এ যেন আয়নাবাজি
কুড়িগ্রামে
মাত্র দুই’শ টাকার জন্য আদালতে আরেকজনের হয়ে হাজিরা দিতে গিয়ে ধরা পড়েছেন
এক নারী। এ যেন আরেক আয়নাবাজি। একটি মামলায় আরেক নারী আসামির হয়ে হাজিরা
দিতে যান ওই নারী। আদালতের কাঠগড়ায় ছিলেন ঠিকঠাকভাবেই। কিন্তু দুই পক্ষের
শুনানি শেষে বিচারক আসামির জামিন নামঞ্জুর করলে দেখা দেয় বিপত্তি। কাঠগড়াতে
হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করেন তিনি। কুড়িগ্রাম সদর আমলীয় আদালতের সিনিয়র
জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পবন চন্দ্র বর্মণ ওই নারীর কাছে কান্নার কারণ
জানতে চান।
তখন নিজ মুখেই প্রক্সি হাজিরা দিতে আসার কথা স্বীকার করেন ফেলানী বেগম নামে ওই নারী।
জানান, ২০০ টাকার জন্য হাজিরা দিতে এসেছিলেন। তাকে বলা হয়েছিল, জামিন পেয়ে যাবেন। শুধু কাঠগড়ায় দিয়ে হাজিরা দিতে হবে। তবে, বিচারক আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন ফেলানী বেগম। বিচারক পবন চন্দ্র বর্মণ পরে পেনাল কোডের ৪১৭ ধারায় ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগে প্রক্সি হাজিরা দিতে আসা নারীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। কুড়িগ্রাম জেলা ও দায়রা আদালত সূত্রে জানা গেছে এমন চাঞ্চল্যকর খবর। সূত্র জানায়, নুরজাহান বেগম নামে এক নারী গত ৯ জুন কুড়িগ্রামের রৌমারী থানায় একটি চুরির মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ৮।
ওই মামলায় মোট ছয়জনকে আসামি করা হয়। আসামিরা হলেন- আবু সাইদ, মুরাদ হোসেন, মামুন, মনির, মুন্না ও নুরিনা বেগম। আসামিরা বৃহস্পতিবার কুড়িগ্রাম সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে আত্মসমপর্ণ করে জামিন আবেদন করেন। তবে ছয় নম্বর আসামি নুরিনা বেগমের বদলে আদালতে হাজির হন ফেলানী বেগম। আদালত আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি শেষে চারজনের জামিন মঞ্জুর করলেও ৫ এবং ৬ নম্বর আসামি মুন্না ও নুরিনা বেগমের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। জামিন নামঞ্জুরের বিষয়টি টের পেয়েই আাদালতের কাঠগড়ায় হাউমাউ করে কাঁদতে থাকেন নুরানী বেগমের হয়ে প্রক্সি দিতে আসা ফেলানী বেগম। পরে বিচারক তার কাছে কান্নার কারণ জানতে চান। এ সময় ফেলানী বেগম জানান, তিনি আসলে নুরানী বেগম নন, তার হয়ে হাজিরা দিতে এসেছেন। আসল নাম ফেলানী বেগম। তিনি বজলুর রহমান নামে একজন আইনজীবির সহকারীর পরামর্শে দুই শ’ টাকার জন্য প্রক্সি হাজিরা দিতে এসেছিলেন।
আদালত সূত্র আরো জানায়, প্রক্সির বিষয়টি ফৌজদারী অপরাধ হিসেবে আমলে নিয়ে বিচারক ফেলানী বেগমের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। ফেলানী বেগম জানান, তার স্বামীর নাম মৃত মালেক। তার বাড়ি সদর থানাধীন ভোগডাঙ্গা মাদুপাড়ায়। ফেলানী বেগমকে দুই শ’ টাকার বিনিময়ে প্রক্সি দিতে নিয়ে আসা আইনজীবির সহকারী বজলুর রহমানের পিতার নাম আবু জাফর আলী ও মায়ের নাম জহুরা বেগম। কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী থানার জিগ্নিকান্দিতে তার গ্রামের বাড়ি। আদালত দুজনের বিরুদ্ধে একটি মিসকেস দায়ের করার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি ফেলানী বেগমকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন। এছাড়া আইনজীবির সহকারী বজলুরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
আদালত ও আইনজীবি সূত্র জানায়, শুধু কুড়িগ্রাম নয়, রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশেই মাঝে মধ্যেই অথের বিনিময়ে একজনের হয়ে অন্য জন আদালতে হাজিরা দেয়ার ঘটনা ঘটছে। হাজিরা দিতে এসে ধরাও পড়ছেন অনেকে। এক শ্রেণির অসাধু আইনজীবিরাও এমন জালিয়াতির ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলেও আদালত সূত্রে জানা গেছে। চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার একটি আদালতে এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার বদলে প্রক্সি দিতে আদালতে গিয়ে ধরা পড়েন রিফাত শেখ নামে এক যুবক। পরে আদালত মূল আসামি মশিউর রহমানসহ দু’জনকেই কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
তখন নিজ মুখেই প্রক্সি হাজিরা দিতে আসার কথা স্বীকার করেন ফেলানী বেগম নামে ওই নারী।
জানান, ২০০ টাকার জন্য হাজিরা দিতে এসেছিলেন। তাকে বলা হয়েছিল, জামিন পেয়ে যাবেন। শুধু কাঠগড়ায় দিয়ে হাজিরা দিতে হবে। তবে, বিচারক আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন ফেলানী বেগম। বিচারক পবন চন্দ্র বর্মণ পরে পেনাল কোডের ৪১৭ ধারায় ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগে প্রক্সি হাজিরা দিতে আসা নারীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। কুড়িগ্রাম জেলা ও দায়রা আদালত সূত্রে জানা গেছে এমন চাঞ্চল্যকর খবর। সূত্র জানায়, নুরজাহান বেগম নামে এক নারী গত ৯ জুন কুড়িগ্রামের রৌমারী থানায় একটি চুরির মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ৮।
ওই মামলায় মোট ছয়জনকে আসামি করা হয়। আসামিরা হলেন- আবু সাইদ, মুরাদ হোসেন, মামুন, মনির, মুন্না ও নুরিনা বেগম। আসামিরা বৃহস্পতিবার কুড়িগ্রাম সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে আত্মসমপর্ণ করে জামিন আবেদন করেন। তবে ছয় নম্বর আসামি নুরিনা বেগমের বদলে আদালতে হাজির হন ফেলানী বেগম। আদালত আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি শেষে চারজনের জামিন মঞ্জুর করলেও ৫ এবং ৬ নম্বর আসামি মুন্না ও নুরিনা বেগমের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। জামিন নামঞ্জুরের বিষয়টি টের পেয়েই আাদালতের কাঠগড়ায় হাউমাউ করে কাঁদতে থাকেন নুরানী বেগমের হয়ে প্রক্সি দিতে আসা ফেলানী বেগম। পরে বিচারক তার কাছে কান্নার কারণ জানতে চান। এ সময় ফেলানী বেগম জানান, তিনি আসলে নুরানী বেগম নন, তার হয়ে হাজিরা দিতে এসেছেন। আসল নাম ফেলানী বেগম। তিনি বজলুর রহমান নামে একজন আইনজীবির সহকারীর পরামর্শে দুই শ’ টাকার জন্য প্রক্সি হাজিরা দিতে এসেছিলেন।
আদালত সূত্র আরো জানায়, প্রক্সির বিষয়টি ফৌজদারী অপরাধ হিসেবে আমলে নিয়ে বিচারক ফেলানী বেগমের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। ফেলানী বেগম জানান, তার স্বামীর নাম মৃত মালেক। তার বাড়ি সদর থানাধীন ভোগডাঙ্গা মাদুপাড়ায়। ফেলানী বেগমকে দুই শ’ টাকার বিনিময়ে প্রক্সি দিতে নিয়ে আসা আইনজীবির সহকারী বজলুর রহমানের পিতার নাম আবু জাফর আলী ও মায়ের নাম জহুরা বেগম। কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী থানার জিগ্নিকান্দিতে তার গ্রামের বাড়ি। আদালত দুজনের বিরুদ্ধে একটি মিসকেস দায়ের করার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি ফেলানী বেগমকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন। এছাড়া আইনজীবির সহকারী বজলুরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
আদালত ও আইনজীবি সূত্র জানায়, শুধু কুড়িগ্রাম নয়, রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশেই মাঝে মধ্যেই অথের বিনিময়ে একজনের হয়ে অন্য জন আদালতে হাজিরা দেয়ার ঘটনা ঘটছে। হাজিরা দিতে এসে ধরাও পড়ছেন অনেকে। এক শ্রেণির অসাধু আইনজীবিরাও এমন জালিয়াতির ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলেও আদালত সূত্রে জানা গেছে। চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার একটি আদালতে এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার বদলে প্রক্সি দিতে আদালতে গিয়ে ধরা পড়েন রিফাত শেখ নামে এক যুবক। পরে আদালত মূল আসামি মশিউর রহমানসহ দু’জনকেই কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
No comments