চার দিনের প্লাস্টিক মেলা উদ্বোধন- ব্যবসায়ীদের শেয়ারবাজার থেকে পুঁজি সংগ্রহের আহ্বান অর্থমন্ত্রীর
দেশের শেয়ারবাজার থেকে পুঁজি সংগ্রহ করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে পুঁজিবাজারে অনেক ঝামেলা-টামেলা হয়।
কিন্তু পুঁজিবাজার যথেষ্ট পুঁজি সরবরাহ করছে। সেদিক থেকে নিশ্চয়ই অগ্রগতি হয়েছে। এখন পুঁজিবাজার একটি ‘ইম্পর্টেন্ট প্লেয়ার’। তাই এর পরিবর্তন নিশ্চিত। আপনারা এখান থেকে পুঁজি সংগ্রহ করুন।’‘অষ্টম ঢাকা আন্তর্জাতিক প্লাস্টিক, প্যাকেজিং ও প্রিন্টিং ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফেয়ার’ শীর্ষক মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গতকাল বুধবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চার দিনব্যাপী এই মেলা যৌথভাবে আয়োজন করেছে বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিপিজিএমইএ) এবং তাইওয়ানের চ্যান চাও ইন্টারন্যাশনাল। এতে দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সাড়ে তিন শ স্টল আছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ডিমিউচুয়ালাইজেশন (স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনাকে আলাদা) শুরু হলে পুঁজিবাজারে স্থিতাবস্থা ফিরে আসবে। আইন সংশোধনসহ সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে বর্তমানে পুঁজিবাজার একটা অবস্থায় আছে।
অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া বলেন, ‘প্লাস্টিক শিল্প মালিকেরা দীর্ঘদিন ধরে একটি শিল্পনগর গঠনের দাবি জানিয়ে আসছেন। এটি আমরাও জরুরি মনে করছি।’
বিপিজিএমইএর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র প্লাস্টিক পণ্যের বড় বাজার হওয়া সত্ত্বেও সেখানে বছরে মাত্র ৮০ লাখ ডলারের রপ্তানি হয়। দূরত্বের কারণে দেশটিতে রপ্তানি পণ্যের দাম বেড়ে যায়। তাই আমরা ওই বাজারে প্রবেশ করতে পারছি না।’ এ জন্য তিনি সরকারের কাছে দুই বছরের জন্য প্রণোদনা দাবি করেন।
সভাপতি আরও বলেন, ‘প্লাস্টিক কারখানার অধিকাংশই পুরান ঢাকার ঘিঞ্জি এলাকায় গড়ে উঠেছে। কিন্তু বর্তমানে মানসম্মত কারখানা করতে না পারলে বিদেশি ক্রেতারা আমাদের পণ্য কিনবেন না। এ জন্য একটি শিল্পনগর স্থাপন করতে হবে। আর পণ্যের মান বাড়াতে একটি ইনস্টিটিউট করা প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহ্মদ, চ্যান চাও ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী পরিচালক টাইগার লিং, বিপিজিএমইএর সাধারণ সম্পাদক কে এম ইকবাল হোসেন।
পরে অর্থমন্ত্রী ফিতা কেটে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এরপর তিনিসহ অন্য অতিথিরা মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।
মেলায় অংশ নেওয়া বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো পণ্যসামগ্রী এবং চীন, ভারত, তাইওয়ান, কোরিয়া, মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের ১৫টি দেশের প্রতিষ্ঠান প্রযুক্তি, যন্ত্রপাতি ও সেবা প্রদর্শন করছে। ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য মেলা প্রাঙ্গণ উন্মুক্ত থাকবে।
No comments