তিউনিশিয়া উপকূলে ভাসছে ৬৪ বাংলাদেশি
তিউনিশিয়া
উপকূলে অভিবাসী বোঝাই নৌকাডুবিতে ভয়াবহ প্রাণহানির মাত্র কয়েক দিন পার
হয়েছে। এরই মধ্যে আবারো ওই এলাকায় ৬৪ বাংলাদেশি সহ ৭৫ অভিবাসী উপকূল এলাকায়
সাগরে ভাসছেন। একটি উদ্ধারকারী জাহাজ তাদেরকে উদ্ধার করেছে। কিন্তু
তাদেরকে কেউ গ্রহণ করতে রাজি হচ্ছে না। ফলে ১২ দিন ধরে তারা ওই উপকূল থেকে
২৫ কিলোমিটার দূরে সাগরে ভাসছেন। তাদের অবস্থা শোচনীয়। তাদেরকে খাদ্য ও
চিকিৎসা সুবিধা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু এসব সুবিধা গ্রহণ করতে তারা অস্বীকৃতি
জানিয়েছেন।
তাদের একটিই দাবি, ইউরোপ যেতে দিতে হবে। তিউনেশিয়া রেড ক্রিসেন্টকে উদ্ধৃত করে মঙ্গলবার এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এদিকে, লিবিয়াস্থ বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শেখ সিকান্দার আলী মানবজমিনকে জানিয়েছেন, ওই বাংলাদেশিদের সর্বশেষ অবস্থা জানতে তিনি তিউনেশিয়াস্থ রেড ক্রিসেন্টের সঙ্গে কথা বলেছেন। এ নিয়ে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে দিক নির্দেশনা পেতে তিনি একটি রিপোর্টও পাঠিয়েছেন। ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার অণুবিভাগের মহাপরিচালক চিরঞ্জীব সরকার রিপোর্ট পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। মানবজমিনকে তিনি বলেন, দূতাবাসের একজন কর্মকর্তাকে নিয়ে রাষ্ট্রদূত সরজমিনে পরিস্থিতি দেখতে তিউনেশিয়ার ওই উপকূলীয় শহরে যাচ্ছেন। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই তারা সেখানে পৌঁছাচ্ছেন। রাষ্ট্রদূত তিউনেশিয়া কর্তৃপক্ষকে এটা বোঝানোর চেষ্টা করবেন যে, ওই অভিবাস প্রত্যার্শীদের তারা যেন স্থল সীমানায় আসার সুযোগ দেয়। এতে তারা অন্তত প্রাণে বাঁচবে।
রেড ক্রিসেন্ট বলছে, লিবিয়া থেকে একটি গ্রুপে এসব মানুষ ইউরোপের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিলেন সমুদ্রপথে। এর মধ্যে ৬৪ জন বাংলাদেশি। বাকিরা মরক্কো, সুদান ও মিশরের নাগরিক। তাদেরকে বহনকারী বোট ডুবে গিয়েছিল কিনা, এসব বিষয় তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কারভাবে জানা যায় নি। তবে এটুকু জানা গেছে যে, তিউনিশিয়ার জলসীমায় এসব অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে মিশরের একটি বোট। কিন্তু স্থানীয় মেডিনিন শহর কর্তৃপক্ষ এসব অভিবাসীকে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। কারণ, শরণার্থী রাখার জন্য তাদের যেসব সেন্টার রয়েছে তাতে অত্যাধিক মানুষে ঠাসা। স্থান সংকুলান হবে না সেখানে। ফলে তারা ওইসব অভিবাসীকে তীরে ভিড়তে দিচ্ছে না। এ জন্য জারজিস উপকূল থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে সমুদ্রে আটকা পড়ে আছেন ওই অভিবাসীরা।
সরকারি একটি সূত্র বলেছে, অভিবাসীদেরকে খাবার ও চিকিৎসা সুবিধা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তারা এর কোনোটিই নিতে রাজি নয়। তাদের একটাই দাবি, ইউরোপ যেতে দিতে হবে। এটাই তাদের টার্গেট। উন্নত জীবনের আশা নিয়ে তারা সমুদ্রপথে তাই যাত্রা শুরু করেছে।
রেড ক্রিসেন্টের কর্মকর্তা মঙ্গি স্লিম বলেছেন, উদ্ধারকারী বোটে আটকে পড়া অভিবাসীদের চিকিৎসা দিতে কিছু ডাক্তার পৌঁছেছেন সেখানে। অল্প কিছু অভিবাসী চিকিৎসা নিয়েছেন। বাকিরা যেকোনো রকম সহায়তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেছেন, ১২ দিন সমুদ্রে আটকা থাকার পর এসব অভিবাসীর অবস্থা খুব শোচনীয় হয়ে উঠেছে।
উল্লেখ্য, লিবিয়ার পশ্চিম উপকূল ইউরোপের উদ্দেশ্যে আফ্রিকান অভিবাসীদের পাচারের প্রধান ট্রানজিট হয়ে উঠেছে। এক্ষেত্রে ইতালির নেতৃত্বে পাচারবিরোধী প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এতে সহায়তা করছে লিবিয়ার কোস্টগার্ড। তা সত্ত্বেও থামানো যাচ্ছে না। এই তো গত মাসে কমপক্ষে ৬৫ জন অভিবাসী নিয়ে তিউনিশিয়া উপকূলে ভূমধ্যসাগরে একটি বোট ডুবে যায়। তাতে বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন অভিবাসী ডুবে মারা গেছেন। এ বছরের প্রথম চার মাসে এই রুটে কমপক্ষে ১৬৪ জন মানুষ ডুবে মারা গেছেন।
তাদের একটিই দাবি, ইউরোপ যেতে দিতে হবে। তিউনেশিয়া রেড ক্রিসেন্টকে উদ্ধৃত করে মঙ্গলবার এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এদিকে, লিবিয়াস্থ বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শেখ সিকান্দার আলী মানবজমিনকে জানিয়েছেন, ওই বাংলাদেশিদের সর্বশেষ অবস্থা জানতে তিনি তিউনেশিয়াস্থ রেড ক্রিসেন্টের সঙ্গে কথা বলেছেন। এ নিয়ে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে দিক নির্দেশনা পেতে তিনি একটি রিপোর্টও পাঠিয়েছেন। ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার অণুবিভাগের মহাপরিচালক চিরঞ্জীব সরকার রিপোর্ট পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। মানবজমিনকে তিনি বলেন, দূতাবাসের একজন কর্মকর্তাকে নিয়ে রাষ্ট্রদূত সরজমিনে পরিস্থিতি দেখতে তিউনেশিয়ার ওই উপকূলীয় শহরে যাচ্ছেন। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই তারা সেখানে পৌঁছাচ্ছেন। রাষ্ট্রদূত তিউনেশিয়া কর্তৃপক্ষকে এটা বোঝানোর চেষ্টা করবেন যে, ওই অভিবাস প্রত্যার্শীদের তারা যেন স্থল সীমানায় আসার সুযোগ দেয়। এতে তারা অন্তত প্রাণে বাঁচবে।
রেড ক্রিসেন্ট বলছে, লিবিয়া থেকে একটি গ্রুপে এসব মানুষ ইউরোপের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিলেন সমুদ্রপথে। এর মধ্যে ৬৪ জন বাংলাদেশি। বাকিরা মরক্কো, সুদান ও মিশরের নাগরিক। তাদেরকে বহনকারী বোট ডুবে গিয়েছিল কিনা, এসব বিষয় তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কারভাবে জানা যায় নি। তবে এটুকু জানা গেছে যে, তিউনিশিয়ার জলসীমায় এসব অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে মিশরের একটি বোট। কিন্তু স্থানীয় মেডিনিন শহর কর্তৃপক্ষ এসব অভিবাসীকে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। কারণ, শরণার্থী রাখার জন্য তাদের যেসব সেন্টার রয়েছে তাতে অত্যাধিক মানুষে ঠাসা। স্থান সংকুলান হবে না সেখানে। ফলে তারা ওইসব অভিবাসীকে তীরে ভিড়তে দিচ্ছে না। এ জন্য জারজিস উপকূল থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে সমুদ্রে আটকা পড়ে আছেন ওই অভিবাসীরা।
সরকারি একটি সূত্র বলেছে, অভিবাসীদেরকে খাবার ও চিকিৎসা সুবিধা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তারা এর কোনোটিই নিতে রাজি নয়। তাদের একটাই দাবি, ইউরোপ যেতে দিতে হবে। এটাই তাদের টার্গেট। উন্নত জীবনের আশা নিয়ে তারা সমুদ্রপথে তাই যাত্রা শুরু করেছে।
রেড ক্রিসেন্টের কর্মকর্তা মঙ্গি স্লিম বলেছেন, উদ্ধারকারী বোটে আটকে পড়া অভিবাসীদের চিকিৎসা দিতে কিছু ডাক্তার পৌঁছেছেন সেখানে। অল্প কিছু অভিবাসী চিকিৎসা নিয়েছেন। বাকিরা যেকোনো রকম সহায়তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেছেন, ১২ দিন সমুদ্রে আটকা থাকার পর এসব অভিবাসীর অবস্থা খুব শোচনীয় হয়ে উঠেছে।
উল্লেখ্য, লিবিয়ার পশ্চিম উপকূল ইউরোপের উদ্দেশ্যে আফ্রিকান অভিবাসীদের পাচারের প্রধান ট্রানজিট হয়ে উঠেছে। এক্ষেত্রে ইতালির নেতৃত্বে পাচারবিরোধী প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এতে সহায়তা করছে লিবিয়ার কোস্টগার্ড। তা সত্ত্বেও থামানো যাচ্ছে না। এই তো গত মাসে কমপক্ষে ৬৫ জন অভিবাসী নিয়ে তিউনিশিয়া উপকূলে ভূমধ্যসাগরে একটি বোট ডুবে যায়। তাতে বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন অভিবাসী ডুবে মারা গেছেন। এ বছরের প্রথম চার মাসে এই রুটে কমপক্ষে ১৬৪ জন মানুষ ডুবে মারা গেছেন।
No comments