ফেঞ্চুগঞ্জে সুনাম হত্যা: সিসিটিভির ফুটেজে খুনি শনাক্ত by হাসান চৌধুরী
ফেঞ্চুগঞ্জে
চাঞ্চল্যকর সুনাম হত্যাকাণ্ডের ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও ঘাতকরা ধরা পড়েনি।
জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের নাকি প্রেমঘটিত বিষয়ে নির্মম এই খুন, কোনো
প্রশ্নেরই উত্তর মিলছে না খুনি গ্রেপ্তার না হওয়ায়। ঘটনাস্থলে বিদ্যমান
ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় খুনি শনাক্ত করা গেলেও ঘাতকরা রয়েছে ধরাছোঁয়ার
বাইরে। ঘোষণা দিয়ে নির্মম হত্যাকাণ্ড ফেঞ্চুগঞ্জে এই প্রথম। তাই ক্ষোভে
ফুঁসছে এলাকাবাসী। ২৪শে আগস্ট রাতের এই ঘটনায় ফেঞ্চুগঞ্জ থানায় ৫ জনকে
আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন নিহতের বাবা আব্দুল আহাদ লেচু মিয়া।
গত রোববার সরজমিন উপজেলার পিঠাইটিকর গ্রামে গিয়ে জানা যায়, আব্দুল আহাদ লেচু মিয়ার একই গোষ্ঠী ও পাশাপাশি বাড়ির মৃত আব্দুর রউফের ছেলে শিব্বির আহমদ ওরফে শিব্বির মেম্বার গংদের সঙ্গে জায়গা জমির বিরোধ চলছিল। কিছুদিন পূর্বে এ নিয়ে তাদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষও হয়। যা বর্তমানে আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে।
শিব্বির আহমদ ফেঞ্চুগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের প্রাক্তন মেম্বার। গত মার্চে অনুষ্ঠিত ফেঞ্চুগঞ্জে ইউপি নির্বাচনে সুনামের বড় ভাই আকসার মিয়া মেম্বার পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ফলে উভয়েই নির্বাচনে পরাজিত হন। ব্যাপারটি শিব্বির আহমদ মেনে নিতে পারেননি। নির্বাচনের পরদিনই শিব্বির আহমদ লেচু মিয়ার পরিবারের ২/১ জনকে হত্যা করবে বলে প্রকাশ্যে হুমকি প্রদান করে।
জায়গা জমি ও নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শিব্বির মেম্বার ক্ষুব্ধ ছিল লেচু মিয়া তার ভাই এবং বড় ছেলেদের ওপর। কিন্তু আব্দুল আহাদ লেচু মিয়ার কনিষ্ঠ পুত্র নম্্র-ভদ্র ২১ বছরের সুনামকে কেন খুন করা হলো। এর উত্তর খুঁজতে গিয়ে জানা যায়, নিহত সুনাম এবং শিব্বির মেম্বারের চাচাতো বোনের মধ্যকার গভীর প্রেমের সম্পর্কের কথা।
চির বৈরী প্রতিপক্ষের ছেলে সুনামের সাথে নিজেদের মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি শিব্বির মেম্বার ও তার নিকটজনেরা। সুনাম হত্যার পেছনে এই প্রেমের বিষয়টি জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। উপজেলার ফরিজা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া ‘ন’ অধ্যক্ষরের ওই মেয়েটির নিজ হাতের লেখা একটি চিরকুট পাওয়া গেছে নিহত সুনামের বিছানায় বালিশের নিচে। ওই চিরকুটের লেখায় সুনামের সঙ্গে মেয়েটির গভীর ভালবাসার কথাই জানান দেয়া হয়েছে।
পারিবারিক অপর একটি সূত্র জানায়, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই ফেঞ্চুগঞ্জ পূর্ব বাজারের ডাকবাংলো সংলগ্ন ভূমি অফিসের যে পরিত্যক্ত ঘরে সুনামকে হত্যা করে লাশ ফেলে রাখা হয় সেখানকার ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় ধারণকৃত ওই রাতের ফুটেজে ঘাতকদের একজনকে চেনা গেছে।
নিহত সুনামের মা কাজল বেগম জানান, আমার ছেলে সুনামকে শিব্বির মেম্বারসহ তার ভাই, ছেলেরা হত্যা করেছে। আমার ছেলের কোনো দুষমন ছিল না। এলাকার সবাই তাকে স্নেহ করতো। তিনি বলেন, অতীতে শিব্বির আমাদের বহুবার হত্যার হুমকি দিলেও ঘটনার সপ্তাহখানেক পূর্বে শিব্বির মেম্বার তাকে ডেকে নিয়ে বলেন, তোমার ছেলে সুনাম আমার আত্মসম্মানে আঘাতের চেষ্টা করছে। তাকে সামলে নিও, নইলে আমি তাকে ছাড়বো না। কাজল বেগম বলেন, ওই সময় আমি কিছু বুঝে উঠতে পারিনি। কিন্ত মেম্বার আমার বুকের ধনকে মেরেই ফেলল।
নিহত সুনামের বড় ভাই আকসার মিয়া এই ঘটনায় শিব্বির মেম্বার সরাসরি জড়িত রয়েছে বলে জানান। ঘাতকদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
ফেঞ্চুগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী বদরুদ্দোজা জানান, সুনাম ছেলেটি অত্যন্ত ভাল ছিল। সবাই তাকে আদর স্নেহ করতো। কিন্তু তাকে এভাবে মেরে ফেলা মোটেই মেনে নেয়া যায় না। খুনি যেই হোক গ্রেপ্তারের জোর দাবি জানাই। একই গ্রামের মাওলানা মিনহাজ উদ্দিন জানান, সুনামের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। খুনি যতই প্রভাবশালীই হোক আইনের আওতায় এনে তাদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে, যাতে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা আর কেউ না ঘটায়।
ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল হক জানান, ঘাতকদের ধরতে অভিযান চলছে। ইতিমধ্যে সোর্স লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই ঘাতকরা ধরা পড়বে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সিসি টিভির ফুটেজের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি তদন্তের স্বার্থে এ ব্যাপারে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
সুনাম হত্যা মামলার তদন্তকারী পুলিশ অফিসার এসআই নিযুশ কান্তি রায় জানান, মোবাইল কললিস্ট পরীক্ষার জন্য ইতিমধ্যে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। ২/১ জনকে ধরতে পারলেই হত্যার মোটিভ এবং বাকিদেরও ধরা যাবে।
সুনাম হত্যার পরদিন ফেঞ্চুগঞ্জ থানায় নিহতের বাবা ৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামিরা হলেন, পিঠাইটিকর গ্রামের মৃত আব্দুর রউফের পুত্র শিব্বির আহমদ (৫০) ও জুবায়ের আহমদ (৪৫)। শিব্বির আহমদের পুত্র টুনু মিয়া, নাসিম মিয়া (২২) তানিম মিয়া (১৮) এবং আব্দুশ শহীদ দুলু মিয়ার পুত্র রিমন মিয়া (২১)।
গত রোববার সরজমিন উপজেলার পিঠাইটিকর গ্রামে গিয়ে জানা যায়, আব্দুল আহাদ লেচু মিয়ার একই গোষ্ঠী ও পাশাপাশি বাড়ির মৃত আব্দুর রউফের ছেলে শিব্বির আহমদ ওরফে শিব্বির মেম্বার গংদের সঙ্গে জায়গা জমির বিরোধ চলছিল। কিছুদিন পূর্বে এ নিয়ে তাদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষও হয়। যা বর্তমানে আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে।
শিব্বির আহমদ ফেঞ্চুগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের প্রাক্তন মেম্বার। গত মার্চে অনুষ্ঠিত ফেঞ্চুগঞ্জে ইউপি নির্বাচনে সুনামের বড় ভাই আকসার মিয়া মেম্বার পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ফলে উভয়েই নির্বাচনে পরাজিত হন। ব্যাপারটি শিব্বির আহমদ মেনে নিতে পারেননি। নির্বাচনের পরদিনই শিব্বির আহমদ লেচু মিয়ার পরিবারের ২/১ জনকে হত্যা করবে বলে প্রকাশ্যে হুমকি প্রদান করে।
জায়গা জমি ও নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শিব্বির মেম্বার ক্ষুব্ধ ছিল লেচু মিয়া তার ভাই এবং বড় ছেলেদের ওপর। কিন্তু আব্দুল আহাদ লেচু মিয়ার কনিষ্ঠ পুত্র নম্্র-ভদ্র ২১ বছরের সুনামকে কেন খুন করা হলো। এর উত্তর খুঁজতে গিয়ে জানা যায়, নিহত সুনাম এবং শিব্বির মেম্বারের চাচাতো বোনের মধ্যকার গভীর প্রেমের সম্পর্কের কথা।
চির বৈরী প্রতিপক্ষের ছেলে সুনামের সাথে নিজেদের মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি শিব্বির মেম্বার ও তার নিকটজনেরা। সুনাম হত্যার পেছনে এই প্রেমের বিষয়টি জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। উপজেলার ফরিজা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া ‘ন’ অধ্যক্ষরের ওই মেয়েটির নিজ হাতের লেখা একটি চিরকুট পাওয়া গেছে নিহত সুনামের বিছানায় বালিশের নিচে। ওই চিরকুটের লেখায় সুনামের সঙ্গে মেয়েটির গভীর ভালবাসার কথাই জানান দেয়া হয়েছে।
পারিবারিক অপর একটি সূত্র জানায়, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই ফেঞ্চুগঞ্জ পূর্ব বাজারের ডাকবাংলো সংলগ্ন ভূমি অফিসের যে পরিত্যক্ত ঘরে সুনামকে হত্যা করে লাশ ফেলে রাখা হয় সেখানকার ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় ধারণকৃত ওই রাতের ফুটেজে ঘাতকদের একজনকে চেনা গেছে।
নিহত সুনামের মা কাজল বেগম জানান, আমার ছেলে সুনামকে শিব্বির মেম্বারসহ তার ভাই, ছেলেরা হত্যা করেছে। আমার ছেলের কোনো দুষমন ছিল না। এলাকার সবাই তাকে স্নেহ করতো। তিনি বলেন, অতীতে শিব্বির আমাদের বহুবার হত্যার হুমকি দিলেও ঘটনার সপ্তাহখানেক পূর্বে শিব্বির মেম্বার তাকে ডেকে নিয়ে বলেন, তোমার ছেলে সুনাম আমার আত্মসম্মানে আঘাতের চেষ্টা করছে। তাকে সামলে নিও, নইলে আমি তাকে ছাড়বো না। কাজল বেগম বলেন, ওই সময় আমি কিছু বুঝে উঠতে পারিনি। কিন্ত মেম্বার আমার বুকের ধনকে মেরেই ফেলল।
নিহত সুনামের বড় ভাই আকসার মিয়া এই ঘটনায় শিব্বির মেম্বার সরাসরি জড়িত রয়েছে বলে জানান। ঘাতকদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
ফেঞ্চুগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী বদরুদ্দোজা জানান, সুনাম ছেলেটি অত্যন্ত ভাল ছিল। সবাই তাকে আদর স্নেহ করতো। কিন্তু তাকে এভাবে মেরে ফেলা মোটেই মেনে নেয়া যায় না। খুনি যেই হোক গ্রেপ্তারের জোর দাবি জানাই। একই গ্রামের মাওলানা মিনহাজ উদ্দিন জানান, সুনামের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। খুনি যতই প্রভাবশালীই হোক আইনের আওতায় এনে তাদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে, যাতে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা আর কেউ না ঘটায়।
ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল হক জানান, ঘাতকদের ধরতে অভিযান চলছে। ইতিমধ্যে সোর্স লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই ঘাতকরা ধরা পড়বে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সিসি টিভির ফুটেজের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি তদন্তের স্বার্থে এ ব্যাপারে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
সুনাম হত্যা মামলার তদন্তকারী পুলিশ অফিসার এসআই নিযুশ কান্তি রায় জানান, মোবাইল কললিস্ট পরীক্ষার জন্য ইতিমধ্যে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। ২/১ জনকে ধরতে পারলেই হত্যার মোটিভ এবং বাকিদেরও ধরা যাবে।
সুনাম হত্যার পরদিন ফেঞ্চুগঞ্জ থানায় নিহতের বাবা ৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামিরা হলেন, পিঠাইটিকর গ্রামের মৃত আব্দুর রউফের পুত্র শিব্বির আহমদ (৫০) ও জুবায়ের আহমদ (৪৫)। শিব্বির আহমদের পুত্র টুনু মিয়া, নাসিম মিয়া (২২) তানিম মিয়া (১৮) এবং আব্দুশ শহীদ দুলু মিয়ার পুত্র রিমন মিয়া (২১)।
No comments