জামায়াত তো এখন পার্টি হিসেবেই নেই
অবাধ,
সুষ্ঠু নির্বাচন ও নির্বাচনী আইন মেনে চলার লক্ষ্যে যুক্তফ্রন্টসহ কয়েকটি
রাজনৈতিক দলের গঠিত ‘জাতীয় ঐক্যে’ জাতীয় পার্টির হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ আসতে
চাইলে তাতে আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন।
তবে আপত্তি রয়েছে জামায়াতে ইসলামীর ব্যাপারে। তিনি বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী
তো এখন পার্টি হিসেবেই নেই। গত ২রা সেপ্টেম্বর বেসরকারি টিভি চ্যানেল
যমুনা টিভির এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে এ কথা বলেন ড. কামাল।
তিনি বলেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ যদি কমিটমেন্ট করেন তো আসবেন। যারাই ইলেকশন করছেন তারা আমাদের সঙ্গে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে অবদান রাখবেন।
অনুষ্ঠানে জাতীয় ঐক্য গঠন প্রসঙ্গে সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ড. কামাল বলেন, ওদের (যুক্তফ্রন্ট) সঙ্গে যে চুক্তি করেছি সেটা হলো অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন করার লক্ষ্যে একবাক্যে কথাগুলো বলবো যেন এখানে আইন মেনে চলা হোক, নিরপেক্ষতা রক্ষা করা হোক। এ ঐকমত্য গঠন করার ক্ষেত্রে তারাও তাদের অবদান রাখবে। এটা একেবারে নির্বাচনকেন্দ্রিক ঐক্য কিনা জানতে চাইলে ড. কামাল বলেন, আমি তো বলবো সেটাই।
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন ও রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তনের যে চেষ্টা সেটা কি নির্বাচনের বছর বলেই কিনা জানতে চাইলে ড. কামাল হোসেন বলেন, আমাদের জন্ম থেকেই আমরা এ প্রচেষ্টার মধ্যে আছি। সুষ্ঠু নির্বাচন, রুগ্ণ রাজনীতি থেকে সুস্থ রাজনীতি- এটা তো দল করার কারণ হিসেবে দিয়েছি। কেননা, সুস্থ রাজনীতির কোনো বিকল্প নেই। আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছি- রাজনীতিতে কিছু রোগ ঢুকে গেছে। কালো টাকার প্রভাব, সাম্প্রদায়িকতার প্রভাব, পেশিশক্তির প্রভাব। এগুলো থেকে মুক্ত করে সুস্থ রাজনীতিকে আমরা লালন করার জন্য নেমেছি।
আওয়ামী লীগ এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবশেষ সংবাদ সম্মেলনে ড. কামাল গণতন্ত্র চান না বা নির্বাচন ছাড়া অন্য উপায়ে ক্ষমতায় যেতে চান বলে অভিযোগ করেছেন। এ প্রসঙ্গে ড. কামাল বলেন, এটা উনাদের জিজ্ঞাসা করুন। আমি তো গত পঞ্চাশ বছর রাজনীতিতে আছি। আমার মূল সম্পর্ক হলো বঙ্গবন্ধুর খুব কাছের একজন কর্মী হিসেবে। প্রথম নির্বাচনে (১৯৭০-এর নির্বাচন) আমি প্রতিনিধি হিসেবে ছিলাম। ওনার তো কাছের মানুষ ছিলাম। ওনার তো একটা মূল্যায়ন আছেই। এ মূল্যায়নের পর এসব হালকা মূল্যায়ন দেখে হাসি পায়।
অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে সংলাপ না করেও আলোচনা করা যায়। টেলিফোন করেও বলা যায়- এ ব্যাপারে এসে আমরা কথা বলবো। ঘন ঘন কথা বলা দরকার। কোনো রকমের প্রশ্ন থাকলে ওপেনলি বলা, মানুষের সামনে বলা। এসব নিয়ে কেন এত সংশয়?
দলগুলো কোনোভাবেই আলোচনায় আসছে না। এমন পরিস্থিতিতে উত্তরণের ক্ষেত্রে কি করণীয় জানতে চাইলে ড. কামাল বলেন, গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে লালন করা। এই যে আপনারা (টিভি চ্যানেল) আলোচনা করছেন এটাও তো গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে লালন করার একটা অংশ। আনুষ্ঠানিক কথাবার্তা বলাতে তো কোনো বাধা নেই।
তিনি বলেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ যদি কমিটমেন্ট করেন তো আসবেন। যারাই ইলেকশন করছেন তারা আমাদের সঙ্গে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে অবদান রাখবেন।
অনুষ্ঠানে জাতীয় ঐক্য গঠন প্রসঙ্গে সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ড. কামাল বলেন, ওদের (যুক্তফ্রন্ট) সঙ্গে যে চুক্তি করেছি সেটা হলো অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন করার লক্ষ্যে একবাক্যে কথাগুলো বলবো যেন এখানে আইন মেনে চলা হোক, নিরপেক্ষতা রক্ষা করা হোক। এ ঐকমত্য গঠন করার ক্ষেত্রে তারাও তাদের অবদান রাখবে। এটা একেবারে নির্বাচনকেন্দ্রিক ঐক্য কিনা জানতে চাইলে ড. কামাল বলেন, আমি তো বলবো সেটাই।
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন ও রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তনের যে চেষ্টা সেটা কি নির্বাচনের বছর বলেই কিনা জানতে চাইলে ড. কামাল হোসেন বলেন, আমাদের জন্ম থেকেই আমরা এ প্রচেষ্টার মধ্যে আছি। সুষ্ঠু নির্বাচন, রুগ্ণ রাজনীতি থেকে সুস্থ রাজনীতি- এটা তো দল করার কারণ হিসেবে দিয়েছি। কেননা, সুস্থ রাজনীতির কোনো বিকল্প নেই। আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছি- রাজনীতিতে কিছু রোগ ঢুকে গেছে। কালো টাকার প্রভাব, সাম্প্রদায়িকতার প্রভাব, পেশিশক্তির প্রভাব। এগুলো থেকে মুক্ত করে সুস্থ রাজনীতিকে আমরা লালন করার জন্য নেমেছি।
আওয়ামী লীগ এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবশেষ সংবাদ সম্মেলনে ড. কামাল গণতন্ত্র চান না বা নির্বাচন ছাড়া অন্য উপায়ে ক্ষমতায় যেতে চান বলে অভিযোগ করেছেন। এ প্রসঙ্গে ড. কামাল বলেন, এটা উনাদের জিজ্ঞাসা করুন। আমি তো গত পঞ্চাশ বছর রাজনীতিতে আছি। আমার মূল সম্পর্ক হলো বঙ্গবন্ধুর খুব কাছের একজন কর্মী হিসেবে। প্রথম নির্বাচনে (১৯৭০-এর নির্বাচন) আমি প্রতিনিধি হিসেবে ছিলাম। ওনার তো কাছের মানুষ ছিলাম। ওনার তো একটা মূল্যায়ন আছেই। এ মূল্যায়নের পর এসব হালকা মূল্যায়ন দেখে হাসি পায়।
অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে সংলাপ না করেও আলোচনা করা যায়। টেলিফোন করেও বলা যায়- এ ব্যাপারে এসে আমরা কথা বলবো। ঘন ঘন কথা বলা দরকার। কোনো রকমের প্রশ্ন থাকলে ওপেনলি বলা, মানুষের সামনে বলা। এসব নিয়ে কেন এত সংশয়?
দলগুলো কোনোভাবেই আলোচনায় আসছে না। এমন পরিস্থিতিতে উত্তরণের ক্ষেত্রে কি করণীয় জানতে চাইলে ড. কামাল বলেন, গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে লালন করা। এই যে আপনারা (টিভি চ্যানেল) আলোচনা করছেন এটাও তো গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে লালন করার একটা অংশ। আনুষ্ঠানিক কথাবার্তা বলাতে তো কোনো বাধা নেই।
No comments