ভারতে লিচু খাওয়ার পর ৫৩ শিশুর মৃত্যু
লিচুতে
বিষাক্ত পদার্থের উপস্থিতি পাওয়ার পর ভারতের স্বাস্থ্য বিভাগের
কর্মকর্তারা বলেছেন, এ ধরনের লিচু খাওয়ার পর প্রাণঘাতী মস্তিষ্কের রোগে
আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে অন্তত ৫৩ শিশু নিহত হয়েছে। গত দশ দিনে ভারতের
উত্তরাঞ্চলে এ ঘটনা ঘটে।
দেশটির বিহার প্রদেশের মুজাফফরপুর জেলার দুটি হাসপাতালে ওই ৫৩ শিশুর প্রাণহানি ঘটে। রাজ্যের কর্মকর্তারা বলেছেন, লিচু উৎপাদনের জন্য দেশটির এ রাজ্য বিখ্যাত।
বিহারের জ্যেষ্ঠ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অশোক কুমার সিং বলেন, নিহত প্রত্যেক শিশুর মস্তিষ্কে অ্যাকিউট এনসেফালিটিস সিনড্রোমের (এইএস) উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তবে নিহত শিশুদের অধিকাংশের রক্তে হঠাৎ করেই গ্লুকোজের পরিমাণ কমে যায়।
তিনি বলেন, দিনের মধ্যে তাপমাত্রা অধিকাংশ সময় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর থাকায় শিশুদের বাড়তি যত্ন নেয়ার জন্য জনগণকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। একই ধরনের অসুস্থতা নিয়ে আরো ৪০ শিশুকে হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে।
বিহারের শ্রীকৃষ্ণ মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের প্রধান মেডিকেল কর্মকর্তা এস পি সিং বলেন, আমরা এই শিশুদের বাঁচাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।
১৯৯৫ সালের পর থেকেই বিহার মুজাফফরপুর এবং পার্শ্ববর্তী কিছু জেলায় লিচু মৌসুমের সময় এ ধরনের প্রাণঘাতী রোগের বিস্তার ঘটে। স্থানীয়রা এই রোগকে 'চামকি বুখার' বলে দাবি করেন। ২০১৪ সালে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে বিহারে অন্তত ১৫০ জনের প্রাণহানি ঘটে।
২০১৫ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একদল গবেষক বলে, লিচুতে বিষাক্ত একটি পদার্থের সঙ্গে মস্তিষ্কের রোগের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে। গত বছর লিচু খাওয়ার পর ভারতে কমপক্ষে ৪০ জন নিহত হয়। বাংলাদেশ এবং ভিয়েতনামের লিচু উৎপাদনশীল কিছু অঞ্চলেও একই ধরনের প্রাণহানির খবর অতীতে পাওয়া গেছে।
দেশটির বিহার প্রদেশের মুজাফফরপুর জেলার দুটি হাসপাতালে ওই ৫৩ শিশুর প্রাণহানি ঘটে। রাজ্যের কর্মকর্তারা বলেছেন, লিচু উৎপাদনের জন্য দেশটির এ রাজ্য বিখ্যাত।
বিহারের জ্যেষ্ঠ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অশোক কুমার সিং বলেন, নিহত প্রত্যেক শিশুর মস্তিষ্কে অ্যাকিউট এনসেফালিটিস সিনড্রোমের (এইএস) উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তবে নিহত শিশুদের অধিকাংশের রক্তে হঠাৎ করেই গ্লুকোজের পরিমাণ কমে যায়।
তিনি বলেন, দিনের মধ্যে তাপমাত্রা অধিকাংশ সময় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর থাকায় শিশুদের বাড়তি যত্ন নেয়ার জন্য জনগণকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। একই ধরনের অসুস্থতা নিয়ে আরো ৪০ শিশুকে হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে।
বিহারের শ্রীকৃষ্ণ মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের প্রধান মেডিকেল কর্মকর্তা এস পি সিং বলেন, আমরা এই শিশুদের বাঁচাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।
১৯৯৫ সালের পর থেকেই বিহার মুজাফফরপুর এবং পার্শ্ববর্তী কিছু জেলায় লিচু মৌসুমের সময় এ ধরনের প্রাণঘাতী রোগের বিস্তার ঘটে। স্থানীয়রা এই রোগকে 'চামকি বুখার' বলে দাবি করেন। ২০১৪ সালে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে বিহারে অন্তত ১৫০ জনের প্রাণহানি ঘটে।
২০১৫ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একদল গবেষক বলে, লিচুতে বিষাক্ত একটি পদার্থের সঙ্গে মস্তিষ্কের রোগের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে। গত বছর লিচু খাওয়ার পর ভারতে কমপক্ষে ৪০ জন নিহত হয়। বাংলাদেশ এবং ভিয়েতনামের লিচু উৎপাদনশীল কিছু অঞ্চলেও একই ধরনের প্রাণহানির খবর অতীতে পাওয়া গেছে।
No comments