১০ বছর বয়সে বিক্ষোভ, এখন তার মৃত্যুদণ্ড চায় সৌদি
মুর্তাজা কুরেইরিস (গ্রেপ্তারের আগে তোলা ছবি) |
সৌদি
আরবের ইস্টার্ন প্রদেশে ১০ বছর বয়সে সরকারবিরোধী স্লোগান দেওয়ায় মুর্তাজা
কুরেইরিস নামেরে এক কিশোরকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার আয়োজন চলছে। ২০১১ সালে
ইসলামি গণজাগরণের উত্তাল সময়ে সৌদি রাজতন্ত্রের নিপীড়ন-নির্যাতনের বিরুদ্ধে
এবং গণতন্ত্র দাবিতে সেসময় দেশজুড়ে যে গণবিক্ষোভের সূচনা হয়েছিল, তার অংশ
হিসেবেই মুর্তাজা কুরেইরিস তার বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে সাইকেল রাইডে নেমেছিল।
এই অল্পবয়সী বালকদের জড়ো হওয়ার বিষয়টি সেসময় ‘পর্যবেক্ষণ’ করে সৌদি সরকার। ওই বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার কারণে তিন বছর পর মুর্তাজাকে ১৩ বছর বয়সে গ্রেফতার করে রাজতন্ত্রের বাহিনী। পরিবারের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশ বাহরাইনে চলে যাওয়ার সময় সীমান্তে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সৌদি আরবের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সী ‘রাজনৈতিক বন্দী’ হিসেবে মুর্তাজাকে নিয়ে যাওয়া হয় কারাগারে।
প্রায় চার বছর ‘বিচার-পূর্ব কারাভোগ’ করানোর পর এখন মুর্তাজাকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করতে চায় সৌদি আরব সরকার। মুর্তাজাকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করতে আদালতের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। মুর্তাজার বিরুদ্ধে যে অভিযোগপত্র দায়ের করা হয়েছে, সে অনুসারে ‘অপরাধ সংঘঠিত করার সময়’ তার বয়স ছিল ১০ বছর।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, মুর্তাজার ভাই আলী কুরেইরিস মোটরসাইকেলেযোগে পূর্বাঞ্চলীয় শহর আওয়ামিয়াতে গিয়ে থানায় পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেন, সেসময় তার সঙ্গে ছিল মুর্তাজাও। মুর্তাজার ভাইকে পরে নির্মমভাবে হত্যা করে সৌদি নিরাপত্তা বাহিনী।
মুর্তাজার এখন সন্ত্রাস আদালতে বিচার চলছে। মৃত্যুদণ্ড চেয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে মুর্তাজার ১৮ বছর বয়সে পদার্পণের কয়েক মাস আগে। তার বিরুদ্ধে ‘উগ্রবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ এনেছে রাষ্ট্রপক্ষ। এমনকি বিক্ষোভের সময় সহিংসতা, নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর পেট্রোল বোমা হামলায় সহযোগিতা, ভাইয়ের জানাজার সময় পদযাত্রা বের করার অভিযোগও আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
রাষ্ট্রপক্ষ এসব অভিযোগের ব্যাপারে মুর্তাজার কথিত ‘স্বীকারোক্তি’ হাজির করলেও অধিকারকর্মী ও স্বজনরা বলছেন, হুমকি-ধামকি দিয়ে, নির্যাতন করেই এ জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে।
গত এপ্রিলে সৌদি আরব প্রায় ৩৭ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মতে, মৃত্যুদণ্ড যাদের কার্যকর হয়েছে, তাদের মধ্যে বেশিরভাগই শিয়া সম্প্রদায়ের। সৌদি রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে শিয়া মুসলমানদের ওপর দমন-পীড়নের অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
এই অল্পবয়সী বালকদের জড়ো হওয়ার বিষয়টি সেসময় ‘পর্যবেক্ষণ’ করে সৌদি সরকার। ওই বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার কারণে তিন বছর পর মুর্তাজাকে ১৩ বছর বয়সে গ্রেফতার করে রাজতন্ত্রের বাহিনী। পরিবারের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশ বাহরাইনে চলে যাওয়ার সময় সীমান্তে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সৌদি আরবের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সী ‘রাজনৈতিক বন্দী’ হিসেবে মুর্তাজাকে নিয়ে যাওয়া হয় কারাগারে।
প্রায় চার বছর ‘বিচার-পূর্ব কারাভোগ’ করানোর পর এখন মুর্তাজাকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করতে চায় সৌদি আরব সরকার। মুর্তাজাকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করতে আদালতের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। মুর্তাজার বিরুদ্ধে যে অভিযোগপত্র দায়ের করা হয়েছে, সে অনুসারে ‘অপরাধ সংঘঠিত করার সময়’ তার বয়স ছিল ১০ বছর।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, মুর্তাজার ভাই আলী কুরেইরিস মোটরসাইকেলেযোগে পূর্বাঞ্চলীয় শহর আওয়ামিয়াতে গিয়ে থানায় পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেন, সেসময় তার সঙ্গে ছিল মুর্তাজাও। মুর্তাজার ভাইকে পরে নির্মমভাবে হত্যা করে সৌদি নিরাপত্তা বাহিনী।
মুর্তাজার এখন সন্ত্রাস আদালতে বিচার চলছে। মৃত্যুদণ্ড চেয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে মুর্তাজার ১৮ বছর বয়সে পদার্পণের কয়েক মাস আগে। তার বিরুদ্ধে ‘উগ্রবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ এনেছে রাষ্ট্রপক্ষ। এমনকি বিক্ষোভের সময় সহিংসতা, নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর পেট্রোল বোমা হামলায় সহযোগিতা, ভাইয়ের জানাজার সময় পদযাত্রা বের করার অভিযোগও আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
রাষ্ট্রপক্ষ এসব অভিযোগের ব্যাপারে মুর্তাজার কথিত ‘স্বীকারোক্তি’ হাজির করলেও অধিকারকর্মী ও স্বজনরা বলছেন, হুমকি-ধামকি দিয়ে, নির্যাতন করেই এ জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে।
গত এপ্রিলে সৌদি আরব প্রায় ৩৭ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মতে, মৃত্যুদণ্ড যাদের কার্যকর হয়েছে, তাদের মধ্যে বেশিরভাগই শিয়া সম্প্রদায়ের। সৌদি রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে শিয়া মুসলমানদের ওপর দমন-পীড়নের অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
No comments