হরমুজ প্রণালীতে আরো দু’টি তেলবাহী জাহাজে টর্পেডো হামলা: ইরান ইস্যুতে নতুন উত্তেজনা
মধ্যপ্রাচ্যে
ইরান ইস্যুতে উত্তেজনায় যুক্ত হলো নতুন মাত্রা। বৃহসপতিবার উপসাগরীয়
অঞ্চলে তেলবাহী দুটি ট্যাংকারে বড় ধরনের টর্পেডো হামলা চালানো হয়েছে। এতে
একটি ট্যাংকার পুরোপুরি ডুবে গেছে এবং অন্যটিও অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
নতুন এ হামলার মধ্য দিয়ে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনা আরো বৃদ্ধি পাবে বলেই
মনে করা হচ্ছে। এর আগে সৌদি আরবের তেলবাহী জাহাজে অজ্ঞাত হামলার জন্যও
ইরানকে দায়ী করা হয়েছিল। তখন মক্কায় জরুরি সম্মেলন ডেকে ইরান সন্ত্রাসবাদী
কার্যক্রমে জড়িত দাবি করে দেশটিকে প্রতিহত করার আহ্বান জানান সৌদি আরবের
বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ। বৃহসপতিবারের ওই হামলাও ইরানের ভূখণ্ড থেকে
কাছাকাছি অবস্থিত ছিল। সৌদি সংবাদমাধ্যম আল হাদাথ সর্ব প্রথম হামলার ছবি
প্রকাশ করে।
এর আগে উপসাগরীয় অঞ্চলের ঠিক এই স্থানেই ইরানের বিরুদ্ধে মাইন ব্যবহারের অভিযোগ এনেছিল যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির দাবি ইরান আরো ৪টি তেলবাহী জাহাজে হামলা চালিয়েছে গত মাসে। তবে এবারের হামলা চালানো জাহাজ দুটোতে জাপানি কার্গো পরিবহন করা হচ্ছিল। এ হামলা ঠিক তখনই ঘটলো যখন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ইরানের রাজধানী তেহরানে সুপ্রিম লিডার আয়াতুল্লাহ খামেনির সঙ্গে বৈঠক করছেন।
হামলার শিকার একটি জাহাজ সৌদি আরব থেকে সিঙ্গাপুর যাচ্ছিল। অপর আরেকটি জাহাজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের জাহাজে টর্পেডো হামলা হয়েছে। এই হামলার পরপরই বিশ্বজুড়ে তেলের দাম বেড়ে গেছে। এখন পর্যন্ত বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়েছে শতকরা ৪ শতাংশ। এখন ব্যারেল প্রতি তেল ৬২ ডলারে বিক্রি হচ্ছে। এটি আরো বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মার্কিন নৌবাহিনী জানিয়েছে, হামলার সঙ্গে সঙ্গেই তারা ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজগুলোতে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে অবস্থানরত সবাইকে উদ্ধার করেছে। জাহাজ কোমপানি জানিয়েছে, তাদের সকল ক্রু নিরাপদ রয়েছেন। তবে ইরান জানিয়েছে, তাদের উদ্ধারকারী জাহাজ গিয়েই ক্রুদের উদ্ধার করেছে। মার্কিন নৌবাহিনী শুধু তাদেরকে পানি থেকে উদ্ধার করেছে।
বৃহসপতিবারের টর্পেডো হামলাটি হয়েছে বহুল আলোচিত হরমুজ প্রণালীতে। দীর্ঘ সময় ধরেই ইরান হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়ে আসছে। এ অঞ্চল দিয়েই পৃথিবীর ২০ শতাংশ তেল পরিবহন করা হয়ে থাকে। ইরান এ হামলাকে ষড়যন্ত্রমূলক হামলা হিসেবে অভিহিত করেছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভাদ জারিফ ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, কোনো একটি দেশ এ হামলা চালিয়ে ইরানের ওপর দায় চাপাতে চাচ্ছে যাতে করে জাপানি প্রধানমন্ত্রীর সফর ভণ্ডুল হয়ে যায়।
এদিকে, হামলার দিন সকালেই ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির সঙ্গে বৈঠক করেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। এ সময় জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বলেন, আমি আপনার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ থেকে বার্তা নিয়ে এসেছি। জবাবে খামেনি বলেন, আপনার সদিচ্ছা ও আন্তরিকতার বিষয়ে আমাদের কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু আপনি মার্কিন প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে যা তুলে ধরেছেন সে বিষয়ে বলবো আমি ব্যক্তি ট্রাম্পকে বার্তা বিনিময়ের যোগ্য বলে মনে করি না। তার জন্য আমার পক্ষ থেকে কোনো জবাব নেই। আমি তাকে কোনো উত্তর দেবো না।
এর আগে উপসাগরীয় অঞ্চলের ঠিক এই স্থানেই ইরানের বিরুদ্ধে মাইন ব্যবহারের অভিযোগ এনেছিল যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির দাবি ইরান আরো ৪টি তেলবাহী জাহাজে হামলা চালিয়েছে গত মাসে। তবে এবারের হামলা চালানো জাহাজ দুটোতে জাপানি কার্গো পরিবহন করা হচ্ছিল। এ হামলা ঠিক তখনই ঘটলো যখন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ইরানের রাজধানী তেহরানে সুপ্রিম লিডার আয়াতুল্লাহ খামেনির সঙ্গে বৈঠক করছেন।
হামলার শিকার একটি জাহাজ সৌদি আরব থেকে সিঙ্গাপুর যাচ্ছিল। অপর আরেকটি জাহাজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের জাহাজে টর্পেডো হামলা হয়েছে। এই হামলার পরপরই বিশ্বজুড়ে তেলের দাম বেড়ে গেছে। এখন পর্যন্ত বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়েছে শতকরা ৪ শতাংশ। এখন ব্যারেল প্রতি তেল ৬২ ডলারে বিক্রি হচ্ছে। এটি আরো বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মার্কিন নৌবাহিনী জানিয়েছে, হামলার সঙ্গে সঙ্গেই তারা ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজগুলোতে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে অবস্থানরত সবাইকে উদ্ধার করেছে। জাহাজ কোমপানি জানিয়েছে, তাদের সকল ক্রু নিরাপদ রয়েছেন। তবে ইরান জানিয়েছে, তাদের উদ্ধারকারী জাহাজ গিয়েই ক্রুদের উদ্ধার করেছে। মার্কিন নৌবাহিনী শুধু তাদেরকে পানি থেকে উদ্ধার করেছে।
বৃহসপতিবারের টর্পেডো হামলাটি হয়েছে বহুল আলোচিত হরমুজ প্রণালীতে। দীর্ঘ সময় ধরেই ইরান হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়ে আসছে। এ অঞ্চল দিয়েই পৃথিবীর ২০ শতাংশ তেল পরিবহন করা হয়ে থাকে। ইরান এ হামলাকে ষড়যন্ত্রমূলক হামলা হিসেবে অভিহিত করেছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভাদ জারিফ ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, কোনো একটি দেশ এ হামলা চালিয়ে ইরানের ওপর দায় চাপাতে চাচ্ছে যাতে করে জাপানি প্রধানমন্ত্রীর সফর ভণ্ডুল হয়ে যায়।
এদিকে, হামলার দিন সকালেই ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির সঙ্গে বৈঠক করেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। এ সময় জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বলেন, আমি আপনার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ থেকে বার্তা নিয়ে এসেছি। জবাবে খামেনি বলেন, আপনার সদিচ্ছা ও আন্তরিকতার বিষয়ে আমাদের কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু আপনি মার্কিন প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে যা তুলে ধরেছেন সে বিষয়ে বলবো আমি ব্যক্তি ট্রাম্পকে বার্তা বিনিময়ের যোগ্য বলে মনে করি না। তার জন্য আমার পক্ষ থেকে কোনো জবাব নেই। আমি তাকে কোনো উত্তর দেবো না।
No comments