অভিনব চুরির পর এটিএম বুথে কড়া সতর্কতা by শুভ্র দেব
ডাচ্-বাংলা
ব্যাংকের এটিএম বুথের সিস্টেম হ্যাক করে বিদেশি নাগরিকের টাকা তোলার পর
সতর্ক হয়েছে দেশের ৫১টি এটিএম কার্ড সেবাদানকারী ব্যাংক। এমন ঘটনা এড়াতে
সারা দেশে ১০ হাজার ৫৩৬ টি এটিএম বুথে কড়া সতর্কতা নেয়া হয়েছে। বিশেষ কৌশলে
পুরো এটিএম বুথের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে টাকা উত্তোলনের ঘটনা এর আগে দেশে কখনও
হয়নি। তবে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বেসরকারি ইস্টার্ন, সিটি ও ইউনাইটেড
কমার্শিয়াল ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে তথ্য চুরি করে বিদেশিরা। ওই সময় ক্লোন
করা ৪০ টি কার্ড দিয়ে ২০ লাখ টাকা তুলে নেয় তারা। এবারের ঘটনা একেবারেই
ভিন্ন। কারণ, ওই দিন হ্যাকাররা যে পদ্ধতিতে টাকা তুলেছে এমন ঘটনা দেশের
ব্যাংকিং ইতিহাসে কখনো ঘটেনি। বুথ থেকে টাকা তোলা হলেও তার কোন রেকর্ড
ব্যাংকের সার্ভারে নেই।
এসব কারণে প্রতিটি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এখন এটিএম বুথের নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছে। ব্যাংকসূত্র জানিয়েছে, ইতিমধ্যে প্রতিটি ব্যাংকের পক্ষ থেকে তাদের এটিএম বুথের নিরাপত্তাকর্মীদের বিভিন্ন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এসব নির্দেশনার মধ্য রয়েছে নিরাপত্তাকর্মীরা একই সঙ্গে যেন একাধিক ব্যক্তিকে প্রবেশ করতে না দেন এবং লেনদেনের সময় বুথের দরজার স্বচ্ছ অংশ দিয়ে গ্রাহকের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতে হবে। হেলমেট, টুপি, মাস্ক, সানগ্লাস, হিজাব, রেইনকোট ও হাতমোজা পরিধান করা কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া যাবে না। এছাড়া ব্যাগ, ল্যাপটপ বা অন্য কোন মালামাল নিয়ে বুথে প্রবেশে বাধা দিতে হবে। বিদেশি কোন ব্যক্তি বুথে আসলে তাকে সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। বুথের ভেতরে তার কার্যকলাপ নিজ চোখে দেখতে হবে। সন্দেহজনক মনে হলে কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। গ্রাহক এটিএম বুথে বেশি সময় অবস্থান করলে তাকে বিনয়ের সঙ্গে বেশি সময় নেয়ার কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে হবে। দায়িত্বপালনকালে নিরাপত্তাকর্মী কোনভাবেই এটিএম বুথের আশেপাশের লোকদের সঙ্গে আড্ডায় জড়িত হতে পারবে না। দায়িত্বপালন করার সময় কর্মস্থল ত্যাগ করা যাবে না।
কেউ যদি বুথে প্রবেশ করে এটিএম কার্ড ছাড়া অন্য কোন ডিভাইস ব্যবহার করে তবে কর্র্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। এছাড়া প্রতিটা বুথের অচল সিসি ক্যামেরা সচল রাখতে হবে। বেইলি রোডে ডাচ বাংলা ব্যাংকের নিরাপত্তাকর্মী আমির হোসেন বলেন, হ্যাকিং করে টাকা তোলার পর আমাদেরকে বেশ কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যদি কেউ এটিএম বুথে ঢুকে অস্বাভাবিক কিছু করে আর সেটা যদি আমাদের চোখে ধরা পড়ে তবে আমাদের অফিস ও ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে অবগত করতে হবে। এছাড়া কাউকে সন্দেহজনক মনে হলে থানায় জানাতে হবে। ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের বেইলি রোডের নিরাপত্তাকর্মী মো. মিজানুর রহমান বলেন, তিন মিনিটের বেশি কেউ এটিএম বুথে অবস্থান করলে তাকে বের করে দিতে বলা হয়েছে। সন্দেহজনক হলে থানায় জানাতে হবে। নিজেকে সেইভ রাখতে হবে। ঢাকা ব্যাংকের এটিএম বুথের নিরাপত্তাকর্মী আলতাফ হোসেন বলেন, আমরা ল্যাপটপ, ব্যাগ, হেলমেট, হাত মোজা, মার্কস ও কালো চশমা পরিহিত কাউকে এটিএম বুথে ঢুকতে দেই না। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনার পর থেকে আমাদেরকে আলাদাভাবে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
আগে আমরা বুথের বাইরে গল্প করতে পারতাম। চা খাওয়ার জন্য একটু দুরে যেতে পারতাম কিন্তু এখন আর সেটা হয় না। ব্র্যাক ব্যাংকের এটিএম বুথের নিরাপত্তাকর্মী সাদির মিয়া বলেন, আগের চেয়ে আমাদেরকে এখন অনেক সতর্ক থাকতে হয়। গ্রাহক সেজে কেউ ভেতরে ঢুকে বেশি সময় নেয় কিনা বা এটিএম কার্ড ছাড়া অন্য কোন ডিভাইস ব্যবহার করছে কিনা সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হচ্ছে। বুথের স্বচ্ছ কাচ দিয়ে ভেতরে কি হচ্ছে খেয়াল রাখতে হয়।
মগবাজারের স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংকের নিরাপত্তাকর্মী মো. জনি বলেন, দায়িত্বপালনের সময় আমাদেরকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। তিন থেকে চার মিনিটের বেশি কেউ ভেতরে অবস্থান করলে তাকে ফলো করতে হবে। কোন কারণে সন্দেহ হলে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে। সিটি ব্যাংকের নিরাপত্তাকর্মী রাকিবুল ইসলাম বলেন, মাস্ক, হেলমেট, ব্যাগ ও ক্যাপ নিয়ে ভেতরে ঢুকতে দেই না। কোন সমস্যা হলে মোবাইল নম্বর দেয়া আছে ওই নম্বরে জানিয়ে দেই। ইস্কাটনে ইউসিবি ব্যাংকের নিরাপত্তাকর্মী মো. বখতিয়ার বিশ্বাস বলেন, বিদেশি কেউ ঢুকলে বেশি নজরদারি করি। এছাড়া কোন গ্রাহক যদি প্রয়োজনের চেয়ে বেশি সময় নেন তবে তাকে গিয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়, কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা।
গত ৩১শে মে রাজধানীর বাড্ডা এলাকার ডাচ বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে নিরাপত্তাকর্মীদের উপস্থিতিতে দুইজন বিদেশি নাগরিক কার্ড ব্যবহার করে একাধিকবার টাকা উত্তোলন করেন। এসময় তাদের মুখে মাস্ক, চোখে সানগ্লাস ও মাথায় টুপি পরা ছিল। পরেরদিন শনিবার ওই এটিএম বুথের টাকার হিসাব মেলানোর সময় তিন লাখ টাকা কম হয়। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ দুইজন বিদেশি কর্তৃক টাকা উত্তোলনের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে ডাচ বাংলা ব্যাংকের সকল এটিএম বুথে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। ওই দিন রাতেই খিলগাঁও তালতলা এলাকার একটি বুথে দুই বিদেশি নাগরিক টাকা তুলতে যান। তখন তাদের মুখে মাস্ক ও মাথায় টুপি পরা ছিল। বুথে ঢুকেও তারা অস্বাভাবিক সময় নিচ্ছিলেন। নিরাপত্তাকর্মী বিষয়টি টের পেয়ে আশেপাশের লোকজন জড়ো করেন। তাদের সহযোগিতায় একজন বিদেশিকে আটক করা হয়।
পরে তার দেয়া তথ্যমতে রাজধানীর পান্থপথের হোটেল ওলিও ড্রিম ইন্টারন্যাশনাল থেকে আরও পাঁচ বিদেশিকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তারা হলেন, দেনিস ভিতোমস্কি (২০), নাজারি ভজনোক (১৯), ভালেনতিন সোকোলোভস্কি (৩৭), সের্গেই উইক্রাইনেৎস (৩৩), শেভচুক আলেগ (৪৬) ও ভালোদিমির ত্রিশেনস্কি (৩৭)। তারা ছয়জনই ইউক্রেনের নাগরিক। গতমাসে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে করে তারা বাংলাদেশে আসে। এর আগে তারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে একইভাবে টাকা চুরি করে বাংলাদেশে এসেছে। ডাচ বাংলা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে খিলগাঁও থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেছে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ আটক ওই ছয় বিদেশিকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করে। আদালত তাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। কিন্তু ভাষাগত সমস্যা থাকার কারনে ডিবি তাদের এখন জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেনি। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (পূর্ব) উপ-কমিশনার খন্দকার নূরনবী বলেন, আদালত তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। কিন্তু এখনও তাদেরকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি।
এসব কারণে প্রতিটি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এখন এটিএম বুথের নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছে। ব্যাংকসূত্র জানিয়েছে, ইতিমধ্যে প্রতিটি ব্যাংকের পক্ষ থেকে তাদের এটিএম বুথের নিরাপত্তাকর্মীদের বিভিন্ন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এসব নির্দেশনার মধ্য রয়েছে নিরাপত্তাকর্মীরা একই সঙ্গে যেন একাধিক ব্যক্তিকে প্রবেশ করতে না দেন এবং লেনদেনের সময় বুথের দরজার স্বচ্ছ অংশ দিয়ে গ্রাহকের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতে হবে। হেলমেট, টুপি, মাস্ক, সানগ্লাস, হিজাব, রেইনকোট ও হাতমোজা পরিধান করা কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া যাবে না। এছাড়া ব্যাগ, ল্যাপটপ বা অন্য কোন মালামাল নিয়ে বুথে প্রবেশে বাধা দিতে হবে। বিদেশি কোন ব্যক্তি বুথে আসলে তাকে সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। বুথের ভেতরে তার কার্যকলাপ নিজ চোখে দেখতে হবে। সন্দেহজনক মনে হলে কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। গ্রাহক এটিএম বুথে বেশি সময় অবস্থান করলে তাকে বিনয়ের সঙ্গে বেশি সময় নেয়ার কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে হবে। দায়িত্বপালনকালে নিরাপত্তাকর্মী কোনভাবেই এটিএম বুথের আশেপাশের লোকদের সঙ্গে আড্ডায় জড়িত হতে পারবে না। দায়িত্বপালন করার সময় কর্মস্থল ত্যাগ করা যাবে না।
কেউ যদি বুথে প্রবেশ করে এটিএম কার্ড ছাড়া অন্য কোন ডিভাইস ব্যবহার করে তবে কর্র্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। এছাড়া প্রতিটা বুথের অচল সিসি ক্যামেরা সচল রাখতে হবে। বেইলি রোডে ডাচ বাংলা ব্যাংকের নিরাপত্তাকর্মী আমির হোসেন বলেন, হ্যাকিং করে টাকা তোলার পর আমাদেরকে বেশ কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যদি কেউ এটিএম বুথে ঢুকে অস্বাভাবিক কিছু করে আর সেটা যদি আমাদের চোখে ধরা পড়ে তবে আমাদের অফিস ও ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে অবগত করতে হবে। এছাড়া কাউকে সন্দেহজনক মনে হলে থানায় জানাতে হবে। ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের বেইলি রোডের নিরাপত্তাকর্মী মো. মিজানুর রহমান বলেন, তিন মিনিটের বেশি কেউ এটিএম বুথে অবস্থান করলে তাকে বের করে দিতে বলা হয়েছে। সন্দেহজনক হলে থানায় জানাতে হবে। নিজেকে সেইভ রাখতে হবে। ঢাকা ব্যাংকের এটিএম বুথের নিরাপত্তাকর্মী আলতাফ হোসেন বলেন, আমরা ল্যাপটপ, ব্যাগ, হেলমেট, হাত মোজা, মার্কস ও কালো চশমা পরিহিত কাউকে এটিএম বুথে ঢুকতে দেই না। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনার পর থেকে আমাদেরকে আলাদাভাবে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
আগে আমরা বুথের বাইরে গল্প করতে পারতাম। চা খাওয়ার জন্য একটু দুরে যেতে পারতাম কিন্তু এখন আর সেটা হয় না। ব্র্যাক ব্যাংকের এটিএম বুথের নিরাপত্তাকর্মী সাদির মিয়া বলেন, আগের চেয়ে আমাদেরকে এখন অনেক সতর্ক থাকতে হয়। গ্রাহক সেজে কেউ ভেতরে ঢুকে বেশি সময় নেয় কিনা বা এটিএম কার্ড ছাড়া অন্য কোন ডিভাইস ব্যবহার করছে কিনা সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হচ্ছে। বুথের স্বচ্ছ কাচ দিয়ে ভেতরে কি হচ্ছে খেয়াল রাখতে হয়।
মগবাজারের স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংকের নিরাপত্তাকর্মী মো. জনি বলেন, দায়িত্বপালনের সময় আমাদেরকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। তিন থেকে চার মিনিটের বেশি কেউ ভেতরে অবস্থান করলে তাকে ফলো করতে হবে। কোন কারণে সন্দেহ হলে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে। সিটি ব্যাংকের নিরাপত্তাকর্মী রাকিবুল ইসলাম বলেন, মাস্ক, হেলমেট, ব্যাগ ও ক্যাপ নিয়ে ভেতরে ঢুকতে দেই না। কোন সমস্যা হলে মোবাইল নম্বর দেয়া আছে ওই নম্বরে জানিয়ে দেই। ইস্কাটনে ইউসিবি ব্যাংকের নিরাপত্তাকর্মী মো. বখতিয়ার বিশ্বাস বলেন, বিদেশি কেউ ঢুকলে বেশি নজরদারি করি। এছাড়া কোন গ্রাহক যদি প্রয়োজনের চেয়ে বেশি সময় নেন তবে তাকে গিয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়, কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা।
গত ৩১শে মে রাজধানীর বাড্ডা এলাকার ডাচ বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে নিরাপত্তাকর্মীদের উপস্থিতিতে দুইজন বিদেশি নাগরিক কার্ড ব্যবহার করে একাধিকবার টাকা উত্তোলন করেন। এসময় তাদের মুখে মাস্ক, চোখে সানগ্লাস ও মাথায় টুপি পরা ছিল। পরেরদিন শনিবার ওই এটিএম বুথের টাকার হিসাব মেলানোর সময় তিন লাখ টাকা কম হয়। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ দুইজন বিদেশি কর্তৃক টাকা উত্তোলনের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে ডাচ বাংলা ব্যাংকের সকল এটিএম বুথে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। ওই দিন রাতেই খিলগাঁও তালতলা এলাকার একটি বুথে দুই বিদেশি নাগরিক টাকা তুলতে যান। তখন তাদের মুখে মাস্ক ও মাথায় টুপি পরা ছিল। বুথে ঢুকেও তারা অস্বাভাবিক সময় নিচ্ছিলেন। নিরাপত্তাকর্মী বিষয়টি টের পেয়ে আশেপাশের লোকজন জড়ো করেন। তাদের সহযোগিতায় একজন বিদেশিকে আটক করা হয়।
পরে তার দেয়া তথ্যমতে রাজধানীর পান্থপথের হোটেল ওলিও ড্রিম ইন্টারন্যাশনাল থেকে আরও পাঁচ বিদেশিকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তারা হলেন, দেনিস ভিতোমস্কি (২০), নাজারি ভজনোক (১৯), ভালেনতিন সোকোলোভস্কি (৩৭), সের্গেই উইক্রাইনেৎস (৩৩), শেভচুক আলেগ (৪৬) ও ভালোদিমির ত্রিশেনস্কি (৩৭)। তারা ছয়জনই ইউক্রেনের নাগরিক। গতমাসে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে করে তারা বাংলাদেশে আসে। এর আগে তারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে একইভাবে টাকা চুরি করে বাংলাদেশে এসেছে। ডাচ বাংলা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে খিলগাঁও থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেছে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ আটক ওই ছয় বিদেশিকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করে। আদালত তাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। কিন্তু ভাষাগত সমস্যা থাকার কারনে ডিবি তাদের এখন জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেনি। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (পূর্ব) উপ-কমিশনার খন্দকার নূরনবী বলেন, আদালত তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। কিন্তু এখনও তাদেরকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি।
No comments