরকে সংসদে বিরোধী দলীয় প্রধান হওয়ার প্রস্তাব করেন। কিন্তু তাদের বক্তব্য শুনে জিএম কাদের বলেন, পার্টির মধ্যে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এরপরই আবার নানা কথাবার্তা শুরু হয় জাপায়। যারা রওশনপন্থী বলে পরিচিত এমন প্রস্তাবে তারা কঠোর সমালোচনা শুরু করেন প্রস্তাবকারীদের।
বলেন, অতি উৎসাহীরা এমন বলেছে। তারা জিএম কাদেরের কাছে ভাল সাজতে চাইছে। এছাড়া পার্টির চেয়ারম্যান নিয়ে রওশনপন্থীদের বিবৃতির কারণেও জিএম কাদের পন্থীরা এ প্রস্তাব করেছেন বলে জানান কয়েক নেতা। কিন্তু জিএম কাদের নিজেও চান রওশন এরশাদ এ পদে আসিন হোক। তাকে সম্মানীত করা হোক। জিএম কাদের ভাবী রওশনকে তার মায়ের মত সম্বধোন করে বলেছেন, তিনি তার সম্মান পাবেন এবং তার পরামর্শ নিয়েই পার্টি সামনে এগিয়ে নিবেন।
এ নিয়ে পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন মানবজমিনকে বলেন, সংসদে কে বিরোধী দলের নেতা হবেন সেটা জাপার সংসদীয় বোর্ড বৈঠক করেই সিদ্ধান্ত নিবেন। তাছাড়া নীতি নির্ধারণী ফোরামেও আলোচনা হবে। পার্টির আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবুর রহমান সেন্টু বলেন, জিএম কাদেরতো বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, ভাবী (রওশন এরশাদ) কে সম্মান দেয়া হবে। আমরাও চাইছি পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যানই এই পদে মনোনীত হোক।
জাপার প্রেসিডিয়াম ও সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, আাগামী অধিবেশনের এক দুই দিন আগেই বৈঠক করে সংসদীয় বোর্ড সিদ্ধান্ত নিবেন কে হবেন বিরোধী দলীয় নেতা। আর তাতে রওশন এরশাদই মনোনীত হবেন। আমরাও চাই ম্যাডাম সংসদ পরিচালনা করবে আর জিএম কাদের পার্টি চালাবে।
ওইদিন জাপার প্রেসিডিয়াম ও সংসদ সদস্যদের বৈঠকে জিএম কাদেরকে সংসদে বিরোধী দলের প্রধান নেতা হওয়ার প্রস্তাব করেন প্রেসিডিয়াম সদস্য হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন। তিনি বলেন, ওই বৈঠকে আমি আমার মতামত ব্যক্ত করেছি। আমি মনে করি, একই ব্যক্তি যদি পার্টির প্রধান এবং সংসদেও বিরোধী দলের প্রধান হয় তাহলে পার্টি আরো চাঙা হবে। এছাড়া কার্যক্রমও এগিয়ে নেয়া যাবে। এছাড়া সম্প্রতি জিএম কাদের পার্টি এবং দেশের বিভিন্ন সমস্যায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন ও প্রসংসিত হয়েছেন। এছাড়া রওশন এরশাদকে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা জিএম কাদেরের মত গ্রহণ করেননি। তারও অনেক বয়স হয়েছে। তিনি পার্টির সভা-সেমিনারে আসছেন না। তাই আমি জিএম কাদেরকেই এ পদের জন্য যোগ্য মনে করছি।
অন্যটি সংসদের বিরোধীদলীয় নেতার পদ। এছাড়া রংপুরের এরশাদের আসনও শূন্য হয়। এরমধ্যে পার্টির চেয়ারম্যান পদে এরশাদের সহোদর ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের চেয়ারম্যান হন। এক সংবাদ সম্মেলনে পার্টির মহাসচিব সাংবাদিকদের ডেকে চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদেরের নাম ঘোষণা করেন। পার্টির চেয়ারম্যান তিনি হলেও এখনো শূন্য রয়েছে সংসদে বিরোধীদলীয় নেতার পদ। রংপুরে এরশাদের শূন্য আসনে কে প্রার্থী হবেন এ নিয়েও আলোচনা চলছে বেশ কয়েকজন প্রার্থীকে নিয়ে। তদের বেশিরভাগ রংপুরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এরই মধ্যে জিএম কাদেরের চেয়ারম্যান পদ নিয়ে খোদ পার্টির মধ্যেই দেখা দেয় প্রশ্ন। পার্টির অনেক সিনিয়র নেতা প্রশ্ন তুলেন। সমালোচনাও করেন অনেকে। স্বয়ং রওশন এরশাদসহ পার্টির ১০ প্রেসিডিয়াম সদস্য জিএম কাদেরের চেয়ারম্যান পদ নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিবৃতি দেন। তারা বলেন, তিনি যথাযথ নিয়মানুযায়ী পার্টির চেয়ারম্যান হননি।
তাকে নিয়ে ফোরামে কোনো আলোচনাও হয়নি। তিনি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবেই গণ্য হবেন। তখন এ বিবৃতি নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলে জিএম কাদের বলেন, এটা কারা করেছে আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি নিয়ে দলে দুটি ধারা তৈরি হয়। একটি রওশন এরশাদপন্থী । অন্যটি জিএম কাদের পন্থী। পার্টির অনেক সিনিয়র নেতাকর্মীকে রওশনের পক্ষ নিতে দেখা যায়। এরমধ্যে পার্টির প্রেসিডিয়াম ও সংসদ সদস্যদের বৈঠকও তারা বয়কট করেন। অনুপস্থিত দেখা যায় পার্টি অফিসেও। এরই মধ্যে অধিক সময় গড়িয়ে গেছে। পার্টির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নেতাকর্মীরা জিএম কাদের ও রওশনকে নিয়ে আলোচনা করলেও কিছুটা আড়ালে পড়ে সংসদে বিরোধী দলের প্রধান শূন্য পদ নিয়ে আলোচনা। সর্বশেষ ঈদের পরে এরশাদের চল্লিশা নিয়ে বৈঠকে বসে জাপার প্রেসিডিয়াম ও সংসদ সদস্যরা। গত শনিবারের এ বৈঠকে কয়েকজন প্রেসিডিয়াম সদস্য জিএম কাদেরকে সংসদে বিরোধী দলীয় প্রধান হওয়ার প্রস্তাব করেন। কিন্তু তাদের বক্তব্য শুনে জিএম কাদের বলেন, পার্টির মধ্যে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এরপরই আবার নানা কথাবার্তা শুরু হয় জাপায়। যারা রওশনপন্থী বলে পরিচিত এমন প্রস্তাবে তারা কঠোর সমালোচনা শুরু করেন প্রস্তাবকারীদের।
বলেন, অতি উৎসাহীরা এমন বলেছে। তারা জিএম কাদেরের কাছে ভাল সাজতে চাইছে। এছাড়া পার্টির চেয়ারম্যান নিয়ে রওশনপন্থীদের বিবৃতির কারণেও জিএম কাদের পন্থীরা এ প্রস্তাব করেছেন বলে জানান কয়েক নেতা। কিন্তু জিএম কাদের নিজেও চান রওশন এরশাদ এ পদে আসিন হোক। তাকে সম্মানীত করা হোক। জিএম কাদের ভাবী রওশনকে তার মায়ের মত সম্বধোন করে বলেছেন, তিনি তার সম্মান পাবেন এবং তার পরামর্শ নিয়েই পার্টি সামনে এগিয়ে নিবেন।
এ নিয়ে পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন মানবজমিনকে বলেন, সংসদে কে বিরোধী দলের নেতা হবেন সেটা জাপার সংসদীয় বোর্ড বৈঠক করেই সিদ্ধান্ত নিবেন। তাছাড়া নীতি নির্ধারণী ফোরামেও আলোচনা হবে। পার্টির আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবুর রহমান সেন্টু বলেন, জিএম কাদেরতো বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, ভাবী (রওশন এরশাদ) কে সম্মান দেয়া হবে। আমরাও চাইছি পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যানই এই পদে মনোনীত হোক।
জাপার প্রেসিডিয়াম ও সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, আাগামী অধিবেশনের এক দুই দিন আগেই বৈঠক করে সংসদীয় বোর্ড সিদ্ধান্ত নিবেন কে হবেন বিরোধী দলীয় নেতা। আর তাতে রওশন এরশাদই মনোনীত হবেন। আমরাও চাই ম্যাডাম সংসদ পরিচালনা করবে আর জিএম কাদের পার্টি চালাবে।
ওইদিন জাপার প্রেসিডিয়াম ও সংসদ সদস্যদের বৈঠকে জিএম কাদেরকে সংসদে বিরোধী দলের প্রধান নেতা হওয়ার প্রস্তাব করেন প্রেসিডিয়াম সদস্য হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন। তিনি বলেন, ওই বৈঠকে আমি আমার মতামত ব্যক্ত করেছি। আমি মনে করি, একই ব্যক্তি যদি পার্টির প্রধান এবং সংসদেও বিরোধী দলের প্রধান হয় তাহলে পার্টি আরো চাঙা হবে। এছাড়া কার্যক্রমও এগিয়ে নেয়া যাবে। এছাড়া সম্প্রতি জিএম কাদের পার্টি এবং দেশের বিভিন্ন সমস্যায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন ও প্রসংসিত হয়েছেন। এছাড়া রওশন এরশাদকে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা জিএম কাদেরের মত গ্রহণ করেননি। তারও অনেক বয়স হয়েছে। তিনি পার্টির সভা-সেমিনারে আসছেন না। তাই আমি জিএম কাদেরকেই এ পদের জন্য যোগ্য মনে করছি।
No comments