অসুস্থ অর্থমন্ত্রী: অসমাপ্ত বাজেট উপস্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী
দেশের
সংসদীয় ইতিহাসে এক অনন্য নজির সৃষ্টি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বরাবরের মতো অর্থমন্ত্রী প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতা সংসদে উপস্থাপন শুরু
করেন। কিন্তু অসুস্থতার কারণে তিনি বক্তৃতা চালিয়ে যেতে পারছিলেন না । এক
পর্যায়ে স্পিকর ড. শিরিন শারমীন চৌধুরীর কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে বসে বসেই
কিছু সময় বাজেট বক্তৃতা চালিয়ে যান। এ পর্যায়ে বক্তৃতা চালিয়ে যেতে না
পারায় নজিরবিহীনভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই নিজে বাজেট বক্তৃতা পড়া
শুরু করেন। সংসদ নেতা পরে পুরো বাজেট বক্তৃতাই পড়ে শোনান। সংসদীয় ইতিহাসে
প্রধানমন্ত্রীর বাজেট উপস্থাপনায় অংশ গ্রহণের ঘটনা এই প্রথম। বিকাল ৪ টা ১০
থেকে ৪টা ৪০ পর্যন্ত ৩০ মিনিটব্যাপী অবশিষ্ট বাজেট বক্তব্য শেষ করলে সরকার
ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা দীর্ঘক্ষণ টেবিল চাপড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীকে
অভিনন্দন জানান।
তবে হাসপাতাল থেকে সরাসরি সংসদে এসে প্রচন্ড অসুস্থ অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রথম কিছু সময় নিজেই বাজেট উপস্থাপন করেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কালো সুটকেস হাতে বেলা পৌনে ৩টায় বাজেট অধিবেশনে প্রবেশ করেন অর্থমন্ত্রী। প্রচণ্ড অসুস্থতার মধ্যেও অর্থমন্ত্রী হাসপাতাল থেকে সরাসরি সংসদ ভবনে আসেন। তারপরও তার মুখে ছিল উচ্ছ্বাস। কিন্তু শারিরীক অসুস্থতার কারণে দলের সিনিয়র মন্ত্রী ও নেতারা তাকে সহযোগিতা করতে দেখা যায়।
বাজেট পেশ উপলক্ষে অধিবেশন কক্ষ ছিলো কানায় কানায় পূর্ণ। সংসদ গ্যালারি থেকে ভিআইপি লাউঞ্জ সর্বত্রই ছিল উপচে পড়া ভীড়। বেলা ৩ টা ২৫ মিনিটে সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিজের জীবনের প্রথম বাজেট প্রস্তাবনা পড়া শুরু করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এসময় বিরোধী দল বিএনপির সংসদ সদস্যরাও অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন।
বাজেট উপস্থাপনের জন্য ফ্লোর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের অর্থমন্ত্রী খুবই অসুস্থ। তার চোখে অপারেশন হয়েছে, ১৫ মিনিট পর পর তার চোখে ড্রপ দিতে হয়। আমারও চোখে অপারেশন হয়েছে, ঠান্ডা লেগে কথা বলতে গেলে কাশি আসে। এটাই হচ্ছে আমাদের দুর্ভাগ্য। তারপরও আপনি (স্পীকার) অনুমতি দিলে বাজেটের বাকিটা আমি উপস্থাপন করবো। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বাজেট উপস্থাপন শুরু করলে টেবিল চাপড়িয়ে তাকে অভিনন্দন জানান এমপিরা। তবে বাজেট বক্তৃতার বইয়ের অনেকাংশেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে কিছু বক্তব্যে ছিল। সেটি পাঠ করার সময় প্রধানমন্ত্রী হেসে স্পিকারকে উদ্দেশ্যে করে বলেন,’মাননীয় স্পিকার, এটি আমার বক্তব্যে নয়, এটি হচ্ছে অর্থমন্ত্রীর। বাজেট বক্তৃতায় যেখানে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে সেটি আমি পড়বো কি না? জবাবে স্পিকার বাজেট বক্তৃতায় যেভাবে রয়েছে সেভাবেই উপস্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান। প্রধানমন্ত্রী বাজেট উপস্থাপন শেষ করলে স্পিকার বলেন, বাজেটের অপঠিত অংশগুলো পঠিত বলে গণ্য করা হলো। বাজেট বক্তব্যে শেষে প্রধানমন্ত্রী ব্যাগ থেকে ওষুধ বের করে নিজের চোখে নিজেই ড্রপ দেন।
অর্থ বিল উত্থাপন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাজেট বক্তৃতা শেষ হলে অর্থ মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল নিজেই দাঁড়িয়ে অর্থ বিল- ২০১৯ সংসদে উত্থাপন করেন। সরকারের আর্থিক প্রস্তাবাবলী কার্যকরণ এবং কতিপয় আইন সংশোধনের লক্ষ্যে বিলটি উত্থাপন করা হয়। সংসদের কার্যউপদেষ্টা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিলটি আগামী ৩০ জুন পাস হবে। এর আগে প্রস্তাবিত বাজেটের উপর সরকার ও বিরোধী দলীয় সদস্য ৪৫ ঘণ্টা আলোচনা করবেন।
উৎসবমুখর পরিবেশ: উৎসবমুখর পরিবেশ। অতীতের মতো কোন রাজনৈতিক দলের বর্জন নয়, বরং নিকট ইতিহাসে সরকার ও বিরোধী দলের সবচেয়ে বেশী জনপ্রতিনিধির উপস্থিতিতে বর্তমান আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রথম ও দেশের ৪৮তম বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। শুধু অধিবেশনই নয়, দেশের ইতিহাসে বৃহত্তম এই বাজেট উপস্থাপন প্রত্যক্ষ করতে ভিভিআইপি, ভিআইপি, দর্শক গ্যালারী সবকিছু ছিল কানায় কানায় পরিপূর্ণ। দেশের ৪৮তম বাজেট পেশ উপলক্ষে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যদের সরব উপস্থিতি ছিলো সংসদ অধিবেশনে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সংসদ ভবনের ক্যাবিনেট কক্ষে অনুষ্ঠিত মন্ত্রীসভার বৈঠকে প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন দেয়া হয়। বাজেট উপস্থাপনের আগে অর্থমন্ত্রী তার হঠাৎ শারিরীক অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে কখনো নিজ আসনে বসে এবং দাঁড়িয়ে বাজেট উপস্থাপনের জন্য স্পিকারের অনুমতি চান। স্পিকার তাকে অনুমতি দিলে শুরুতেই অর্থমন্ত্রীর অনুরোধে বাংলাদেশ শীর্ষক একটি দীর্ঘ প্রমাণ্যচিত্র তুলে ধরা হয়। প্রামাণ্যচিত্রে পাকিস্তান আমলে বাঙালী জাতির ওপর বৈষম্য, শোষণ-বঞ্চণা, এর বিরদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম, দীর্ঘ ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা অর্জন, পরবর্তী স্বৈরশাসকদের দুঃশাসন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা তিন মেয়াদে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির সোপানে অগ্রযাত্রার চিত্র তুলে ধরা হয়। এদিকে বাজেট বক্তৃতার আগেই সংসদ ভবনের কেবিনেট কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রীসভার বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন দেয়া হয়। প্রতি বছর বাজেট উত্থাপনের আগে রেওয়াজ অনুযায়ি এই বৈঠকটি সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়।
মন্ত্রীপরিষদে অনুমোদন পাওয়ার পর বাজেট বিলে স্বাক্ষর করেন প্রেসিডেন্ট মো. আব্দুল হামিদ। উৎসবমুখর সংসদে বাজেট বক্তৃতা শুনতে আসেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ। সংসদে নিজ কক্ষে বসে বাজেট উপস্থাপন প্রত্যক্ষ করেন তিনি। এর আগে প্রেসিডেন্টকে সংসদ ভবনে স্বাগত জানান সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ছাড়াও প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, বিদ্যুত জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই ইলাহী, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম, প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব নজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল, কূটনীতিক, সামরিক ও বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বাজেট বক্তৃতা প্রত্যক্ষ করেন।
কঠোর নিরাপত্তা: বাজেট পেশ উপলক্ষে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় নেয়া হয়েছিল বাড়তি নিরাপত্তা। বৈধ পাশ ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি সংসদ ভবন এলাকায়। এমনকি দর্শক গ্যালারীতে পাস ইস্যুতেও ছিল কড়াকড়ি। র্যাব-পুলিশসহ গোয়েন্দা সংস্থার বিপুল সংখ্যক সদস্য পুরো ভবনে নিরাপত্তা ঘেরাটোপ গড়ে তোলেন। বাজেট বক্তৃতার পরে আমন্ত্রিত অতিথিরা যাতে নির্বিঘ্নে বের হতে পারেন সেজন্য সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার পিজিয়ন হলের গেটটিও খোলা রাখা হয়েছিল। আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থাও করা হয়েছিল আলাদাভাবে।
তবে হাসপাতাল থেকে সরাসরি সংসদে এসে প্রচন্ড অসুস্থ অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রথম কিছু সময় নিজেই বাজেট উপস্থাপন করেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কালো সুটকেস হাতে বেলা পৌনে ৩টায় বাজেট অধিবেশনে প্রবেশ করেন অর্থমন্ত্রী। প্রচণ্ড অসুস্থতার মধ্যেও অর্থমন্ত্রী হাসপাতাল থেকে সরাসরি সংসদ ভবনে আসেন। তারপরও তার মুখে ছিল উচ্ছ্বাস। কিন্তু শারিরীক অসুস্থতার কারণে দলের সিনিয়র মন্ত্রী ও নেতারা তাকে সহযোগিতা করতে দেখা যায়।
বাজেট পেশ উপলক্ষে অধিবেশন কক্ষ ছিলো কানায় কানায় পূর্ণ। সংসদ গ্যালারি থেকে ভিআইপি লাউঞ্জ সর্বত্রই ছিল উপচে পড়া ভীড়। বেলা ৩ টা ২৫ মিনিটে সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিজের জীবনের প্রথম বাজেট প্রস্তাবনা পড়া শুরু করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এসময় বিরোধী দল বিএনপির সংসদ সদস্যরাও অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন।
বাজেট উপস্থাপনের জন্য ফ্লোর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের অর্থমন্ত্রী খুবই অসুস্থ। তার চোখে অপারেশন হয়েছে, ১৫ মিনিট পর পর তার চোখে ড্রপ দিতে হয়। আমারও চোখে অপারেশন হয়েছে, ঠান্ডা লেগে কথা বলতে গেলে কাশি আসে। এটাই হচ্ছে আমাদের দুর্ভাগ্য। তারপরও আপনি (স্পীকার) অনুমতি দিলে বাজেটের বাকিটা আমি উপস্থাপন করবো। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বাজেট উপস্থাপন শুরু করলে টেবিল চাপড়িয়ে তাকে অভিনন্দন জানান এমপিরা। তবে বাজেট বক্তৃতার বইয়ের অনেকাংশেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে কিছু বক্তব্যে ছিল। সেটি পাঠ করার সময় প্রধানমন্ত্রী হেসে স্পিকারকে উদ্দেশ্যে করে বলেন,’মাননীয় স্পিকার, এটি আমার বক্তব্যে নয়, এটি হচ্ছে অর্থমন্ত্রীর। বাজেট বক্তৃতায় যেখানে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে সেটি আমি পড়বো কি না? জবাবে স্পিকার বাজেট বক্তৃতায় যেভাবে রয়েছে সেভাবেই উপস্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান। প্রধানমন্ত্রী বাজেট উপস্থাপন শেষ করলে স্পিকার বলেন, বাজেটের অপঠিত অংশগুলো পঠিত বলে গণ্য করা হলো। বাজেট বক্তব্যে শেষে প্রধানমন্ত্রী ব্যাগ থেকে ওষুধ বের করে নিজের চোখে নিজেই ড্রপ দেন।
অর্থ বিল উত্থাপন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাজেট বক্তৃতা শেষ হলে অর্থ মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল নিজেই দাঁড়িয়ে অর্থ বিল- ২০১৯ সংসদে উত্থাপন করেন। সরকারের আর্থিক প্রস্তাবাবলী কার্যকরণ এবং কতিপয় আইন সংশোধনের লক্ষ্যে বিলটি উত্থাপন করা হয়। সংসদের কার্যউপদেষ্টা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিলটি আগামী ৩০ জুন পাস হবে। এর আগে প্রস্তাবিত বাজেটের উপর সরকার ও বিরোধী দলীয় সদস্য ৪৫ ঘণ্টা আলোচনা করবেন।
উৎসবমুখর পরিবেশ: উৎসবমুখর পরিবেশ। অতীতের মতো কোন রাজনৈতিক দলের বর্জন নয়, বরং নিকট ইতিহাসে সরকার ও বিরোধী দলের সবচেয়ে বেশী জনপ্রতিনিধির উপস্থিতিতে বর্তমান আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রথম ও দেশের ৪৮তম বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। শুধু অধিবেশনই নয়, দেশের ইতিহাসে বৃহত্তম এই বাজেট উপস্থাপন প্রত্যক্ষ করতে ভিভিআইপি, ভিআইপি, দর্শক গ্যালারী সবকিছু ছিল কানায় কানায় পরিপূর্ণ। দেশের ৪৮তম বাজেট পেশ উপলক্ষে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যদের সরব উপস্থিতি ছিলো সংসদ অধিবেশনে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সংসদ ভবনের ক্যাবিনেট কক্ষে অনুষ্ঠিত মন্ত্রীসভার বৈঠকে প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন দেয়া হয়। বাজেট উপস্থাপনের আগে অর্থমন্ত্রী তার হঠাৎ শারিরীক অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে কখনো নিজ আসনে বসে এবং দাঁড়িয়ে বাজেট উপস্থাপনের জন্য স্পিকারের অনুমতি চান। স্পিকার তাকে অনুমতি দিলে শুরুতেই অর্থমন্ত্রীর অনুরোধে বাংলাদেশ শীর্ষক একটি দীর্ঘ প্রমাণ্যচিত্র তুলে ধরা হয়। প্রামাণ্যচিত্রে পাকিস্তান আমলে বাঙালী জাতির ওপর বৈষম্য, শোষণ-বঞ্চণা, এর বিরদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম, দীর্ঘ ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা অর্জন, পরবর্তী স্বৈরশাসকদের দুঃশাসন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা তিন মেয়াদে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির সোপানে অগ্রযাত্রার চিত্র তুলে ধরা হয়। এদিকে বাজেট বক্তৃতার আগেই সংসদ ভবনের কেবিনেট কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রীসভার বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন দেয়া হয়। প্রতি বছর বাজেট উত্থাপনের আগে রেওয়াজ অনুযায়ি এই বৈঠকটি সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়।
মন্ত্রীপরিষদে অনুমোদন পাওয়ার পর বাজেট বিলে স্বাক্ষর করেন প্রেসিডেন্ট মো. আব্দুল হামিদ। উৎসবমুখর সংসদে বাজেট বক্তৃতা শুনতে আসেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ। সংসদে নিজ কক্ষে বসে বাজেট উপস্থাপন প্রত্যক্ষ করেন তিনি। এর আগে প্রেসিডেন্টকে সংসদ ভবনে স্বাগত জানান সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ছাড়াও প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, বিদ্যুত জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই ইলাহী, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম, প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব নজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল, কূটনীতিক, সামরিক ও বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বাজেট বক্তৃতা প্রত্যক্ষ করেন।
কঠোর নিরাপত্তা: বাজেট পেশ উপলক্ষে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় নেয়া হয়েছিল বাড়তি নিরাপত্তা। বৈধ পাশ ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি সংসদ ভবন এলাকায়। এমনকি দর্শক গ্যালারীতে পাস ইস্যুতেও ছিল কড়াকড়ি। র্যাব-পুলিশসহ গোয়েন্দা সংস্থার বিপুল সংখ্যক সদস্য পুরো ভবনে নিরাপত্তা ঘেরাটোপ গড়ে তোলেন। বাজেট বক্তৃতার পরে আমন্ত্রিত অতিথিরা যাতে নির্বিঘ্নে বের হতে পারেন সেজন্য সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার পিজিয়ন হলের গেটটিও খোলা রাখা হয়েছিল। আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থাও করা হয়েছিল আলাদাভাবে।
No comments