কাশ্মিরে চালানো বর্বরতা ভারতের সবচেয়ে বড় কলঙ্ক : অমর্ত্য সেন
কাশ্মির
ইস্যুতে ভারত সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য
সেন। তিনি বলেছেন, কাশ্মিরে ভারত যে নৃশংসতা ও বর্বরতা চালাচ্ছে, তা ভারতীয়
গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় কলঙ্ক হয়ে থাকবে। নিঃসন্দেহে এটি ভারতীয় গণতন্ত্রের
সবচেয়ে বড় কলঙ্ক। এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ-ই নেই।
তিনি আরো বলেন, ভারতের এই কলঙ্কের জন্য দায়ী বেশ কিছু লোক। তাছাড়া কাশ্মিরে চালানো বর্বরতা নিয়ে কেবল ভারতে নয়, বিদেশেও অনেক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। এ অবস্থা যে একটি কলঙ্ক তার অনেক প্রমাণ আছে। বিদেশের আলোচনাগুলোতেও কাশ্মীর গুরুত্বের সঙ্গে স্থান পায়। ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
সাক্ষাৎকারে অমর্ত্য সেন বলেন, আমরা কাশ্মির এবং কাশ্মিরের মানুষের সাথে সঠিক আচরণ করিনি। এখনো পর্যন্ত আমরা কাশ্মিরের অপব্যবহার করছি। এটা আইন ও শৃঙ্খলার সমস্যা নয়।
তিনি আরো বলেন, কাশ্মিরের মানুষের সাথে আমরা ভয়াবহ ও সহিংস বর্বর আচরণ করছি। কাশ্মিরকে বিচ্ছিন্ন করতে আমরা ইন্টারনেট ও সংবাদপত্র বন্ধ করে দিচ্ছি। আর এসব করে আমরা এমন ভাবে কাশ্মিরের মানুষদের শাস্তি দিচ্ছি যে তারা কখনোই ভারতকে আপন ভাবতে পারবে না।
তিনি বলেন,‘কাশ্মীরের জনগণ তাকিয়ে আছে। সেখানে আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা গুরুত্বপূর্ণ। বিক্ষোভ দমন করতে ভয়ংকর ও সহিংস ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে, সংবাদপত্র নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। এতে কাশ্মীরিরা আরো বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।’
ক্যামব্রিজের ট্রিনিটি কলেজের সাবেক শিক্ষক ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই অধ্যাপক বলেন, কাশ্মিরে ভারতীয় বাহিনীর নৃশংসতা ও বর্বরতার ওপর সিএনএনের দীর্ঘ এক প্রতিবেদন আমি দেখেছি। ভারতের বাকি অংশের মানুষের সাথে কাশ্মিরের মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে। আসল কথা হল- বহু দশক ধরে আমরা একে মিসহ্যান্ডেল (কাশ্মিরে ভুল নীতি পরিচালনা) করেছি। এখন আরো খারাপ উপায়ে কাশ্মিরের পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করছি।
তিনি আরো বলেন, ভারতের এই কলঙ্কের জন্য দায়ী বেশ কিছু লোক। তাছাড়া কাশ্মিরে চালানো বর্বরতা নিয়ে কেবল ভারতে নয়, বিদেশেও অনেক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। এ অবস্থা যে একটি কলঙ্ক তার অনেক প্রমাণ আছে। বিদেশের আলোচনাগুলোতেও কাশ্মীর গুরুত্বের সঙ্গে স্থান পায়। ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
সাক্ষাৎকারে অমর্ত্য সেন বলেন, আমরা কাশ্মির এবং কাশ্মিরের মানুষের সাথে সঠিক আচরণ করিনি। এখনো পর্যন্ত আমরা কাশ্মিরের অপব্যবহার করছি। এটা আইন ও শৃঙ্খলার সমস্যা নয়।
তিনি আরো বলেন, কাশ্মিরের মানুষের সাথে আমরা ভয়াবহ ও সহিংস বর্বর আচরণ করছি। কাশ্মিরকে বিচ্ছিন্ন করতে আমরা ইন্টারনেট ও সংবাদপত্র বন্ধ করে দিচ্ছি। আর এসব করে আমরা এমন ভাবে কাশ্মিরের মানুষদের শাস্তি দিচ্ছি যে তারা কখনোই ভারতকে আপন ভাবতে পারবে না।
তিনি বলেন,‘কাশ্মীরের জনগণ তাকিয়ে আছে। সেখানে আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা গুরুত্বপূর্ণ। বিক্ষোভ দমন করতে ভয়ংকর ও সহিংস ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে, সংবাদপত্র নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। এতে কাশ্মীরিরা আরো বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।’
ক্যামব্রিজের ট্রিনিটি কলেজের সাবেক শিক্ষক ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই অধ্যাপক বলেন, কাশ্মিরে ভারতীয় বাহিনীর নৃশংসতা ও বর্বরতার ওপর সিএনএনের দীর্ঘ এক প্রতিবেদন আমি দেখেছি। ভারতের বাকি অংশের মানুষের সাথে কাশ্মিরের মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে। আসল কথা হল- বহু দশক ধরে আমরা একে মিসহ্যান্ডেল (কাশ্মিরে ভুল নীতি পরিচালনা) করেছি। এখন আরো খারাপ উপায়ে কাশ্মিরের পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করছি।
No comments