এই মুহূর্তের রাজনীতি
এসি
রুম থেকে বের হওয়ার চেষ্টায় রাজনীতি। নয়া পল্টনে বিপুল উপস্থিতি থেকে রসদ
খুঁজছে বিএনপি। সর্বদলীয় ঐক্যের প্রচেষ্টা অবশ্য এখনো বেশিদূর এগোয়নি।
সাবেক এক প্রেসিডেন্ট পরিবারের ভূমিকা এক্ষেত্রে নিয়ামক হয়ে উঠছে। এই
অবস্থায় দৃশ্যত বিরোধী শিবিরের প্রতি পুনরায় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ম্যাসেজ লাউড অ্যান্ড ক্লিয়ার।
ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হয় না। তবে ইতিহাস কখনো কখনো একই সুরে পুনরায় বাজে। মার্ক টোয়েনের নামে প্রচলিত উক্তিটির অনুবাদ চলচ্চিত্রকার মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর কাছ থেকে ধার করা। তার এক নাটকের সমালোচনার পটভূমিতে তিনি এই উক্তি স্মরণ করেছেন। কিছুদিন আগে মালয়েশিয়ার রাজনীতিতে উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের নাটক বারবার আলোচনায় এসেছে। শাস্তি, ক্ষমা, সমঝোতা-এ সবই ঘটে গেছে সেখানে। বাংলাদেশে আপাত এর কোনো সম্ভাবনা নেই। বহু আগে এই পত্রিকাতেই শিরোনাম হয়েছে, আমরা নড়িব না। এখনো তারা অনড়। যদিও দৃশ্যপটের পরিবর্তন হয়েছে। এক নেত্রী বন্দি নাজিম উদ্দিন রোডে।
কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে। ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যেই ঠিক হয়ে যাবে সব কিছু। ক্যালেন্ডারে সময় ১১৮ দিন। সবকিছু ঠিক থাকলে এ সময়ের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে আগামী সংসদ নির্বাচন। ২৭শে ডিসেম্বর হতে পারে ভোটের দিন এমন একটি গুঞ্জনও রয়েছে। কী হবে এই সময়ের মধ্যে। আরেকটি ৫ই জানুয়ারি? এই প্রেক্ষাপটেই মার্ক টোয়েনকে স্মরণ করা। বাংলাদেশেও কোনো কোনো পর্যবেক্ষক বলে থাকেন, একই ঘটনা বারবার ঘটে না। তাহলে কী একই সুরে বাজা ঘটনা ঘটবে। সরকারি শিবির তাদের অবস্থান একেবারেই স্পষ্ট করে দিয়েছে। নির্বাচন হবে চলতি সংবিধানের তরিকাতেই। কোনো সংলাপ হবে না, সমঝোতাও হবে না। বিএনপি নির্বাচনে আসতে চাইলে আসতে পারে। তবে তাদের কোনো দাওয়াত দেয়া হবে না। বাধাও দেয়া হবে না। সরকারের এই অবস্থান স্পষ্ট করার আগে ভেতরে ভেতরে এক ধরনের সংলাপ-সমঝোতার আওয়াজ ছিল। বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দেয়ার মাধ্যমে এক ধরনের নমনীয়তার বার্তাও ছিল। তবে এইসব মিইয়ে যেতে বেশি সময় লাগেনি। এখন যথারীতি হার্ডলাইনেই থাকবে সরকার। মাঠ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এরই মধ্যে বার্তা দেয়া হয়েছে সংশ্লিষ্টদের। প্রশাসনের পাশাপাশি মাঠে সক্রিয় থাকবেন সরকারি দলের নেতাকর্মীরাও। যদিও অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং দেশি-বিদেশি নানা হিসাবও মাথায় রাখছেন সংশ্লিষ্টরা।
এই পরিস্থিতিতে বিএনপি কী করবে? প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর দিনে নয়া পল্টনে নেতাকর্মীদের স্রোত দলটির নেতাদের আশ্বস্ত করেছে। আন্দোলন ও নির্বাচন দুই প্রস্তুতিই জোরদার করার চেষ্টা করছে বিএনপি। কিন্তু নানা প্রতিকূলতার মুখোমুখি বিএনপি শেষ পর্যন্ত কতদূর এগুতে পারে তা নিয়ে নানা আলোচনা রয়েছে। গ্রেপ্তার অভিযান এরই মধ্যে গতি পেয়েছে। আটক নেতাকর্মীদের মুক্তির পথ দীর্ঘ হতে পারে। একটি মন্ত্রকের বিশেষ নির্দেশনা কার্যকর হলে রাজনীতির চালচিত্র পাল্টে যেতে পারে। তবে এবার একইসঙ্গে নির্বাচন ও আন্দোলন দুটি বিষয়ই এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করবে বিএনপি সূত্রে এমনটাই আভাস।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, ২০০৬ সালের শেষ দিকে আওয়ামী লীগ মনোনয়নপত্রও সংগ্রহ করেছে আবার আন্দোলনও চালিয়ে গেছে। পরে তারা একসঙ্গে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছে। খালেদা জিয়াকে ছাড়া নির্বাচনে যাওয়া, না যাওয়া প্রসঙ্গে বিএনপির আরেক নেতা বলেন, খালেদা জিয়াকে নিয়েই আমরা নির্বাচনে যাবো। শিগগিরই একটি বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন বিএনপির নীতি-নির্ধারকরা। এক্ষেত্রে ২০ দলীয় জোট ঠিক রেখে এগিয়ে যেতে চান তারা। এ নিয়ে একটি রাজনৈতিক দলের আপত্তি রয়েছে। মূলত ওই দলের আপত্তির কারণেই সর্বদলীয় ঐক্য প্রক্রিয়া শ্লথ গতিতে এগুচ্ছে। ওই দলের প্রধান এখন জামায়াতের বিরুদ্ধে হার্ডলাইনে থাকলেও চারদলীয় জোটের রাজনীতি করতে তার কোনো সমস্যা হয়নি।
ওই জোটের সমর্থনেই তিনি রাষ্ট্রের শীর্ষ পদে পৌঁছেছিলেন। শেষ পর্যন্ত বৃহৎ জোট কোনো কারণে না হলেও যুগপৎ আন্দোলন যেন হয় এ নিয়ে বিএনপি সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এ প্রচেষ্টার ফলাফল শিগগিরই পরিষ্কার হবে বলে বিএনপি মনে করে। বৃহৎ ঐক্য প্রক্রিয়ায় জাতীয় পার্টিকে সংশ্লিষ্ট করার চেষ্টাও রয়েছে বিএনপির একটি অংশের পক্ষ থেকে। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বৃহৎ ঐক্যে আসলে সমস্যা দেখছেন না গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনও। খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে সহসাই বিএনপির পক্ষ থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে। যদিও সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিক থেকে দলটি যুগপৎ আন্দোলনে যেতে চায়।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন ভাগ্য নির্ধারক সময়ের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে। এই ১১৮ দিনেই ক্ষমতার লড়াইয়ে অবতীর্ণ হবে রাজনৈতিক শক্তিগুলো। এক্ষেত্রে তাদের ভূমিকাই অবশ্য একমাত্র নিয়ামক হবে না। খেলার আড়ালেও নানা খেলা থাকে। ঢাকার একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেছেন, এখন প্রতিটি দিনই হবে ইন্টারেস্টিং।
ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হয় না। তবে ইতিহাস কখনো কখনো একই সুরে পুনরায় বাজে। মার্ক টোয়েনের নামে প্রচলিত উক্তিটির অনুবাদ চলচ্চিত্রকার মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর কাছ থেকে ধার করা। তার এক নাটকের সমালোচনার পটভূমিতে তিনি এই উক্তি স্মরণ করেছেন। কিছুদিন আগে মালয়েশিয়ার রাজনীতিতে উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের নাটক বারবার আলোচনায় এসেছে। শাস্তি, ক্ষমা, সমঝোতা-এ সবই ঘটে গেছে সেখানে। বাংলাদেশে আপাত এর কোনো সম্ভাবনা নেই। বহু আগে এই পত্রিকাতেই শিরোনাম হয়েছে, আমরা নড়িব না। এখনো তারা অনড়। যদিও দৃশ্যপটের পরিবর্তন হয়েছে। এক নেত্রী বন্দি নাজিম উদ্দিন রোডে।
কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে। ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যেই ঠিক হয়ে যাবে সব কিছু। ক্যালেন্ডারে সময় ১১৮ দিন। সবকিছু ঠিক থাকলে এ সময়ের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে আগামী সংসদ নির্বাচন। ২৭শে ডিসেম্বর হতে পারে ভোটের দিন এমন একটি গুঞ্জনও রয়েছে। কী হবে এই সময়ের মধ্যে। আরেকটি ৫ই জানুয়ারি? এই প্রেক্ষাপটেই মার্ক টোয়েনকে স্মরণ করা। বাংলাদেশেও কোনো কোনো পর্যবেক্ষক বলে থাকেন, একই ঘটনা বারবার ঘটে না। তাহলে কী একই সুরে বাজা ঘটনা ঘটবে। সরকারি শিবির তাদের অবস্থান একেবারেই স্পষ্ট করে দিয়েছে। নির্বাচন হবে চলতি সংবিধানের তরিকাতেই। কোনো সংলাপ হবে না, সমঝোতাও হবে না। বিএনপি নির্বাচনে আসতে চাইলে আসতে পারে। তবে তাদের কোনো দাওয়াত দেয়া হবে না। বাধাও দেয়া হবে না। সরকারের এই অবস্থান স্পষ্ট করার আগে ভেতরে ভেতরে এক ধরনের সংলাপ-সমঝোতার আওয়াজ ছিল। বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দেয়ার মাধ্যমে এক ধরনের নমনীয়তার বার্তাও ছিল। তবে এইসব মিইয়ে যেতে বেশি সময় লাগেনি। এখন যথারীতি হার্ডলাইনেই থাকবে সরকার। মাঠ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এরই মধ্যে বার্তা দেয়া হয়েছে সংশ্লিষ্টদের। প্রশাসনের পাশাপাশি মাঠে সক্রিয় থাকবেন সরকারি দলের নেতাকর্মীরাও। যদিও অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং দেশি-বিদেশি নানা হিসাবও মাথায় রাখছেন সংশ্লিষ্টরা।
এই পরিস্থিতিতে বিএনপি কী করবে? প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর দিনে নয়া পল্টনে নেতাকর্মীদের স্রোত দলটির নেতাদের আশ্বস্ত করেছে। আন্দোলন ও নির্বাচন দুই প্রস্তুতিই জোরদার করার চেষ্টা করছে বিএনপি। কিন্তু নানা প্রতিকূলতার মুখোমুখি বিএনপি শেষ পর্যন্ত কতদূর এগুতে পারে তা নিয়ে নানা আলোচনা রয়েছে। গ্রেপ্তার অভিযান এরই মধ্যে গতি পেয়েছে। আটক নেতাকর্মীদের মুক্তির পথ দীর্ঘ হতে পারে। একটি মন্ত্রকের বিশেষ নির্দেশনা কার্যকর হলে রাজনীতির চালচিত্র পাল্টে যেতে পারে। তবে এবার একইসঙ্গে নির্বাচন ও আন্দোলন দুটি বিষয়ই এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করবে বিএনপি সূত্রে এমনটাই আভাস।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, ২০০৬ সালের শেষ দিকে আওয়ামী লীগ মনোনয়নপত্রও সংগ্রহ করেছে আবার আন্দোলনও চালিয়ে গেছে। পরে তারা একসঙ্গে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছে। খালেদা জিয়াকে ছাড়া নির্বাচনে যাওয়া, না যাওয়া প্রসঙ্গে বিএনপির আরেক নেতা বলেন, খালেদা জিয়াকে নিয়েই আমরা নির্বাচনে যাবো। শিগগিরই একটি বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন বিএনপির নীতি-নির্ধারকরা। এক্ষেত্রে ২০ দলীয় জোট ঠিক রেখে এগিয়ে যেতে চান তারা। এ নিয়ে একটি রাজনৈতিক দলের আপত্তি রয়েছে। মূলত ওই দলের আপত্তির কারণেই সর্বদলীয় ঐক্য প্রক্রিয়া শ্লথ গতিতে এগুচ্ছে। ওই দলের প্রধান এখন জামায়াতের বিরুদ্ধে হার্ডলাইনে থাকলেও চারদলীয় জোটের রাজনীতি করতে তার কোনো সমস্যা হয়নি।
ওই জোটের সমর্থনেই তিনি রাষ্ট্রের শীর্ষ পদে পৌঁছেছিলেন। শেষ পর্যন্ত বৃহৎ জোট কোনো কারণে না হলেও যুগপৎ আন্দোলন যেন হয় এ নিয়ে বিএনপি সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এ প্রচেষ্টার ফলাফল শিগগিরই পরিষ্কার হবে বলে বিএনপি মনে করে। বৃহৎ ঐক্য প্রক্রিয়ায় জাতীয় পার্টিকে সংশ্লিষ্ট করার চেষ্টাও রয়েছে বিএনপির একটি অংশের পক্ষ থেকে। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বৃহৎ ঐক্যে আসলে সমস্যা দেখছেন না গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনও। খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে সহসাই বিএনপির পক্ষ থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে। যদিও সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিক থেকে দলটি যুগপৎ আন্দোলনে যেতে চায়।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন ভাগ্য নির্ধারক সময়ের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে। এই ১১৮ দিনেই ক্ষমতার লড়াইয়ে অবতীর্ণ হবে রাজনৈতিক শক্তিগুলো। এক্ষেত্রে তাদের ভূমিকাই অবশ্য একমাত্র নিয়ামক হবে না। খেলার আড়ালেও নানা খেলা থাকে। ঢাকার একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেছেন, এখন প্রতিটি দিনই হবে ইন্টারেস্টিং।
No comments